– সাইব্রিয়ান সৌরভ ||
শূন্যে ভাসতে থাকা প্রোটিনের ব্যাগটা তাচ্ছিল্যের সাথে দূরে ঠেলে দিলো ধ্রুবা। তাল সামলে নিয়ে নিজেকে একটা ডকের উপর দাঁড় করিয়ে মৃদু স্বরে একটা গালি দিয়ে বলল,
– এসব মানুষ খায়? একদম একটা শিশুর বমির মত।
বলেই সে মুখটা বিষিয়ে তুলল, যেন সত্যি সে সেরকম কিছু একটা খেয়েছে।
“কেন? তুমি কোনো শিশুর বমি খেয়ে দেখেছো নাকি?” একটা যোগাযোগ টানেলের মধ্যে থেকে মাথা বের করলো নিশিয়ান। “না দেখিনি! তবে এর থেকে সেটা কিছুটা কম খারাপ হতো খেতে” আঙুল দিয়ে ভাসমান প্রোটিন ব্যাগটার দিকে ইংগিত করলো ধ্রুবা। নিশিয়ান সেটা লক্ষ্য করে বলল,
– শান্ত হও, এতো খেঁপছো কেন? আকাদেমির পাঁচ বছরেতো এগুলো কম খাও নি। আজ আবার কি হলো?
– কি আবার হবে? তিন মাস ধরে আমরা এই খুপরি ঘরে আটকে আছি। কতক্ষণ আর মাথা ঠিক রাখা যায়!
একটা শিশুর মতো গাল ফুলিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিলো ধ্রুবা। মহাশূন্যে বেশ ঠান্ডা। যদিও এই কার্গো ভেসেলটার ভেতরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে উষ্ণ করে রাখা আছে। তবুও একটা মোটা পলিমারের কাপড় পরে আছে ধ্রুবা। বুদ্ধিমান তরুণী। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সেরা আকাদেমি থেকে নভোবিদ্যায় পড়াশুনা শেষ করেছে সবে। তবে চেহারায় সেই ভারিক্কী নেই মোটেও। আকাদেমির শিক্ষানবিশদের সামনে সে যতোবারই রাশভারী হতে চেষ্টা করতো ততবারই নাকি অবুঝ শিশুর মতো মনে হতো ওকে। চাঁদের একটা বাণিজ্যিক নভোযানে কিছুদিন কাজ করেছে সে। তারপর হুট করে এলো এই কাজের ডাক। গ্যানিমিডে একটা কার্গো পৌঁছে দিতে হবে। সৌরসংঘের কাজ। তাই বেশ ভালোই পয়সাপাতি আছে। ওর সাথে এই কার্গো ভেসেলে আছে নিশিয়ান। কথা কম বলে, তবে বেশ বন্ধুভাবাপন্ন তরুণ। সেও গত বছর আকাদেমি ছেড়েছে। তাই সরকারি কাজের ডাক পেতেই চলে এসেছে। এই ভেসেলটা গ্যানিমিডে পৌঁছাতে চার মাস লাগবে। এই চার মাস কি আর একা একা থাকা যায়? তাই ওরা বেশ ভাব জমিয়ে ফেলেছে নিজেদের মধ্যে। ভেসেলটা ছোটো। দুজনের থাকার দুটো কক্ষ আর একটা ককপিট। সবার পেছনে বিশাল একটা কার্গো রুম। কার্গো রুমে যাওয়া যায় না খুব একটা। কক্ষগুলোতে যাতায়াত করার জন্য ছোটো ছোটো যোগাযোগ টানেল আছে। ককপিটের নীচে ইঞ্জিন রুম। জ্বালানি হিশেবে ব্যাবহার করা হয় প্লুটোনিয়ামের আইসোটোপ।
বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমিড সৌরসংঘের বিদ্রোহী সমাজ। ওরা কখনই পৃথিবী, মঙ্গল, চাঁদ, শুক্র, ইউরোপা, টাইটানের সাথে এক হতে পারে নি। তাই সৌরসংঘের পক্ষ থেকে একটি উপহার হিসেবে এই কার্গো পাঠানো হচ্ছে যাতে তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়।
ধ্রুবা ইঞ্জিনের রুটিন কিছু চেক আপ সেরে নিয়ে ককপিটে চলে এলো। ধ্রুবার ঘর থেকে ককপিটে পৌঁছাতে হলে প্রায় সাত মিটার ছোটো পাইপের মতো যোগাযোগ টানেলের ভেতর দিয়ে আসতে হয়। প্রশিক্ষিত নভোচারী না হলে পাইপের ভেতর দিয়ে চলাচল করা মুশকিল। তবে শূন্যে ভেসে ভেসে টানেলের ভেতর দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার মজাই আলাদা। ককপিটে চেয়ারে পা তুলে বসে আছে নিশিয়ান। ধ্রুবাকে দেখে চেয়ার ঘুরিয়ে তাকালো সে
– ইঞ্জিন কেমন আছে ধ্রুবা?
