আমি কই? মাথায় এক ধরণের ভোঁতা যন্ত্রণা নিয়ে চারপাশটা দেখতে থাকে ফটেং
আবছা নীলাভ ধোঁয়ার ঢাকা রুমটা, কেমন যেন ভূতুরে একটা পরিবেশ। ওপাশ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে খানিকটা ভয় পেয়ে যায় ফটেং। আগের চেয়ে জোরে চিৎকার দিয়ে, ‘কেউ কি আছেন? আমি এইখানে ক্যান? কেউ থাকলে জবাব দেন, আমার খুব ভয় লাগতাসে।’
কোন জবাব আসে না, ধীরে নীলাভ কুয়াশা কেটে যেতে থাকে। হঠাৎ-ই একটা মেটালিক ভয়েস শুনতে পায় ফটেং। থেমে-থেমে আসছিলো শব্দগুলো।
-ভয় নেই খোকা, তুমি নিরাপদেই আছো।
—কিন্তু আমি এইখানে ক্যান? আর আপনে কে?
-আমি ইয়াতিফুস। তুমি এখন আছো ‘লো’ উপগ্রহে, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, প্রায় দশলাখ কিলোমিটার দূরে!
—এতিফুস! এইডা আবার কারো নাম হয় নিকি?
-হুম, নামটা তোমার জন্য অদ্ভুত লাগারই কথা। আমাদের সবার নামের শেষেই ‘ফুস’ শব্দটা আছে। কুয়েতিফুস, দাইদ্যাফুস, সিনেতিফুস- এরকম। ফটেং-ও কিন্তু মোটামুটি অদ্ভুত নাম, হেসে ওঠে ইয়াতিফুস।
—আমার-টা অন্য হিসাব! আমার ভালা নাম ফটিক। এক ঘটনার পর থেইক্যা পুলাপান সবাই ফটেং বইলা ডাকে। এহন বাজান আর মায়ে-ও ফটেং ডাকে। নামডা অবশ্য আমারও মন্দ লাগে না। থাক, বাদ দেন। আইচ্ছা আফনে কই থেইকা কথা কইতাসেন? আফনেরে দেহি না ক্যান?
-তুমি তো আমাকে দেখতে পাবে না। আমাকে দেখতে হলে ইনফ্রারেড চশমা পড়তে হবে! হিট সেনসিটিভ-এ ধরণের চশমা অবশ্য আমাদের আছে কিন্তু তোমাকে তা ইচ্ছে করেই দেয়া হয় নি, তুমি হয়তো প্রথম দেখাতে আমাদের ভয় পেতে পারো।
—আচ্ছা, আফনারে না দেখলেও ক্ষতি নাই, কিন্তু আমারে এইখানে আনছেন ক্যান?
-আছে কারণতো একটা নিশ্চয়ই আছে, একটু পর সব জানতে পারবে। তুমি নির্ভয়ে থাকো, আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবো না।
—আমি ভয় পাইতাসি আফনেরে কে কইসে? দ্যাশে মাঝরাইতে বাথরুম ধরলে মেলা দূরের ঝোপে একালা চইলা যাই আর আমার করব ভয়! আমরা সবচেয়ে বেশি ডরাই আমগো পেটরে, হারাদিন পেটের চুলায় আগুন জ্বলতে থাকে, কিন্তু ঠাণ্ডা করণের লাইগা খাওন নাই; বাজান অইেন্যের জমিতে বর্গা খাটে, এতো খাওন আইবো-ই বা কই থেইকা?
-বুঝলাম। তোমার কী ক্ষুধা লেগেছে?
—এইডা একটা আচানক বিষয়- কহন থেইকা আফনের লগে প্যাঁচাল পারতাসি কিন্তু এর মইধ্যে একবারও পেট ডাকে নাই!
-হা-হা-হা!
—হাসতেসেন কী জইন্যে?
-তুমি তো আসলে বুঝবে না, তারপরও বলি- তুমি তোমার চারপাশে যে নীল ধোঁয়া দেখছ, সবই এর কারসাজি। আসলে এই গ্যাস যেটা করছে সেটা হল- তোমার ক্ষুধা লাগার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করছে। তার মানে তুমি যতক্ষণ এখানে আছো তোমার কোন ক্ষুধা লাগবে না।
—আচানক কারবার দেখতাছি! আইচ্ছা, আমি যদি এখন গরম-গরম রসে ডুবাইনা জিলাপি খাইতে চাই, এই যন্তর টা-কি হেইডা পারবো?
