[সম্প্রতি ‘Wrecking Ball’ গানটি গেয়ে আলোচিত–সমালোচিত হয়েছে টীন সিটকম Hannah Montana ((http://en.wikipedia.org/wiki/Hannah_Montana))খ্যাত, ২০ বছর বয়সী গুণী শিল্পী মাইলি সাইরাস ((http://en.wikipedia.org/wiki/Miley_Cyrus))। Disneyর ((http://en.wikipedia.org/wiki/The_Walt_Disney_Company)) তৈরি সফলতম শিল্পীদের একজন মাইলি, যার নাম ২০১১তে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও এসেছে ‘মোস্ট চার্টেড টীনএজার‘ হিসেবে। এই গান নিয়ে আবার তাকে চিঠি লিখেছেন ৪৬ বছর বয়স্কা, ৮০র দশকের আরেক বিখ্যাত নারী শিল্পী শিনেইড ও‘কনার ((http://en.wikipedia.org/wiki/Sin%C3%A9ad_O’Connor))। নারী অধিকারের সপক্ষে আর শিশু নির্যাতনের বিপক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিতর্কের খাতিরে হলেও আলোচনাও এসেছিলেন তিনি বিভিন্ন সময়ে। তার চিঠিটির অনুবাদ এখানে দিচ্ছি।]

সেই মাইলি

এই মাইলি
প্রিয় মাইলি,
গতকাল থেকে নানান খবরের কাগজ থেকে যদি অবিরাম ফোন কল না আসতো, আজ হয়তো এ চিঠি লিখতে বসতাম না আমি। রোলিং স্টোনে ((http://en.wikipedia.org/wiki/Rolling_Stone)) তুমি সেদিন বলেছো, তোমার ‘রেকিং বল’ গানের ভিডিও নাকি আমার ‘নাথিং কম্পেয়ার্স’এর অনুকরণে তৈরি – এ নিয়ে আমার মতামত জানতে ব্যস্ত তারা সবাই। মতামতটা এখানেই দিচ্ছি। জেনো অনেক ভালোবাসা নিয়েই বলছি কথাগুলো, ঠিক তোমার মায়ের জায়গা থেকে।
নিজের গানের ভিডিও-তে নগ্ন হয়ে হাতুড়ি চাটা খুব চৌকস কোন কাজ – তোমার চারপাশের মানুষ যে তোমাকে এই বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে কিংবা হয়তো তোমার নিজের এই বিশ্বাসেই ইন্ধন যুগিয়েছে, তা ভেবে আমি যারপরনাই চিন্তিত। তার চেয়েও বেশি চিন্তিত এই নিয়ে যে নিজের শরীরকে ব্যবহৃত হতে দিয়ে তুমি নিজের মেধাকেই ম্লান করে ফেলছো – সে ব্যবহার সঙ্গীত ব্যবসায়ীরাই করুক কি তুমি নিজে।
নিজেকে এভাবে ঠকালে ভবিষ্যতে ক্ষতি ছাড়া আর কিছুরই মুখ দেখবে না তুমি। আর নিজের স্পষ্ট, স্বীকৃত মেধার চাইতে দৈহিক আবেদন দিয়ে মূল্যায়িত হতেই বেশি আগ্রহ তোমার – সবাইকে এমন ইঙ্গিত দিলে তুমি নিজে তো স্বাধীনতা পাবেই না কোনদিন, উপরন্তু অন্য মেয়েদের স্বাধীন হবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
আমি যে কোন না কোনভাবে তোমার আদর্শ, তা জেনে আমি সত্যিই খুশি হয়েছি। আর সেজন্যই ধরে নিচ্ছি যে আমার বলা কথাগুলো নিয়ে তুমি কিছুটা হলেও ভাববে।
