আমার প্রিয় পাখীটা

সরবে আমার আগমনটা হয়েছিল খুবই বাজে ভাবে। আমিও চেয়েছিলাম সরব হতে। কিন্তু জীবনে অনেক অনেক বাঁক, আহত বা নিহত যাই হোক না কেন, পরম দ্রুতিতে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবন এগিয়ে যেতেই থাকেকিন্তু তবুও দিনশেষে জীবনের সবটাই অপ্রত্যাশিত কোন অতৃপ্তির স্বাদেও তৃপ্ত এক সত্ত্বা হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। কখনও নাড়িস্পন্দন দ্রুত বেড়ে ওঠে, কখনও বা খুব সীমিত হয়ে পড়েযোগ্য আর বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্যে জীবন খুবই উৎকৃষ্ট মানের একটা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান মাত্রকিন্তু দুর্বল আর বোকাদের জন্যে জীবনের চেয়ে বড় কোন উপহাস হয়ত নেই। আমি জানি, সরবের সবগুলো মানুষ অনেক মেধাবী, গুণী আর অনেক বড় মনের মানুষ। সরবের কাছে আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি, আমার মত অতি ক্ষুদ্র, অপরিপক্ব একজনকে এখানে অনুমোদন দেবার জন্যে। এবং আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আমার যেকোনো ভুল-ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতার জন্যে।  

নীল একটি মৌলিক রঙ। লোকে বলে কষ্টের রঙ নাকি নীল। কিন্তু আমি বলি, কষ্টের আসল রঙ হল কালো। জীবন নামের ক্যানভাসে যখন কষ্টের হাল্কা আঁচড় পড়ে, তাকে নীল বলে মনে হয়। আর প্রগাঢ় আঁচড়ে সে সত্যিকার রঙ ধারণ করে, ধীরে ধীরে কাল হয়ে ওঠে। আর কালো রঙ নিয়ে কত যে খেলা হয়েছে আজতক, তার কোন ইয়ত্তা নেই। শ্রীকৃষ্ণ কালো, তার জন্যে কত যে তুলির আঁচড় পড়েছে, কত শিল্পী যে শিল্পসাগরে স্নান করেছেন তা অচিন্তনীয়! এক লুসির জন্যে ইংরেজি বর্ণগুলো কতভাবে যে সন্নিবেশিত হয়েছে তার হিসেব করাটা সত্যি বড় দুষ্কর! কালো সত্যিই এক ‘ব্যঞ্জক বেদিয়া’!!
কত রকম কালো যে আছে এই পৃথিবীতে! কাজলকালো, কৃষ্ণকালো, মিশকালো… তবে ‘ভ্রমরকালো’ শব্দটার ব্যঞ্জনা যেন একটু অন্যরকম। কারও খিলখিলে হাসির আড়ালে যদি কোন কালো লুকিয়ে থেকে থাকে, তবে নিশ্চয়ই তা হবে ভ্রমরকালো!

শান্ত মরে গেছে। আবির হারিয়ে গেছে। নীহারিকা মানসিকভাবে অসুস্থ। আর আমার প্রিয় পাখিটা… এক বুনো ফুলের মোহে পাগল হয়েছিল ও। কিন্তু বুনো ফুল ওকে ভালবাসেনি। বৃষ্টির জল ওর সাজানো নীড়ে ঢুকে পড়েছে…

ওর পড়াশোনার প্রাঙ্গণ জীববিজ্ঞান। কিন্তু শিল্পের রাজ্যে ওর বিচরণ যেন শরতের সকালে রবির প্রথম আলোর মত। আমি বলি, ‘তুই জাত কবি, তোর লেখনীটার যত্ন নিস’, ও তখন হয়ত কোন স্কেচ এঁকে দেয়ালের কোন পাশে টাঙ্গাবে তা ভাবতেই ব্যস্ত! কিংবা হয়তো স্বাধীনচেতা মননের কোন প্রামাণ্য রচনা লিখে সবাইকে ভুরু কুঁচকে ভাবতে বাধ্য করছে অথবা ওর কোমল হাতের শীতল শৈলীতে আল্পনার রঙ দিয়ে জগতটাকে রাঙ্গিয়ে দিচ্ছে কিংবা বসন্তদূতের মত সুর তুলে কারো মন ভরিয়ে দিচ্ছে নতুবা মরচে ধরা পুরনোকে নতুন বর্ণে বর্ণিল করে তুলছে। বড় ছান্দসিক ও, শৈল্পিক। ওর চাহনি, স্বভাব-সারল্য আমাকে মুগ্ধ করে। কি সুন্দর করে কথা বলে ও! ওর রূচিবোধ, বিশ্লেষণী ক্ষমতা, দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে অভিভূত করে।
মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ আমার পড়া হয় নি, রচনার শিল্পগুণ সম্বন্ধেও ধারণা নেই, তাই হয়ত ওর সুন্দর কোন বর্ণনা দিতে পারছি না। আমি দুঃখিত, আমায় ক্ষমা করবেন।

