মধ্যাহ্নের ঝাঁঝালো রোদে,
পিচ-গলা রাস্তায় হেঁটে যায় তৃষ্ণার্ত এক যুবক।
জীবনের শততম চাকুরির ইন্টারভিউতেও,
অকৃতকার্য হয়েছে সে!
সেই সকালে একটা ন্যাঁতানো টোস্ট
আর এক গ্লাস পানি খেয়ে বেরিয়েছে।
রাস্তার পাশে পর্দায় ঘেরা খাবার দোকান
একরাশ তৃপ্তিময় মুখ বের হয় সেখান থেকে।
পকেটে একটা আধছেঁড়া দশ টাকার নোট,
দোকানের পাশের ট্যাপকলের পানি খেয়ে
আবার হাঁটতে থাকে।
হঠাৎ তার দৃষ্টি আটকিয়ে যায়—
উঠা-নামায় ব্যস্ত ঘূর্ণায়মান রিক্সাচাকার স্পোকগুলোতে।
ভালো মাইনের একটা চাকরী পাবে,
বাবাকে একটা নতুন চশমা কিনে দেবে,
ছোট বোনটাকে একটা লাল শাড়ি,
ছোট-ভাইটাকে ক্রিকেট ব্যাট,
মাকে- নিজের মত খরচের জন্য কিছু টাকা,
আরেকটা হাতের স্বপ্ন।
একটা হাতের স্বপ্ন দেখে সে—
যে হাত তাকে ধরে থাকবে সব দুঃখ-সুখে, হাসি-কান্নায়
‘মামা কই যাইবেন?’
রিক্সাওয়ালার ডাকে বাস্তবে ফিরে আসে যুবক।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে— ‘কোথাও না’, বলেই
হাঁটতে থাকে সে…
হুম
‘হুম’ কেন? :thinking: … 😛
আমি ঠিক নিশ্চিত না এটা কবিতা হলো কিনা।
কবিতার সংগায়ন না হলেও কবিতা হয়ত বোঝা যায়।
I know it when I see it! টাইপ ব্যাপার।
গদ্য হলে লেখাটা কেমন লিখতে সেটা ভাবছি।
হুম ( ভাপু’র মন্তব্যের কপি-পেস্ট! 😛 )
তোর লেখার যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো একটা জীবনের ছায়া লেখায় উঠে আসা! ছায়াটা চলতে থাকুক। 🙂
:love: :love:
দু’আ করো আপু 🙂
বাস্তবতা করুণ, নিষ্ঠুর… 🙁
ঠিক কবিতার মত লাগে নি…
🙁 🙁 🙁
আমার কাছে তো কবিতার মতো-ই লেগেছে… :thinking:
পুরোটাই প্রবাহমান। তবে প্রথম ও শেষ চারলাইনের মধ্যে একটা ভাষার চমৎকার রূপ আছে। ভালো লেগেছে, বেশ!
তাই? … 😐
এমন মন্তব্য পেলে কার না ভালো লাগে :yahooo:
মন ভালো করে দেয়া টাইপ মন্তব্যের জন্য, ১৪ পাউণ্ড ধন্যবাদ জানুন! 😛 … 🙂
বাহ!! বেশ ভালো হয়েছে তো… 🙂
এরকম করে আমি কোনদিন লিখতে পারলাম না, মন্তব্য করেই জীবন কাটায় দেই। 🙁
কিছুদিন ধরে চাকরি প্রাপ্তি বিষয়ক অপ্রাপ্তির কথাগুলো আশেপাশে শুনছি, সাথে বোধ করছি দীর্ঘশ্বাসটুকুও । ভয় হয়, তা না নিজেকেই চেপে ধরে, তারপরও জানি, জীবন থেমে থাকবে না, রিকশার প্যাডেল ধরে সে আসবেই, রিচার্জ ব্যাটারি লাগালেও।
ভালো ক্রিটিক হওয়াও কিন্তু কম কথা না! 😛
হুম, জীবন থেমে থাকে না, বয়ে চলে তার নিজের নিয়মে-নিজস্ব গতিতে…
মন্তব্য ভালা পাইলাম, ক্রিটিক আফা :love: