বাড়ছে বয়স, পাক ধরেছে চুলে
অর্থব পাঁজর ভাঙ্গা বার্ধক্য ধরেছে আজ আমায়।
সন্তানদের কাছে আজ আমি বোঝাস্বরূপ,
আমার শেষ আশ্রয় আজ বৃদ্ধাশ্রম।
এমন দিন দেখব বলেই কী-
রক্ত পানি করে খাটলাম আমি সারাটা জীবন?
নিজের আধখানা মাছের টুকরাটাও তুলে দিতাম সযত্নে,
আজ হঠাৎ করে অনেক বড় হয়ে যাওয়া
সেদিনের ছোট্ট বাবুসোনাটার পাতে।
জানেন? যৌবনে আমার খুব সখ ছিল
একটা সোনালী রঙের দামী হাতঘড়ি কেনার;
কিনিনি।
ছোট্ট বাবুটা ফার্স্ট হল পরীক্ষায়,
কী হবে সোনালী ঘড়ি দিয়ে?
সাইকেল কিনে দিয়েছিলাম অতি আদরের বাবুটাকে।
জানেন? খুব সখ ছিল তাজমহল দেখার,
প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের কিছু টাকা রখেছিলাম জমিয়ে
হুট করে ছেলেটা বিয়ে করে ফেলল
কী হবে তাজমহল দেখে?
সবটুকো টাকা দিয়ে গয়না গড়ে দিলাম ছেলের বউকে
ভেবেছি, এরাই তো আমার সব,
আমার সাধের সোনালী ঘড়ি, আমার তাজমহল।
প্রবঞ্চনা কেবল মানুষই করে মানুষের সাথে
প্রকৃতি করে না কখনও, করেনি আমার সাথেও।
আমার বৃদ্ধ বাবাকেও একদিন যেতে হয়েছিল বৃদ্ধাশ্রমে
প্রকৃতি আজ গুনেগুনে আমায় তা ফেরত দিচ্ছে
কিছুই করার নেই আজ আমার
আজ আমার আত্মপলোব্ধির দিন,
কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেল…
আমি এই টপিকেই একটা লেখা দেবার ইচ্ছা রাখি।
আমাদের আত্মোপলব্ধি হোক
ভাইয়া, সমস্যাটা হচ্ছে, ‘এভরিবডি ইজ ওয়াইজ আফটার দ্যা ইভেন্ট’ 🙁
ভাইয়া, বুঝলাম না, ‘আমি এই টপিকেই একটা লেখা দেবার ইচ্ছা রাখি’– আপনি এ টপিকটার উপর কিছু লিখছেন, এটাই বুঝাচ্ছেন?