উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের হয়রানি (২য় ও শেষ পর্ব)

(১ম পর্ব – এর পর)

গত ৯ জুন ২০১৩ তারিখে প্রকাশ হওয়া এই লেখাটির ১ম পর্বে আমি তুলে ধরেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটের বিভিন্ন বিভাগে কীভাবে বিভিন্ন শর্ত আরোপ করার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির পথ দিনে দিনে সংকুচিত করে দেয়া হয়েছে। এই পর্বে আলিম (এইচএসসি) শ্রেণিতে সায়েন্স গ্রুপে পড়ে আসা শিক্ষার্থীরা ‘ক’ ইউনিটে কী কী হয়রানির সম্মুখীন হয়, তার একটি চিত্র তুলে ধরবো বলে ঐ লেখাটির শেষদিকে আশা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু এরপরই ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে আলিম ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন সিলেবাস দেখে এই লেখাটি ঠিক যেভাবে লেখার পরিকল্পনা ছিল, সেভাবে লেখার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। সিলেবাসের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই এই লেখাটি অন্যভাবে লিখতে হচ্ছে।

প্রথমেই নতুন সিলেবাস সম্পর্কে কিঞ্চিৎ তুলনামূলক আলোচনা করা যাক। সবাই নিশ্চয়ই অবগত যে এ বছর যারা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষে ভর্তি হয়েছে, তাদের সিলেবাসে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ নামক নতুন একটি আবশ্যিক বিষয় যোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ১০০ নম্বরসহ সর্বমোট ১৩০০ নম্বরের পরীক্ষা তাদেরকে দিতে হবে। বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা সব বিভাগের জন্যই মোট নম্বর হবে ১৩০০।

আর অপরদিকে যারা মাদরাসায় দাখিল পাস করে আলিম ১ম বর্ষে ভর্তি হল, তাদের পরিবর্তনটা বিশাল! আগের সব বিষয় তো অপরিবর্তিত আছেই, বরং আরও কিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে। যেমনঃ
১. বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে পরীক্ষা দেবার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল, সে সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলা ও ইংরেজি প্রত্যেকটিতে ২০০ নম্বর করা হয়েছে। এখানে দু’টো বিষয়ে ১০০ করে মোট ২০০ নম্বর বাড়ল।
২. বিজ্ঞান বিভাগে এতদিন গণিত ও জীববিদ্যা যেকোনো একটি বিষয়ই কেবল নেয়া যেত, তাও আবার অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে! আর তার ফলে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তিতে বেশ কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছিলো। মূলত এই পর্বে ঐ সমস্যাগুলো নিয়েই আলোচনা করার পরিকল্পনা ছিল, কারণ এর আগে কখনও ঐ সমস্যাগুলো আলোচনায় আসে নি। কিন্তু নতুন সিলেবাস অনুযায়ী এখন দু’টো বিষয়ই পড়তে হবে কলেজের মত, অর্থাৎ একটা কম্পুলসরি আরেকটা অপশনাল। সুতরাং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য এখানে একটি বিষয়ের দু’টি পত্র মিলে আরও ২০০ নম্বর বাড়ল।
৩. আর কমন আবশ্যিক বিষয় হিসাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ১০০ নম্বর তো যোগ হয়েছেই।

অতএব, একনজরে বলতে গেলে ২০১৫ সালে আলিম পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা দিতে হবেঃ
বিজ্ঞান বিভাগ – ১৭০০ নম্বর
মানবিক বিভাগ – ১৫০০ নম্বর

এখন… সিলেবাসের এই পরিবর্তনের ফলে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শর্তগুলো সব পূরণ হয়ে যায়, অর্থাৎ ভর্তির সেই শর্তগুলো মাদরাসা শিক্ষার্থীদের পথ আটকে দিতে পারছে না; সুতরাং এ পর্যায়ে আমাদের খুশি হবার কথা, হাঁপ ছেড়ে বাঁচবার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এতকিছুর পরও কিছু বিষয় চিন্তা করে ঠিক যেন ততটা খুশি হতে পারছি না! কিছু আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে! যেমনঃ

