কনভিন্স মি, অর গিভ মি মাই টিয়ার্স ব্যাক। -_-
শাহীনার ঘটনাটা তখনও মনে দগদগে! হরতাল, হেফাজত, সাভার– সবদিক দিয়ে দেশের তখন একটা ক্রান্তিকাল— এমন ভঙ্গুর আবেগের সময়ে রেশমার সফল উদ্ধারের পর চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি! স-তে-র দিন!! তারিখ ১০ মে, বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে নিউজ হেডলাইন হল রেশমা।
কী জ্বালা! বেদ্দপ বিরোধীগুলা যে ভালো জিনিস হজম করতে পারে না তার প্রমাণ রেখে দেড় মাসের মাথায় ২৩ জুন তারিখে আমার দেশ অনলাইন দাবি করে বসল, পুরাটা নাকি হোক্স। তবে কি ফেসবুকে যার গুষ্টি উদ্ধার করে ফেললাম সেই মুন্নী সাহাই শেষ হাসিটা হাসতে বসল? :haturi: :wallbash:
আমার দেশের ‘বিধ্বংসী’ (!) ইমেজের কারণে এই সংবাদের সার্কুলেশন কিন্তু নির্দিষ্ট চিন্তাচেতনার পাঠকগোষ্ঠী পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। ২৩ জুন তারিখেই বিডি-টুডে সহ আরও দুয়েক জায়গায় রিপোর্টটা হুবহু কপি পেস্ট হল, সূত্র হিসেবে আমার দেশের নিজস্ব অনুসন্ধানকে রেফার করা হল।
লক্ষ্য করুন, এই হোক্স কেন সাজানো হয়েছে তার কারণ হিসেবে আমার দেশ বলছে,
“বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই সময়ে হেফাজতের ওপর গণহত্যা, বিরোধীদল দমন-পীড়ন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিন্দা, উদ্ধার অভিযানে ব্যর্থতাসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন ইস্যু চাপা দিতেই এ নাটক সাজানো হয়।”
ইঙ্গিতটা ৫ মে’র দিকে, বুঝতে কষ্ট হয় না! 😛 আগেই যেমন বললাম, রেশমা উদ্ধারের সময়টায় দেশে হরতাল নাস্তিক হেফাজত ইত্যাদি ইস্যুতে রাজনীতি গরম। কিন্তু, রিপোর্ট নিয়ে আমার দেশের বাঁধাধরা পাঠকের বাইরে কাউকে বিশেষ চিন্তিত মনে হল না।
২৮ তারিখে ঘটল আরেক বড় ঘটনা। জিএসপি সুবিধা বাতিল হল। দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা! :wallbash:
৩০ তারিখে আমার দেশের সেই বেইলবিহীন সংবাদটা হঠাৎ বেইল পেয়ে বসল! ব্রিটেনের হিটপাপী মতিকণ্ঠ হিসেবে পরিচিত ট্যাবলয়েড মিরর প্রতিবেদন প্রকাশ করে বসল হোক্স নিয়ে।
মিররের দাবি, তাদের প্রতিবেদক নিজেই বাংলাদেশে এসে আমার দেশের নালিশ ভেরিফাই করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, “The Sunday Mirror travelled to Bangladesh to meet anti-government campaigners who insist the rescue was staged by the authorities to combat the wave of bad publicity that engulfed the country’s £1billion-a-year garment industry after the Rana Plaza factory collapsed in Dhaka.”
