রিয়েল হিরোজ

আজকের লেখাটা দুজন রিয়েল হিরোকে নিয়ে। একজন এখনো বেঁচে আছেন আরেকজন নন। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম, আজকে লিখতে বসলাম। মূল টার্গেট একটাই, পলিটেকনিক বা ভোকেশনাল স্কুল নিয়ে আমার ধারণা বা কৌতূহল এতদূর এনেছে।

 

প্রথম হিরোর নাম জানা গেছে তার মৃত্যুর পর। চিরকালের রহস্যের হোতা !! সোভিয়েত রকেট ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনার “সেরগে পাভ্লোভিচ ক্রলেভ”, যার কারণেই প্রথম মানুষ নীল আকাশের সীমারেখা পার করেছে, এরপর একের পর এক সফলতা। প্রথম স্যাটেলাইট এবং প্রথম মানুষ ইউরি গ্যাগারিনকে মহাকাশে পৌঁছে দেয়া। এই রিয়েল হিরোকে দীর্ঘদিন পর জেল থেকে আনা হয়েছিল আমেরিকার সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য !! তখন আমেরিকার হাতে আছে ২য় বিশ্ব যুদ্ধের রকেট বিজ্ঞানী নাজী জার্মান “ওরনার ভন ব্রাওন”

 

আগে মানুষ যুদ্ধ জয়ের পর, বিধস্ত দেশের ধন সম্পদ নিয়ে বেশী ব্যস্ত থাকতো। আমেরিকানরা ব্যস্ত ছিল দক্ষ সব জার্মান ইঞ্জিনিয়ার আর বিজ্ঞানী দখল করায়। তাদের একটা গোপন প্রজেক্টই ছিল এই কাজের জন্য !! যার সুবিধা তারা আজও পাচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইউরি গ্যাগারিনও  সেরগে পাভ্লোভিচ ক্রলেভের একই স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

 

২য় যে হিরো এখন বেঁচে আছেন তিনি অ্যাপেলের সব জনপ্রিয় প্রডাক্টের চীফ ডিজাইনার ব্রিটিশ জনাথন ইভ। তার অসাধারণ সব ডিজাইন আজকে টেকনোলজিতে আর্ট আর ডিজাইন ভ্যারাইটি অন্য মাত্রায় এনেছে আর সে সাথে অ্যাপেলের সেরা কোয়ালিটি।

 

এতকিছু লেখার কারণ একটাই, আমি বাংলাদেশে থাকতে পলিটেকনিক বা ভোকেশনাল স্কুল দেখেছি। অনেক ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়ে, কিন্তু তুরস্কে দেখলাম এই স্কুলের পরিমাণ আর কাজের গুরুত্ব অনেক বেশী। প্রতিবছর আমাদের ভার্সিটিতে সেই সব স্কুল থেকে রোবট কম্পিটিশনে আসে। আমার প্রথম অবাক হওয়া সেখানেই তাদের আগ্রহ আর কাজ অতুলনীয় !!

 

আমার আজকের লেখার দুজন হিরোও ভোকেশনাল থেকে এসেছেন, কিন্তু এই দুজন ছাড়া আমাদের আজকের দৃশ্যপট কেমন হোত সেটা একটু ভাবী !! আরো বোধহয় অনেকে আছেন আমি জানি না। তবে ইউরোপে আদ্যকাল থেকে ব্যবহারিক শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বেশী, তাই তারাই নতুন ইতিহাস লেখে…

আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্পর্কে

আমার পুরা নাম বেশ বড় তাই ডাক নাম দিয়েই চালাই, মেহেদী। এখন ইস্তানবুলে পড়াশুনা করছি। লেখালেখি আমার ভেতরের প্রতিফলন, তবে ইদানীং সময় পাচ্ছি না...আমাকে বিস্তারিত জানার ইচ্ছা হলে বন্ধু হতে পারেন :D https://www.facebook.com/AbdullahaAlMamunMehedi
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, ইতিহাস, চিন্তাভাবনা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

2 Responses to রিয়েল হিরোজ

  1. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    বেশ ভালো লাগল !! আসলেই ভোকেশনাল এডুকেশনকে আমরা গুরুত্ব দিতে শিখলাম না, ঐ এস এস সি এর রচনা লেখা পর্যন্তই গুরুত্ব।

  2. আবদুল্লাহ বলেছেনঃ

    ভোকেশনাল স্কুলগুলোতে কি পড়ায় কিংবা তাদের সিলেবাসের গন্ডি কতদূর জানিনা।তবে এদের সাফল্য তেমন একটা চোখে পড়ার মত না।বিজ্ঞান প্রজেক্ট বা অন্যান্য সব কম্পিটিশনে জেনারেল লাইনের ছেলে মেয়েদের সাফল্যই দেখা যায় কেবল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।