তোমার বা সঙ্গীতের সাথে জড়িত আর কারো ভালোমন্দ নিয়েই চিন্তিত নয় সঙ্গীত ব্যবসায়ীরা। তোমার যা কিছু আছে তার সবটা নিয়েই গণিকা হিসেবে নিলামে তুলবে তারা তোমাকে, আবার তোমাকে এমনভাবে ধোঁকা দেবে যাতে তুমি ভেবে নাও যে এর সবই তোমার নিজের ইচ্ছেয় হচ্ছে। আর এই গণিকাবৃত্তির ফল হিসেবে যখন তোমাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে, সেই সময়েই তারা হয়তো অ্যান্টিগার কোন এক প্রমোদতরীতে শুয়ে রোদ পোহাবে তোমারই দেহ-বেচা টাকায়। তোমার পাশে এসে কেউ দাঁড়াবে না সেদিন।
চোখ দিয়ে যে লোকেরা তোমার শরীর গিলছে তারাও যে তোমার ভালো চায় এমনটা ভাবার মত ভুল করে ব’সো না। মেয়েরা অনেক সময়েই লালসাকে ভালোবাসা ভেবে ভুল করে বসে। কেউ তোমার শরীরটাকে চাইছে তার মানে এই নয় যে সে তোমার ভালোও চাইছে। তার ওপর তোমার নিজের কাছ থেকেই যদি তারা এমন ইঙ্গিত পায় যে তুমি নিজের ভালো-মন্দ নিয়ে চিন্তিত নও, তাহলে তো কথাই নেই। তুমি যদি এমন সব মানুষদের মাঝখানে নিজেকে রাখো যারা কিসে তোমার ভালো তা নিয়ে চিন্তা করে না, তাহলে এমন ভুল করার সম্ভাবনা আরো বাড়বে তোমার। শোনো, সত্যিই যদি তোমাকে কেউ ভালোবাসে তবে সে কখনোই চাইবে না যে তুমি ব্যবহৃত হও কোন বস্তুর মত। এই ‘কেউ’ তুমি নিজেও হতে পারো।
হুম, ঠিক ধরেছো। আমি বলতে চাইছি যে তুমি নিজেকে ভালোবাসো না। কিন্তু এই অবস্থা তো আর চলতে পারে না মাইলি। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে হিসেবে তোমাকে রক্ষার দায়িত্ব তোমার চারপাশের মানুষদের, তোমার অধীনে যারা কাজ করে তাদের আর সেই সাথে তোমার নিজেরও। এই বিপদজনক পৃথিবীতে আমরা কেন নিজেদের কন্যা সন্তানকে নগ্ন হয়ে চলতে দিতে চাই না জানো? কারণ তাহলে পশু আর পশুর চেয়েও নিম্নস্তরের কিছু ‘মানুষ’এর খপ্পরে পড়ে তারা, যাদের বেশিরভাগই দুর্ভাগ্যজনকভাবে সঙ্গীতজগত আর এর সাথে যুক্ত মাধ্যমে কাজ করে।
নিজের শরীর কিংবা শারীরিক আবেদন ফেরি করার চাইতে আরো অনেক বড় কিছুর যোগ্য তুমি। কিন্তু এই দৃষ্টিকোণ শোবিজ জগতের নয়, তারা সবকিছুকে অন্য এক চোখে দেখে – সেটা তোমাকে নিয়ে যারা ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ করতে চায় তাদের কথাই বলো কি অন্য কেউ। নিজের এখনকার মোহগ্রস্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসলেই দেখতে পাবে – তোমার যৌবন আর সৌন্দর্যকে বিকিয়ে টাকা কামানো ছাড়া অন্য কোন কারণ নেই তাদের তোমাকে চাওয়ার। আর তাদের এই স্বার্থ সবচেয়ে চমৎকারভাবে সিদ্ধ হবে যখন শোবিজের ভয়াবহতার প্রতি তোমার যৌবনই তোমাকে অন্ধ করে ফেলবে।
আবারো বলি, তোমার মেধার এমন কোন অভাব হয় নি যে তুমি নিজের শরীরকে ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে শোবিজের লোকেদের। তোমাকে বোকা বানানোর সুযোগ তাদেরকে দেয়ার তো কোন মানে হয় না। ভুলেও কখনো ভেবো না যে তারা তোমার ভালোর জন্য কাজ করে; তারা ছোটে টাকার পেছনে আর আমরা গানের পেছনে। এটা নতুন কিছুও নয়, সবসময় এমনটাই হয়ে এসেছে আর ভবিষ্যতেও এমন হতে থাকবে – এই সত্য কোন মেয়ে যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে, ততই নিজের জীবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় সে।
