মধ্যযুগ ও বর্বরতা-এই দুইটি শব্দকে সুশীল সমাজের অনেকেই সমার্থক বিবেচনা করে থাকেন। অমানুষিক ও নির্দয় কার্যকলাপকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে বিশেষায়িত করার প্রবণতা মোটেও বিরল নয়। কারও নীতি-আদর্শ ও চিন্তাধারার নিন্দা করতেও এই বাগধারাটি হামেশাই ব্যবহূত হয়ে থাকে। স্বভাবতই কৌতূহলী মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,ইতিহাসের কোন সময়টি আসলে মধ্যযুগ? সেই সময়ে কিইবা এমন ঘটেছিল,যার জন্য প্রাচীন ও প্রাগৈতিহাসিক এবং ঔপনিবেশিকতার কালপর্ব ছাপিয়ে মধ্যযুগের বর্বরতা অমোচনীয় হয়ে গিয়েছে,সভ্যতার ললাটে কলঙ্কচিহ্ন হয়ে রয়েছে!এই বিষয়ে কিঞ্চিত্ আলোকপাত করা যেতে পারে বৈ কি।
ইতিহাসবিদগণ পাঁচ শত খ্রিষ্টাব্দ হতে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত কালপর্বকে মধ্যযুগ বলে আখ্যায়িত করেন। এই হাজার বছরের ইতিহাস বিশ্বময় ইসলাম ধর্মের প্রসার এবং মুসলমান শাসকদের বিজয়গাথায় পরিপূর্ণ। আরবের আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের অবসান ঘটে মধ্যযুগের ঊষাকাল ৬১০ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদের (সা.) রিসালতের মাধ্যমে। নির্জন হেরাগুহায় নবীর (সা.) নিকট আল্লাহুতায়ালা অবতীর্ণ করেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মদীনায় রাষ্ট্রগঠন এবং মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে আরবের বর্বর যুগের। খোলাফায়ে রাশেদিনের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতের সময়ে সূচিত হয় ইসলামের বিজয় অভিযান। ইসলামের প্রেরণায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে পুনর্জাগরণ ঘটে। ফিলিপ কে, হিট্টি লেখেন, ‘হাজার বছর পাশ্চাত্য অধীনতায় থাকার পর পুনরায় আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল গোটা মধ্যপ্রাচ্য।’ পতন ঘটে রোম সাম্রাজ্যের। বাইজেনটাইন ও পারস্য সাম্রাজ্য মুসলিম খেলাফতের অধীনে চলে আসে।
মধ্যযুগের ইতিহাস এমন নয় যে, অবিমিশ্র সুখ ও সমৃদ্ধির। আবার এমনও নয় যে, বর্বরতা ও স্বেচ্ছাচারিতায় ইতিহাসের সকল কালপর্বকে এটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মানবিকতা ও বর্বরতা, সুশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতা, উত্কর্ষ ও অনুত্কৃষ্টতা সব কালেই কমবেশি ছিল এবং আছে। কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানদের বিকাশ ও বিজয়ের হাজার বছরকে পাশ্চাত্যের ইতিহাসবিদগণ বর্বরতার যুগ হিসাবে কেন বিশেষায়িত করতে চাইছেন তা খুব সহজেই অনুমেয়। অথচ এই মধ্যযুগে জ্যোতির্বিজ্ঞান,রসায়ন,শিল্প-সাহিত্য ও দার্শনিক চিন্তার বিপুল বিকাশ ঘটে।
