গভীর রাতে সুবিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অবাক হই। এখানে বয়সের কোন ভেদাভেদ নেই, মহাকাশে লুকিয়ে থাকা রহস্য সবাইকে একইভাবে টানতে থাকে।
খুব বেশী না হাজার বছর খানেক আগেও আমাদের জীবন অনেক বেশী নির্ভর করতো এর উপরই। আকশের তারাদের দিকে তাকিয়ে যেভাবে অনেকেই নিজের হারানো প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াত, কেউ তৈরি করতো দেয়ালপঞ্জিকা, কেউ মহাসমুদ্রে চলার পথ বের করতে ব্যস্ত ছিল আর কেউ করতো ভবিষ্যৎ বাণী।
এইসব এখন প্রযুক্তির ছোঁয়াতে অনেকাংশে পরিবর্তন হয়েছে। যদি এই সুবিশাল নকশার একটা বোধগম্য ধারণার কাঠামো তৈরি করা যায় তাহলে কেমন হবে ?
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে অবাক করা আবিষ্কারের একটি ন্যানোটেকনোলজি। যদি নতুন কোন মহাবিশ্ব দেখার ইচ্ছে হয় তবে ন্যনোটেক রিসার্চ ল্যাবগুলোতে নির্দ্বিধায় যাওয়া যেতে পারে। আমরা স্বাভাবিক দৃশ্যমান আলোতে যা কোনদিন চিন্তাও করতে পারি না.. সেই না দেখা জাগতের সাথে আমাদের প্রতিনিয়ত বসবাস করে আসছি।
এই না দেখা জগতে আমাদের অনেক অজানা প্রশ্নের জবাব লুকিয়ে ছিল, অনেক কিছু ছিল অজানা। কিন্তু আমাদের এই বিশাল মহাকাশে কেউ কি নেই যারা ঠিক এমনিভাবে আমাদের অনেককাল না দেখে আছে? আমারা ঠিক এতটাই ক্ষুদ্র যে ন্যনোল্যাবে খুঁজে পাওয়া নতুনদের খাতায় আমাদের নাম লেখা হতে পারে। তাহলে এলিয়ানদের নিয়ে আমাদের বৈজ্ঞানিক সব কল্পকাহিনী কি সত্যিকারেই ভিত্তিহীন ? হিসেব করে দেখা যাবে, ন্যনো লেভেলের ওইসব প্রাণীদের কাছে আমরা এখন ঠিক এলিয়ানদের মতই আবির্ভাব ঘটাচ্ছি।
মহাকাশের একটা নকশা যদি আসলেই তৈরি করা যেত তাহলে আমাদের হয়তো খুঁজে পাওয়া যেত সেই নকশার খুব ছোট এক বিন্দুতে। প্রাণীদের মাঝখানে মানুষের পার্থক্য এখানেই। মানুষের অভিযান এখন মঙ্গলগ্রহে নতুন আবাসস্থল তৈরি করা। খুব বেশী নয় ২০২৩ সালের একটা স্কিম তৈরি হয়ে গেছে। তখন কেউ হয়তো বলবে, “আমার জন্ম মঙ্গলে”
আধুনিক বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীরা আমাদের একটা নকশা একে দিয়েছেন। তবে সে নকশা যে সবসময়ই অপরিবর্তিত থাকবে তা নয়। বিজ্ঞানের বয়স যত বাড়বে ঠিক তখন সে নিজেই হেসে ফেলবে তাঁর ফেলে আসা কাজগুলো ভেবে। আমরা ঠিক বিজ্ঞানের কোনপর্যায়ে আছি বলা যাচ্ছে না, তবে আমরা মহাকাশের নকশা একটু হলেও আঁকতে শিখেছি। আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যা আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিয়েছে কিন্তু আমাদের অভিযান তাই বলে থেমে নেই।
বিজ্ঞান যেমন আমাদের প্যারাল্যাল লাইফের ধারণা দিয়েছে তেমনি গবেষকদের পার্টিক্যালের টেলিপোরটেশনের সফলতা আমাদের টাইম ম্যাশিনের স্বপ্ন নয়, বাস্তবতার এক রূপ দেখিয়েছে। তবে অতীতে ভ্রমণ অসম্ভব বলে মনে করলেও, ভবিষ্যৎ ভ্রমণের আশা থেকেই যাচ্ছে।
সময়ের আপেক্ষিকতা নিয়ে সমস্ত পৃথিবী একসময় যেভাবে অবাক হয়েছে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল কিছু মানুষের তাদের সময় থেকে এগিয়ে থাকা বা কিছু ব্যতিক্রম কল্পনায় মহাবিশ্বকে তাঁর চলে আসে নিয়মে বেঁধে ফেলা। আমাদের সফলতা এখানেই।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটা গবেষণার ফলাফল দিয়ে শেষ করতে চাই। আমরা যদি মনে করি প্রতিনিয়ত বর্ধমান মহাবিশ্ব অনেক স্তরে স্তরে সাজানো। আমাদের হিসাবের বাইরে এই গ্যালাক্সী আর ছায়াপথে শুধু আমাদের দৃষ্টি থেমে নেই।
