ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি জাপানে নাকি ছোটবেলা থেকেই পেশাভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হয়।অর্থাৎ,শিশুর শিক্ষাজীবনের প্রথম কয়েক বছর তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তারপর ঠিক করা হয় যে তার জন্য কোন পেশা উপযোগী।সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের সুযোগ আর হয়নি।কিন্তু গতসপ্তাহে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখে আবারও আগ্রহী হয়ে উঠি জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।
In Japanese schools, the students don’t get any Exams until they reach grade four (the age of 10) because the goal for the first 3 years of schools is not to judge the child’s knowledge or learning,but to establish good manners and to develop their character.
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সাহায্য নেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটএর।এই ব্যাপারে টু দ্যা পয়েন্ট কিছু না পেলেও পেলাম আগ্রহ জাগানিয়া অনেক কিছু।জানলাম সারা পৃথিবীতে মান বিচারে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা চার নম্বরে। আর এক এ অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড।ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার হাল হকিকত জেনেও বেশ চমৎকৃত হলাম।প্রথমে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে লেখার ইচ্ছা থাকলেও পরে ভাবলাম পৃথিবীর সেরা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েই লেখা যাক।জাপান বা এশীয় দেশগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আলাপ অন্য কোন লেখায় ফাঁদা যাবে।
PISA (Programme for International Student Assessment) যারা কিনা এই ক্রম তৈরি করে তারা বিভিন্ন দেশের ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের উপরে নানা পর্যালোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে রিডিং, গণিত এবং বিজ্ঞানে ফিনিশ শিক্ষার্থীরাই পৃথিবী সেরা।এর পরপরই রয়েছে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া,হংকং,সিঙ্গাপুর,জাপান।অথচ USA কিংবা সমমানের অন্য দেশগুলোতে এই খাতে অর্থ-সময় বরাদ্দ,হোমওয়ার্ক,এসাইনমেন্ট অনেক বেশি।ফিনল্যান্ডের হাইস্কুলগুলোতে এত অল্প হোমওয়ার্ক দেওয়া হয় যেগুলো রাতে মাত্র আধাঘন্টাতেই শেষ হয়ে যায় এবং এলিমেন্টারি ও জুনিয়র স্কুলগুলোতে কোন হোমওয়ার্কই দেওয়া হয় না!কারণ ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থায় মনে করা হয় শিশুদের শিশুর মতই থাকতে দেওয়া উচিৎ।অযথা হোমওয়ার্ক-এসাইন্মেন্টের বোঝা চাপিয়ে শিক্ষার্থীর জীবন দুর্বিষহ করার ব্যাপারে তাঁরা পক্ষপাতী নন।এবং এ ব্যাপারে ফিনল্যান্ডের শিক্ষা অধিদপ্তরের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে।
ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থার ‘হৃৎপিণ্ড’ হয়ে আছেন সেদেশীয় শিক্ষকরা।সেখানে শিক্ষকদের উপর আস্থা এবং স্বায়ত্তশাসনে বিশ্বাস করা হয়।সহায়িকা হিসেবে আছে মৌলিক কিছু গাইডলাইন যেগুলোর বিস্তৃতি আসলে বহুদূর।সেগুলোর ভিতর থেকে চেষ্টা করা হয় শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা ও মান উন্নয়নে।শিক্ষার্থী যাতে সহজে এবং ভালোভাবে শিখতে পারে সেদিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়।
Those who can,do.Those who can’t,teach-এই প্রবচন ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে খাটে না।সেখানকার শিক্ষকরা কঠোর পরিশ্রমী সেই সাথে এই পেশা সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ।শিক্ষক হওয়ার জন্য অবশ্যই মাস্টার্স ডিগ্রীর অধিকারী হতে হয়।প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তবেই হতে হয় শিক্ষক।শিক্ষকরা এমনভাবে প্রশিক্ষিত হন যাতে করে সব রকমের শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষা সমানভাবে পৌঁছে দিতে পারেন।এমনকি শিক্ষার্থীর শারীরিক কিংবা ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা সহ শিক্ষাজনিত অন্য সকল ইস্যুতে শিক্ষকরা যাতে উৎরে আসতে পারেন সে লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিক্ষকদের।ক্লাসে নিয়মিত শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষকদের নিজেদের জ্ঞানার্জন থেমে থাকেনা।পেশাদারিত্ব উন্নয়নের জন্য ফিনিশ শিক্ষকদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়।এবং এই ব্যয় ফিনল্যান্ডের সরকারই বহন করেন।
কঠোর পরিশ্রম এবং শিক্ষাদানের এর বিনিময়ে শিক্ষকরা কি পান?ফিনল্যান্ডে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ এবং উচ্চ বেতনভোগী পেশাজীবী হচ্ছেন শিক্ষকরা।আইন কিংবা চিকিৎসা পেশার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ভাবা হয় শিক্ষকতাকে।যার ফলে ফিনল্যান্ডের তরুণদের কাছে শিক্ষকতা এখন সবচাইতে আকাঙ্ক্ষিত পেশা।পুরো বেতন কাঠামো কিংবা সুযোগ সুবিধার কথা না বলতে পারলেও খুব অল্পের মধ্যে বলে যাই,যেখানে USAর শিক্ষকদের গড় বেতন $৩৬০০০ সেখানে একজন ফিনিশ তরুণ শিক্ষকের প্রারম্ভিক বেতন $২৯০০০!