যেকোনো কিছুতেই মানুষ চায় ত্রুটিহীন থাকতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত: কোন মানুষই ত্রুটিহীন নয়। খুব সম্ভবত এটাই স্রষ্টার সৃষ্টির ত্রুটি-হীনতা! তবে ওর ক্ষেত্রে আমি এইটুকু বলতে পারি, একজন সাধারণ মানুষ তার কাজের বেলায় যতটুকু ত্রুটিহীন, ও তার চাইতে অনেক বেশী নিখুঁত। না, ওকে আমি ‘অসাধারণ’ বলে অভিধা দিচ্ছি না। ও খুবই সাধারণ। আর সাধারণ বলেই হয়ত এতটা সৌন্দর্য ধারণ করে আছে নিজের ভেতর!

হ্যাঁ, সত্যিই ও খুব সুন্দর! আমি জানি, ‘সৌন্দর্য’ একটি অতি আপেক্ষিক ব্যাপার। আর কোন মানুষের ক্ষেত্রে তা আরও বেশী আপেক্ষিক। কারো মতে মানুষের সৌন্দর্য নিহিত তার দেহ-কান্তির মাঝে। কারো মতে বিত্তের মাঝে। আবার হয়তো কারো কাছে হয়ত মানব সৌন্দর্যের পরিমাপক তার মেধা, জ্ঞান। আমার কাছে মানুষের সৌন্দর্যের কোন পরিমাপক যন্ত্র নেই। আমার মতে যে মানুষের মন যত সুন্দর, সে ততটা সুন্দর! কারণ, মন আছে বলেই মানুষ ‘মানুষ’ হতে পেরেছে!
জানি, কারো মনের বিচার করবার ক্ষমতা বা যোগ্যতা বা শক্তি বা ধী আমার নেই। তবুও…

ও চশমা পড়ে। বাঙ্গালী মেয়ে হিসেবে খাটো না হলেও লম্বা নয় মোটেও। স্বাস্থ্য ভাল না। চুলের ডগা পিঠের অর্ধেকের বেশি পেরোয় না। গায়ের রংটা অন্তত পচা আঙ্গুরের মত হলে তবুও হয়ত লোকে ঘষামাজা করে মোটামুটি সুন্দর বলে চালিয়ে দেবার একটা প্রয়াস চালাত। কিন্তু আমি বলি, ওর মত সুন্দর মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। ওর মনটা অসম্ভব রকমের সুন্দর, শুভ্র, শ্বেত কপোতীর নরম পালকের মত। স্বাধীনতা আর ভালবাসার প্রতি অনন্ত পিপাসার্ত এই সুন্দর মনের মানুষটাকে আমি ভালবাসি। কেন বাসি, তা জানি না।

প্রশংসা করলে গালে টোল ফেলে হয়ত একটু মুচকি হাসত ও। তারপর হয়ত ভালোলাগাটাকে একটু আড়াল করে বলত নিজেকে সম্মানিত বোধ করছে। কিন্তু আজকাল প্রশংসা করলে চেহারায় ‘কেমন জানি’ একটা ভাব ফুটিয়ে বলে ‘নিজের প্রশংসা শুনতে আগ্রহী নই’। আমি জানি না, ও কেন এটা বলে। কিংবা হয়ত জানি, বুঝতে পারি না। তবে…
কি জানি! ওকে আমার লিফলেটের মত লাগে!

সেদিন হঠাৎ দেখি, ওর চোখ ছলছল করছে। আমি জানি, কারো সামনেই ও চোখের কোণে আশ্রয় নেয়া জলগুলোকে অশ্রুফোঁটা হয়ে গড়িয়ে পড়তে দিতে চায় না। বেশ শক্ত মানসিকতার মেয়ে ও। কিন্তু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ভয়ানক অস্বস্তি বোধ করতে থাকি। কেন জানি না, এই শব্দ সৈনিকের সামনে থাকলে আমি শব্দ খুঁজে পাই না, কথা আটকে আসে। অনেক কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারি না। তখন অবস্থাটা আরও খারাপ! আমি এর আগে কখনোই ওকে এমন অবস্থায় দেখি নি। আমার সারা মস্তিষ্ক তোলপাড় করে বলার মত একটা শব্দও খুঁজে পেলাম না! অনেক কষ্টে কোনরকমে একবার জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে?
না, ও আমার প্রশ্নের কোন জবাব দেয় নি। বরং এক টুকরো মায়া হাসি উপহার দিয়েছিল!

