ফরহাদ মাজহার সাব তার চিন্তায় লিখসেন ‘নির্বাচন নাকি গণতন্ত্র?‘ তিনি কইসেন যে নির্বাচন ও নির্বাচনী জটিলতাটার সমাধান গৌন বিষয় না। ‘মূল প্রশ্ন হচ্ছে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথ কি হবে?’ লেখার শেষেও উনি প্রশ্ন রাইখা গেছেন ‘এই জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?’ লেখার পেটের ভিতরে যথারীতি হেফাজতের অধিকার হেফাজত আর সরকাররে লাগাতার ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিবাদি বইলা গেছেন। গননা কইরা দেখলাম যে মোট ৩৩বার ফ্যাসিবাদ/ফ্যাসিস্ট/ফ্যাসিবাদী শব্দ ব্যবহার করসেন।
আমার জন্ম মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরে বিধায় কি কারণে মুক্তিযুদ্ধ হইসিল সেইটা বলতে পারি না। উনি মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম, ভালো বলতে পারবেন। তবে ছফা সাহেব যখন খেইপা গিয়া ‘দেশটা কি বাল ছিড়ার জন্য স্বাধীন করসিলাম’ প্রশ্ন রাখেন তখনও যে হতাশার অঞ্চল ছিল আমরা সেইটা ছাইড়া অনেকদুর আসছি বইলা মনে হয়। কতদুর আসছি সেইটা শুধু পত্রিকার পাতা দিয়া কারোয়ান বাজারের উঁচা বিল্ডিং থিকা বাংলাদেশের খবর নিলে হবে না। ৮০, ৯০ এর দশকের সাথে এখনকার গ্রামবাংলার অবস্থার চালচিত্র মিলাইয়া দেখতে হবে।
প্রথমত, নির্বাচন আর নির্বাচনী জটিলতারে গৌণ বলার আগে বাঙালি, বাংলাদেশী, জাতীয়তাবাদ বনাম মুসলিম বাঙালি পরিচয়ের যে কিচ্ছা কাহিনী শুনাইলেন তাতে মনে হইলো নির্বাচন হোক না হোক তাতে ফরহাদ সাহেবের তেমন আগ্রহ নাই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা দেখতেসি যে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের পরে সরকার কিসুটা লাইনে আসছে। ঈদে বিদ্যুৎ আর রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি বিরোধীদলের উপরে ধড়পাকড় কমসে, লিমনের অবশিষ্ট পা-টারে ছাইড়া দিসে। নির্বাচনের সুফলটা আরো আসতো যদি আমাদের পার্লামেন্ট এফেক্টিভ হইতো আর ৪মিনিটে ঢাকা ভাগ না কইরা ঢাকার মেয়র ইলেকশনটা বছর খানেক আগে হইয়া যাইতো। তাতে সরকারের মধ্যে সুশাসন দেওনের বা দেওনের অভিনয় করনের বাসনাটা আগে জাগতো। শেখ হাসিনা যে কৌশলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো একটা পরীক্ষিত সফল সিস্টেম বাতিল কইরা দিসেন সেইটা আসলে আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় স্ট্রেস ডেভেলপ করসে। মানে ধরেন গিয়া, কোন স্কুলে যদি পরীক্ষাই বাতিল কইরা দেন তাইলে পোলাপান কি করবে? তারা ইচ্ছা মতো যা খুশি করার স্বাধীনতা পাইবো, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেইটা নন-একাডেমিক এক্টীভিটিরেই উস্কায়া দিবে। তত্ত্বাবধায়ক সিস্টেম বাতিল আসলে নির্বাচন ওরফে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা পঞ্চবার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করার