    • মাদরাসা শিক্ষার্থীরা এখন নতুন সিলেবাসের আলোকে পড়াশোনা করছে, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সব শর্ত পূরণ হয়ে যায়। কিন্তু একটা বিষয় তো স্পষ্ট যে ঐ শর্তগুলো আরোপ করার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে আটকে দেয়া। কেননা ঐ শর্তগুলো যেমন যোগ্যতা নির্ণয়ের কোন উপযুক্ত মাপকাঠি ছিল না, তেমনি সেগুলো অন্য কারো ক্ষতিও করত না। সুতরাং যদি তা-ই হয়, অর্থাৎ ঐ বিভাগগুলোর মূল উদ্দেশ্যই যদি হয় মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে বাধাগ্রস্ত করা, তাহলে এই নিশ্চয়তা কোথায় যে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষেও ভর্তির জন্য পুরনো ঐ শর্তগুলোই বহাল থাকবে? এই নিশ্চয়তা কোথায় যে অন্য এমন কোন নতুন শর্ত আরোপ করা হবে না, যাতে আবারও তারা ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়?
    • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, গণিত ও জীববিদ্যা উভয়টা পড়ার জন্য এমনিতেই এতদিন বিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থী দাখিলের পর কলেজে চলে আসার প্রচলন ছিল। এখন এই সমস্যা একদিক থেকে সমাধান করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন যখন একজন ছাত্র দেখবে যে কলেজে পড়লে যতগুলো বিষয় পড়তে এবং পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, মাদরাসায় পড়লে সেই সবগুলো তো আছেই বরং তারসাথে আরও চার চারটি বিষয়ের পরীক্ষা বেশি দিতে হবে, তখন নিঃসন্দেহে সে মাদরাসা-বিমুখ হতে বাধ্য! কেউ এত কষ্ট করতে চাইবে না, সবাই কলেজে চলে আসবে। ফলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির যে শর্তগুলো পূরণ করার জন্য এই নতুন সিলেবাস কার্যকর করা হল, তাতে উল্টো ‘মাদরাসা’ নামক প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্বই যেন একটি পরোক্ষ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে! এ যেন মাথাব্যথা উপশমের জন্য মাথা কেটে ফেলার মত সমাধান!

এখানে স্পষ্ট করা প্রয়োজন, প্রথম আশঙ্কাটা হয়ত ততটা প্রবল নয়, ধারণা ভুল হতেও পারে। বরং মনেপ্রাণে চাই যে ভুল হোক। কিন্তু দ্বিতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটা বেশ প্রবল! কারণ এ আশঙ্কা শুধু আমার নয়। বরং স্বয়ং মাদরাসা শিক্ষক এবং ছাত্রদের। ভর্তির পর এই অল্প কয়দিন ক্লাস করে তাদের অভিজ্ঞতা নাকি তেমনটাই জানান দিচ্ছে!

গত বছরের বহুল আলোচিত মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিলো একজন মাদরাসার ছাত্র, যে কিনা দাখিল ও আলিম উভয়ই মাদরাসা থেকে পড়েছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সাফল্যের উদাহরণ তো অসংখ্য, যা আগেই বলেছি। সুতরাং মাদরাসায় যে অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাদের যোগ্যতার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলারও কোন সুযোগ নেই। সুতরাং সহজ জিনিসকে অহেতুক কঠিন করে তুলবার কোন মানে হয় না।