– আছে ভালোই। তুমি কি সারারাত এখানে বসে ছিলে?
– এখানে রাত আর দিন বলে কি কিছু আছে?
– আছেই তো। পৃথিবীর সাথে মিল রেখে আমাদের সময় ভাগ করে দেয়া আছে।
– কিন্তু এখানে তো সূর্য ওঠে না, ডোবেও না। তাহলে রাত-দিন কিভাবে হলো?
– কেন, রাত-দিনের বারো ঘন্টা করে ভাগ করে নিলেই হলো।
– উফফ বাবা! তোমার সাথে তর্কে পাড়া যাবে না ধ্রুবা।
– বোকার মতো কথা বললে তর্কে জিতবে কিভাবে?
নিশিয়ানের ভ্রু খানিকটা কুচকে গেলো।
– কি বললে, আমি বোকা?
– না, বলেছি তুমি বোকার মতো কথা বলছো।
– একই কথা।
– একই কথা না।
নিশিয়ান হাল ছেড়ে দিলো। আনমনে ককপিটের মনিটরের দিকে ঝুঁকে কিছু একটা দেখার চেষ্টা করলো সে। নিশিয়ান আর তর্কে যোগ দিচ্ছে না এটা দেখে ধ্রুবা খানিকটা হতাশ হলো। এগিয়ে এসে বললো,
– কি হলো? রাগ করলে নাকি?
– না। ভাবছি।
– কি ভাবছো?
– আমরা কয়েক মাস হলো একটা কার্গো সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি অথচ এখন পর্যন্ত জানি না সেটা কি!
– কেনো! গ্যানিমিডবাসীদের জন্য উপহার!
– না ধ্রুবা, আমি বলতে চাইছিলাম সেই উপহার আসলে কি?
– সেটা আমাদের জেনে লাভ কি? সৌরসংঘের জিনিশ। আমাদের না জানাই ভালো। আমাদের কাজ এগুলো ঠিকমতো গ্যানিমিডে পৌঁছে দেয়া, ব্যস।
– সেটা অবশ্যই ঠিক, তবুও আমার জানতে ইচ্ছে করছে ধ্রুবা।
– ছেলেমানুষি করো না নিশিয়ান। আমার মনে হয় ওখানে কোনো ভাস্কর্য আছে। রাষ্ট্রীয় উপহার হিশেবে বেশ চমকপ্রদ হবে সেটা।
– মোটেও না। ঐ অসভ্য গ্যানিমিডিয়ানরা ভাস্কর্যের কি বোঝে? আমার মনে হয় ওখানে ওদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী আছে। গরিবের দল!