ইউরোপে যখন একটা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না তখন আরব, ইরান, সিরিয়াসহ মুসলিম সভ্যতার প্রতিটি শহরে গড়ে উঠে অসংখ্য বিজ্ঞানাগার, পাবলিক লাইব্রেরী, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।মধ্যযুগের বাগদাদের বায়তুল হিকমাহ (House of Wisdom) তো ছিল জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার প্রাণভোমরা। বিজ্ঞানের ব্যবহারিক দিক অর্থাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতি সর্বপ্রথম মুসলিম বিজ্ঞানীরাই প্রবর্তন করেছিলেন, গ্রিক যুগে এটা কারও জানা ছিল না। মুসলমানদের আর একটি প্রধান কীর্তি হলো অবলুপ্ত প্রায় গ্রিক ও ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আহরণ, অনুবাদ ও সংরক্ষণ। তা না হলে অনেক আগেই এ দুই মহাসভ্যতার বহু দানের চিহ্ন পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকত না । ফলে মধ্যযুগেই ইসলামী সভ্যতা জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে নতুন রেনেসাঁর জন্ম দেয় [রেনেসাঁ বলতেই আমাদের ইউরোসেন্ট্রিক মনোজগতে অবশ্য ইউরোপের রেনেসাঁর কথা মনে পড়ে যায়]! এই মধ্যযুগীয় রেনেসাঁর ফলেই জন্ম নেয় শত শত পণ্ডিত, দার্শনিক, বিজ্ঞানী যারা জ্ঞান -বিজ্ঞান-দর্শন এসবের বিকাশ ও আবিস্কার করে মানব সভ্যতার ক্ষেত্রে অভাবনীয় অবদান রেখেছেন।
আল-খোয়ারিজমি (বীজগণিত ও এলগোরিদম এর জনক); জাবির ইবনে হাইয়ান (আধুনিক রসায়ন বিজ্ঞানের জনক); ইবনে সিনা (আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক, ফার্মেসি ও এরিস্টটলীয় ফিলোসপির একজন স্বনামধন্য পণ্ডিত-যার মেডিসিনের উপর বইগুলা ইউরোপেও ১৮ শতক পর্যন্ত ছিল পাঠ্যবই) , ওমর খৈয়াম, আল বিরুনি, ফারাবি, আরাবি, আল বাত্তানী,আল খাসিব , ইবনুল হাইছাম , আল রাজী , যারকালী, ইবনে বাজ্জা, ইবনে রুশদ, ইবনে খলদুন, এরা কোন যুগের বিজ্ঞানি, জ্ঞানী , তাত্ত্বিক? এরা যে রসায়ন, পদার্থ, চিকিৎসা বিজ্ঞান , উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ফার্মেসি,গনিত,ব্যাকরণ, অলংকার শাস্ত্র, ভাষাতত্ত্ব, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা সহ জ্ঞানের সব শাখায় নতুন নতুন তত্ত্ব ও তথ্য আবিস্কার করলেন তা কোন যুগ- মধ্যযুগের এই মুসলিম বিজ্ঞানীদের ও জ্ঞান তাত্ত্বিকদের এই রেনেসাঁ কি প্রগতিশীলতা নয়? ইউরোপীয় রেনেসাঁ তো মধ্যযুগের এই রেনেসাঁর কাছে সুস্পষ্টভাবে ঋণী ! কিন্তু ইউরোপীয় আধিপত্যবাদিরা এই ঋণ স্বীকার করতে রাজি না!
ইউরোপ তখন অন্ধকার যুগে ছিল বলেই পুরা মধ্যযুগকেই বর্বরতার আর অন্ধারের যুগ বলে হেজেমনিক প্রচার চালিয়ে তারা মুসলিম সভ্যতার ঐতিহাসিক অবদানকে নাকচ করে দিতে চায়। এটাকে বলা যায় সভ্যতা আর জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাসকে হাইজ্যাক করার পশ্চিমা বর্ণবাদী আচরণ! প্রগতিশীলতা মাত্রই ইউরোপীয় রেনেসাঁ না, ইসলামি রেনেসাঁর যুগকে বাদ দিয়ে ইউরোপীয় রেনেসাঁ নিয়ে মেতে থাকলে তা ইউরোপীয় হেজিমনিক বয়ানের দাসত্ব ছাড়া আর কিছুই না!
