১০০ ডলার ডিএনএ

হলরুমটা গম গম করছে মানুষের কোলাহলে। আমন্ত্রিতদের বেশির ভাগই সাংবাদিক এবং বৈজ্ঞানিক। উচু স্তরের সরকারী কর্মকর্তাও আছেন কয়েক জন। তারা অপেক্ষা করছেন ‘ট্র্যান বায়োটেক’ এর প্রধান বৈজ্ঞানিকের জন্য। কিছুক্ষনের মধ্যেই তিনি এসে হাজির হবেন। প্রায় ১২ বছর পর তিনি শশরীরে মানুষের সামনে আসলেন। একসময় তাকে তেমন কেউ চিনতও না। ‘ট্র্যান বায়োটেক’ এ গঠন করার পর কাজের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি বাড়িয়েছেন এবং বিজ্ঞানীমহলে অবস্থান শক্ত করেছেন। ১২ বছর হঠাৎ করে তিনি চলে যান লোকচক্ষুর অন্তরালে, কিন্তু তার একের পর এক যুগান্তকারী কাজের খবর নিয়মিত প্রকাশ হতে থাকে বিভিন্ন জার্নালে। একসময় গুজব ছড়িয়েছিল তিনি আর বেঁচে নেই, তবে ‘ট্র্যান বায়োটেক’ তার পরিচিতি ব্যাবহার করে নিজেরা মুনাফা করছে।

পরিপাটি পোষাক আর পরিমিত দাড়ি গোফ নিয়ে প্রধান বৈজ্ঞানিক মঞ্চে উঠে এলেন, তার উপর আলো এসে পড়ল। মৃদু হাসি মুখে, সাথে সাথেই ক্লিক ক্লিক ক্লিক, কয়েকশ ক্যামেরা বট উড়ে গেল তার দিকে, ১২ বছর পর কেউ তাকে দেখছে! এবং ছবি তোলা শুরু করল। নিরাপত্তা বাহিনীর বারবার ঘোষনা সত্বেও যখন সেগুলো কেউ সরালোনা তখন সূক্ষ তরংগদৈর্ঘ্যের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস ছোড়া হল, কয়েকটি ক্যামেরা বট বিকল হয়ে আছড়ে পড়ল। তখন অন্যগুলো ফিরে গেল। প্রধান বৈজ্ঞানিক কথা শুরু করলেনঃ “শুভ সন্ধ্যা সবাইকে, আজ আমি আপনাদের আমন্ত্রন জানিয়েছি আমার সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষনা সম্পর্কে জানাতে। আমাদের দেশে যেকোন গুরুত্বপূর্ন গবেষনার বিস্তারিত বহুদিন গোপন রেখে তারপর প্রকাশ করার প্রথা রয়েছে এর কারন ব্যাপারটার খুটিনাটি ভালো মন্দ সময় নিয়ে দেখে প্রকাশ করা। কিন্তু, আমি চাই আমার সাম্প্রতিক গবেষনাটি শুরু থেকেই সাধারন মানুষের হাতের নাগালে থাকুক। কারন আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞানে যত বেশী মানুষের অংশগ্রহন থাকবে ততই দ্রুত এগিয়ে যাবে। কেউ ভালো কাজে আমার গবেষনা ব্যাবহার করলে, এর ভালো দিক বের হয়ে গেল। কেউ খারাপ কাজে ব্যাবহার করলে এর খারাপ দিক বেরিয়ে গেল। এটা, ল্যাবে বন্দি করে রাখলে শুধুই সময়ই নষ্ট হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, যে সত্যিই বিজ্ঞানকে ভালোবাসে সে অন্যায় কাজে তা ব্যাবুহার করবেনা। কারন, বিজ্ঞান মঙ্গলের কথা বলে, সৃষ্টির কথা বলে।“