কথাটা শুনে মনে হয় ধ্রুবা কিছুটা আহত হলো “এভাবে বলছো কেনো নিশিয়ান? তুমি ওদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে পারো না”
– অবশ্যই পারি। পৃথিবীর সবাই বলে গ্যানিমিডিয়ানরা অসভ্য। ওরা এখনো শিশু হত্যা করে ওদের মাংস খায়।
– এসবই অপপ্রচার। সবাই জানে গ্যানিমিড সৌরসংঘের বিরোধীতা করে। তাই এরকম অপপ্রচার চালায় অনেকে। সবলেরা সব সময় দুর্বলদের নিয়ে মিথ্যা রটায়। আর আমার মনে হয় ওরা শান্তিপ্রিয় জাতি। শুনেছি ওরা একত্রে একটা বিশাল কলোনিতে থাকে। ওদের নিজেদের মাঝে কোনো হানাহানি নেই।
– তুমি যাই বলোনা কেনো ধ্রুবা, আমি বাজি ধরে বলতে পারি ঐ কার্গতে কোনো শিল্পকর্ম নেই। থাকলে ঐ অসভ্যদের জন্য কাপড়-চোপড় আছে।
– যাও! তুমি এটা পরীক্ষা করে দেখবেনা নিশ্চয়ই?
– অবশ্যই দেখবো।
– সেটা খুব বেআইনি হবে।
– কেউ জানবে না।
– যা ইচ্ছে করো। আমি ঘুমোতে গেলাম।
হতাশ হয়ে ধ্রুবা চলে গেলো ককপিট থেকে। নিশিয়ান আবার ঝুঁকে পরলো মনিটরের উপর। প্লুটোনিয়াম ইঞ্জিনের গম গম আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। নিকষ কালো মহাকাশে নিঃশব্দে ছুটে চলেছে কার্গো ভেসেল-৩১ গ্যানিমিডের উদ্দেশ্যে।
ধ্রুবা যখন ঘুম থেকে উঠলো তখন পৃথিবীর হিশেবে বিকেল বেলা। ওর রুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে চোখের সামনে বিশালাকার বৃহস্পতিকে দেখা গেলো। আলো জ্বালিয়ে ও এগিয়ে গেলো ককপিটের দিকে। “নিশিয়ান, জেগে আছো?”। কোনো সাড়া শব্দ নেই। ককপিট অন্ধকার হয়ে আছে। আবছা অন্ধকারে ককপিটকে বেশ ভূতুড়ে লাগছে। “নিশিয়ান তুমি কোথায়?”। ধ্রুবা বেশ ভয় পেয়ে গেলো। নিশিয়ান কি কার্গো রুমে? একটা টর্চ হাতে এগিয়ে গেলো সে কার্গো রুমের দিকে। বেশ কয়েক পরত নিরাপত্তা অতিক্রম করে কার্গো রুমে যখন সে ঢুকলো তখন আলো আঁধারিতে কার্গো রুমকে অতিপ্রাকৃতিক কোনো জায়গা বলে মনে হলো। সবাই ছোটো বললেও কার্গো-ভেসেল-৩১ এর কার্গো রুমটা বেশ বড়। ধ্রুবা সারি সারি কনটেইনার দেখতে পেলো। এর শেষ দেখা যাচ্ছে না। একটার উপর আরেকটা কনটেইনার প্রায় কয়েকশ মিটার উঁচু হয়ে আছে। টর্চ জ্বালিয়ে এক কোণে নিশিয়ানকে দেখা গেলো। একটা চেয়ারের উপর চুপচাপ বসে আছে সে। দৌড়ে সেখানে গিয়ে ধ্রুবা ব্যাকুল হয়ে নিশিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো
– নিশিয়ান, তুমি ঠিক আছোতো? কি হয়েছে তোমার? বলো কি হয়েছে? কি আছে এই কার্গোতে?
– তুমি জানতে চেয়োনা ধ্রুবা। ঘেন্নায় মরে যাবে!
– তবুও বলো, আমি জানতে চাই। কি আছে এখানে, বলো?