তাহলে মধ্যযুগের আলোকিত মুসলিম সভ্যতাকে অস্বীকার করে একে অন্ধকার যুগ বলে চালিয়ে দেয়ার মানে হচ্ছে ঐতিহাসিক শঠতা এবং তা সভ্যতা ও জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দুর্বৃত্তায়নকে মেনে নেয়া যে দুর্বৃত্তায়ন মদিনা, বাগদাদ, দামেস্ক, খোরাসানকে বাদ দিয়ে আধুনিক ইউরোপের বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির চর্চাকেই কেবল রেনেসাঁ বলে চালিয়ে দেয়। এ হচ্ছে প্রাচ্য সম্পর্কে ইউরোপের তৈরি হেজিমনিক ডিসকোর্স যাকে বুদ্ধিজীবী এডওয়ার্ড সাইদ নাম দিয়েছেন প্রাচ্যবাদ ( Orientalism)। এই ডিসকোর্স মধ্যযুগের প্রাচ্যের আলোকিত অধ্যায়কে চাপা দিয়ে তৈরি করে মিথ্যার বুনোনি মানে প্রাচ্য হচ্ছে গতিহীন, প্রগতিহীন, স্থবির, বর্বর সমাজের প্রতিভূ; আর পাশ্চাত্যই প্রগতিশীলতা, সভ্যতা, উন্নয়নের প্রতিভূ। প্রাচ্যকে তার গর্বের ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে, তার প্রেরণার ঐতিহ্য সম্পর্কে তাকে অন্ধকারে রেখে দিলে পশ্চিমের লাভটা কোথায়? পশ্চিমের লাভ হচ্ছে প্রাচ্য তার নিজস্ব চেতনা আর আত্মশক্তি হারিয়ে পশ্চিমকেই উন্নত সংস্কৃতি-সভ্যতা আর আদর্শের প্রতিভূ ভাববে, ফলে প্রাচ্যের মননে বাসা বাঁধবে এক মানসিক উপনিবেশ যে মনন উত্তর রেনেসাঁ (ইউরোপীয়) যুগে রাজনৈতিক, সামাজিক, মতাদর্শিক, বৈজ্ঞানিক এবং চিন্তাগতভাবে প্রাচ্যকে পশ্চিমের কাছে নির্ভরশীল করে তুলবে। সাইদের মতে এটি হচ্ছে পশ্চিমের প্রাচ্যকে পদানত করার এক আধিপত্যবাদী স্পৃহা।
আমরা যদি উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগের মূল্যায়ন করি, তাহলেও দেখতে পাওয়া যায় উৎকর্ষ অর্জনের অব্যাহত প্রয়াস। মধ্যযুগে আমাদের এই উপমহাদেশ কোনো অখণ্ড সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল না। পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত শাসন হীনবল হয়ে যেতে শুরু করে। এগার শতকের আগে পর্যন্ত এই উপমহাদেশে মুসলমান শাসকের আগমন ঘটেনি। ১১শ এবং ১২শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ রাজ্যই মুসলমানদের দখলে চলে যায়। মুসলিম বিজয়ের পর উপমহাদেশে সামাজিক সম্পর্কের নূতন মেরুকরণ শুরু হয়। হিন্দু-মুসলমানের মেলবন্ধন রচিত হইতে শুরু করে এই সময়ে। বিদেশাগত মুসলমানরা যেমন এই অঞ্চলের সনাতন সংস্কৃতির অনেক কিছুই মেনে নেয়,তেমনই সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও বহিরাগত জীবন-সংস্কৃতির অনেক কিছু নিজেদের করে নেয়। গোটা মধ্যযুগ ধরে ভারতবর্ষে দেখা যায় শক্তিশালী গ্রামীণ সমাজ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বিদ্যমান ছিল। শাসকগণ বহু জনহিতকর কাজ করেছেন। প্রজাপালনে তাদের বদান্যতা ছিল যথেষ্ট। সুলতানি আমলে উপমহাদেশে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ও সাহিত্যের বিশেষ উত্কর্ষ সাধিত হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এই সময়ে নবতর বিকাশের পথ খুঁজে পায়। অন্যদিকে এই মধ্যযুগের শেষভাগে এসে ইউরোপে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কৃত হলে সাহিত্য-দর্শন এবং চিন্তা জগতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। ঐতিহাসিক ম্যাগনাকাটা সনদের মাধ্যমে ব্রিটেনের রাজনীতির নতুন বিকাশ ঘটতে শুরু করে।
তারপরও এটি অসত্য নয় যে, মধ্যযুগে বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে রাজা এবং সামন্ত শ্রেণীর অত্যাচার-শোষণ অব্যাহত ছিল। আর, এই উপমহাদেশে বৈদিক যুগ হইতে চলে আসা ক্রীতদাস প্রথাও বহাল ছিল যথারীতি। ছিল সতীদাহ প্রথা। এইসব নৃশংসতা ও অমানুষিকতার কোনোটাই কিন্তু মধ্যযুগের সৃষ্ট নয়,সর্বব্যাপীও নয়। দেশ-কাল ও পাত্রের প্রভেদ ছিল। কাজেই কোনো একটি যুগকে বিশেষায়িত করার আগে ইতিহাসের নিবিড় পাঠ একান্ত প্রয়োজন।
কৃতজ্ঞতা ও ঋণ স্বীকারঃএই লেখাটি মূলত ইত্তেফাকের ১৪ই মে,২০১৩ এর মঙ্গলবারের সম্পাদকীয় থেকে গৃহীত।সম্পাদকীয়টির মূল ভাব ঠিক রেখে কেবল সাধু রীতি থেকে চলিত রীতিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এর সাথে মুক্তব্লগ নামে সাইটের একটি লেখা থেকে সরাসরি সাহায্য নেওয়া হয়েছে
এই টার্মটা কে কোন বিষয়কে ইঙ্গিত করে ব্যবহার করে সেটা একটা ইস্যু কিন্তু!
