এদিকে আসার পর পরই তাদের জায়গা হয় ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে। ব্যাস্ততায়, কিংবা তারচেয়ে বেশী আলস্যের কারনে তাদের আর ব্যাবস্থা করা হয়নাই। রহস্যময় আবহাওয়াও তাদের অযত্নে প্রভাব ফেলল। কয়দিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে থাকলাম। কয়দিন টানা বৃষ্টি। মাঝে দুয়েকদিন আবহাওয়া অনুকূলে আসলেও ফাকিবাজী মন বাঙ্গালীর তৃতীয় হাত, অজুহাতের ব্যাবহার করে নিজেকে বিরত রাখে। কিভাবে কিভাবে যেন একদিন তারা একসাথে জড়ো হয়ে গেল। সময় পার হতে লাগলো, তাদের দলও ভারী হল দিনে দিনে। আমিও তাদের চোখের সামনে থেকে ক্রমেই পালিয়ে থাকলাম।
কিন্তু আজ তাদের সংখ্যা দেখে ঘাবড়ে গেলাম, যেকোন সময় বিদ্রোহ করে বিপদে ফেলতে পারে। এদিকে আমার স্টোরেজও শেষের দিকে। বাইরে থেকে চা নাস্তা খেয়ে আসলাম। আবহাওয়াও চমৎকার, মন ভালো করার মত। হাতে তেমন কাজও নেই। সবকটাকে নিয়ে বসলাম। ৪৫ মিনিটের পরিশ্রমের পর তাদের একটা রকম করা গেল। এরপর এদের নিয়ে ছাদে গেলাম। আমাদের ছাদ থেকে মাঝে মাঝে অনেক দূরের পাহাড় দেখা যায়, আর্দ্রতা আর দৃষ্টিগোচরতার উপর নির্ভর করে। ঠিক দিগন্তের সাথে লেগে থাকে সাদা ক্যানভাসে ধূসর রঙের ঝাপটার মত। অতটা পরিষ্কার না, বেশ আবছা। যারা জানেনা তারা প্রায়ই মেঘের কারসাজি ভেবে ভূল করে। কিন্তু নিজের কাছে রোমাঞ্চকর মনে হয়, শুনেছি অগুলো নাকি ভারতের সীমানার ভেতরে।
ধীরে ধীরে দুপুর গড়ালো। খাওয়া দাওয়া করে পিসি খুলে বসলাম। বৃষ্টি নামলো, রুমমেট আজ ঠান্ডা মেজাজের গান বাজাচ্ছে। আয়েশ করে সরবের পোস্টগুলো দেখছি। তাদের কথা ভূলে গেছি। অতঃপর তারা খোলা ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলো, আমার ধোয়া কাপড়গুলো আর আমি পোস্ট লিখে শেষ করলাম।
আমার বুদ্ধি কম, ঠিক ধরতে পারলাম না লেখার মূল কথাটা !
এখানে একজন অলস মানুষের করুন কাহিনী বলা হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যাস্ততার মাঝেও একদিন সে অনেকগুলো কাপড় ধুয়ে ফেলে। ছাদে শুকাতে দেয়, কিন্তু বিকেলের কাছাকাছি সময়ে প্রায় শুকনো কাপড়গুলো আবার বৃষ্টিতে ভিজে যায়।
🙁
😳 😳