বিভ্রান্তি

গভীর মনোযোগ দিয়ে কি যেন আকছে দীপ্ত। এতো মনোযোগ দিয়ে এর আগে কখনো কিছু আঁকেনি সে। আজ কি যেনো হয়েছে দীপ্তর,কিছুই ভালো লাগছে না তার। ভার্সিটি থেকে বেরিয়েই দেখা মেয়েটির সাথে। মেয়েটি কি ওদের ভার্সিটিতে পড়ে? কিছুই জানে না সে। কিন্তু এরপর থেকে দীপ্তর মাথায় আর কিছু ঢুকছেই না যেনো। একটু আগেও দীপ্তর মা ওকে খেতে ডেকে গেলেন। কিন্তু মনে হয় সে তা যেন শুনতেই পায়নি। ছবিটা একেই যাচ্ছে শুধু। আর ভাবছে কি করে মেয়েটিকে খুজে বের করবে। এতো বড় শহরে কি খুজে পাবে? কিছু জানে না দীপ্ত,খুজে তাকে পেতেই হবে। কেন খুজে পেতে হবে,আর পেলেই বা কি বলবে কিছুই জানে না দীপ্ত। সে একমনে ছবি একেই যাচ্ছে। রাত যত গভীর হচ্ছে চারদিক ততই নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ ফোনের শব্দে চমকে উঠে দীপ্ত। তাকিয়ে দেখে তার ক্লাসমেট শায়লা ফোন দিয়েছে। প্রতি রাতেই শায়লার সাথে কথা হয় দীপ্তর। ওরা এখনো বন্ধুই আছে যদিও ওদের বন্ধুরা ভাবে ওরা একে অপরকে পছন্দ করে। দীপ্তও এতদিন তাই ভাবতো। কিন্তু আজ হঠাৎ সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো লাগছে দীপ্তর কাছে। ফোনে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না তার। মোবাইল সেটটি সাইলেন্ট করে দিয়ে দীপ্ত আবার ঘোর লাগা দৃষ্টিতে ক্যানভাসের দিকে মনোনিবেশ করলো। ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে একটি অবয়ব,একটি ছবি। সেই মেয়েটির ছবি। এদিকে ফোনে রিং আসতেই থাকে। দীপ্তর সেদিকে কোন খেয়াল নেই। সে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে অপলক তাকিয়ে থাকে ক্যানভাসের দিকে।

ইকু সম্পর্কে

নিজের সম্পর্কে নিজের আসলে তেমন একটা কিছু বলার থাকেনা। মানুষ কে বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। আদতে স্বপ্ন দেখা একজন মানুষ আমি, হাজার অযুত স্বপ্ন নিয়ে আমার পথ চলা। অনেক গুলো প্রিয় মানুষ নিয়ে আমি পথ চলি, খুব সহজে কাউকে আপন করে নিতে পারি। তারপরেও মাঝে মাঝে হেলাল হাফিজের মত বলতে ইচ্ছে হয়, "কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকেনা কেউ জানেনা।" আমার নিজস্ব একটা ভাবনার জগত আছে, যেই জগতে কি হচ্ছে সেটা আমি ছাড়া আর কেউ জানেনা। জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে প্রায় ই একা বসে বসে ভাবি। জীবন আমার কাছে অনেকটা রহস্যের মত, যে রহস্যের সমাধান আমি আজো করতে পারিনি। তবে মৃত্যু মনে হয় একটা অসুখ, যার ওষুধ আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। আমি জ্যোৎস্না ভালোবাসি আর ভালোবাসি ভর দুপুরের সোনালী রোদ। ভালোবাসি রঙধনু আর ভালোবাসি তুমি-আমি নিয়ে লিখা সব কবিতা । ভালোবাসি কোন মেঠো পথের ধারে সবুজ মাঠে একা বসে থাকা, ভালোবাসি নীলাম্বরী শাড়ি পরা কোন এক কিশোরী আকাশ, ভালোবাসি নদীর পাড়ে বসে মাছরাঙ্গা দের উৎসব দেখা । ভালোবাসি সমুদ্র বালিয়াড়িতে উপলব্ধি করতে নিজের ক্ষুদ্রতা। ভালোবাসি অরণ্য, ভালোবাসি পাখি। ভালোবাসি রাত, ভালোবাসি রৌদ্র। ভালোবাসি দেশ, ভালোবাসি আমায়। https://www.facebook.com/iqusan
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে পাগলামি, হাবিজাবি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

7 Responses to বিভ্রান্তি

  1. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    তারপর?…

  2. যাকে ইচ্ছে করলেই পাওয়া যায় কারো কারো কাছে তার মূল্য কমে যায়, তাই না? আরাধ্য জিনিসটি যখন অধরা হয় তখন তার আকর্ষণ বোধহয় বেড়ে যায়… 🙁
    ছোট্ট লেখাটি ভালো লেগেছে!

    • ইকু বলেছেনঃ

      কি জানি… এই বেপার টা আমার কাছে এখনো বোধগম্য হয়নি … যদি কখনো বুঝতে পারি তাহলে শেয়ার করব সবার সাথে অবশ্যই 🙂

      :thinking:

  3. হৃদয় বলেছেনঃ

    না চাইতেই যা পাওয়া যায়, মানুষ কখনোই তার মূল্য দিতে যানে না… 🙁

    লেখাটা আরেকটু লম্বা হলে বোধয়… 😀 দমকা বাতাসের মত হুট করে এসে হুট করেই চলে গেলে পাঠকরাও কিছুটা বিভ্রান্তিতেই পড়ে বৈকি 😛 …তবে ‘বিভ্রান্তি’ ভালা পাইসি :love:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।