ফিনল্যান্ডে তেমন কোন বড় পাবলিক পরীক্ষা নেই।কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পড়ালেখা শেষে ন্যাশনাল ম্যাট্রিকুলেশান পরীক্ষা নামে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।এখানে যে সবাই অংশগ্রহণ করে তেমন নয়।গোটা শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য র্যা ন্ডম স্যামপ্লিং এর মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয় এবং তাদের পরীক্ষাই কেবল নেওয়া হয়।তাহলে ফিনিশ শিক্ষার্থীদের মান কিভাবে নির্ধারিত হয়?তাদের পরীক্ষাগুলো হয় প্রজেক্ট নির্ভর।ক্লাসগুলোকে অযথা চাপমুক্ত রাখা হয়।আনন্দদায়ক এবং সৃজনশীল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জীবনের পাথেয় শিক্ষা নেওয়াটাকেই দরকারি মনে করেন ফিনিশ নীতিনির্ধারকরা।জীবনের প্রথম বছরগুলোতে ‘তথাকথিত’ সাফল্যের চাইতে একজন শিক্ষার্থী কি শিখলেন,সেটাকেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন তাঁরা।কিভাবে শিখতে হবে,কিভাবে জীবনযাপন করতে হবে অথবা কিভাবেই বা খুঁজে পাওয়া যাবে নিজের আগ্রহের জায়গা-এগুলো শিখানো হয় একেবারে এলিমেন্টারি পর্যায়ে।
ফিনল্যান্ডে সেরা স্কুল কিংবা শিক্ষকের কোন তালিকা নেই।কারণ ফিনিশরা মনে করে প্রকৃত বিজয়ীকে কখনোই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়না।ফলে ফিনিশ স্কুলগুলোতে প্রতিযোগিতার বদলে সহযোগিতার মনোভাব বিরাজ করে।যেহেতু সর্বসেরা হওয়ার কোন ইদুর দৌড় সেখানে নেই,সবাই একত্রে কাজ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে এবং সেই সব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে কল্যাণ বাড়াতে।
ফিনল্যান্ডের শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সেরা স্কুল তৈরির বদলে লেভেল প্লেয়িং তৈরিতেই বেশি আগ্রহী যেখানে সব স্কুলে শিক্ষার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।এক্ষেত্রে পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড,আয় কিংবা ভৌগলিক অবস্থান যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়ে উঠতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।প্রত্যেক স্কুলের জন্য সমান বরাদ্দ দেওয়া হয় সেটা যে কমিউনিটির কিংবা দেশের যে স্থানের স্কুলই হোক না কেন।দুর্গম অঞ্চলগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধা বরাদ্দ রাখা হয়।ফিনিশ স্কুলগুলো সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রি।এর মধ্যে খাবার-বই-ভ্রমণ সহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সব কিছু অন্তর্ভুক্ত।বিরাট সব দালান নির্মাণের বদলে ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থায় ক্লাসের ভিতরের পরিবেশের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।এলিমেন্টারি লেভেলের কোন ক্লাসেই ২৪ জন এর বেশি শিক্ষার্থী অনুমোদন করা হয় না।অল্প শিক্ষার্থী,যথেষ্ট দক্ষ শিক্ষক এবং আনন্দদায়ক একটা পরিবেশের মধ্য দিয়েই তরতর করে এগিয়ে চলেছে ফিনল্যান্ডের শিক্ষাতরী।
এই যে বিশাল দক্ষযজ্ঞ এর পিছনে অর্থ যোগায় কে?লেখা এতটুকু পড়েই আশা করি বুঝতে পারছেন ফিনল্যান্ডের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতাই ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থাকে এত উন্নত ও কল্যাণমুখী করে তুলেছে।জিডিপির ৬%সরাসরি শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয়।প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারী।অল্প কিছু ব্যক্তি উদ্যোগে চালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে।সেগুলোও সরকারী অনুদানের উপর নির্ভরশীল।কিন্তু শিক্ষা খাতে এত বরাদ্দের উদ্দেশ্য কি?গত শতাব্দীর ৭০ এর দশকেই ফিনল্যান্ডের নীতিনির্ধারকরা বুঝতে পেরেছিলেন,ফিনল্যান্ডের স্বল্প প্রাকৃতিক সম্পদ ও ক্ষুদ্র আকারের ভারী শিল্প উন্নয়ন আসলে সেইভাবে সম্ভব নয়।সামর্থ্যের এই সীমাবদ্ধতাই তাদেরকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি নির্মাণে আগ্রহী হয়ে করে তোলে।যার ফলে এখন ফিনিশরা আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করার জন্য অন্যদের চাইতে এগিয়ে আছে।
ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থার সফলতার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মূলমন্ত্র কি?কেবলি বিশ্বাস আর আস্থা!গোটা ফিনল্যান্ডে বিশ্বাস করা হয় একটা উন্নত ফিনল্যান্ড বিনির্মাণের লক্ষ্যে ফিনিশ শিক্ষকরা এগিয়ে চলেছেন।এবং এই বোঝা বহন করাটাকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন ফিনিশ শিক্ষকরা ও।ফিনল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাব্যবস্থার উপর অহেতুক নজরদারি চালানো হয় না।কোন ধরনের বাহ্যিক খবরদারি বা মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষা-এর কোনটাই সেখানে চলে না।পিতামাতারা তাদের সন্তানদের ভার শিক্ষকদের উপর ছেড়েই নিশ্চিন্ত।আর শিক্ষকরা?তাঁরা বিশ্বাস করেন একে অপরকে।পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করেন।দলাদলি-বিদ্বেষ পোষণের প্রশ্নই উঠে না।যার ফলে ফিনল্যান্ডে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১% এর ও কম।আর অর্জন পৃথিবীর সবচাইতে সেরা শিক্ষাপ্রণালী আর শিক্ষাব্যবস্থা।
লেখার একেবারে শেষভাগে চলে এসেছি।এই লেখা লিখবার সময় বারেবারে চোখে ভেসে আসছিল আমাদের দারিদ্যপীড়িত আর সুবিধাবঞ্চিত ক্লাসগুলোর কথা।আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এত বিপুল অংকের খরচ করাটা একটু কষ্টকর বৈকি!তার উপরে আছে দুর্নীতির ভয়।আছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। তারপরেও আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে মনে হয় কেবল সদিচ্ছাটাই জরুরি।বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষার জন্য রেখে তা যদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং এই ধারা সরকার বদল হলেও না বদলায় তবে বিরাট একটা পরিবর্তন শিক্ষাখাতে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।যদিও তেমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না তারপরেও আমি হাল ছাড়তে নারাজ।মনের গহীনে স্বপ্ন দেখি একদিন বদলে যাবে সব,ভেঙ্গে যাবে সব অচলায়তন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
ঋণ স্বীকারঃ
www.huffingtonpost.com/2012/11/27/best-education-in-the-wor_n_2199795.html
zaidlearn.blogspot.com/2009/09/finnish-education-system-rocks-why.html
www.smithsonianmag.com/people-places/Why-Are-Finlands-Schools-Successful.html
www.bbc.co.uk/news/uk-21354932
www.minedu.fi/OPM/Koulutus/koulutusjaerjestelmae/?lang=en
www.thedailyriff.com/articles/the-finland-phenomenon-inside-the-worlds-most-surprising-school-system-588.php
