কোটাব্যবস্থা নিয়ে যা একান্তই যা ভাবছি

বিসিএস পরীক্ষায় কোটা বিলোপ (কিংবা সংস্কার) নিয়ে গত তিন চারদিনে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে গোটা ঢাকাবাসীকে সেই সাথে অনলাইনের নেটিজেনদেরকেও।পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি তর্ক আর মাঠে পুলিশ-ছাত্রলীগের লাঠিপেটার মধ্য দিয়ে আপাতত এই আন্দোলনের একটা সমাপ্তি হয়েছে।সরকারের তরফ থেকে ফলাফল পুনরায় মূল্যায়নের ঘোষণা এসেছে তবে সেই সাথে এও জানানো হয়েছে যে কোটা পদ্ধতিতে আপাতত কোন পরিবর্তন আসছে না। এই আন্দোলনকে নিছক শিবির কিংবা মৌলবাদীদের আন্দোলন বলে যারা উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে এরা হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আর নয়তো অজ্ঞ।প্রতিটা আন্দোলনেই একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী থাকে এবং এরা ফায়দা লুটার এক চেষ্টা সবসময়ই করে থাকে।কিন্তু এই সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে হাইলাইট করে যদি গোটা আন্দোলনের পালস বুঝতেই অক্ষম হয় তবে তাদের প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছুই বরাদ্দ থাকে না।
বিসিএস পরীক্ষায় সফলতা অর্জনের মাধ্যমে যারা সিভিল সার্ভিসের পদস্থ কর্মকর্তা হন তাদের আসলে কতটা যোগ্য হওয়া উচিত?এই ব্যাপারে অন্তত কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না যে একটা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা যত দক্ষ ও বিজ্ঞ হবেন দেশ ও ততটাই উন্নত হবে।কিন্তু ৫৬ ভাগ পদের অধিকারীরাই যখন কোটা বা বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে চেয়ারগুলোতে আসেন তখন এদের কাছ থেকে উন্নত সেবা বা দক্ষতার আশা করাটা ও বাতুলতা বৈকি অন্য কিছু নয়।আলাপচারিতা রেখে আলোচনায় যেতে চাই।
প্রথমেই এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে।
১৯৮৬ — জাতীয় তালিকা — এক লাখ দুই হাজার ৪৫৮।
১৯৮৮ — মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের করা তালিকা –৭০ হাজার ৮৯২।
১৯৯৪— জাতীয় তালিকা —-১ লক্ষ ৫৬ হাজার
১৯৯৮ —মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত তালিকা —এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ ১৯৯৯–মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল — এক লাখ ৫৪ হাজার ৪৫২
২০০৫– চারদলীয় সরকার প্রকাশিত গেজেট–এক লাখ ৯৮ হাজার ৫২৬
বর্তমান–দুই লাখ চার হাজার ৮০০

২০১০— সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম প্রকাশ করে ‘মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকৌশল ও সামরিক শক্তি বিন্যাস’ শিরোনামে একটি নথি প্রকাশ করে। সে হিসাব অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজারের বেশি না।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীর-উত্তম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কোনোভাবেই এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি হতে পারে না। আর এই ৪২ বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমার কথা থাকলেও এখন বাড়ছে। এতে বোঝা যায়, কিভাবে তালিকা তৈরি হচ্ছে?’
.
সূত্র: কালের কন্ঠ ১৯/০৫/১৩, প্রথম আলো ১৫/১২/১২

এই কোটা কারা কিভাবে ব্যবহার করছে সেটা সেটা বুঝার জন্য সিনিয়র ব্লগার শ্রদ্ধেয় রাসেল পারভেজ ভাইয়ের বেশ কয়েকটা স্ট্যাটাসের সংকলিত অংশ উদ্ধৃত করা খুব জরুরি মনে করছি

