আমি তখন ক্লাস নাইনে, অনেক দিনের ইচ্ছা স্টিফেন হকিন্সের “এ ব্রিফার হিস্ট্রি অফ টাইম” পড়ব। ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেন এইটে শুধু পড়াশুনা ছাড়া দুনিয়ার সব কাজই সম্ভব ছিল !!
তবে ওই যে অনেকদিন ধরে ভেবে রেখেছি আমি পড়ব, একদিন খুঁজে পেলাম বাংলায় অনুবাদ করা সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বইটা। আমার মনে আছে আমি এত মনযোগ দিয়ে তখন অন্য কোন বই পড়ার কথা চিন্তাও করিনি। আমার অধিকাংশ অনুচ্ছেদ অনেকদিন মুখস্ত ছিল। তিনি কিভাবে স্তরে স্তরে এত বছরের বিজ্ঞানের ইতিহাস আর তার ক্রমান্বয়ে সেটাকে নিজের নতুন মতবাদে প্রকাশ করেছেন… সেটা আমার জন্য সেই বয়সে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার ছিল। পুরানো সব মতবাদকে সাদরে গ্রহণ করেই এগুতে হয় বা সেগুলোই যে আমাদের বিজ্ঞানের ভিত্তি সেটা এই বইয়ে সবচেয়ে ভালভাবে লেখা।
আজ অনেক বছর পর আবারো ডুবে ছিলাম স্টিফেন হকিন্সের গ্র্যান্ড ডিজাইন বইয়ে। সত্যি বলতে আমি একটু আশ্চর্যই হলাম। নিজের থিসিসের জন্যই হোক আর আগ্রহের জন্যই হোক নিউরোসাইন্সের মহাসমুদের আমি ডুবে আছি। আর বইয়ের সব প্রস্তাবনা, চিন্তা আর ব্যাখ্যা বেশ ভাল করেই বুঝতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে।
এই বইটা যারা নিউরোসাইন্সে পড়াশুনা করা নেই তাদের জন্য হতাশাজনক। আমাদের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বাইরের রিয়েলিটির সাথে কানেকশন তৈরি করে সেটার ধারণা থাকলেই এই বই তার কাছে অসাধারণ মনে হবে। আমাদের কোন ইচ্ছাই যে আমাদের নিজের না… এটা জানার পর অনেক মানুষই প্রতিবাদ করবে। তবে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, এখন জার্মানিতে একটা ল্যাবে প্রমাণ করে দেখানো হয়েছে মানুষের “সেলফ কনশাসনেস” বলতে আমরা যা বুঝি বা ফ্রি ইউল নিয়ে যে এত মাতামাতি সেটা তার ব্রেইন সিগন্যাল অ্যানালাইসিস করলে, সে মুখে বলার ৬ সেকেন্ড আগেই.. যে অ্যানালাইসিস করছে সে বলতে পারবে !!
আমার কাছে একটা জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল, আমরা যদি একটা জায়গায় আটকে না যেয়ে সত্য খুঁজি সেটা আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনকে বরং বেশী সার্থক করবে…
ইন্টারেস্টিং !! শেষের তথ্যটা জটিল !! :huzur:
থ্যাংকস
আমাদের কোন ইচ্ছাই যে আমাদের নিজের না… ??
ব্যাপারটি নিয়ে যদি বিস্তারিত লিখেন তাহলে ভাল হত।খুব জানতে ইচ্ছা করছে।
এটা নিয়ে আলাদা একটা লেখা লিখব তখন বুঝানো যাবে :thinking:
সেই লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম 🙂