www.edudemic.com/2012/08/why-do-we-focus-on-finland-a-must-have-guidebook/
কী যে বলব ! লেখাটা পড়ে উত্তেজনায় হাত পা কাঁপছিল, এত সুন্দর একটা শিক্ষাব্যবস্থা এত সুন্দর !!! আজকেই আমার ছোটবোন বলছিল, আচ্ছা আপু, মুভি দেখতে কত মজা লাগে, সময় কত তাড়তাড়ি সুন্দর কেটে যায়, পড়শোনাটা যদি এমন মজার হত, উপভোগ্য হত তাহলে এমন বিতিকিচ্ছিরি লাগত না। রেজাল্টও ভালো হত। জবাবে কিছুই বলার পাই নি। কারণ নিজেরও তো সেই একই প্রশ্ন, একই অনুভূতি।
খুব একমত, সদিচ্ছাই পারে বদলাতে। খুব স্বপ্ন দেখি, চোখে চিকচিক করা অশ্রুময় স্বপ্ন। ভেঙ্গে যাবে সব অচলায়তন একদিন।
বিঃ দ্রঃ লিংকগুলো হাইপারটেক্সট করে দিয়ে ফুটনোটে দিতে পারেন।
আশার আলো দেখছি।বুয়েটের কিছু ‘খ্যাপাটে’ তরুণ-তরুণী অচলায়তন ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ‘শিক্ষা’ নামে একটা প্রজেক্ট শুরু করেছে।খুব ছোট করে হলেও এগুলোই একদিন অনেক বড় হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃআমি ভেবেছিলাম অটোমেটিকলি লিঙ্ক গুলো হাইপারটেক্সট হয়ে যায়।তাই আর করা হয়নি।এইবার করে দেওয়া হল।নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ।
#জীবনের প্রথম বছরগুলোতে ‘তথাকথিত’ সাফল্যের চাইতে একজন শিক্ষার্থী কি শিখলেন,সেটাকেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন তাঁরা।
#ফিনল্যান্ডে সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ এবং উচ্চ বেতনভোগী পেশাজীবী হচ্ছেন শিক্ষকরা।আইন কিংবা চিকিৎসা পেশার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ভাবা হয় শিক্ষকতাকে।যার ফলে ফিনল্যান্ডের তরুণদের কাছে শিক্ষকতা এখন সবচাইতে আকাঙ্ক্ষিত পেশা।
#ফিনল্যান্ডে সেরা স্কুল কিংবা শিক্ষকের কোন তালিকা নেই।কারণ ফিনিশরা মনে করে প্রকৃত বিজয়ীকে কখনোই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়না।
#ফিনল্যান্ডের শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সেরা স্কুল তৈরির বদলে লেভেল প্লেয়িং তৈরিতেই বেশি আগ্রহী যেখানে সব স্কুলে শিক্ষার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। এক্ষেত্রে পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড,আয় কিংবা ভৌগলিক অবস্থান যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়ে উঠতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
#ফিনল্যান্ডের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাব্যবস্থার উপর অহেতুক নজরদারি চালানো হয় না।কোন ধরনের বাহ্যিক খবরদারি বা মান যাচাইয়ের লক্ষ্যে ঘনঘন পাবলিক পরীক্ষা-এর কোনটাই সেখানে চলে না।পিতামাতারা তাদের সন্তানদের ভার শিক্ষকদের উপর ছেড়েই নিশ্চিন্ত।আর শিক্ষকরা?তাঁরা বিশ্বাস করেন একে অপরকে।পারস্পরিক সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করেন।দলাদলি-বিদ্বেষ পোষণের প্রশ্নই উঠে না।যার ফলে ফিনল্যান্ডে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১% এর ও কম।
এখনো স্বপ্ন মনে হচ্ছে। আমাদের দেশে সত্যিই কি এরকমটা হওয়া সম্ভব কখনো!! ছোটবেলায়ই প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড়ে নামিয়ে দিয়ে আমরা বাচ্চাগুলোকে আমাদের স্বপ্নপূরণের যন্ত্রে পরিনত করছি। দলাদলি, রাজনীতির নোংরামিতে এই স্বপ্নগুলোই আবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। যে গোলচক্করে বাঁধা পড়ে আছি আমরা আদৌ
কি তা থেকে মুক্তি মিলবে?