রোলিং স্টোনে তুমি এ-ও বলেছো যে এই গানে তোমার সাজ ছিল ‘নাথিং কম্পেয়ার্স’ গানে আমার সাজের অনুকরণে। জানো, আমার রেকর্ড কোম্পানিও যে আমাকে সে সময়ে একই কাজ করতে চাপ দিচ্ছিল ঠিক যে কাজটা তুমি করেছো? আমার সেই সাজ ছিল উদ্দেশ্যমূলক – তাদের প্রস্তাবের প্রতিবাদ; কারণ আমি তো কখনো রূপ দিয়ে মূল্যায়িত হতে চাই নি, চেয়েছি আমার বিচার হোক আমার প্রতিভা দিয়ে। আমি সন্তুষ্ট আমার তখনকার সিদ্ধান্ত নিয়ে। হয়তো বা সেই সিদ্ধান্তের কারণেই আজ এই ৪৭ বছর বয়সে এসেও আমি সেই চিরচেনা আস্তাকুঁড়ে নিজেকে দেখতে পাচ্ছি না, অনেক গায়িকারই মধ্যবয়সের ঠিকানা হয় যে আস্তাকুঁড়। সেইসব নারী শিল্পীর কথা বলছি যারা ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছিলেন নিজেদের যৌনতাকে পুঁজি করে।
ভবিষ্যতে এভাবে নিজের শরীর আর যৌনতাকে পুঁজি করে অন্যদেরকে টাকা আয়ের উপায় করে না দিলেই নারী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তোমার সত্যিকারের ক্ষমতায়ন হবে। তোমার নগ্ন হওয়ায় তোমার চাইতে ঐসব লোক অনেক বেশি টাকা রোজগার করে – এই কথাটা জেনেশুনে নির্দ্বিধায় বলার মত যথেষ্ট সময় ধরে অন্তত এই ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেছি আমি। নিজেকে এভাবে সস্তায় বিকিয়ে দেয়ায় কোন গৌরব নেই, বরং বিপদ-সঙ্কেত আছে তোমার বয়সী, তোমার ভক্ত অন্য সব মেয়েদের জন্য। দয়া করে ভবিষ্যতে দেহবিক্রির এমন প্রস্তাবগুলো ফিরিয়ে দিয়ো। জেনো, তোমার শরীর কেবল তোমার নিজের আর তোমার ভালোবাসার মানুষের জন্য। তোমার শরীর ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়ানো অভাগা লম্পটদের জন্য নয়, তোমার শরীর প্রতিটি লোভী রেকর্ড কোম্পানি মালিকের রক্ষিতাকে হীরের গয়না কিনে দেয়ার উপকরণমাত্র নয়।

সেই শিনেইড

এই শিনেইড
যেসব লোক বলছে নিজেকে ‘হান্নাহ্ মন্টানা’র পোশাক থেকে বের করে আনার উপায় হচ্ছে তোমার এই নগ্নতা, জেনো তাদের না আছে তোমার প্রতিভার প্রতি কোন শ্রদ্ধা, আর না আছে একজন মেয়ে হিসেবে তোমার জন্য কোন সম্মান। পুরনো চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তোমার গানগুলোই যথেষ্ট; সত্যি কথা বলতে, নগ্ন হয়েছো বলে না বরং চমৎকার কিছু গান করেছো বলে এর মধ্যেই নিজেকে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছো তুমি। আমরা চাই বা না চাই, সঙ্গীতজগতের বাসিন্দা