পাঠক লক্ষ্য করুন, মিরর পরিষ্কারই বলে দিয়েছে আমার দেশের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে তাদের এই হিটপাপী পোস্ট! আরেকটা বিষয় খেয়াল করুন, সানডে মিরর হোক্স সাজানোর কারণ হিসেবে কিন্তু গুরুমশায় আমার দেশের মত ৫ মে’র দিকে আঙুল তোলেনি, তুলেছে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির দিকে। বিষয়টা বেশ মজার, কারণ মাত্র দুইদিন আগে জিএসপি বাতিল হয়েছে, তাই সাতদিন আগে প্রকাশ হওয়া আমার দেশ এটার কথা বলতে পারেনি, কিন্তু সানডে মিরর হট টপিকে হিট করতে ছাড়বে কেন! লাইকপাপী দুনিয়া! :dhisya:
মিররের প্রতিবেদনের মাত্র কয়েক ঘন্টার মাথায় এবার সবাই নড়ে চড়ে বসল। মিরর প্রকাশ করেছে মধ্যরাতে, আর সকাল হতে না হতেই ব্রিটেনের ডেইলি মেইল, অস্ট্রেলিয়ার নিউজ ডট কম, মার্কিন মুলুকের নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ সহ আরও কয়েকটি পত্রিকা হোক্সের খবর পাবলিশ করল।
সবগুলো পত্রিকাই খবরের উৎস হিসেবে মিরর এবং আমার দেশের কথা উল্লেখ করেছে। সবগুলো প্রতিবেদনের লেখার আঙ্গিক হুবহু এক, যুক্তি হুবহু এক, কোটেশন হুবহু এক। এবং সবাই আমার দেশের পরিচয় দিয়েছে pro-opposition newspaper হিসেবে।
ঘিলুসম্রাটমাত্রই বুঝবেন, প্রো অপোজিশন এই গুরুমশায় এমন বিশিষ্ট কেহ নন যে তামাম জগত হা করে চেয়ে থাকবে ইনারা কী কহিলেন তা জানতে। ঘটনা ঠিক উল্টো, গুরুমশায় নিজেই আগ বাড়িয়ে নালিশ করেছেন, আর সবাই আঁতকে উঠেছেন! 😯
কেউ কেউ ক্ষেপেছেন। মিররের সাংঘাতিকের কীর্তি শেয়ারাইয়া ছি ছি করছেন। কথায় যুক্তি আছে। একটা লাইকপাপী মনগড়া কিছু একটা শেয়ার দিবে, আর আমাদেরকে হৈ হৈ করে উঠতে হবে? “এই নিয়েছে ঐ নিল যাহঃ কান নিয়েছে চিলে!” মিররের সাংঘাতিক যা লিখেছে আমার দেশের নালিশ শুনেই কিন্তু লিখেছে— ডেইলী মেইল, নিউজ ডট কম, এনওয়াই ডেইলি নিউজ সবাই একই কাজ করেছে! রেফারেন্স যখন আমার দেশ হয় তখন নিউজের পেছনে যে কিছু একটা থাকতে পারে তা নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হয় না! লাইক সবাই চায়! বিসাইডস, প্রো অপোজিশন থেকে আর কী আশা করেন?! 😛
কাউন্টার হালকাপাতলা হল। হ্যালো টুডে প্রকাশ করল এনাম মেডিকেল প্রধানের বক্তব্য। ভাই, গেস করেন তো উনি কী বলবেন? হুঁ ঠিক ধরেছেন, উনি সেটাই বলেছেন। 😛 8) এই জায়গায় লিখতে চেয়েছিলাম, বিসাইডস, প্রো গভর্নমেন্ট থেকে আর কী আশা করেন?! কিন্তু হায়! হ্যালো টুডের নামই আগে শুনি নাই, তাই ল্যাঞ্জা নিয়ে কনফিউশিত! হ্যালো টুডেতে এনাম-প্রধানের যুক্তির কাউন্টার পাওয়া যাবে ডয়চে ভেলের সাইটে। এনাম বলছে রেশমা নামে কোন রেকর্ড নেই, ডয়চে বলছে,
“এদিকে সাভার এনাম মেডিকেলের পরিচালক (জনসংযোগ) জাহিদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান যে, তারা রানা প্লাজা ধসের পর পর ১,৭০০ জনকে চিকিত্সা দিয়েছেন৷ ধসের পর জরুরি চিকিত্সার কারণে প্রথম দিকে অনেকের নাম-ঠিকানাই তারা ঠিকভাবে লিখতে পারেননি৷ তবে পরে যাঁদের নাম ঠিকানা ঠিকভাবে লেখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রেশমা নামে কেউ নেই৷ আর যাঁদের নাম-ঠিকানা রাখা যায়নি, তাঁদের মধ্যে রেশমা নামে কেউ ছিলেন কিনা, তা তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়৷”
আমার ‘পবলেম’ মাঝখানে। এই যে এত কাদা ছোঁড়াছুড়ি, কীসের উপর দাঁড়িয়ে? :thinking:
দেশী বিদেশী পত্রিকাগুলো আমার দেশের কয়েকটি যুক্তিকে হাইলাইট করেছে।
– আমার দেশের রেকর্ড করা রেশমার সহকর্মীর স্বীকারোক্তি
– বাড়িওয়ালীর বক্তব্য
– এলাকার কারফিউ, চিত্রধারণে নিষেধাজ্ঞা
– ধ্বংসস্তুপে ক্রল করার চিহ্ন হাতে ছিল না, ১৭ দিনের আন্দাজে নখ ছোট করে কাটা ছিল
– পোশাক ‘ফ্রেশ’ ছিল। নতুন কাপড় ভেতর থেকে নিলেও ম্যাচিং হবার কথা না
– চোখ ধাঁধিয়ে যায় নি কেন ইত্যাদি
এই যুক্তিগুলোকে কেটে দিতে মিররের গ্রহণযোগ্যতা ঠিক প্রাসঙ্গিক বিতর্ক মনে হয়নি! এগুলো তো আর বৃটেনের কাণ্ড না, পাত্র পাত্রী সবাই বাংলাদেশে! অথচ দেশী প্রো-সরকারি মিডিয়াগুলো কিন্তু হেড অন ঘটনা ফেইস করার চেষ্টাও করেনি। ২৬ জুন তারিখে (জিএসপি বাতিলের আগে) প্রথম আলোর ক্রোড়পত্র অধুনায় প্রকাশিত হল “না খেয়ে কত দিন বাঁচা সম্ভব?” শীর্ষক প্রতিবেদন। সেখানে ডাঃ এ বি এম আবদুল্লাহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ তুলে ধরলেন, শেষ বাক্য ছিল এরকম,
“বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে হয়তো অনেক কিছুই বলা সম্ভব নয়, তবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ ধরণের ধ্বংসস্তুপের নিচে বেঁচে থাকা অলৌকিক ঘটনাই বলতে হবে।”
আর তুলকালামের ৩০ জুন তারিখে প্রথম আলো সকালেই জনগণকে মিরর এবং আমার দেশের রেফারেন্সে জানালো, হ ভাই ঘটনা তো ঘইটা গেছে। যেই আমার দেশ সাত দিনে বেইল পাইল না, মিরর মশাই কয়েক ঘন্টায় তাহাকে জাতে তুইলা দিছে! 😳
অতঃপর জ্ঞানী গুণীরা ফেবুতে মিরর সাংবাদিকের ছি ছি কীর্তি শেয়ারাইতে লাগলেন, “ঐ ব্যাটা খ্রাপ, আম্মু বলছে ওর থেকে দূরে থাকতে!” ক্যান ভাই, আমার দেশের প্রশ্নগুলার উত্তর ফ্যাক্ট দিয়ে ফেইস করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়! “কান নিয়েছে চিলে” শুনে যেমন আমি দৌড়াতে আগ্রহী নই, তেমনি মিরর বলেছে দেখেই ঘুমাতে যেতেও আগ্রহী নই! কানের অবস্থা জানতে বরং আগ্রহী! কেন আমাদের হাতে ‘তথ্য’ বলতে হিটপাপী মতিকণ্ঠ মিররের নিউজ শুধু থাকবে? বাকিরা কেন মিররকে দোষারোপ বাদ দিয়ে প্রশ্নগুলো ভেরিফাই করছে না? ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটায় জ.ই.মামুন যৌক্তিক প্রশ্ন রেখেছেন, “মিরর জানালো আর বাংলাদেশের সাংবাদিকরা জানলো – না এটা কিভাবে সম্ভব?” আমারও কথা সেটাই, আমার দেশ অনুসন্ধান করতে পারলে বাকিরা পারবে না কেন? আশরাফুল স্কুপ মারা যায়, রেশমা স্কুপে ছিছিশরম? প্রো গভর্নমেন্ট মিডিয়া কই? মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, এই প্রশ্নের উত্তর দ্যান।
সেনাবাহিনী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তাঁরা, এবং মিরর সাংঘাতিকের শাস্তি দাবি করেছেন। নখের দৈর্ঘ্য অধরা রহস্যই রয়ে গেছে। :thinking:
সত্যি কথা বলতে কী, এইসব প্রো অপোজিশন আর প্রো গভর্নমেন্ট ক্যাচাল ভাল্লাগে না। কিন্তু ঐ যে প্রথম বাক্যটা লিখেছিলাম, কনভিন্স মি, অর গিভ মি মাই টিয়ার্স ব্যাক।
জনতার দাবি, মুন্নী সাহাকে রেশমার অনুভূতি জানবার সুযোগ করে দেয়া হোক।।
একটা নিরীহ মেয়েকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক।।
ষড়যন্ত্র তথ্য হলো একটা মহামারীর মতো। কিন্তু, তাই বলে সব যুক্তিকেই উড়িয়ে দেবার যে প্রচেষ্টা দেখা যায়, সেটা কেবল ‘একগুঁয়ে’ মানসিকতাই বহন করে।
একটা উদাহরণ মনে পড়ে, যখন, ‘আমার দেশ’ আর ‘মানবজমিন’ পত্রিকায় একটা নিউজ করেছিল,