হাল ছাড়িনি।সব দিন তো আর একরকম যায় না।হয়তো এখন হচ্ছে না,১০ বছর পরে হবে।রাত যত গভীর হয়,প্রভাত তত নিকটে আসে।
সবচাইতে সেরা জায়গায় প্রশ্ন রাখা যায়।
কিন্তু যতটা পড়লাম আসলেই মুগ্ধ হবার মতো। অনেক ধন্যবাদ পোস্ট এর জন্য।
বিরাট সব দালান নির্মাণের বদলে ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থায় ক্লাসের ভিতরের পরিবেশের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়
– মিডল ইষ্ট মনে হয় শিক্ষায় বিপরীত কাজ করছে!
আর ধ্রুব’র শিক্ষা আসলেই ভালো কাজ করছে। এই রকম আরও অনেক কিছু দরকার।
আমার কিছু ইস্যুও ছিল অবশ্য
এই শিক্ষা কতটা নৈতিকতা শিক্ষা দিচ্ছে?
(বিপুল সংখ্যক মানুষ রেসিস্ট সেখানে! মদ খেয়ে খুন করার হারও বেশি!)
এই শিক্ষা উদ্যোক্তা হতে কতটা সহায়ক?
এই শিক্ষা কতটা সৃজনশীল মানুষ তৈরি করছে?
(মানে আউটপুট কিরাম?)
ধ্রুব ভাইদের এই প্রচেষ্টায় আমি সত্যিই মুগ্ধ।অবশ্য এই সব ব্যাপারে সদিচ্ছা থাকলেও শেষমেশ ফান্ড মেনেজ করাটাও কম ঝামেলার না।
মিডল ইস্টের পাবলিকরা যে পড়ালেখা করে,এইটাও আমার কাছে অবাক লাগে!যাক পড়ালেখা না করলেও ঐসব দালান আমাদের মত ‘মিসকিন’ দেশের মানুষদের জন্য জরুরি।আমাদের রেমিট্যান্স তো ঐসব দালান উঠলেই আসে।
এই শিক্ষা নৈতিকতা শিক্ষা কেমন দিচ্ছে এইটা আসলে লেখাতেই আসা উচিৎ ছিল।আমিও এই ব্যাপারে খোঁজ খবর করিনি।সচলায়তনের অণু তারেক তাঁর এক ফেবু পোস্টে লিখেছিলেন ফিনল্যান্ডে অপরাধের হার খুব কম,শান্ত-নিরিবিলি ওয়েলফেয়ার স্টেট তার কারণ সেখানে ধর্ম নিয়ে উন্মাদনা নেই এবং রবিবারে চার্চে যাওয়া মানুষ ও নাকি দিন দিন কমছে।
তারচেয়েও বড় কথা সেখানে নাকি নিরীশ্বরবাদী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।যাচাই করার সুযোগ হয়নি।তবে ‘ব্রেইভিক’ এর মত মানসিকতার মানুষ থাকাটা অস্বাভাবিক না।
উদ্যোক্তা কিংবা সৃজনশীল মানুষ তৈরি সহায়ক কিনা সেটা বলতে পারছিনা।আমার হাতে কোন তথ্য নেই আপাতত।শিক্ষাব্যবস্থার ধরনে মনে হয় এই ধরনের মানুষ তৈরি হওয়াটাই উচিত।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বোহেমিয়ায়ান ভাইয়া।
তারেক অণুভাইকে প্রশ্ন করছিলাম রেসিজম নিয়ে। উনি সর্ট অব এড়িয়েই গেছিলেন!
আর উনার ধর্ম/ চার্চ গোয়িং এর সাথে শান্ত নিরিবিলি হবার বিষয়টা ছেলেমানুষি চিন্তার ফলাফল। এই বিষয়গুলো নিয়ে ভবিষ্যতে লেখার ইচ্ছে আছে (পড়াশোনা আছে বলেই বলছি। লেখার সময় পাচ্ছি না)। অই দেশে ৮০% মানুষ কোন না কোন ধর্মের অনুসারী বলে… কোরিলেশন / কজেশন গুলাইলে তো হবে না!