ফলে আমাদের দেশে সেই সমস্যাটাই তৈয়ার হইসে। ফলে অগনতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় যাওনের ইচ্ছা জাগসে। এই খায়েশ নতুন না। প্রতিবারই নির্বাচন নিয়া ঝামেলা হয়। আমাদের গনতান্ত্রিক বিরোধীদল তখন ট্রাম্প কার্ড ফেলান, আল্টিমেটাম দেন। এইবার যেমন ৪৮ঘন্টার আল্টীমেটাম দিয়া ট্রয়ের ঘোড়ার পেটে হেফজতে ইসলামরে ঢাকায় আনা হইসিল সরকার ফেলাইতে, তেমন পরিকল্পনা পরলোকগত জলীল সাবের ট্রাম্পকার্ডেও ছিল। বোঝা গেল কেন নির্বাচন (সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ) দরকার। কিন্তু এই জরুরতটা ফরহাদ সাবের কাছে ‘গৌন’। যেই অনিশ্চয়তায় দেশের মানুষের ১টা বছর কাটতেছে সেইটা কেন গৌন? কারণ ক্ষমতার পালাবদল হইলেও তার ফ্যাসিবাদী রূপের পরিবর্তন আসতেছে না। তিনি মূল প্রশ্ন ছুইড়া দিসেন “ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথ কি হবে? ”
এই প্রশ্ন ছোড়ার আগে উনি সুশীল সমাজের “‘সুশাসন’, ‘সৎ প্রার্থী নির্বাচন’, দুর্নীতি প্রতিহত করবার বিবিধ জেহাদ” কে সিজনাল বিএনপি-জামাত জোটসরকারবিরোধী বলে হাজির করেছেন। অথচ এরমধ্যেই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পতনের রূপকল্প দেখতেছি। দূর্নীতি প্রতিহত করতে প্রতিটি সরকার যে চরম্ভাবে ব্যর্থ হইতেছে সেটা সুশীল সমাজের নানান রিপোর্ট আর সুশীল পত্রিকা প্রথম আলো হলমার্ক-বেসিক-ডেস্টিনির হাজার কোটির লুটপাটের মাধ্যমে লোকের নজরে আসতেছে। সৎ প্রার্থী বিনে ক্যামনে গনতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা সম্ভব তাও বোঝা দুষ্কর। নাকি চিন্তার কাজটা ফরহাদ সাহেবদের দিয়া করায়া নিলেই চলবে, মাথাওয়ালা সৎ যোগ্য জনপ্রতিনিধির দরকার নাই! প্রত্যেক প্রার্থীর সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আর সেটা যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নামিয়ে দেখার বন্দোবস্ত এই সুশীলদের প্রচেষ্টাতেই আসছে। রাজনৈতিক দলের হিসাব কিতাব জমার ব্যবস্থাটাও বেশ কাজের। হইতে পারে ভোটের রাজনীতিতে এখনও সৎ প্রার্থী অপেক্ষা ধার্মিক বা ধর্ম সত্যায়িত প্রার্থীর দাপট বেশি, কিন্তু লোকে অন্তত মিলায়ে দেখতে পারতেছে মেয়রবাবুরা ৫বছরে সম্পদ কতগুন করলেন। এই দূর্নীতি আর শোষনের যে সংবাদ পৌছাইতেছে তার এন্তেজাম করার মাধ্যমেই কি বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই? পূব আর পশ্চিম পাকিস্তানের নানা বৈষম্য নিয়া যেসব পোষ্টার, মাঠে-ময়দানের বয়ান ৭০ এর নির্বাচনের আগে ছড়াইসিল সেইটাই কি ধর্মভিত্তিক দ্বিজাতিতত্ত্বের রাষ্ট্র তৈয়ারের মোহভঙ্গ ঘটায় নাই? তাইলে এই “সুশাসন’, ‘সৎ প্রার্থী নির্বাচন’, দুর্নীতি প্রতিহত করবার বিবিধ জেহাদ” -এ ভূল কোথায়? নাগরিক সচেতনতা আর অধিকারের গোড়ায় তথ্যের জোগান দেয়ার বিকল্প আর কি হইতে পারে?
‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’, ‘মানুষের মুক্তি’ র মতো বিষয়গুলান ততক্ষন সামনে আসবে না যতক্ষন ক্ষুধা-দারিদ্র থিকা পুরাপুরি মুক্তি মিলতেছে। সেই মুক্তি ঢাকায় না, গ্রামে-গঞ্জে হইতে হবে। যখন দেশের মানুষের খাওনের আর পরনের চিন্তা থাকবে না তখন সে পড়তে বসবে। সরকারের বাংলা, অর্থনীতি, বিজ্ঞান পরীক্ষা নিবে। তখন সরকার নিজেই তার ফ্যাসিবাদি আইন-হুকুম-কানুন পাল্টাইতে বাধ্য থাকবে। সেই জন্য কৃষিতে বিপ্লব আনতে হইবো, জনশক্তির প্রক্রিয়াজাতকরনে তাড়াহুড়া কইরা বিজ্ঞান-প্রযুক্তিমুখী কারিগরী শিক্ষার প্রচলন করতে হইবো, নারী শিক্ষার ব্যাপারে উদারনীতিমালা জারি রাখতে হইবো তেতুল-বাবার নিষেধের মুখে। সাচ্চা মুসলিম বানানোর মাদ্রাসা শিক্ষা জারি রাইখাও এই জনশক্তির প্রক্রিয়াজাতকরন সম্ভব। সেইটা গেল বিশ বছরে জনশক্তি রপ্তানির পরিসংখ্যান, আমাগো রিজার্ভ আর শিক্ষার হার দেইখাই বুঝা যায়। মানুষরে তার পাচ-প্রয়োজন থিকা মুক্তি দিলে, পুষ্টির জোগান দিলে সে নিজেই তার বিপ্লব করবে। তারে ভুলায়া ভালায়া রাস্তায় নামাইয়া আড়াইহাজারী লাশের রাজনীতির জরুরত তখন ফুরাইবো। আহলে সুন্নাত আর আশেকে রাসুল, হেফাজতের বিভাজনের চেয়ে হেফাজতে প্রান-পরিবেশ-মানুষ এখন বেশি দরকার।
বুঝতাছি যে, সুষ্ঠু নির্বাচনে ক্ষমতা বদল হইলে অমুক ভবনে আপনার ডাক কম পড়বে, কদর কম হইবো, তখন বাঙালি জাতীয়তাবাদিরা বাঙালি মুসলিমের সাথে হাতে হাত মিলায়া দেশ গড়বে। কিন্তু তার মার মানে এই না যে নির্বাচন গৌন, দূর্নীতিবিরোধী জিহাদ ফকিক্কার। ক্যাওস লাগায়া সিড়ি বাইয়া উপরে উঠার বুদ্ধিটা অনেক পুরান- নতুন ভাও খুজেন
ফরহাদ মজহার এর লেখাটা চোখ বুলালাম।
তারপর আপনারটা পড়লাম।
এই প্রশ্ন ছোড়ার আগে উনি সুশীল সমাজের “‘সুশাসন’, ‘সৎ প্রার্থী নির্বাচন’, দুর্নীতি প্রতিহত করবার বিবিধ জেহাদ” কে সিজনাল বিএনপি-জামাত জোটসরকারবিরোধী বলে হাজির করেছেন। অথচ এরমধ্যেই ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার পতনের রূপকল্প দেখতেছি। </b>
এর মধ্যেই কীভাবে দেখছেন??
আর ‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’, ‘মানুষের মুক্তি’ র মতো বিষয়গুলান ততক্ষন সামনে আসবে না যতক্ষন ক্ষুধা-দারিদ্র থিকা *পুরাপুরি মুক্তি *মিলতেছে। এইটাও মনে হয় ঠিক না। আম্রিকা সহ নানান দেশে একটা অংশ পিছিয়ে ছিলো কিংবা আছে। এতে তাঁদের স্বাধীনতার জায়গায় সমস্যা হইছে বলে মনে হয় না।
“মানুষরে তার পাচ-প্রয়োজন থিকা মুক্তি দিলে, পুষ্টির জোগান দিলে সে নিজেই তার বিপ্লব করবে। তারে ভুলায়া ভালায়া রাস্তায় নামাইয়া আড়াইহাজারী লাশের রাজনীতির জরুরত তখন ফুরাইবো।” এইটাও মনে হয় ঠিক না! কারণ চায়নার কথা চিন্তা করেন মিডল ক্লাস বেশ বড়ই এখন। তারা কি আসলে ঠিক বিষয় জানে শোনে?
ফরহাদ লিখলেন “একটি কর্তব্য তো পরিষ্কার সেটা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা। অর্থাৎ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফের নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার কর্তব্যকে সামনে নিয়ে আসা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসাবে তাদের কিভাবে স্থাপন করব সেই দিকগুলো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা। এই গোড়ার কাজ ভুলে গিয়ে নির্বাচন করার অর্থ হচ্ছে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে ক্ষমতার হাত বদল। এটাই কি আমরা চাই?”