সময় ২৩ মে’ ২০১৩
এই নিউজের পরে ফেসবুকে একশ্রেণীর প্রোফাইলে বেশ কথাবার্তা হতে দেখেছি। কিন্তু, বিপরীত দৃষ্টিতে সাধারণ থেকে শুরু করে সিরিয়াস টাইপের লেখককে দেখেছি ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করতে। যুক্তি ছিল, প্রথম আলো যুগান্তরের মত পত্রিকা যে খবর ছাপে নি, সেটা সত্য হতেই পারে না।
আমি নিজেও এ খবরকে আরেকটা নতুন গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলাম।
কিন্তু, ঠিকই ২৫ তারিখে হেফাজতের শফি সাহেব যখন বললেন, তখন ছাপলো প্রথম আলো। তারপর তো,একেবারে সব পত্রিকা সেই শিক্ষিকার সাময়িক বরখাস্তের খবর ছাপলো, ফলাও করে, ২৭ মে।
এসব থেকে যেটা বুঝি, সেটা হলো,আমরা যে কোনভাবে, কেবল নির্দিষ্ট মতামতের প্রতি অন্ধ সমর্থনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি প্রতিনিয়ত।আর সাংবাদিকদের মাঝে, সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট করার চেয়ে, ঘটনার বিশ্লেষণএর দিকে বেশী মনোযোগ, ও বদঅভ্যাসকে
আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রেশমাকে নিয়ে প্রথম আলোর মত পত্রিকায় এ ধরনের তদন্ত বিহীন (ভিত্তিহীন বলার ঝুঁকি নিচ্ছি না) নিউজ ছাপাটা কী বোঝায়, তা বুঝতে সব কিছু মাথায় রাখতে হবে।
“এসব থেকে যেটা বুঝি, সেটা হলো,আমরা যে কোনভাবে, কেবল নির্দিষ্ট মতামতের প্রতি অন্ধ সমর্থনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি প্রতিনিয়ত।আর সাংবাদিকদের মাঝে, সঠিক তদন্ত করে রিপোর্ট করার চেয়ে, ঘটনার বিশ্লেষণএর দিকে বেশী মনোযোগ, ও বদঅভ্যাসকে
আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।”
দারুণ বলেছেন!
একটা নিরীহ মেয়েকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক।।
আমি নিজেও আসলে খুব কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম, এই বিতর্কটা দেখে কিংবা শুনে। যদিও তখন এবং এখনো সব কথা একপক্ষীয়ই হচ্ছে। এটা থেকে বের হওয়া উচিত।
সুস্থতা কামনা করি সব মাধ্যমের… 🙁
আমি নিজেও আসলে খুব কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম, এই বিতর্কটা দেখে কিংবা শুনে। যদিও তখন এবং এখনো সব কথা একপক্ষীয়ই হচ্ছে। এটা থেকে বের হওয়া উচিত।
।একটা নিরীহ মেয়েকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক।
BBC রিপোর্টটা ভালো হয়েছে, ফিল্ড থেকে ভেরিফাই করার প্রচেষ্টা!
http://www.bbc.co.uk/bengali/news/2013/07/130705_mb_bangla_reshma_rescue_recounted.shtml#FBM259035
এইটাই তো চাচ্ছিলাম।
লেখককেও ধন্যবাদ
বিবিসির এপ্রোচটা আমাদের লোকাল পত্রিকা টিভির নেয়া উচিৎ ছিলো না?
ঘটনার এতো দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও রেশমাকে কোন গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, এক ধরণের আড়াল করে রাখা হচ্ছে- এইটা এক ধরণের সন্দেহ সৃষ্টি করছে মনে যে, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়!
এত বড় একটা মিরাকল, ১৭দিন রেশমা কি করেছিল, কেমন করে বেঁচে থাকায় লড়াই করেছিল এই সব নিয়ে তাঁর নিজের বয়ানে বিশাল ফিচার, মর্মস্পর্শী টিভি রিপোর্ট হতেই পারে। কেন কিছুই করতে দেয়া হচ্ছে না?
নাকি কয়দিন পর শুনবো রেশমা স্মৃতিভ্রষ্ট :/
রেশমাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির অবসান চাই।
সত্যটাকে জানতে চাই।