তুমি হয়তো খুব সাদামাটা চেহারার একজন
যাতে নেই কোন বাড়াবাড়ির ছিটেফোঁটা।
নেই কোন কালিমা, কোন পঙ্কিলতা
পুরোটা জুড়েই যার রয়েছে, এক অদ্ভুত কোমল শুভ্রতা।
আমি আমার মতো করেই তোমায় গড়ে নেবো।
তমি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া-
প্রচণ্ড পড়ুয়া স্বভাবের কোন একজন
যার নাকের ডগায় রিমলেস ফ্রেমের ভারী চশমা।
প্রতিটি পরীক্ষায় ফার্স্ট হওয়ার মানসে
যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে ভারী বইয়ের পাতায়।
আমি তোমাকে আমার মত করেই গড়ে নেবো।
তুমি হয়তো আবেগ-অনুভূতি, রসকসহীন এমন একজন,
বাঁশবন চুইয়ে আসা জ্যোৎস্না যাকে করে না মুগ্ধ
ভাদ্রের কড়া সূর্যের আঁচ যাকে মাতাল করে না।
যার অধর-যুগল কখনো সিক্ত হয়নি বৃষ্টির ধারায়
আমি আমার মতো করেই তোমায় গড়ে নেবো।
হয়তো তুমি কেবলই আমার অবচেতন মনের নিছক কল্পনা
যাকে আমি বাস্তবে দেখিনি কখনো-
তবুও আমার হাজার বছরের চেনা,
তুমি আমার কল্পনায় আঁকা পরী।
যাকে আমি নিত্য ভাঙছি-গড়ছি নিজের মতন করে
নেই থাকেও যে আছে, আমার সবটা জুড়ে।
২৩শে জুলাই ‘১৩, মধ্যাহ্ন
সায়েন্স লাইব্রেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কিন্তু পুরোটাই কি কল্পনা? বাস্তবে কারো সাথে মিল পাননি?
ভালো লাগলো পড়ে, লেখালেখি চালিয়ে যান।
কঠিন প্রশ্ন… :thinking:
কল্পনায় যাকে এঁকেছি, আঁকছি এমন কেউ যে বাস্তবে থাকবে না তা কিন্তু না কিন্তু তার সাথে আমার সম্পর্কটা এখনও কল্পনার রাজ্যের গণ্ডিতেই…
তাহারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই… :p
কল্পনা যতদিন থাকবে লেখালেখিও চলবে যদিনা শব্দগুলো হারিয়ে যায়; মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ 🙂
ভয় নাই, কল্পনা থাকবে অনন্তকাল। শুধু লেখার ইচ্ছেটা ধরে রাখতে হবে।
যদি ঈশ্বর থাকেন সদয়,
থাকবে চালিয়ে যাবার প্রত্যয় 🙂