১৯৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ভেতরে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত মানুষদের সর্বমোট সংখ্যাটা ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশী হবে না। সেকটর কমান্ডার শফিকুল্লাহ এবং সেক্টর কমান্ডার কাজী নূর উজ্জামানের মতামত এমনই। এদের একটা অংশ বলা বেশ বড় একটা অংশের (৫০% এর উপরে) শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো এসএসসি পাশ কিংবা তার উপরে।
এরা শিক্ষিত এবং এরা পরবর্তীতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সরকারী চাকুরিতে যোগদান করতে পারতেন, অনেকে স্বাধীন ব্যবসায়ে যুক্ত হয়েছেন, কিন্তু সরকারী চাকুরিতে ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ হওয়ায় হয়তো ৬০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে আমাদের সহায়তা করার প্রয়োজন ছিলো, এদের ভেতরে যারা কৃষক ছিলেন, তারা যুদ্ধপরবর্তী সময়ে তাদের পূর্বের পেশায় ফিরে গেছেন, তারপরও আমরা ধরে নিচ্ছি আমাদের ৫০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে সহযোগিতা করার খুব বেশী প্রয়োজন ছিলো।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের কাছে যে পরিমান প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ছিলো, তাতে এই ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে যেতো এবং যারা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা যেতো। কিন্তু আমার গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে আমরা এই ৫০ হাজার মানুষকে কোনোভাবেই পুনর্বাসন করতে পারি নি। বিপুল সম্পদ থাকার পরেও মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট ১ লক্ষ মানুষকে মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ করে দিতে পারে নি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ এর তত্ত্বাবধানে থাকা মানুষগুলো লুণ্ঠন করেছে কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।

যাদের কল্যানের জন্যে এতো কিছু করা হলো তাদের বিন্দুমাত্র কল্যান হয় নি, বরং আমরা এই মুহূর্তে অনাকাঙ্খিত একটা বিতর্কে জড়িয়ে পরেছি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততি এবং নাতিদের জন্যে ৩০% কোটা বরাদ্দ রাখা উচিৎ।

আমি জানি দেশের ৯৯% মানুষের জন্যে ৪৪% সীট বরাদ্দ রাখাটা অন্যায় এবং একই ভাবে দেশের দশমিক ০৩ শতাংশ মানুষের জন্যে ৩০% সীট বরাদ্দ রাখাটা ঘোরতর অবিচার। এখানে যৌক্তিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা সাথে মুক্তিযুদ্ধের আবেগের স্যালাইন বানানোর প্রয়োজন নেই।

দেশের পাকিস্তানী মালিকানাধীন অধিকাংশ শিল্প কারখানা এবং একই সাথে ব্যক্তিগত বিদ্বেষের বশে আরও অনেক মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদ- সম্পত্তি মুক্তিযোদ্ধা কল্যান তহবিলে দান করা হয়েছিলো। সেটার মালিকানা মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের হাতে ছিলো এবং এখনও আছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ দিয়েও আসলে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যান করা সম্ভব হয় নি, এখনও মুক্তিযোদ্ধারা অভাবে আত্মহত্যা করে চিরকুটে লিখে যান

” মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিলাম জীবনযুদ্ধে হেরে গেলাম।”

প্রচুর সম্পদ আয়ত্বে থাকার পরেও দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক পুনর্বাসন করা যায় নি, মুক্তিযোদ্ধারা এবং মুক্তিযুদ্ধের আবেগ রাজনীতির পণ্য হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছে, কয়েকজন স্বার্থান্ধ মানুষ ব্যক্তিগত লভ লালসা পুরণের জন্যে বিপুল সম্পদ নয় ছয় করেছেন।

