দৃশ্যপটঃ গাইনি ওয়ার্ড
কয়দিন পরেই ওয়ার্ডফাইনাল । আতেল-ফাঁকিবাজ নির্বিশেষে সবাই পড়াশোনা করছে । ফাঁকিবাজরা আতেলদের হাতে পায়ে ধরে স্যাররা এতোদিন যা যা পড়িয়েছে তার ডেমো খাচ্ছে।বিভিন্ন এক্সামাইন শিখছে ।তো এরকম সময়েরই ঘটনা এটি ।
ফিটাল হার্টসাউন্ড (গর্ভবতী মায়ের পেটে শিশুর হৃদস্পন্দন ) শুনতে হবে ।তো আতেল বেশ ভাবের সাথে ডেমো দিচ্ছে , “এইভাবে স্টেথোস্কোপ দিয়ে শুনতে হয় ।স্টেথোর ডায়াফ্রাম(স্টেথোর যে পাশটা রোগীর বুকে ধরা হয়) এখানে লাগাতে হয় ।ঐখানে ধরলে ভালো শোনা যায় না ইত্যাদি ।”
এরপর ছেলেটা আতেলের দেখানো নিয়মে স্টেথো দিয়ে সাউন্ড শোনার চেষ্টা করছিল । কিন্তু না ,কিছুই শোনা যায় না । ডায়াফ্রাম ঘুরিয়ে আবার চেষ্টা করে ।না ,শোনা যায় না ।
-কি ব্যাপার ? হচ্ছে না তো ? কোন শব্দই নেই ।
শুনে আতেল তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে ,মামু এর জন্য প্রাকটিস লাগে ।দাও ।আমাকে দাও ।
এবার আতেল স্টেথো নিয়ে হার্টসাউন্ড শুনতে চেষ্টা করলো ।
-‘এইতো ।এইতো পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি ।আসলে প্রাকটিস না করলে এরকমই হবে ।’
শুনে ছেলেটা একেবারে চুপসে গেল ।এতক্ষণ ধরে ওয়ার্ডের এক সিনিয়র নার্স পুরো ঘটনা খেয়াল করছিল ।তিনি এরপর এসে বললেন ,আপনারা মনে হয় ভুল প্যাসেন্টকে এক্সামাইন করছিলেন ।এই প্যাসেন্টের তো কয়দিন আগেই ডেলিভারি হয়ে গেছে ।ফিটাল হার্টসাউন্ড শুনছেন কি ভাবে ?
একথা শোনার পরে আতেলের চেহারা সত্যিই দেখার মত হলো । লজ্জায় একেবারে চুপ হয়ে গেল সে ।
আতেল শকজ ,ফাঁকিবাজ রকজ …
হায় আল্লাহ ! কী কাণ্ড ! 🙄
তোমার ফণ্ট বাবাজি আবার বেঁকে বসেছে 😀
আপু এই ফন্টের ঝামেলাটা যে কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।কেউ যদি আমাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতেন ,তাহলে খুব ভালো হতো।
মডুরে নক দেও।
ঠিক বলেছেন আপু।মডুরে নক দেওয়া ছাড়া কোন গতি নেই।
হাহা। পুরাই ধরা!
এডিট অপশনে গিয়ে দ্বিতীয় সারি থেকে ‘ফরম্যাট’ হিসেবে ‘প্যারাগ্রাফ’ সিলেক্ট করতে হবে। দ্বিতীয় সারি দেখা না গেলে প্রথম সারিতে ‘শো কিচেন সিঙ্কে’ ক্লিক করতে হবে। 😀
ধন্যবাদ আপু