এতটুকু বলে তিনি একটু থামলেন। “আমি নাটকীয়তা তেমন করতে পারিনা, তাই সহজভাবেই বলছি। আমরা এমন এক পদ্ধতি বের করেছি, যার দ্বারা মাত্র ১০০ ডলার খরচ করে যে কারো জিনোম সিকোয়েন্স করে ফেলা যাবে। “ একটা গুঞ্জন রব ছড়িয়ে গেল হলের এপাশ থেকে ওপাশে। “হ্যা আপনারা ঠিকই শুনেছেন, ১০০ ডলার। আমি এই কাজটা করেছি কারন আমি চাই দেশে জৈবপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ যেন ঠিক কুটিরশিল্পের মত শুরু হয়। আপনারা জানেন বায়োলজি এখন অনেক দিক দিয়েই মাইক্রোচিপ আর প্রসেসরের মধ্যে ঢুকে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন প্রজাতির জিনোম সিকোয়েন্স সংগ্রহ করে বায়োইনফরমেট্রিক্সের কাজ করছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংটা যদি সস্তা করে দেয়া যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে ঠিকই বিপ্লব ঘটে যাবে। আমার বিশ্বাস, এর মাধ্যমেই ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড ড্রাগের বদলে পার্সোনাল স্ট্যান্ডার্ডের ড্রাগ ডিজাইন শুরু হবে। এবং আরো অনেক কিছু। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই সব প্রকাশ করব, কিন্তু আজ সবাইকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হল, কেননা আজ একটা বিশেষ দিন। আজ ট্র্যান বায়োটেকের সুবর্ঞ্জয়ন্তি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।“ করতালিতে মুখরিত হল পুরো গ্যালারি, তিনি আড়ালে চলে গেলেন। অনেকেই মনক্ষুন্ন হল কারন তাকে প্রশ্ন করা গেলনা।

প্রায় ২ ঘন্টা পর। খাওয়া দাওয়ার পর অতিথিরা সব চলে গেছেন। এক কর্মচারী গ্লাস প্লেটের হিসেব করছিলেন, তিনি দেখলেন ১ টা গ্লাস কম! কয়েকশ গ্লাসের ভীড়ে একটা গ্লাসের জন্য কেউ মাথা ঘামায়না।

ঠিক পরের দিন শেয়ারবাজারে রমরমা অবস্থা, ট্র্যান বায়োটেকের শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে লাগলো, সেই সাথে অন্যান্য বায়োটেক প্রতিষ্ঠান গুলোর দাম পড়তে শুরু করে। মিডিয়ার কল্যানে নানা গুজবে ভরপুর হয়ে গেল দেশ। বিভিন্ন টক শো তে বিজ্ঞ ব্যাক্তিরা কথার ফুলঝুড়ি খুলে বসলেন ১০০ ডলার ডিএনএ প্রজেক্ট নিয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের মনে করিয়ে দেওয়া হল, বায়োটেকনলজি কিভাবে মানবজাতিকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। এদিকে ট্র্যান বায়োটেকের আইটি সেকশনের ফায়ারওয়াল জোড়দার করা হল কারন প্রতি মুহুর্তেই হাজার হাজার হ্যাকার হামলে পড়ছে সাম্প্রতিক প্রজেক্টের তথ্যের আশায়। যদিও মেইনফ্রেম নেটওয়ার্ক বাহিরের নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন, আইটি সেকশন হ্যাক হলেও হারানোর কিছু নেই। তবে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ব্যাবসায়ীদের চাপে নানান কলকাঠি নাড়া শুরু হয়ে গেছে। ১০০ ডলার ডিএনএ প্রজেক্টকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেনা।