একদম সোজা বাংলায় কিছু কথা বলে ইতি টানতে চাই। ধর্ম বিষয়টা নিয়ে আমরা যতই তর্কবিতর্ক করি না কেন, সত্য এটাই যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী জ্ঞানচর্চাটা কেবল মাদরাসাতেই হয়। মাদরাসার বাইরে নিজস্ব প্রচেষ্টায় যারা ইসলামী জ্ঞানচর্চা করেন, তা খুবই সামান্য এবং অবশ্যই যথেষ্ট নয়। সুতরাং সাধারণ মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই অনুভব করা উচিৎ যে মাদরাসা নামক প্রতিষ্ঠানটার অস্তিত্ব আমাদের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও অনেক বাস্তব সমস্যা ও ত্রুটি আছে। পুরো সিস্টেমটাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে তোলার জন্য আরও অনেক চিন্তাভাবনার সুযোগ ও প্রয়োজন আছে। অতএব উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে ধানাই পানাই কিংবা সিলেবাসে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন (যা ফলপ্রসূ নয়) করে এক্সপেরিমেন্ট চালানোর চেয়ে এর কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু মাদরাসা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নয়, বরং তা পুরো দেশ ও জাতির জন্যই মঙ্গলজনক হবে।

শাহরিয়ার সম্পর্কে

সারাদিন নানান ধরণের চিন্তাভাবনা মাথায় কিলবিল করতে থাকে। তার কিছু অংশ ডায়েরির পাতার পরিবর্তে এখানে স্থান দেয়ার প্রয়াসে...
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চিন্তাভাবনা, বিবিধ-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

4 Responses to উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের হয়রানি (২য় ও শেষ পর্ব)

  1. আমরা কবে এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো জানি না! এবং আদৌ বুঝছি না কতজন এর পেছনের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক মোটিভগুলো সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। তবে আপনার শেষের সোজা বাংলায় ইতি টানার কথাগুলো আমার বিশেষ ভালো লেগেছে। সাহস করে এইধরণের কিছু কথা কারো বলা দরকার ছিল।

    ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে যদি কেউ দেখতে না-ও চায়, দেশের সামগ্রিক কল্যানে চিন্তা করলেও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে এভাবে ধবংস করে ফেলার প্রক্রিয়াটাকে স্বাগত জানানো যায় না। আমি সাহিত্যের দিকটা ফোকাস করছি। মৌলিক উৎসগুলো (আরবী ও ফারসি) থেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যগুলোকে (মৌলিক উৎস থেকে অনুবাদ) দিয়ে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে পারবো না আমরা। এটা যেকোন দেশের সাহিত্যিক উৎকর্ষ সাধনে একটা নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

    আমি একটি লেখায় পড়েছিলাম এখনকার মাদ্রাসাগুলোতে যেই আরবী-ফারসি ভাষা পড়ানো হয় তা পুরোনো আরবি ফারসি। যার সাথে আধুনিক আরবি ও ফারসির বেশ দুরত্ব রয়েছে। আমি আরবি- ফারসিতে বিশেষভাবে অজ্ঞ, জানি না এই অভিযোগটা সঠিক কী না। সঠিক হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই দিকে লক্ষ্যপাত করবে আশা করি।

    আচ্ছা, মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারের ইস্যুটিতে আসি,
    আহমদ ছফা লিখেছিলেন, “তাদের মধ্যে এমন একটা মনোভঙ্গি প্রকট হয়ে উঠে বন্যজন্তুকে ধরে শিক্ষা দিয়ে পোষ মানানোর মত করে মধ্যযুগীয় (!) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে চান। এই যান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে *মানবিক শ্রদ্ধাবোধ* ও *মানবিক সহানুভূতি*র কোন সংযোগ নেই। ফলে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে- মাদ্রাসা শিক্ষা ও স্কুলের শিক্ষা একে অপরের প্রতি স্পর্ধী হয়ে উঠেছে। ”

    সিভিল সোসাইটির অনেক বেশি আন্তরিক হওয়া দরকার এই ইস্যুতে, এক চোখ বন্ধ করে চলার নীতি ত্যাগ করে।