ওর প্রকৃতিটাই এমন। মনের আকাশে মেঘ জমলে ঘন-ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হয়ে জমাট বাঁধবে, কিন্তু কাউকে বুঝতে দেবে না। অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে যতক্ষণ না এক পশলা বৃষ্টি ঝড়ে। এমনিতে ওর কথার কাকলিতে মুখরিত হয় না, এমন সত্তা খুঁজে পাওয়া ভার। সত্যিই ও এক অর্বাচীন কবি!

কিন্তু, জ্যোৎস্নালোকিত আকাশের ভরা চাঁদটা হঠাৎ ছোট্ট কোন মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়লে ও যেন কিসের একটা মুখোশে নিজেকে আড়াল করে ফেলে। শরতের যে পরিষ্কার আকাশে মুঠো মুঠো রোদ খই হয়ে ফোটে, তা যেন হঠাতই মোটা দানার শুষ্ক এক কণা লালচে বালুকণার মত পথের পাশে ঠাঁই নেয়। দুরন্ত পথিকও পূর্বাশার আলো ছাড়া বৃত্তাকার পথে ঘুরপাক খেতে থাকে।
আমি জানি না, অনুভূতি সংক্রমণযোগ্য কিনা। তবে মাঝে মাঝে মনে হয়, মুখোশিনীরা প্রায়শই নৃত্য করে ওঠে। আর সেই নৃত্যের রেশ ছড়িয়ে যেতে পারে অনেক দূর।

ওর কথাগুলো মাঝে মাঝে আমার ছোট্ট মস্তিষ্কের অবুঝ কোষগুলোকে আন্দোলন করে উঠতে বাধ্য করে। আমি বলি, আমার দূর আকাশে মেঘেদের রাজ্যে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে, মেঘের ভেলায় শুয়ে নীল পরীদের গান শুনব বলে। ও বলে, ওর নাকি তারা হতে ইচ্ছে করে! কী ভয়ানক কথা! ওর শব্দ-শব্দ খেলার ছলে হঠাৎ এমন কথায় আমি ভয় পেয়ে যাই। কত ভাবেই না ও এই অবলা শব্দগুলোর উপর অত্যাচার চালায়! আমি বুঝি না, কী এমন বেলা গড়িয়েছে ওর! শব্দ তো শব্দই! কখনও ছোট্ট সাদা জংলী ফুলের মত কিংবা গাছের গোড়ার দিকে ঝুলে থাকা লটকনের থোকার মত! শব্দ আবার ভারী একাও বটে! বিনি সুতোয় গেঁথে দিলে হয় কথামালা, নইলে ছাইভস্মের নৃত্য! আর পরিবেশ? সে তো নিজের কল্পনা!

আমার প্রিয় পাখিটা,
কারও কানকথা বা বৈরী পরিবেশকে মোটেই পাত্তা দিতে যাস না রে… পাত্তা দিলেই ভূতের মত লাফিয়ে উঠবে ঘাড়ে, ঠ্যাং দোলাবে ধেই ধেই করে – জীবনের অভিজ্ঞতাকে বয়সের রিমলেস ফ্রেমের আড়ালে বাধতে হয় না! ‘লাইফ ইজ অ্যা গেইম’, ‘দ্যা হেলস্ম্যান অফ দ্যা স্টাইজিয়ান ফেরি’ যতক্ষণ চলে না আসেন, তোকে এই খেলা চালিয়ে নিতেই হবে। হয় তুই জীবনকে নিয়ে খেলবি, নয়তো জীবন তোকে নিয়ে খেলবে। নিজেকে খেলনা হিসেবে জীবনের হাতে তুলে দিস না! জীবন থেকে হারিয়ে যাস না, প্লিজ…
বুনো ফুল বনেই থাকুক, ও ওখানেই ভাল থাকবে। তুই এখানে, আমাদের মাঝে আছিস, আমাদের মাঝেই ‘ভাল’ থাকতে হবে তোকে। আর আমরা তো আছিই! তুই ভাল, সুন্দর! জীবনে এই বোধশক্তি থেকে পিছিয়ে পরিস না! তোকে যে আমার, আমাদের খুব দরকার!!