নিশিয়ান আস্তে করে উঠে দাঁড়ালো। একটা কনটেইনারের কাছে গিয়ে বললো,
– তুমি ঠিকই বলেছিলে ধ্রুবা, সবলেরা সব সময় দুর্বলদের নিয়ে মিথ্যা রটায়। এই কন্টেইনারগুলোয় কি আছে জানো? এর মাঝে লক্ষ লক্ষ কাঁচের টিউবে গিজগিজে ইবোলা আছে। খুব সহজে এই ভাইরাস একটা গ্রহের সব মানুষকে মেরে ফেলতে পারে।
উত্তেজনায় হাত থেকে টর্চটা পিছলে গেলো ধ্রুবার,
– না না! এটা কি বলছো? ইবোলা ভাইরাসতো পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গ্যাছে।
– শয়তানগুলো আবার তৈরি করেছে ল্যাবরেটরিতে। পথের কাঁটা দূর করতে এর থেকে ভালো উপায় আর কি থাকতে পারে। আর দুঃখের বিষয় তুমি আর আমি তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ হলাম। এই ভেসেলটা আসলে একটা বিশাল জীবানু বোমা। কেউ যেনো সন্দেহ না করতে পারে তাই তোমাকে আর আমাকে এর ভেতরে রাখা হয়েছে। সবাই জানে আমরা গ্যানিমিডে একটা উপহার পৌঁছে দিচ্ছি। আমি নিশ্চিত গ্যানিমিডে প্রবেশের পরে এই ভেসেলটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লোকালয়ে আছড়ে পড়বে। তারপরে সব শেষ।
– আমরা এর গতিপথ বদলাতে পারি…
– না, পারি না। আমি চেষ্টা করেছি। আসলে এই ভেসেলের কোনো নিয়ন্ত্রণ এখন আর আমাদের হাতে নেই ধ্রুবা। এটি একটি নির্দিষ্ট গতিপথে লক করা আছে। সেটা হলো গ্যানিমিড ধ্বংসের পথ। আমরা গ্যানিমিডের সাথে যোগাযোগও করতে পারবো না। যোগাযোগ মডিউলে দেখলাম আমাদের হয়ে অন্য কেউ সেই যোগাযোগটা করে দিচ্ছে।
– আমি খুব অসহায় অনুভব করছি নিশিয়ান। আমরা কি কিছুই করতে পারি না?
– অবশ্যই পারি ধ্রুবা। আমরা কি এভাবে সাত বিলিওন মানুষকে মেরে ফেলে দিতে পারি?
– কখনোই না নিশিয়ান। আমরা জীবন দিয়ে হলেও তাদের রক্ষা করবো।
– হ্যাঁ অবশ্যই ধ্রুবা।
নিশিয়ান এগিয়ে এসে আলতো করে ধ্রুবাকে স্পর্শ করে বললো,
– শুধু একটা কথা তোমাকে বলতে চাই ধ্রুবা, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
– আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি নিশিয়ান।
পশ্চিমের সিস্টিন নদীর প্রায় পুরোটাই এখন বরফ ঢাকা। নদীর পাড়ে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা খেলা করছে। একটু পরেই হলুদ রঙের মেঘ থেকে ওজোন বৃষ্টি হবে। তাই সবাই ওজোন বৃষ্টিতে ভিজবে বলে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। এই ছেলেমেয়েগুলোর কেউ হয়তো জানে না একটু আগে মহাকাশে প্লুটোনিয়াম ইঞ্জিন বিস্ফোরণে একটি নভোযান ধ্বংস হয়েছে। এরা হয়তো কেউ জানে না সারা সৌরজগতে মানুষ এখন জানে যে গ্যানিমিডের মানুষদের বিরুদ্ধে কি ভয়ানক একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে দুজন মানুষ। এর থেকে সুন্দর উপহার আর কি হতে পারে তাদের জন্য।
nice job with nice reasoning power…:D
ধন্যবাদ 🙂
Awesome……MANOBIKOTA O VALOBASHAR sciencefiction…awesome work…..manush e sristir shera jeeb abar projoner tagide sobcheye nikrishto….abar manusher valobashai sei nikrishtota theke mukti die prithibike bachie rekheche hoyto shourojogoter sreshtho groho hisebe….
onk onk din por saurav tor lekha pore valo lagtece…tnx a lot for the opportunity…i am looking forward to get more….