কেন মধ্যযুগীয় টার্মটা আসল। কে কীভাবে নিজেদের কার্যক্রম জাস্টিফাই করার জন্য শুরু করেছিল কিনা জানার চেষ্টা করা উচিৎ।
উইকি বলছে,
The Dark Ages is a historical periodization used for the Middle Ages, which emphasizes the cultural and economic deterioration that supposedly occurred in Western Europe following the decline of the Roman Empire.The label employs traditional light-versus-darkness imagery to contrast the “darkness” of the period with earlier and later periods of “light” [https://en.wikipedia.org/wiki/Dark_Ages_%28historiography%29]
টার্মটা মূলত পশ্চিমাদের দ্বারা প্রচারিত পশ্চিমের অবনতি নিয়ে!
এই খানে অনেকগুলা মিথ ভাঙা হইছে
http://www.cracked.com/article_20186_6-ridiculous-myths-about-middle-ages-everyone-believes_p2.html
এই সময়ে আরবদের পাশাপাশি চীন বিপুল অবদান রাখছে।
http://www.engr.sjsu.edu/pabacker/history/middle.htm
আরেকটা লিঙ্কু
http://listverse.com/2007/09/22/top-10-inventions-of-the-middle-ages/
আমাদের ইতিহাস জ্ঞান আনফরচুনেইটলি অনেক বেশি ওয়েস্টার্ন ন্যারেটিভ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
বোহেমিয়ান ভাইয়া,অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কগুলোর জন্য।লেখাটা হঠাত করেই লেখা।এটা যে আমার নিজের লেখা না বরং জোড়াতালি দেওয়া একটা লেখা সেটা তো লেখার শেষে উল্লখ আছেই।প্রথম আলোতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের একটা কলাম পড়েই লেখাটা লিখতে বসা। ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়টা আগেই জোগাড় করা ছিল।এর সাথে যুক্ত করলাম মুক্তব্লগের লেখাটা।তবে মধ্যযুগ নিয়ে আমার নিজের কোন পড়াশোনা না থাকায় ফেসবুকে আপনার শেয়ার করা লিঙ্কের কনভারসেশনে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে।পরে অবশ্য আরও টুকটাক কিছু লেখা পড়েছি।আরও কিছুটা ধারণা পেলাম এই লেখাটা থেকে “মধ্যযুগের বর্বরতা ও ইসলামের স্বর্ণযুগ”
অসাধারণ উদ্যোগের জন্য লেখককে একগাদা সাধুবাদ !! মধ্যযুগীয় বর্বরতা শুনতে শুনতে কানটা পচে গেল, আজকাল মানুষের দশা হয়েছে এমন যে মিডিয়া যদি বলে”এই যাহ, কান নিয়েছে চিলে”, চোখ খুলেই চিলের পেছনে ছুটবে…!! এই কিছুদিন আগে বেন কিংসলে আর কিছু বাচ্চাদের করা একটা ছোট ডকুমেন্টারি বেশ প্রচার হয়েছিল এই মধ্যযুগীয় ভুল ভাঙ্গার জন্য। বেশ ভালো লেগেছিল।
পোস্টে পিলাচ ! :love:
ধন্যবাদ।মিডিয়া কোন কিছুতে ‘মধ্যযুগীয়’ ট্যাগ দিলেই যাতে আমজনতা সেটাকে মন্দ কিছু না ভাবে সেজন্যই এই লেখা! :penguindance:
হুম, ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে।
একটা চিন্তা আসলো সেই সাথে। সুদূর ভবিষ্যতে কি ২০১৩ সালও মধ্যযুগ বলে গন্য হবে?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।২০১৩ সালকে বা এই শতাব্দীকে যদি ‘কালো শতাব্দী’ হিসেবে গণায় ধরে তাহলে সম্ভবত ভুল হবে না।এই সময়ে অনেক উন্নতির বিজ্ঞাপন হয়তো আছে তবে দুইটা বিশ্বযুদ্ধ,ভিয়েতনাম কিংবা উপসাগরীয় যুদ্ধ বা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম অথবা হিরোশিমা নাগাসাকির ঘটনা বড়সড় কালো তিলক হিসেবে জ্বলজ্বল করবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই
বটে।