এভাবেই দুটো দিন কেটে গেল। সেই প্রজেক্ট এখনো ল্যাবের ভেতরেই রয়ে গেছে। কিন্তু যেকোন সময়েই সাধারন মানুষের হাতে চলে আসবে। তবে সময় খুব নেই। গোয়েন্দা দপ্তরের গোপন সভা। উপস্থিত দু’জন নীতি নির্ধারক আর এক জন গুপ্তঘাতক। নীতিনির্ধারকদের একজন বললেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আঙ্গুল বাকাতেই হবে। কেননা, চাইলে যদিও আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে ট্র্যান বায়োটেক কে আটকাতে পারি। কিন্তু, ওদের হাতও আমাদের চেয়ে কম লম্বা নয়। একদিন না একদিন তারা কোন এক ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবেই। তাই, এখন এই প্রজেক্ট নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। গুপ্তঘাতক গম্ভীর গলায় বললেন, হুম। অপর ব্যাক্তি বললেন, আমাদের সুবিধা হলঃ এই প্রজেক্টের বিস্তারিত প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং তার কয়েকজন জুনিয়র ফেলো ছাড়া আর কেউ জানেনা। আর এখন ব্যাপারটা এত স্পর্শকাতর যে জোড় খাটিয়ে কিছু করতে যাওয়া মানেই সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হওয়া। তাই কাজটা করতে হবে হাত নোংরা করা ছাড়াই। গুপ্তঘাতক মুখ খুললেন, আপনারা কি জানেন বিগত দশকের সবচেয়ে আলোচিত কেমিক্যাল অ্যাসাসিনেশনের ঘটনা কোনটি? টার্গেট ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। পোলোনিয়াম ২১০ এর লিথ্যাল ডোজ তাকে শেষ করে দেয়। ঘটনাটি অত্যন্ত সাবধানতার সাহায্যে হ্যান্ডেল করা হয়, আবার পোলোনিয়ামের অর্ধায়ু খুব কম। তাই ধারনা করা হয়েছিল, নির্দিষ্ট সময় পর পোলোনিয়াম ডিটেক্ট করা যাবেনা। হাতও নোংরা হবেনা। কিন্তু, পোলোনিয়াম জিনিসটা এখন অনেকেই চেনে। তাই, শেষ পর্যন্ত কাহিনি ফাস হয়ে যায়। তবে, টেকনলজি এগিয়েছে আমার এজেন্সী আপনাদের অফার করতে পারে এমন কিছু, যার অস্তিত্ব কেউই জানেনা। এবং, কাজের জন্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে তা তৈরি করা হবে। একজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনি ঠিক কিসের কথা বলছেন? গুপ্তঘাতকঃ পেপটোপ্রাইম । নীতিনির্ধারকঃ ব্যাখ্যা করুন প্লিজ। সোজা ভাষায়, প্রধান বৈজ্ঞানিকের ডিএনএ সিকোয়েন্স করা হবে। সেটা অ্যানালাইসের পর, এমন এক অ্যামিনো এসিড সিকোয়েন্স তৈরি করা হবে, যা প্রাণীদেহে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়না, এবং সেটা শুধু তার জন্যই মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়াবে। আর এই অজানা সিকোয়েন্স, কিছুতেই ডিটেক্ট করা সম্ভব নয়। আরেক জন বললেন, মনে হচ্ছে এটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। গুপ্তঘাতক, মোটেই না। আমাদের বেশির ভাগ কাজই শেষ। ক্লিয়ারেন্স পেলে অ্যাকশনে যাব। তারা অবাক হয়ে গেলেন, কিভাবে সম্ভব? গুপ্তঘাতকঃ প্রধান বৈজ্ঞানিকের কাজের প্রোটোটাইপ আমরা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে জোগার করেছি। সেই প্রক্রিয়া ফলো করেই তার ডিএনএ সিকোয়েন্স বের করি,সিকোয়েন্স থেকে দেখা যায় তিনি বিশেষ ধরনের পিপড়ার বিষের প্রতি খুব এলার্জিক। তার মানে, ১০০ ডলার ডিএনএ প্রজেক্টের খুটিনাটি আপনাদের হাতে চলে এসেছে এবং ব্যাবহার শুরু করেছেন! গুপ্তঘাতকঃ এটাই আমাদের জীবিকা, থিউরী যদিও আগেই পেয়েছি, ব্যাবহার এটাই প্রথম এবং, টার্গেট এর প্রনেতা স্বয়ং। এরপর শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের সাহাজ্যে অ্যানালাইসিস করতে গিয়ে পেপটোপ্রাইমের আইডিয়া পাই। সিকোয়েন্সটা অন্য কারো হলে হয়তো সেরকম হতনা। একজন বললেন, আপনার এজেন্সি হায়ার করা হল কয়েক ঘন্টা মাত্র। কিন্তু আপনারা দেখি কাজ সব করেই রেখেছেন। ঠিক তাই, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকেই ধারনা ছিল এমন একটা ডিল আমরা পেতে পারি। আর, এজন্যই আমরা অ্যাসাসিন। এজন্যই অ্যাসাসিনেশনের ইতিহাস যীশু খ্রীস্টের চেয়েও পুরনো। বিভিন্ন দেশের সরকারের থেকে প্রচুর অর্থ আর বিশেষ রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি

 

পরদিন সকালে প্রধান বৈজ্ঞানিক মারা গেলেন। যথেষ্ট খুটিয়ে দেখেও তার মৃত্যুকে হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছেনা। তিনি প্রতিদিনের মত ভোরবেলা ফ্যাসিলিটির বাগানে হাটতে বেরিয়ে বাগানে রাখা বেঞ্চে বসলেন কিছুক্ষন। নিঃশব্দে উড়ে গেল একটি মিনিড্রোন, তার ঘাড়ে ছেড়ে দিল কয়েকটি মিরমেসিয়া ফ্যাব্রিসিয়াস। যার বিষ বৈজ্ঞানিকের দেহে প্রচন্ড এনাফাইল্যাক্সিস ঘটালো। মুহুর্তেই সারা দেহ ভরে গেল র‍্যাশে, কান লাল হয়ে গেলো, ঠোট ফুলে গেল, রক্তচাপ নেমে গেল, গলা ফুলে গিয়ে প্রচন্ড শাসকষ্ট। অদ্ভুত এই মানব দেহ, সামান্য এলার্জেনের বিপরীতে যে কঠিন প্রতিরোধ। মারাত্নক ভাইরাসের বিরুদ্ধেও তা নেই। স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাক্তার এসে হাজির, এন্টি এনাফাইল্যাকটিক ড্রাগ এপিনফ্রাইন এবং এন্টিহিস্টামিন ইঞ্জেকশন দেয়া হল। এরা ভেনমের কার্যকারীতা কমিয়ে দিলেও ইঞ্জেকশনের সাথে সাথে যে প্রাণঘাতি পেপটোপ্রাইম ঢুকে গেছে সেটা ঠিকই সক্রিয় থাকল। বিশ্বাসঘাতক জোগার করা খুব কঠিন কোন কাজ নয়, তেমনই একজন ওষুধের স্টোরের এপিনফ্রাইনের ক্যানিস্টারগুলো সরিয়ে এজেন্সীর দেয়া ক্যানিস্টার রেখে দিয়েছিল। দিশেহারা ডাক্তারদের পরবর্তী কোন কার্যকারী উপায় বের করার আগেই প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে তিনি মারা গেলেন।

প্রধান বৈজ্ঞানিকের মৃত্যুর কারনে তার দলের মনোবল ভেঙ্গে গেল। ট্র্যান বায়োটেক হয়ে গেল অভিভাবকহীন। তিনি অনেক কিছু করে গেলেও যা করেননি তা হল যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি। নানান রাজনৈতিক এবং ব্যাবসায়ীক মারপ্যাচে পরে ১০০ডলার ডিএনএ প্রজেক্ট সাধারন মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে গেল। কিন্তু, প্রচন্ড ক্ষমতাধর কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ ঠিকই দেখলেন কি মারাত্নক এক অস্ত্র তৈরি করে গেছেন প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এর প্রথম ব্যাবহার তার নিজের উপরই করা হল।