উনি নিজেই তো কোন পথ বাতলাইলেন না।
আমি উনার কথার সাথে একমত না হইলেও [নির্বাচন আপাতত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ] কিন্তু আমার মতে রাষ্ট্রের এই লিবার্টি খর্ব করার জায়গা [চিন্তা করেন ICT আইন কিংবা অধিকার এর সেক্রেটারি গ্রেফতার] সবচেয়ে জরুরি।
পাখি খাঁচায় রাইখা খাওয়াইলেই সেইটা কার্যকর গণতন্ত্র হয়?
খালি খাঁচা বদল করলে চলবে না এইটা ঠিক আছে, কিন্তু এই সময়ে খাঁচা বদল এর সুযোগটাও খুব দরকারি।
তবে আমাদের গণতন্ত্রের যেই সংজ্ঞায় আমরা বিশ্বাস করি – সেইটা প্যাথেটিক।
আমাদের ব্যাচেলর পাস বলেন আর পিএইচডি ছাত্র বলেন – চিন্তার আসলেই অবস্থা খারাপ!
সবাই মুক্তিযুদ্ধের পেছনের একেকটা কাহিনী দাঁড় করায়। আমার ব্যক্তিগতভাবে সেই সময়ের লেখা গল্পেরটাই ঠিক মনে হয়!
রূপকল্প স্পষ্টভাবের পরের অংশেই তুইলা দিসি। সুশীলরা যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টার ন্যশনাল গিরা দুর্নীতির খবর দিতেছেন, পলিসি ফোরাম কইরা বুদ্ধি সুদ্ধি দিতেসেন, শিক্কাহ্য় বিনিয়োগ বাড়াইতে কচ্ছেন, নির্বাচন কমিশনের হলফনামা আপলোড সেগুলি কি স্বচ্ছতা বাড়ায়তেসে না ? এই স্বচ্ছতার কারণেই কিন্তু এইবার মেয়র ইলেকশনে আমরা জানতে পারলাম কোন মেয়রের সম্পদ কয়্গুন হইসে। এইটাও অর্জন। অর্জনের জায়গাগুলা যদি বুঝতে না পারি তাইলে সামনের পথ খুইজা পাওয়া কঠিন। স্বচ্ছতার মাধ্যমেই জবাবদিহিতা আসবে যখন শিক্ষার হার বাইরা ৯০% হইয়া যাবে। সাইন করা শিক্ষা না, পড়তে বুঝতে লিখতে পারার মতো শিক্ষা।
অধিকারের সেক্রেটারির গ্রেফতার বা মিতা হকের বাঙ্গাল গালির বাহাসরে আমি খুব একটা ইন্সিগ্নিফিকেন্ট মনে করি… এইগুলা শহুরে মানুষের রাজনৈতিক বাহাসের উপলখ্য, এরসাথে গ্রাম বাংলার মানুষের সংযুক্তি নাই…. ফেইসবুকের সুখী সমাজের বাইরে তার কোন ইমপ্যাক্ট নাই.
রাষ্ট্র যে নিপীড়ন যন্ত্র রেব আর বিচার ব্যবস্থা দিয়া তৈরী করসে সেইটার প্রয়োগ সাধারণ সমাজের আছে… সুশাসন প্রতিষ্ঠায়, ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে এইটা বর বাধা। মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার, টিভি-পত্রিকা-ফেইসবুক-ইউটিউব হুটহাট বন্ধ কইরা দেয়া নাগরিকের সংবাদ পাওয়ার, দু:শাসনের-দুর্নীতির ব্যাপারে ইনফর্মড হওয়ার অধিকার হরণ করসে। সেইটা সিগনিফিকেন্ট। কোন সরকার আইসা বলবে না আমার রেব দরকার নাই, পুলিশ দিয়াই চলবে। কারণ সবার পছন্দ গুম খুন…. গুন্ডা-মাস্তান দিয়া ৯০এর দশক চললেও আমরা এখন দেখতেসি রাষ্ট্রীয় শক্তির ম্যাক্সিমাম ডিসপ্লে। এইটা বন্ধ করতে ব্যালেন্সড এফেক্টিভ পার্লামেন্ট দরকার, শক্তিশালী মধ্যবিত্ত দরকার। যাগো পেটে ভাত নাই তারা গণতন্ত্রের বিলাসিতা করতে আন্দোলন করবে না….