অনুজ সম্পর্কে

সাদা কাগজে কালো কালিতে লিখতে গেলে হয়ত লিখতে হবে - প্রথমত আমি রক্ত মাংসে গড়া এক মানুষ, দ্বিতীয়ত চিরন্তন সত্য, মৃত্যুর সাথে করি বসবাস... https://www.facebook.com/CoercedAnuj
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে হাবিজাবি-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

10 Responses to আমার প্রিয় পাখীটা

  1. শুভায়ন সাহা বৃন্ত বলেছেনঃ

    অসাধারন লেখা। সত্যি মানব মন বড় বিচিত্র। সে নিজের দুঃখকে অন্যের কাছ থেকে সুন্দর কর্ আড়াল করতে পারে। কিন্তু দুঃখ কখোনোই তাকে ছাড়ে না। কিন্তু দুঃখ জয় করেই সামনে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। নিজেকে নিয়েই তো মানুষের বেঁচে থাকা।

  2. অনাবিল বলেছেনঃ

    কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না………………

    • অনুজ বলেছেনঃ

      শব্দগুলো মাঝে মাঝে ভারী বিশ্বাসঘাতক হয়ে ওঠে… কিছুতেই ধরা দিতে চায় না! কখনো আবার ধরা দিলেও, কোথায় যেন আটকে যায়…

  3. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    সময়ের প্রয়োজনে তাই খুব সম্ভবত এটা সরব ব্লগে লেখক হিসেবে আমার শেষ আগমন।>> মানে কী এইটার? ফাওলামো হচ্ছে নাকি? :slap:

  4. তালপাতার সেনাপতি বলেছেনঃ

    কিছু কিছু সৃষ্টি থাকে,যা কিনা মূহুর্তে মূহুর্তে মানুষের অস্তিত্ব কে নাড়া দিতে থাকে।

    এটা তাদের পর্যায়েই পরবে কিনা আমি পুরোপুরি ভাবে বলতে পারবনা

    কিন্তু ধ্রুব সত্য হল এটা সেগুলোর উপরে হলেও হতে পারে।নিচে কখনোই নয়

    আর কথা গুলো অদ্ভুত রকমের সত্য……

    • অনুজ বলেছেনঃ

      হাওরের উথাল-পাথাল ঢেউ এখনো কারো মনের এঁটেল মাটিতে ক্ষণস্থায়ী নাড়া দিয়ে যেতে পারে কিনা আমার জানা নেই।
      তবে আপনার কথাগুলো সত্যিই সেদিকে ধাবিত করবে পাঠককে। ধন্যবাদ, ভাইয়া!! 🙂
      হয়ত সত্যি, কিংবা না! অনেক সময় সত্য বিষয়গুলোকেও কেন যেন বড় আপেক্ষিক বলে মনে হয়। নিজের চিন্তাগুলোকেও তাই আপেক্ষিক লাগে!
      দোয়া করবেন আমার পাখীটার জন্যে… 🙂

  5. মিষ্টি ডানা বলেছেনঃ

    বিকেলের গোধূলির রঙ যেমন একটা রেষ রেখে যায় তার সন্ধ্যাকাশে, এই লেখাটি ঠিক তেমন!
    কেমন যেন একটা ঘোরের মাঝে আছি, মনে হচ্ছে!
    লেখাটির মাঝে খুব অবিশ্বাস্য রকমের কিছু সত্য উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, একদম একটা প্রতিচ্ছবির মত।

    কেমন করে পারিস রে?

    • অনুজ বলেছেনঃ

      হয়ত। কিন্তু গোধূলির রঙের সেই রেশ খুব বেশী সময় টিকে থাকে না, রাতের অন্ধকারের জৌলুসের কাছে পরাজিত হয়ে মিলিয়ে যায়। হয়ত পরদিন আবারও এমন কিছু ফিরে আসে সন্ধ্যাকাশে, কিংবা নাও আসতে পারে। তবে আসবে, আসতে থাকবে, সেটাই কাঠ পেন্সিলের কামনা! 🙂 :guiter:
      ঐ যে বললাম, সত্যকেও আজকাল আমার আপেক্ষিক লাগে! সত্যিই কোন প্রতিচ্ছবির জন্ম দিতে পারে কিনা, সে বিষয়ে আমি তাই সন্দিহান!

      মনে হয় পারি না। পারলে তো জানতাম মনে হয়, না? :thinking: 😛

      অনেক অনেক ভালোবাসা :love:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।