গুপ্তঘাতক একটি সাধারন গ্লাস সাজিয়ে রাখলেন অফিসের তাকে। তার প্রতিটা কাজের স্যুভনির হিসেবে কিছু না কিছু যোগার করে রাখেন। তবে এই সাধারন বস্তুগুলোরই রয়েছে অসাধারন কোন ইতিহাস। আর এই গ্লাসটি অসাধারন এই জন্যে যে, এতে লেগে ছিল প্রধান বৈজ্ঞানিকের ডিএনএ স্যাম্পল।

রুহশান আহমেদ সম্পর্কে

ছোটবেলা থেকেই টুকটাক লিখতাম, পত্রিকায় পাঠাতাম। ছাপা হতোনা, ভাবতাম দেশে এত লেখক কেন! তারা না থাকলে হয়তো আমার লেখা ছাপাত। যেদিন ব্লগের সাথে প্রথম পরিচয় হয়, আমি যেন আকাশের চাঁদ না, আস্ত একটা গ্যালাক্সী পেয়ে গেলাম। সেই গ্যালাক্সীতেই অবিরত বিচরন, বিট বাইটের প্রহেলিকায় একটু একটু অস্তিত্ব রেখে যাওয়া... পাথর কুঁচি, পাতা বাহার, রঙ্গনে- ভীড় জমালো শৈশবেরা-  রৌদ্রহীন এই বিষন্নতার প্রাঙ্গনে।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে গল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সায়েন্স ফিকশান-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

9 Responses to ১০০ ডলার ডিএনএ

  1. সামিরা বলেছেনঃ

    পড়লাম, ভালো লাগলো। সাইফাই লেখাটা খুবই কঠিন মনে হয় যখন কারো লেখা পড়ি। এত জটিল সব ব্যাপার-স্যাপার!
    আবার মনে হয়, অনেক অজানা টার্ম ব্যবহারের চাইতে একদম আমাদের পরিচিত পটভূমিতে সাইফাই লেখা হলে সেগুলো হয়তো আরো বেশি উপভোগ্য হত। সেবা প্রকাশনীর ‘কল্পবিজ্ঞানের গল্প’ নামে একটা সাইফাই গল্পসংগ্রহ পড়েছিলাম ছোটবেলায়, এখন পর্যন্ত পড়া সেরা কিছু সাইফাই ছিল সেখানে। ওখানকার গল্পগুলো অমন ছিল। 🙂

    • রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

      কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। এটা আমার প্রথম সাইফাই। জানি তেমন ভালো হয়নাই। ঝোঁকের বশে লেখা। চেষ্টা করব সহজ টার্মিনোলজি ব্যাবহার করতে।

      শুভকামনা রইল।

      • সামিরা বলেছেনঃ

        উঁহু ভালো হয় নি সেটা বলি নি। যেই জটিলতার কথা বললাম, সেটা আসলে অনেক বিখ্যাত লেখকের লেখাতেও দেখেছি। যারা বোঝে তাদের ভালো লাগে হয়তো। 🙂

        • রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

          অনেক ধন্যবাদ, তবে জটিলতা আমার নিজের কাছেও সুখপাঠ্য নয়।
          প্রথম লেখা তো, আরও অনেক কিছু শেখার বাকি।

  2. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    আমার খুব ভালো লেগেছে ! থ্রিলার সাইফাই পুরাই… 😀

  3. সত্যান্বেষী বলেছেনঃ

    সাই-ফাইয়ের ভক্ত সেই ছোটবেলা থেকেই। সামনে পেলেই গোগ্রাসে গিলি আর তার সাথে যদি এক চিমটি থ্রিলারের পোঁচ থাকে, তবে তো কথাই নেই! এমন লেখা আরও চাই 😀

  4. শুকপাখি বলেছেনঃ

    পড়ে অনেক ভালো লেগেছে । 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।