এটা নিয়ে অনেক ধরণের রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া যায়, আবেগ তৈরি করা যায় কিন্তু দেশের সীমিত চাকুরি বাজারে নিশ্চিত সরকারী চাকুরির লড়াইয়ে এক ধরণের অন্যায্য প্রতিবন্ধকতা স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিযোগিরা মেনে নিবেন না। সরকারী চাকুরেদের অনেক ধরণের সত্যায়নের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাদের যে সম্মানের জায়গায় তুলে রাখা হয়েছে সেটা ধরে রাখার দায়িত্ব আসলে সরকারের উপরেই বর্তায়।

এই লেখাগুলোর বিপরীতে কেউ যদি উপযুক্ত যুক্তি নিয়ে সামনে আসতে পারেন তবে সাদরে আমন্ত্রণ রইল।আর হ্যাঁ, প্রথম আলোতে একটা খবর পড়ে দেখতে পারেন।অন্য অনেকের কথা বাদই দিলাম।এক জন বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারকে এভাবে রেখে আমরা প্রতিনিয়ত চেঁচিয়ে যাচ্ছি মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে।মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা আর কাকে বলে!এত সব কিছুর পরেও আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার পক্ষপাতী এবং সেটা ৭% এর বেশি হওয়াটা উচিত না বলেই মনে হচ্ছে।এটা যদি কম মনে হয় তবে তার পিছনেও একটা ব্যাখ্যা আছে।সেটা পড়লেই আশা করি বুঝতে পারবেন।ওভার জেনারালাইজ করা হলেও মোটামুটি ব্যাপারটা এমনই।

এবার উপজাতি কোটা নিয়ে আলোচনায় আসা যাক।উপজাতি কোটার পুরো সুবিধাটা এক তরফাভাবে নিচ্ছে চাকমারা।এবং জানলে অবাক হবেন এদের স্বাক্ষরতার হার বাংলাদেশের ভিতরে ৬৩ শতাংশ এবং সামগ্রিকভাবে ৭৫ শতাংশ।আর হ্যাঁ গড়পড়তা বাংলাদেশীদের চাইতেও এরা বেশ ভালোই আছে।।এখন কোটা প্রথা যদি রাখতেই হয় তবে এদের বাদ দেওয়াটা বেশ জরুরি।মারমারা ও বেশ তাড়াতাড়ি তাদের ছুঁয়ে ফেলবে বলেই মনে হচ্ছে।আমার নিজের অভিজ্ঞতাও বলে গত পাঁচ ছয় বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে উপজাতীয় ছাত্র ছাত্রী বেড়েছে।কিন্তু অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে এমন ও দুর্গম সব অঞ্চল আছে যেখানে পৌঁছানোর জন্য মাইলের পর মাইল কেবল পায়ে হাঁটা রাস্তাই মিলে।সেখানে স্কুল বলতে হয়তো কিছুই নেই।ভাষাগত দূরত্ব তো আছেই।এই সব বঞ্চিতদেরকে মূলধারার সাথে তুলে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোটা সুবিধা যাতে এরাই পায় সেটা নিশ্চিত করা উচিত।আমার মতে এদের জন্য বর্তমান ৫%ই যথেষ্ট।

বাকি রইল প্রতিবন্ধী কোটা।শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় পড়তে আসে এবং সাফল্যের সাথে পাশ করে সেটার জন্যই এদেরকে হাজারটা স্যালুট দেওয়া যায়।মোট জনগোষ্ঠীর খুব ছোট একটা অংশ অর্থাৎ মাত্র ১.৩২% হলেও এদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত ৩% ।
তাহলে নারী আর জেলা কোটা?এই দুই কোটা রাখার কোন যৌক্তিকতা আমি দেখিনা।জেলা কোটা তো কোন যুক্তিতেই এখন আর সম্ভব নয়।কোন কোন জেলা হয়তোবা তুলনামুলকভাবে অন্যদের চাইতে পিছিয়ে আছে।কিন্তু সেটার জন্য কোটা প্রথা কোন সমাধান হতে পারেনা।আর বাংলাদেশের নারীরা এখন যথেষ্ট এগিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে আসা নারীর মোট সংখ্যা এবং ফলাফলে সামনের দিকে নারীদের অবস্থান সেটাই প্রমাণ করে। নারীরা যেটা পিছিয়ে আছে মনে হচ্ছে সেটা মূলত সামাজিক সমস্যা।কেননা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে গৃহিণী হিসেবে দেখতেই পছন্দ করছেন।যেহেতু সরকারী চাকুরেকে দেশের নানা জায়গায় বদলি করা হয়,সেহেতু অনেক নারীর পক্ষে এ ধরনের চাকরীতে আসা একটু সমস্যার বটে।তার সাথে আছে জমকালো প্রাইভেট চাকরির হাতছানি।তাই নিতান্তই কোটা রাখতে চাইলেও তা ১% এর বেশি হওয়া কোনভাবেই উচিত না।