# এইটা দেখতে পারেন। ওদেরও উগ্রবাদি নেতা আছে, রেসিজম আছে http://racismfinland.wordpress.com/
#এইটাও দেখতে পারেন
There are twice as many murders in Finland as in Sweden, and most of the Finnish perpetrators were drunk!
শিক্ষা ব্যবস্থা সেরা মানে অনেক দিকে হইতে পারে মনে হয়।
যেমন ধরেন বাচ্চারা পছন্দ করছে কিনা/ জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান/…
(টেস্ট স্কোর এর উপর বেইজ করে হয়…)
আমার আমেরিকান উদ্যোক্তা তৈরির জন্য ফ্রেন্ডলি কালচার আর শিক্ষা ব্যবস্থা পছন্দের। এর সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধ + প্লুরালিজম এই সব মেশালে দারুণ হইত।
চমৎকার একটা ইনফরমেশান দিলেন ভাইয়া।ধন্যবাদ।
আপনার ধারণা ঠিক এই র্যাঙ্কিং এর ব্যাপারে হাফিংটন পোস্ট বলছে The rankings are calculated based on various measures, including international test scores, graduation rates between 2006 and 2010, and the prevalence of higher education seekers.
শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপারে আপনার সাজেশনটা ভালো লাগলো।তবে এই র্যাঙ্কিং এ কোরিয়া ও প্রায় ফিনল্যান্ডের কাছাকাছি তবে তাদের লক্ষ্য অর্জনের ধরনটা আবার অন্যরকম।
চমৎকার পোস্ট ভাইয়া, জাস্ট অসাধারণ!! :clappinghands: :clappinghands:
‘শিক্ষা’ ও ‘শিক্ষাব্যবস্থা’ বিষয়টা সবসময়ই আমাকে ভাবায়। আর আমার পরিচিতজনেরা জানেন, আজকাল এটা আমার চিন্তাভাবনা ও আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে কিছু পড়াশোনা করতে গিয়ে তাই স্বাভাবিকভাবেই ফিনল্যান্ডের সিস্টেমগুলো নিয়ে কিছু ঘাঁটাঘাঁটি হয়েছিল। সেগুলোই আপনার লেখায় একসাথে পেয়ে খুব ভাল লাগলো। :beshikhushi:
পোস্টটাতে তাই নগদে ৫ তারকা দিলাম ও প্রিয় স্বরে নিয়ে নিলাম। শেয়ারও করছি বেশ কিছু মানুষের সাথে। :love:
কিছু বিস্তারিত মন্তব্য আছে অবশ্য, সেটা পরে সময় করে একসময় করবো বলে আশা রাখি।
‘শিক্ষা’ ও ‘শিক্ষাব্যবস্থা’র পলিসি নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোন আলাপ আমার চোখে পড়েনা।নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে খুব একটা চিন্তিত বলে মনে হয়না।জিপিএ৫ ও সাক্ষরতার হার বাড়লেই উনারা বাকবাকুম।মান নিয়ে ভাবনার সময় কই?ক্ষমতা বদল হলে ইতিহাস বদল আর শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে নতুন সব আজব এক্সপেরিমেন্ট করতেই উনারা বেশি আগ্রহী।সামনের দিনে আমাদেরকেই তো এইদেশে থাকা লাগবে ,তাই চিন্তাও আমাদেরই বেশি।উনাদের সন্তানদের পড়ালেখাটা যেহেতু ভিনদেশে,সেহেতু উনাদের এ ব্যাপারে মাথা না ঘামালেও কিছু আসে যায় না।
পড়ার জন্য এবং মন্তব্য ও শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর বিস্তারিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্ট পড়ে চোখ 😯 এই রকম হয়ে গেসে !
ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডে আমার বাচ্চারে পড়াইতে চাই !!