এইবিষয়ে মাহাথির একটা কথা বলসিল যে এশিয়াতে গণতন্ত্র মানে খাস পশ্চিমা গণতন্ত্রের দরকার নাই. এইখানের মানুষের জন্য কঠোর একনায়কের দরকার আছে. কি বুইঝা বলসিলেন জানি না. তবে তার আমলে সে কিন্তু এই এক্নাযক্গিরি কৈরাই মালেশিয়ারে টাইনা তুলসে। এখন তাদের সমাজে ট্রান্সপারেন্সির প্রয়োজন পড়সে। তারা দেখতেসে তুন মাহাথিরের পোলা এমপি আবার মিলিয়নিয়ার। তো আমাগো জন্য কেমন গণতন্ত্র দরকার সেইটা আমাদের নির্ধারণ করতে হবে…. আমরা সেইটা কর্সিও। আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। ২২বছর সেইটা কাজ করসে। ২২ বছরে বাংলাদেশের এচিভমেন্ট আমি বিশাল মনে করি….শুধু ইলেকশন ইয়ার্গুলা বাদ দিলে।
আর ছফার কথাটার পেছনের ইস্যু মনে হয় অন্য
মো.জাকারিয়া হাবিব বলেছেন: আহমেদ ছফা নামটার সাথে অনেক আগে থেকে পরিচিত থাকলেও সেটা ছিল পাঠ্যপুস্তকের গন্ডির মধ্যে কিন্তু তার এই মুত্যবাষির্কিতে তাকে চিনলাম অন্তর থেকে আর সেদিনই আমার ফেসবুকের কভারলেটারেই শুধু তার জায়গা হয়নি ;জায়গা দিয়েছি তাকে আমার হৃদয়ে ,তারঁ যে উক্তি আমার সারাজীবন মনে থাকবে , “দেশটা কি বাল ফেলানোর জন্য স্বাধীন করেছি” *বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় কলকাতার বই আসত।আহমদ ছফা এর বিরোধীতায় নামেন। তার ব
িরোধীতার ফলে কলকাতার বই আসা বন্ধ হয়। ছফা কাজটা করেছিলেন দেশের লেখকদের কল্যানের জন্য কিন্তু এদশেরই লেখক শওকত ওসমান তাকে বাজে লোক বলে মন্তব্য করেন। ছফা তাকে নিয়ে নিউমার্কেটের বইয়ের দোকানে দোকানে নিয়ে যান।গিয়ে জিজ্ঞেস করেন শওকত ওসমানের কোন বই আছে কিনা।কেউ লেখক কেই চিনতে পারল না।তখন কলকাতার একজন সাধারন মানের লেখকের নাম বলতেই অনেকগুলো বই বের করে দিল। আহমদ ছফা তখন শওকত ওসমানকে জিজ্ঞেস করলেন,
“” দেশটা আমরা বাল ছেঁড়ার জন্যে স্বাধীন করেছি?””
সুত্রঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/SYEDMOBNU/29649311
হ. এই কারণেই ছফা এই পর্যায়ে গেছেন। ছফার কথাটার নানান ঢঙে আমরা ব্যবহার করি. মুক্তিযুদ্ধ ক্যান আসছিল, কেন করসিলাম ইত্যাদি। আমি যদি বলি মুক্তিযুদ্ধ আসছিল ব্যালটের অধিকার ছিনতাই আর অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক বৈষম্যের কারণে তাইলে কি ভুল হবে? তাইলে ব্যালটের অধিকারটা কি নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরায়ে দেয়া দরকার না? তাইলে নির্বাচন গৌন হয় কোন বিচারে?
এইবিষয়ে মাহাথির একটা কথা বলসিল যে এশিয়াতে গণতন্ত্র মানে খাস পশ্চিমা গণতন্ত্রের দরকার নাই. এইখানের মানুষের জন্য কঠোর একনায়কের দরকার আছে. কি বুইঝা বলসিলেন জানি না. তবে তার আমলে সে কিন্তু এই এক্নাযক্গিরি কৈরাই মালেশিয়ারে টাইনা তুলসে।
মাহাথির এর এই থিসিস মূলত লি কুয়ান ইউ থেকে নেয়া। অমর্ত্য সেন এইটারে সেইভাবে ধুয়ে দিছে। ফ্রিডম এজ ডেভেলপমেন্ট সহ আরও কয়েকটা জায়গায়।
কোরিয়াতেও অবশ্য সেনা -> গণতন্ত্র এই রকম একটা ব্যাপার হইছে।
কিন্তু সেটা বাংলাদেশের জন্যও সত্য হবে এমন না।