প্রিয় মানবজমিন সম্পাদক, অনেকক্ষণ থেকে ভাবছিলাম কিছু বলব আপনাকে। আপনার পত্রিকার একটি সংবাদ (http://www.mzamin.com/details.php?nid=NzI2NzQ=&ty=MA==&s=MzY=&c=MQ==) আজ আমার মাথাব্যথার কারণ।ঘটনার নায়িকা (আপনাদের ভাষায় প্রেমলীলায় অংশগ্রহণকারী ১৮ বছর মেয়েটি ) আমার পূর্বপরিচিত,কাছের কেউ বলেই নিজের চুপ করে থাকা বিবেকের দংশন সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আমি সাধারণ নাগরিক,তাই কলম তুলে নেয়া ছাড়া আর কিছু মাথায় ও আসলোনা।যদিও জানি না এই লেখা সরবে প্রকাশিত হবে কিনা। কেউ জানবে কিনা সীমান্ত নামের একটি মেয়ের স্বপ্নভঙ্গের ছোট গল্পটা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অবস্থার শিকার একটি মেয়ে কে এভাবে দুশ্চরিত্রা বানানোর মত করে খবর পরিবেশন করায়! আপনারা পারেন ও! নাকি ভয়ে অথবা ঘুষ নিয়ে ঘটনা অন্যদিকে ঘুরাতে চাইছেন? একটু কি কষ্ট করে মূল ঘটনা জানবেন ও প্রকাশ করবেন? আপনারা না আগালে ভেবে দেখুন এই অসহায় মেয়েটা কোথায় যাবে? কার কাছে সত্যটা বলবে ? নাকি আমরা আরেকটা মেয়ের সুইসাইড এর খবরের অপেক্ষায় থাকবো ? ভেবে দেখুন না একটা ১৮ বছরের মেয়ে কি আসলেই একজন বুড়ো শিক্ষকের প্রেমে এতই ডুবে যেতে পারে যে দেহ দিয়ে যাবে দিনের পর দিন?আপনারা কি জানেন এই মেয়েটা কাউকে ভালবাসত ?জানেন দিনের পর দিন ছেলেটার হাত ধরে কেদে আকুতি করেছে তাকে বাচাতে?বেচারা শক্তিশালী প্রশাসন আর রাজনৈতিক অপশক্তির ভয়ে মুখ টা খুলতে পারেনি। শুনতে পান
আপনি?আপনিও তো একজন বাবা।দেখুন না একটু জানার চেষ্টা করে।কিভাবে পিতৃতুল্য,পিতার বন্ধুবর,শিক্ষক যখন কোনো এক দুপুরে মেয়েটিকে ডেকে নিয়েছিল তার বাসায়,কত বিশ্বাস নিয়ে মেয়েটি গিয়েছিল,যা খানখান হয়েছিল ওই নরপিশাচ এর হাতের একেকটা ঝাপটায় আর ওই মেয়ের নরম চিত্কারে।জানেন?কেমন করে একটা মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিল এভাবে সেদিন দুপুরে??তারপর দিনের পর দিন যখন তখন ডেকে নিয়েছে,প্রতিবাদ করলে বলেছে রুয়েট থেকে বহিস্কার করা হবে। যে প্রিয় বাবার স্বপ্ন বুকে নিয়ে রুয়েট এসেছে সে কেমন করে ফিরে যাবে,তাই দিনের পর দিন গোঙানি আর নিরব কান্নায় বিসর্জন দিয়েছে নিজের সম্মান,এক বিবাহিত নরপশুর কাছে!!! আচ্ছা আর কত পরিমলের কাছে এই মেয়েগুলো জিম্মি হবে?আর কত পরিমল এমন ফুলের মত মেয়েদের রস শুষে নিয়ে বিকৃত হাসি হাসবে? সম্পাদক সাহেব, একটু আসুন না মেয়েটার পাশে।আপনি চাইলেই,আপনারা চাইলেই আরেকটা সীমান্ত আত্মহত্যার রাস্তা থেকে ফিরে আসবে হয়ত . . . .
বি . দ্র . সরবের অ্যাডমিন রা এই কথা গুলো পৌছে দেয়ার প্রয়োজন আদৌ বোধ করবেন কিনা জানি না।শুধু শেষ আশা টুকু ব্যবহারের ইচ্ছে টা দমন করতে পারলাম না।সবাইকে ধন্যবাদ।
-A. R.
ব্যাপক সেনসিটিভ একটা ব্যাপার।শেষ খবর যতটুকু জানি মেয়ে টি কে চিরতরে রুয়েট ছাড়তে হয়েছে।সবার অগোচরে,রাতে।অনেক মেয়ে এবং রুয়েট এর অনেকেই এখনো ব্যাপারটা জানে না।আমি কিছু টা জানি (পরিচিত থাকার সুবাদে)তাই শেয়ার করলাম।রুয়েটিয়ান আর কারো কিছু জানা থাকলে kindly শেয়ার করেন।এই কামরুজ্জামান হারামি টা অনেক প্রভাবশালী,সবাই জানতে না পারলে হয়ত বেচে যাবে,আর কারো ইজ্জত মারবে।এর আগেও আরো কিছু মেয়ের সাথে এমন সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছি।ছাত্রী হলের অনেকেই কিছু জিনিস জানে,কিন্তু ভয়ে মুখ খুলে না।বোন রা এটা আপনাদের আরেক বোনের ইজ্জতের প্রশ্ন,সরাসরি না পারলে আমার মত ছদ্মনামে বলুন।তাও সবাইকে সত্য টা জানান।আপুরা চুপ থাকবেন না।
নিউজটা দেখে খুব আঁতকে উঠেছিলাম এটা ঠিক, কিন্তু তার চেয়েও বেশি শক খেলাম ঘটনার পেছনের এই ঘটনায় ! কী জঘন্য অবস্থা !
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সত্যটাকে বলার জন্য। শিক্ষক নামের এই গুটিকয়েক পশুকে জ্যান্ত কবর দেয়ার দরকার।