🙂 ধন্যবাদ। আরো লেখার ইচ্ছে আছে।
দারুণ একটা প্লট। দারুণ এক্সকিউশন।
আরও চাই।
সমালোচনাঃ
+ সাইড
প্লট অসাধারণ।
শুরু শেষ সুন্দর ট্রানজিশন।
– সাইড
জাফর ইকবাল স্যার এর ছায়া ছিলো বেশি। এইটা অবশ্য অস্বাভাবিক না। আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
😀 ধন্যবাদ। প্রশংসার জন্য এবং সমালোচনার জন্যেও 😀
আমি আসলে এই বিষয়টাতে বেশ বিব্রত হই যখন দেখি নিজের অজানতেই জাফর ইকবাল স্যারের ছাপটা চলে আসে লেখায়। তবে যখন জাফর ইকবাল স্যারও আমার মতো শুরু করেছিলেন তখনো যে তিনি আজিমভের প্রভাবের বাইরে থেকেছিলেন তা নয়। মৌলিকতা বিরল জিনিশ। বেশ হাত পাকিয়ে সেটা অর্জন করা লাগবে মনে হয় 😀
ভালো লেগেছে 🙂
অনেক ধন্যবাদ 🙂
জাফর ইকবালের ছাপ থাকলেও সুপাঠ্য। সাইফাই জিনিসটাই আসলে সুপাঠ্য। আরো বড় বড় গল্প পড়তে চাই। 😀
ধন্যবাদ 🙂 বড় বড় গল্প লেখার ইচ্ছে আছে। আশা করি সাথেই থাকবেন।
আরেকটু ক্রাইসিস থাকলে ভালো হত।খুব দ্রুত উত্তেজনার মুহুর্ত শেষ হয়ে গেল।শেষের দিকে অবশ্য ওয়েস্টার্ন গল্পের মতো একটা ছোঁয়া পাওয়া গেলো। 🙂 :penguindance:
গল্প টেনে বড় করা যেত তবে ঐ যে পড়েছিলাম না “শেষ হইয়াও হইলনা শেষ” 😛
যাই হোক ক্রাইসি পয়েন্ট নিয়ে বিষয়টা মাথায় রাখলাম :beerdrink:
এত ভালো লেখার মানে কী?? 😡 😛
আহেম! আহেম! গ্যাস দিলেন না ঠ্যাস দিলেন বুঝে উঠতে পারছি না 😛
এনিওয়ে, ধন্যবাদ 🙂
গ্যাসই দিয়েছি… তবে ইনভার্শন টেম্পারেচারের নিচে রেখেই দিয়েছি… 😉
যেমনি করে এখন চলছে কলম
তেমনি চলতে থাকুক,
এমন করেই নিশিয়ান
ধ্রুবাকে ভালবাসুক… 🙂
একটু বেশীই ভাল লিখেছেন ভাইয়া :love:
ধন্যবাদ 🙂 তবে মনে হয় খুব বেশি ভালো বলে সন্তুষ্টিতে না ভোগাই উত্তম। 8)
গল্পটাকে কয়েকটা সিরিজে প্রকাশ করলেইপারতেন । একটু বড় হত আর একবারে ধ্বংস করার আগে কিছু নতুন কিছু সৃষ্টিও করতে পারতেন (কারন আমরা সাই ফাই খাই )। একটা কথা আপনার লেখা খুব পরিচিত মনে হচ্ছিল, আপনি আগে বোধহয় অনেক লিখেছেন যতসম্ভব তেলাপোকা সমগ্র ( আমি কি ঠিক???).. আপনার লেখার হাতটি অনেক পাকা… আসলে অন্যের কথা শুনে নিজের লিখাকে অন্য কারো লিখার সাথে তুলনা না করাটা বুদ্ধিমানের কাজ। আজকাল সায়েন্স ফিকশন মানেই জাফর ইকবাল স্যার কে বোঝেন । তবে আপনি অনেকাংশে পাকা এবং আশা করি পিছিয়ে পড়বেন না এবং আপনার মধ্যে আরেক জন সফল লেখক কে দেখতে পাচ্ছি… চালিয়ে যান এবং অবশ্যই আমরা সাই ফাই পড়তে চাই। এবং হ্যা ভুলেই গেছি, আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।