    আহমদ ছফা এই বিষয়ে বেশ চমৎকার কিছু লেখালেখি করেছিলেন একসময়। আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে অনেকাংশে মিলে। তখন অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল ভর্তিকে এহেন আজব নীতি প্রচলিত হয় নি। যাহোক- শিরোনামঃ ‘মাদ্রাসা ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী’ (৫ জুন, ১৯৮০- গনকন্ঠ পত্রিকায়) ‘মাদ্রাসা শিক্ষার কথা’ ( ১৯৯৫ সাল- সাপ্তাহিক রোববার ) আর, ‘আধুনিক আরবি ফারসি ও আমাদের মাদরাসা শিক্ষা’ (১৯৯৪) । এগুলো বর্তমানে পাবেন আহমদ ছফা’র ‘নির্বাচিত অরাজনৈতিক প্রবন্ধ’ সংকলনে। আমি কিনেছিলাম পাবলিক লাইব্রেরির পাশের ফুটপাথ থেকে। নীলক্ষেতেও পাওয়া যায়। আপনি যদি না পড়ে থাকেন, সংগ্রহ করে নিয়েন- বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

    চমৎকার দায়িত্বশীল লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

    • শাহরিয়ার বলেছেনঃ

      তথ্যসমৃদ্ধ একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনে—ক কৃতজ্ঞতা। বিশেষ কৃতজ্ঞতা আহমদ ছফা’র লেখাগুলো রেফার করার জন্য। 🙂

      অবশ্যই আমি ঐ লেখাগুলো সংগ্রহ করবো এবং পড়বো, ইন-শা-আল্লাহ। অচিরেই।

      সাহিত্যের দিকটা ফোকাস করে আপনি চমৎকার কিছু কথা বলেছেন। ইন ফ্যাক্ট এভাবে কখনও চিন্তা করাই হয় নি।

      আর সমস্যা তো ঐ এক জায়গাতেই… যতদিন না “সিভিল সোসাইটি এক চোখ বন্ধ করে চলার নীতি ত্যাগ করে আন্তরিক হবে”, ততদিন আসলে কোন লাভ হবে না, আমরা যতই “চমৎকার দায়িত্বশীল লেখা” লিখি না কেন… 🙁

  2. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    এই পর্বটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ! এই একদম নেগলেক্টেড বিষয়ে সরব হবার জন্য ভাইয়াকে অসংখ্য সাধুবাদ। কী এক অবস্থা আমাদের সমাজের, মাদ্রাসা শুনলেই নাক সিঁটকানোর ভঙ্গি দেখেছি অনেকের মাঝে। তারেক মাসুদেরা কেবল মাদ্রাসার খারাপ দিক/ দুর্বলতা নিয়েই চলচ্চিত্র বানান, জঙ্গি তৈরির কারখানা বলে প্রচার করে অনেকেই, কী অদ্ভীত অথচ কেউ এই ইনজাস্টিস নিয়ে কথা বলে না। কেউ বলে না মাদ্রাসার ছেলেরা কত ভালো করছে ভর্তি পরীক্ষায় এত বাধা সত্ত্বেও। এইটা কেউ ফোকাস করে না ! যে ছেলেটা এত ভালো করল ভর্তি পরীক্ষায় সে জঙ্গি ?

    এই লেখাটা অনেক বেশি ছড়ানো দরকার।

    • শাহরিয়ার বলেছেনঃ

      আর কীইবা বলার আছে, বলুন তো আপু? অতিসম্প্রতি আরেকজন ‘মহান'(?) ব্যক্তি তো বলেই ফেললেন, “এখন প্রতি ৩ জন ছাত্রের ১ জন মাদরাসার ছাত্র! আমরা এটাকে বদলানোর আন্দোলন শুরু করে দিয়েছি…!” একে তো ৩ জনের ১ জন মাদরাসার – এ তথ্য মোটেই ঠিক না, আর যদি তা হয়ও তাতে তার এত অ্যালার্জির কারণ বুঝা মুশকিল। এ ধরণের উক্তির সমালোচনা করতে গেলে ভাষা সংযত রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে, রুচিতে বাধে!

      আসলে এই ইস্যুটা নিয়ে আমরা যে কোনদিকে চলেছি আল্লাহই ভাল জানেন। সবার উদাসীনতা দেখলে মাঝে মাঝে বড্ড হতাশ লাগে! 🙁

      পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।