*(এখনো বিয়া ই করি নাই !! :happy: :happy: )
পোস্টে ১০০ তে ১০৫ দিলাম। :love:
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় দিল খোশ হইয়া গেল। :guiter:
হুম বুঝলাম, তবে আমরা জাতি হিসেবে নগদে বিশ্বাসী। তাই ঘন ঘন পরীক্ষা, এইটাও মনে হয় বিশ্বাস করি প্রেসার দিলে কয়লাও হীরা হইতে পারে।
তবে পরিবর্তন ও উন্নয়ন আসলেই দরকার। নীতিনির্ধারকদের সুমতি ঘটুক। তবে শিক্ষা খাতে বাজেটের অংকটা দিয়েই ধারনা করা যায় আমরা কি ভাবছি।
“শিক্ষা” প্রজেক্ট সম্পর্কে আগে শুনেছি। বিস্তারিত জানার ইচ্ছা পোষন করছি।
‘এইটাও মনে হয় বিশ্বাস করি প্রেসার দিলে কয়লাও হীরা হইতে পারে।’- হাহাহাহ,চমৎকার বলেছেন।’শিক্ষা’ প্রজেক্ট নিয়ে জানতে পারবেন এই নোটে
https://m.facebook.com/note.php?note_id=237601543023445&_ft_=fbid.320910964670842
লেখাটা পড়ে মন খুব খারাপ হয়ে গেল।
কারণ, আফসুস। আমার দেশে কেন হয়নি, কবে হবে ইত্যাদি।
তবে কিছুটা সুখ-বোধও করছি।
কারণ, আদর্শ কাওকে পাওয়া গেল যাকে ফলো করা যেতে পারে।
অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য…
হাসান ভাইয়ের মত আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল ।বার বার মনে হচ্ছিল “আহারে আমাদের দেশটা যদি এমন হত”
তবে আশা করি একদিন হবে।আমরা এতদিন পারব।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।অনেক ভাল লেগেছে।
@তুসিন এবং হাসান আপনাদের দুইজনকেই অনেক ধন্যবাদ।আমাদের নিজেদের শিক্ষাব্যবস্থা ও এমন হলে খুব ভালো হতো।তবে আশ্চর্যজনক ব্যাপার কি জানেন এইসব ‘উন্নত’ দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার ও আমাদের মত দারিদ্র্যপীড়িত দেশের চাইতে অনেক অনেক বেশি।কিন্তু কেন কিংবা কি কারণে এমনটা সেটা খতিয়ে দেখতে হয়।আনন্দদায়ক আর উচ্চ শিক্ষাও কখনো কখনো সব কিছু হয়ে উঠে না।
লেখাটা খোমাখাতার কল্যাণে আজ নজরে আসল। আগে নজরে আসলে আগেই পড়তাম। লেখাপড়া নিয়ে লেখাজোখায় (/আলোচনায়) আমার বিশেষ আগ্রহ থাকে সব সময়, কে কখন (কেষ্টু-বিষ্টু হোক আর নন কেষ্টু-বিষ্টু হোক) কি বলল আগ্রহ নিয়ে পাঠ করি/শুনি। সেই আগ্রহ থেকেই আর কি পড়া এবং বলি পড়ে আমার ভালো লেগেছে, তবে আমি আগ্রহ পাই মূলত আমার দেশের পড়াশুনা ক্যামন হওয়া উচিত এই নিয়ে আলোচনা গুলো দেখতে/পড়তে।
আসলে আমাদের নিজেদের (যারা এটা প্রণয়ন করেন বা এই বিষয়ক কেষ্টু-বিষ্টু) স্পষ্ট ধারণা নেই পড়াশুনার উদ্দেশ্য কি? এই বিষয়টা না যতদিন ক্লিয়ার হবে তত দিন গলদ থেকে যাবে
সোহাগ ভাইয়ের এক ইন্টারভিউতে বলতে শুনছিলাম-
লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হল চারটিঃ
-Thinking Ability তৈরি করা
-লেগে থাকার মানুষিকতা তৈরি করা
-Confidence লেভেল বাড়ানো
-নৈতিক মূল্যবোধ(এটা এক দিন-দুই দিন বা এক-দুই বছরের বিষয় নয়, একটা দীর্ঘ মেয়াদী প্রসেস যার জন্য আলাদা সিলেবাস লাগে না বাট সিস্টেম দরকার)
অথচ আমাদের ব্যবস্থাটা ঠিক বিপরীত। পড়াশুনার স্টাইল দেখলে মনে হয় …. তৈরির কারখানা।
আমার নিজেরও এই সব কথাই মনে হয়েছে সব সময়। বাট সোহাগ ভাইয়ের গোছানো ভাবে বলাটা বেশ লেগেছে।
আর আমি নিজে মনে করি আমাদের দেশের পড়াশুনার পদ্ধতি হবে নিতান্তই আমাদের মত করে কোন দেশের অনুকরণে নয়। কারণ সব দেশের ছেলেমেয়েদের ক্যাপাবিলিটি সমান নয়, এই বিষয়ক ভাবনা চিন্তার মানুষ কবে জাগবে? আর কবে আমরাও পড়ব আনন্দদায়ক পরিবেশে, পড়াশূনাটা বাচ্চাদের জন্য বিভীষিকা নয় কার্টুন দেখার মত মজার হবে? যারা ঘুমিয়ে আছেন তারা কি একটু জাগবেন আমাদের ভবিষৎ এর দিকে তাকিয়ে? শিক্ষাঙ্গনে বাচ্চাদের হাসিমাখা আনন্দঘন মুখ দেখতে। জাগবেন? জাগবেন?