অন্য অনেকের মত আমিও মনে করি কোটাপ্রথা কোন চিরস্থায়ী সমাধান হতে পারেনা।একটা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত যে কখন থেকে কোটাব্যবস্থা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছাড়া আর সবার জন্য সম্পূর্ণরূপে বিলোপ হবে।কারণ কোটা প্রথা বহাল থাকার অর্থ আমরা উন্নয়নের আলো সব জায়গায় সমানভাবে পৌঁছাতে পারিনি।আর এটা নিশ্চয় আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন জাতির জন্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক কিছু নয়।

পুনশ্চঃঅনেকেই মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গালি দেওয়ার কারণে এই আন্দোলনকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই,এই ধরনের কিছু হলে অবশ্যই সেটা কোন না কোন টিভি ক্যামেরা কিংবা কারো মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা দেখতাম।ইত্তেফাক জানাচ্ছে

তারা শ্লোগান তুলেন—’৩৪তম বিসিএস-এর গুণাগুণ, ২ লাখ মেধাবী খুন’। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়—’কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা নিপাত যাক; ছি, ছি, ছি, পিএসসি, এটা তুই করলি কী; মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় দুই নীতির ঠাঁই নাই, শহীদদের রক্তস্নাত বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই’।
এর বাইরে অন্য কোন খবর কারো চোখে পড়লে নজরে আনার অনুরোধ করছি।এরশাদ সিন্ড্রোমে ভুগার মত বুদ্ধু আপনি নন বলেই আমি বলেই আমি মনে করি :love:

প্রাসঙ্গিক পড়াপড়িঃ
যাদের ‘মেধাবী’ স্লোগান, আমলা হবার আন্দোলন কিংবা বিসিএস এক্সামের কথা শুনলেই বমি আসে কিংবা হাসি পায়, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই
শাহবাগে কোটাবিরোধী আন্দোলনঃ একটি ব্যক্তিগত মতামত

আবদুল্লাহ সম্পর্কে

পড়তে বেশ পছন্দ করি।পছন্দের কিছু লেখকের লেখা পড়ে লিখতে চেষ্টা করি।লেখা শেষে দেখি সেগুলো আসলে শব্দের খিচুড়ির চাইতে বেশি কিছু না!তাই নিজের লেখা নিজেই পড়ি।বিশ্বাস করি Malcolm X এর সেই অমর বাণীতে "I'm for truth, no matter who tells it. I'm for justice, no matter who it's for or against." [www.rdbangla.blogspot.com]
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চিন্তাভাবনা, বিবিধ-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

4 Responses to কোটাব্যবস্থা নিয়ে যা একান্তই যা ভাবছি

  1. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    ভালো বিশ্লেষণ, একমত।

  2. স্রোতস্বিনী বলেছেনঃ

    ভালো লেগেছে লেখাটা …
    জানি না কবে কোন সরকারের বোধোদয় হবে কিনা…

    • আবদুল্লাহ বলেছেনঃ

      বোধোদয় এর এই আমলে হচ্ছে বলে মনে হবে না।রেজাল্ট নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন সব ইস্যু।আপাতত এই ইস্যু হিমঘরে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 😀

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।