হিসেবে প্রতিটি সাধারণ মেয়ের সামনে আমরা আদর্শ, আর তাই তাদের কাছে কোন্ শিক্ষা পৌঁছে দিচ্ছি তা নিয়ে আমাদের প্রচণ্ড সতর্ক থাকা উচিত। তুমি তাদেরকে অনবরত শিখিয়ে চলছো যে শরীর বিকোনো খুব গৌরবের ব্যাপার। সত্যিই কি গৌরবের, নাকি বিপদের কথা এটা বলো তো? নিজের শরীরী আবেদনের চাইতে আরো অনেক বড় কিছু দিয়েই তো মূল্যায়িত হওয়ার কথা ছিল মেয়েদের। আমরা কি শুধুই কামনার ধন, মাইলি? আমি চাই নিজের বন্ধুদেরকে আরো রুচিশীল কোন শিক্ষা দাও তুমি, তোমার ক্যারিয়ারে এখন যা হচ্ছে তার চাইতেও অনেক বেশি কিছুর যোগ্য তুমি – এ কথা তাদের জানাও। আর এসব কথা তোমার অধীনের যে সব লোক এখনো তোমাকে জানায় নি, তাদেরকে শিগ্গির বাদ দিয়ে দাও তোমার জীবন থেকে – কারণ তারা কেউ তোমার ভালো চায় নি।
[পুনশ্চ: এই লেখার উদ্দেশ্য নারীর ‘বস্তুকরণ’কে অনুৎসাহিত করা, যে বা যারা নারীদেহকে ব্যবসার কাজে লাগাতে চায় তাদের চেষ্টাকে নস্যাৎ করা। সেই হিসেবে এই পোস্ট পড়ে কেউ মাইলি সাইরাসের উল্লিখিত গানের ভিডিও দেখতে না চাইলেই ভালো। গানটি নিয়ে আগ্রহ জাগা স্বাভাবিক, সে আগ্রহ মেটাতে অনলাইনে প্রচুর নিউজ আর্টিক্ল, ব্লগ ইত্যাদি পাবেন – সেগুলোই যথেষ্ট। নেতিবাচক কিছুর প্রচার কিংবা প্রসার চালানো এই ব্লগপোস্টের উদ্দেশ্য নয়। ধন্যবাদ।]
[মূল চিঠি এখানে ((http://www.theguardian.com/music/2013/oct/03/sinead-o-connor-open-letter-miley-cyrus)), অনুবাদ ঈষৎ পরিমার্জিত]
অসাধারণ একটা চিঠি আর তার অনুবাদ ! 🙂
আসলেই দারুণ আপু চিঠিটা। যদিও এই ঘটনাটা শেষমেশ আরেকটা গতানুগতিক সেলিব্রিটি কোন্দলে রূপ নিয়েছে, তবুও এই চিঠি এককভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে নানান কারণে।
বেশ ভাল লাগলো লিখা টা … ধন্যবাদ
8)
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
জেনো, তোমার শরীর কেবল তোমার নিজের আর তোমার ভালোবাসার মানুষের জন্য। তোমার শরীর ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়ানো অভাগা লম্পটদের জন্য নয়, তোমার শরীর প্রতিটি লোভী রেকর্ড কোম্পানি মালিকের রক্ষিতাকে হীরের গয়না কিনে দেয়ার উপকরণমাত্র নয়।
চিঠিটা দারুণ
এবং অনুবাদের কথা কিছু নাই বা বলি 😛 :love:
সমালোচনা করেন আফা!
ভবিষ্যতে এভাবে নিজের শরীর আর যৌনতাকে পুঁজি করে অন্যদেরকে টাকা আয়ের উপায় করে না দিলেই নারী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তোমার সত্যিকারের ক্ষমতায়ন হবে।
তোমার নগ্ন হওয়ায় তোমার চাইতে ঐসব লোক অনেক বেশি টাকা রোজগার করে – এই কথাটা জেনেশুনে নির্দ্বিধায় বলার মত যথেষ্ট সময় ধরে অন্তত এই ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেছি আমি.