আর আমি নিজে মনে করি আমাদের দেশের পড়াশুনার পদ্ধতি হবে নিতান্তই আমাদের মত করে কোন দেশের অনুকরণে নয়। -নিঃসন্দেহে একমত।তবে অন্যরা কিভাবে সফলতা পাচ্ছে সেটা জানার জন্য হলেও ভিনদেশীদের কাছ থেকে কিছু আইডিয়া নেওয়া যেতেই পারে।
সোহাগ ভাইয়ের বলা চারটা নীতির প্রথম তিনটা হয়তো ইচ্ছা থাকলে হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে সম্ভব কিন্তু সমস্যা হবে চতুর্থটার বাস্তবায়নে।কেন জানি নৈতিক মূল্যবোধএর ব্যাপারটা ডিকশেনারির ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।এক জেনারেশানের পার্থক্যের মধ্যেও যে পরিমাণ নৈতিকতার তফাৎ দেখছি সেটা সত্যিই পিলে চমকানোর মত।এখন যা-ই আছে ,ভয় লাগছে সামনের দিনগুলোর জন্য।কিভাবে সামাল দিব আমরা?
আর নীতিনির্ধারকরা জাগবেন বলে মনে হচ্ছে না।উনারা এখন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় গালির প্র্যাক্টিস আর ব্যক্তিপূজা করছেন :crying:
একলা পথিক বলেছেন : ভবিষ্যতে ফিনল্যান্ডে আমার বাচ্চারে পড়াইতে চাই !!
*(এখনো বিয়া ই করি নাই !! 😛 😛 )
চমৎকার পোস্ট, খুব বেশিই ভালো লেগেছে !
ধন্যবাদ,ধন্যবাদ :love: :love:
শিক্ষা মানে শেখা; শিক্ষা মানে অবশ্যই GPA নয়।
এখন সেই শেখা কোথায় কিভাবে শেখা হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষাটাই।
মুখস্ত করে পরিক্ষায় উল্গে দেয়ার নাম কোনোভাবেই শিক্ষা হতে পারেনা; যে শিক্ষা প্রয়েজনে ভুলে যাওয়া হয় সেই শিক্ষার মূল্য কি ???
বাংলাদেশের জন্য ফিনল্যান্ডের শিক্ষা বেবস্থা উপযোগী নয়; কিন্তু বর্তমানে যে শিক্ষা বেবস্থা প্রচলিত তাও কোনোভাবেই উপযোগী নয়। বাংলাদেশের জন্য সবচাইতে উপযোগী জাপানের শিক্ষা বেবস্থা।
বর্তমানে GPA নিয়ে কান্নাকাটি টানাটানি বাংলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মেধা ও মননকে ধ্বংস করছে।
“মনের গহীনে স্বপ্ন দেখি একদিন বদলে যাবে সব,ভেঙ্গে যাবে সব অচলায়তন।”
– আমিও।
দুর্দান্ত লেখা।
অসাধারন ভালো লাগলো আপনার লেখাটা ।
তবে, মনের গহীনে কোথায় যেন একটু আফসোস ও রয়ে গেল; আমাদের শিক্ষা্ব্যবস্থা যদি প্রতিযোগীতামূলক না হত !
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটি শিক্ষামূলক পোস্ট লেখার জন্য