ওহে! কী খবর
কেমন আছো নন্দের বাপ?
অনেকদিন পর এদিকটায় এলে
অনেক বুঝি কাজের চাপ?
বাড়ছে বয়স,
অত কাজ কী করা যায় ভাই।
যাচ্ছিলাম সদরের দিকে
ভাবলাম, তোমায় না’হয়, একটু দেখে যাই।
তা হঠাৎ করে সদরে-
কী মনে করে?
নন্দের খবর বল-
মিটিং-ফিটিং এখনও করে বেড়ায় : রাত করে বাড়ি ফেরে?
না হে-
বিয়ের পর ছেলে বেশ হয়েছে সংসারী।
রাত করে আর বাড়ি ফেরে না
বেশ খুঁজছে, চাকরি-বাকরি।
কিন্তু, উৎকোচ ছাড়া কী আর-
এ বাজারে চাকরি মেলে?
যাচ্ছি সদরে, নিতাই বাবুর কাছে
কিছু দিলেও বেঁচে যাই, চাকরিটা হলে।
কিন্তু নন্দ যে বেজায় গোঁয়ার
করবে না চাকরি, উৎকোচ দিয়ে।
আমি দিতে পারলে, ও’র সমস্যা কথায়?
কী যে করি, এ ছেলেকে নিয়ে।
বুঝলাম, তোমার না-হয় অর্থ আছে
নিতাই বাবুকে করলে উৎকোচে তুষ্ট।
মেধা-যোগ্যতা থেকও যারা গরিব
একটিবার ভেবে দেখেছো, তাদের কষ্ট?
ভাইরে মনে রাখিয়ো-
‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে।’
ভাই নিখিলেশ-
বুঝতে পেরেছি মোর ভুল,
‘উৎকোচ দিয়ে চাকরী আর না
শপথ করলুম, ধরে টিকির চুল!
হয়েছে হয়েছে-
নন্দের সুমতি দেখে হয়েছি মুগ্ধ
আসছে পূজার অগ্রিম নিমন্ত্রন রইলো
চলে এসো, বাড়িশুদ্ধ।
বাহ! আপনি তো নন্দকে আদর্শ চরিত্র বানায় দিলেন! মাশা আল্লাহ! এইটা কবিদের পাওয়ার! :guiter:
এমনিতে ‘নন্দলাল’ নামটা শুনলে প্রথমেই মাথায় যে ছবিটা বেশে উঠে তা হল পেট মোটা, নিতান্ত অলস শ্রেণীর, বড়-বড় কথা বলিয়ে এমন একজন মানুষকে 😛 কারণটা হয়তো স্কুল জীবনে পড়া দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘নন্দলাল’ সবারই পছন্দের মজার কবিতার তালিকায় প্রথম দিকেই থাকে :happy: । আমি নিজেও যে এ কবিতাটা কতবার পড়েছি, মনে নেই :love:
হাস্যরসাত্মক উপায়ে সচেতনতামূলক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে, যদিও আমার দুর্বল শব্দভাণ্ডার লিখার সাহস খুব বেশী যোগায় না। নন্দলাল’র মধ্যমেই তার শুরু। নন্দলালকে নিয়ে লেখা প্রথম কবিতার লিঙ্কটা দিয়েই দিলাম–http://shorob.com/?p=13339
যদিও নন্দলাল নিজে এখনও সম্মুখে আসে নি। ইনশাল্লাহ, কোন একসময় সম্মুখে আনার চেষ্টা থাকবে। 🙂
পড়া+মন্তব্য উভয়ের জন্য, ধন্য হতে বাদ দিলাম 😛
বায়োপোয়েট! :happy: :happy:
কই থেইকা যে এই টার্মগুলান ইমপোর্ট করিস?
:thinking:
যে কবি মাইক্রোবায়োলজিতে পড়াশুনা করে তাকে কি বলবি- ‘মাইক্রোপোয়েট’ ? 😛