😀
ভালো লাগলো তো খুব! নিয়মিত লিখবেন। 🙂
ধন্যবাদ 🙂 লেখার ইচ্ছে আছে
আমার কেন জানি ড্রোন হামলা, ড্রোন হামলা মাথায় এল। প্লটের পাশাপাশি ভেতরকার দর্শনটাও খুব চিত্তাকর্ষক।
সবচেয়ে নাড়িয়ে গেছে, ধ্রুবা নিশিয়ানের শেষ কথা গুলো। নিশ্চিত একটা গণহত্যার মুখে তাদের মনের সর্বোচ্চ মিলটাই যেন প্রকাশ পেল।
গ্যানিমিডের সিস্টিন রিভারের নামটা এলো কোথা হতে? জানতে মন চায়। 😛
এও সিস্টিনকে সিস্টিন চ্যাপেল ভেবে ভুল করা স্বাভাবিক, তবে এটা সেই সিস্টিন চ্যাপেল নয়, শুধুই কল্পনা প্রসূত সিস্টিন নদী 😛
গল্পটা ভালো। পড়তেও ভালোই লেগেছে 🙂
কিন্তু টুকটাক নামকরণ আর খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে জাফর ইকবাল স্যারের ছাপ প্রবল- যেটা কিছুক্ষেত্রে খুবই বিরক্তিকর। আপনি একা নন, নতুন লিখিয়েদের লেখা সাই-ফাইগুলো অধিকাংশই এই ‘দোষে’ দুষ্ট। নাহ, নিরাশ করতে কথাগুলো বলছি না। বলছি এই কারণে, চাইব এই দিকটা মাথায় রেখে আপনাদের হাতেই আসুক মৈলিক সাই-ফাই। পুরনো সুরা নতুন বোতলে বেচে আর কত? 🙂
“যখন জাফর ইকবাল স্যারও আমার মতো শুরু করেছিলেন তখনো যে তিনি আজিমভের প্রভাবের বাইরে থেকেছিলেন তা নয়”- এই রীতিটা অনুকরণ না করলেই বেশি খুশি হব। হুমায়ূন স্যার চলে গেলেও অনেক লিখিয়ে এখনো লেখার ঢঙে তাঁর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত, যেটা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ভালো; কিন্তু আপনার বই পড়ার অভ্যেস নিয়মিত হয়ে থাকলে কিঞ্চিত বিরক্তির উদ্রেক করবে- তাতে সন্দেহ নেই। লেখা বস্তাপচা হোক, সমস্যা নাই- তবুও মৌলিক কিছু করার চেষ্টা করুন। একসময় সেই লেখাগুলোই সর্বজনবিদিত হবে। লেখার হাত ভালো- নিয়মিত লিখবেন 🙂
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য 🙂
আমি আগেও বলেছি মৌলিকতা বিরল জিনিশ, বেশ হাত পাকিয়ে সেটা রপ্ত করতে হবে। আমার মনে হয় এতোগুলো কমেন্ট এর পরে এই ব্যাপারটা এখন classified. 🙂
ফিনিশিংটা ভাল্লাগসে 😀
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🙂