শোনো, সত্যিই যদি তোমাকে কেউ ভালোবাসে তবে সে কখনোই চাইবে না যে তুমি ব্যবহৃত হও কোন বস্তুর মত
এই গুলা হাইলাইট করতে পারেন।
দারুণ একটি লেখা! আসলেই মায়ের জায়গা থেকে বলেছেন।
হাইলাইটেড!
ঝরঝরে অনুবাদ। ইংরেজিটাও পড়লাম, আপনার শব্দচয়ন আর সাবলীল হয়েছে, আপনার টার ইংরেজি অনুবাদ আরও ভাল হত। যাই হোক, পোস্টের বিষয় খুব গূরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এর আশু কোন সমাধান দেখছিনা।
অনেক ধন্যবাদ। 🙂 আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে, এ ধরনের কথাগুলো ছড়ালে কিছুটা হলেও সমাধান আশা করা যায়, পুরোটা না হোক।
“শোনো, সত্যিই যদি তোমাকে কেউ ভালোবাসে তবে সে কখনোই চাইবে না যে তুমি ব্যবহৃত হও কোন বস্তুর মত।”
নিহার ভাইয়ার শেয়ার করা লিঙ্ক থেকে গত পরশুই চিঠিটা পড়লাম। একবার ভেবেছিলাম আপনাকে দেখাই অনুবাদের জন্যে। 😛 কী ভুলটাই না করলাম না বলে!
অনুবাদ ২ কেজিন ভালো হইছে!! 😀 😀
আমি তো পরশুর চারদিন আগেই অনুবাদ প্রকাশ করলাম। ফেবু আর সরবের জন্য আপনার বরাদ্দকৃত সময়ের তারতম্য বোঝা গেলো! মাইর খাবা বুঝলা পিচ্চি :haturi:
ইউ মিসড সামথিং… অ্যান ইমোটিকন… 😛 😛
সামিরা ভাপু‘র হাতুড়ির আঘাত… কী মিষ্টি… 😛
ভবিষ্যতে এভাবে নিজের শরীর আর যৌনতাকে পুঁজি করে অন্যদেরকে টাকা আয়ের উপায় করে না দিলেই নারী হিসেবে, মানুষ হিসেবে তোমার সত্যিকারের ক্ষমতায়ন হবে। তোমার নগ্ন হওয়ায় তোমার চাইতে ঐসব লোক অনেক বেশি টাকা রোজগার করে – এই কথাটা জেনেশুনে নির্দ্বিধায় বলার মত যথেষ্ট সময় ধরে অন্তত এই ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করেছি আমি।
ভাল লাগল 🙂
🙂
চিঠি আশাকরি মাইলি পড়েছে………
সামিরার অনুবাদ… ঃ)
নিজের যোগ্যতায় যেন আমরা আস্থা রাখতে শিখি………
পড়েছে আপু, খুব বাজে ভাষায় প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে। 🙁
একমত পুরোপুরি। 🙂
‘রেকিং বল’ গানটা শুনলেও গানের ভিডিও আগে দেখা হয় নি। পোস্ট পড়ে দেখতে গিয়ে পুরোই হোঁচট খেয়েছি! এটা মাইলি! এই অবস্থা তার! ইউটিউবে দেখলাম হাজার হাজার মন্তব্য পড়েছে ভিডিওর নিচে। খুশির ব্যাপার হলো, সত্যিকার মাইলি ভক্তরাও তাকে এভাবে দেখে অখুশি। ভালোবাসার মানুষটাকে শরীর বিক্রির জায়গায় দেখতে কষ্ট লাগার কথা বৈকি!