গোবরের পোকা রাতে চলাচল নির্ভর করে এই মিল্কিওয়ে দেখেই। কি অদ্ভুত !আমাদের পরিবেশটা। আমরা সবাই একে অপরের সাথে একই সুতায় কোন না কোনভাবে বাঁধা পড়ি। বিবর্তনের সাথে আমরা খাপ খাইয়ে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখছি, ঠিক আজও পৃথিবীতে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির প্রয়োগের অভাবে এই শতাব্দীতেও আদিযুগের মত অনেকে বেঁচে আছেন। সেখানে নেই কম্পিউটার বা কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের আলোচনা। সেখানে আজও দিনশেষে লন্ঠন জ্বেলে অন্ধকার দূর হয়।
এই নকশার মাঝে আমাদের স্থানটা কোথায় দেখতে পারলে অনেক ভাল লাগতো, কিন্তু প্রকৃতি তাঁর ব্যসিক ডিজাইনটা আমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রেখেছে সবসময়ই !! আমরা চোখ খুলে সুবিশাল আকাশে তাকাই আর ভাবতে চেষ্টা করি, ঠিক একটা নীল আকাশ যেখানে কল্পনার কোন শেষ নেই.. যেমন নেই এই মহাকাশের নকশার।
এই ধরনের পোস্ট সবসময়েই ভালো পাই। :happy:
তবে মনে হয় ফুটনোট আকারে গবেষণাগুলোর রেফারেন্স দিলে ভালো হত।
আমি খুবই অলস প্রকৃতির মানুষ। সামনে থেকে চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
[ মহাকাশের সুনিপুণ নকশা নিয়ে কিছু কনফিউশন এন্ড আন্সারস ]
লেখাটা নিয়ে প্রথম ঝামেলা হচ্ছে আমার আগে প্ল্যান ছিল না আমি এটা কয়েক পর্বে লিখবো। এটা সেকেন্ড পার্ট। পরে আবার লিখবো। আশা করি রিলেশন থাকবে।
আমার নিজের প্রবলেম হচ্ছে আমি খুব অল্প লিখি, কোন কোন জিনিস আরো ব্যাখ্যা করা দরকার। তা করলে এটা কয়েক গুণে বাড়ত। যাই হোক উত্তর দেই,
১ম উত্তর
আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের ইউনিভার্সের একটা কমপ্যাক্ট ভার্সন হচ্ছে আমাদের এই পৃথিবী। আমরা একটু খেয়াল করলেই এর সিমিলার উদহারণ পাব। কিন্তু এরকারণ আমার মনে হয় এটা জাগতের সৃষ্টিকর্তার নিখুঁত ডিজাইন। পুরা ইউনিভার্সের একটা ধারণা আমাদের চারপাশে তুলে ধরা। ধর, মহাসমুদ্রের কোন এক
ব্যাক্টেরিয়া ভুলেও চিন্তা কবে না কেউ তাকে নিয়ে আসলেই ভাবছে কিনা। তাঁর কাজ, জীবন সীমা সব নির্ধারিত। তার ক্ষুদ্রতার কথা চিন্তা করলে এই ইউনিভার্স না শুধু ওই মহাসমুদ্রই তার জন্য যথেষ্ট।
তাই লিখছি, এই নকশায় আমাদের অবস্থান কই, আর আগেই বলেছি আমাদের দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান অনেক কিছু মেলানোর সব ইনফরমেশন এখনো আবিষ্কার হচ্ছে। প্রকৃত ডিজাইন ভাঙ্গার কোন চান্স নাই।
ইদানীং কালে বায়োটেক ইউস করে আমরা গাছ মডিফাই করছি আমাদের জন্য, জেনেটিক মডিফাইড প্রাণী অনেক কাজে লাগাচ্ছি কিন্তু সেটা সাময়িক। ন্যাচারাল ডিজাইনে আমাদের হাত নেই।
২য় উত্তর
শুধু মানুষ না , অনেক প্রাণী জোয়ার ভাটা আর ছায়াপথের উপর ডিপেন্ড করে। সেটাই এই বছরের জানুয়ারীতে গবেষণা করে বের করলো। যেমন গোবরের পোকা !
আর এলিয়ানদের ব্যাপারে বলবো, ন্যনো লেভেলেও ইনটিলিজেন্ড প্রাণী আছে তবে মানুষের মত অবশ্যি না।
মহাকাশ নিয়ে অনেকদিন পরে কিছু পড়লাম। ভালো লাগলো। :happy:
বিশেষ করে কনফিউশনের প্রথম উত্তরটা চমৎকার। আমারো এমনই মনে হয়। “পুরা ইউনিভার্সের একটা ধারণা আমাদের চারপাশে তুলে ধরা। ”
ধন্যবাদ আপনাকে 🙂
ন্যানোলেভেলের প্রাণী ব্যাপারটা ঠিক বুঝলামনা, আপনি কি মাইক্রোবস এর কথা বলছেন?
পার্টিকেল টেলিপোর্টেশন ব্যাপারটা কি কোয়ান্টাম এন্ট্যাঙ্গালমেন্ট এর রিলেটেড?
এই ধরনের লেখাগুলো থেকে চিন্তার খোরাক পাওয়া যায় ভালো।
চালিয়ে যান।
মাইক্রোবস ঠিক ধরেছেন।
একটা পার্টিক্যাল টেলিপোর্ট করার পর তার কাছাকাছি ধরণের পার্টিক্যাল আমরা পেতে সফল হয়েছি, এটা সম্পূর্ণই টাইম মেশিন বানানোর প্রথম ধাপে পড়ে। তবে আগের ইনফরমেশন নিয়ে অপর প্রান্তে পাওয়া নতুন এই কণা যে এক নয় সেটা একটা প্রশ্নের তৈরি করে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে 😀
ভালো লাগলো জেনে।