অনুবাদ দুর্দান্ত! আগের মতই সামিরাটিক! 8)
ঠিক এই চিঠিটাই অনুবাদের জন্যে বিশেষ বিশেষ ধন্যবাদ। ‘নারী’ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি একটু বেশিই চিৎকার করি, এ তো নতুন কিছু নয়! 😐
পোস্ট লেখার উদ্দেশ্য মানুষকে গানের ভিডিও দেখতে আগ্রহী করা ছিল না, উল্টোটাই বরং। ‘প্রচারেই প্রসার’ হয়ে গেল তো ব্যাপারটা। হতাশ হলাম। 🙁 এই পোস্টে পরে যারা আসবে তাদের জন্য যোগ করে দিলাম, গান নিয়ে জানতে চাইলে গুগল করে প্রচুর আর্টিক্ল পাওয়া যাবে উইকিপিডিয়াসহ, ইউটিউবে যাওয়ার দরকার নেই।
ধন্যবাদ আপু। চিৎকারের পাশাপাশি মেয়েদেরই আসলে নিজেদের কাজেকর্মে, জীবন দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে যে তারা বস্তু নয়, মানুষ।
আমি জানি কিছু ক্ষেত্রে জিনিসটা নেতিবাচক এবং আমি এটাও জানি যে আমার ভিডিও দেখতে যাবার ব্যাপারটা ইতিবাচক হয় নি। উইকি বা অন্যান্য ব্যাপার মাথায় ছিলো না। তবে আমি মূল যে কারণে গিয়েছি, মন্তব্যগুলো পড়া হয়েছে। আমি দেখতে চাচ্ছিলাম মাইলি ভক্তরা তাদের আইডলকে কীভাবে গ্রহণ করে। দেখে ভালো লাগলো, তারা তাদের আইডলের মত সব বোধকে বিসর্জন দেয় নি এবং তাদের ভালোবাসাটা কিছুমাত্র ছোট নয়।
অবশ্যই কাজ করার আশা রাখি! ইনশাআল্লাহ।
অসম্ভব ভালো লাগলো…
🙂
চমৎকার অনুবাদ আপু, মনের কথা গুলোই দেখতে পেলাম যেন! শুভ কামনা। 🙂
ধন্যবাদ। 🙂
ওহ অসাধারণ বলেছেন, আসলেই মায়ের জায়গা থেকে বলেছেন, মিডিয়া জগতে এমন চিন্তার মানুষ থাকতে পারে, আমার ভাবনার বাইরে ছিল, প্রশ্ন জাগে, উনি টিকে আছেন কিভাবে?? জানি না মাইলি তাকে সেই যোগ্যতায় বসাবে কিনা, কেননা খ্যাতি নাকি মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আমি ভিডিও টা দেখেছি এক বান্ধবীর কথা শুনে যে মাইলির গান তো শুনেই না, বরং আমি শুনি বলে জানে, তাই এমন বীভৎস জিনিস এখনো দেখি নাই বলে পাঠায় দেয়, তাই মাইলি যদি এমন প্রচারণা চায়, তাহলে তার শ্রোতা হিসেবে হতাশ। 😯 🙁
“শোনো, সত্যিই যদি তোমাকে কেউ ভালোবাসে তবে সে কখনোই চাইবে না যে তুমি ব্যবহৃত হও কোন বস্তুর মত। এই ‘কেউ’ তুমি নিজেও হতে পারো। ” :huzur:
গায়িকাদের মধ্যে এরকম মানুষ একজন-দুজন হয়তো মিলতে পারে, যদিও নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম। সিনেমা জগতে শূন্যই হওয়ার কথা সংখ্যাটা।
মাইলি খুবই বাজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এখন পর্যন্ত।
অসাধারন একটা চিটি। অনুবাদও অসাধারন হয়েছে 🙂
ধন্যবাদ! 🙂
অসাধারণ বললে একটু কম হয়ে যায়। হ্যাটস অফ আপি।
থ্যাঙ্কু অক্ষর!