আরেহ! সত্যি-সত্যিই তো জিলাপি খাইতাসি, এমন মনে হইতাসে! এই যে, আফনে কি এহন আছেন এইখানে?
–আছি।
—এমন একটা মেশিন আমগো দ্যাশে থাকলে জব্বর হইত!
-হুম, একদিন এমন মেশিন তোমাদের পৃথিবীতেও তৈরি হবে। কিন্তু সেটা কম করে হলেও আরও এক হাজার বছর পর! এ গ্যাস তৈরি করতে যে রেডিওঅ্যাকটিভ নিহিলক্সিফোর্ডিয়াম দরকার সেটার অবস্থান হবে তোমাদের পিরিয়ডিক টেবিলের ১৯৭ তে। তাছাড়া, পৃথিবীর রসায়নবিদেরা স্বতন্ত্র ইনার্ট গ্যাসের ক্ল্যাথরেট তৈরি করতে পারলেও সবগুলো নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলোর সাথে ওয়াইটারবিয়াম আর গ্যাডোলিনিয়ামের কম্বিনেশানে সুপারক্ল্যাথরেট তৈরি করতে জানে না। এই চিন্তা মানুষের মাথায় আসবে আরও পাঁচশো বছর পর!
আফনে এতক্ষণ যা বললেন, আমি তার কিছুই বুঝি নাই। বুঝনের কথাও না, আমি এবার কেলাস নাইনে উঠবো। বাজানের ইচ্ছা আমি সাইন্স লইয়া পড়ি কিন্তু আমার যেই মাথা- সাইন্স নিলে খালি ফেইল-ই না বড়-বড় রসগোল্লা পামু পরীক্ষায়!
—নাহ, পাবে না। আমার সাথে কথা বলার ফাঁকেই, তোমার মাথায় জটিল একটা অপারেশান করে দেয়া হয়েছে! তোমার মাথায় এখন নিউরন সংখ্যা ১০ ট্রিলিয়ন যা এক হাজার জন মানুষের মোট নিউরন সংখ্যার সমান। বিবর্তনের ধারায় মানব মস্তিষ্ক এতো সংখ্যক নিউরন ধারণ করতে সময় লাগবে আরও দেড় কোটি বছর! যদিও পৃথিবী এতদিন টিকবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাহোক, তুমি মনে মনে কোন গুন করে দেখতে পারো।
ফটেং অবাক হয়ে লক্ষ্য করে যে, সে এখন আর আগের গাধা ছাত্র ফটেংটি নেই। সে চাইলেই এখন মুহূর্তের মধ্যে একহাজার সাতশত একান্নর সাথে দুইহাজার তিনশত এক গুণ করে ফেলতে পারে! তার মাথা আশ্চর্য রকমের পরিষ্কার হয়ে গেছে!
—আরে, সত্যি-ই তো! আমি এখন মনে-মনে অনেক বড় বড় গুণ করে ফেলতে পারি। কঠিন-কঠিন ট্রান্সলেশনও করতে পারছি নিমেষেই! আমি তো ঢাকা থেকে আমাদের গ্রামে ঘুরতে আসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ঐ ভাইয়া আপুদের মত শুদ্ধ ভাষায়ও কথা বলতে পারছি! কিন্তু এমনটা হলে তো বিপদ, একটু হতাশ হয় ফটেং
-কোন বিপদ না। তুমি চাইলেই তোমার গ্রাম্য ভাষায় কথা বলতে পারবে। দেখো, চেষ্টা করে।
—ধুর, ক্যাডায় কইসে আফনেরে? বলেই অবাক হয়ে যায় ফটেং, পরক্ষণেই শব্দ করে হেসে উঠে।
-কি খুশি তো এবার? পৃথিবীতে গিয়ে এবার তুমি শুধু সায়েন্স-ই পড়তে পারবে না, তুমি হবে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদ! অসম্পূর্ণ সবগুলো গনিতের সমস্যা তুমি সমাধান করতে পারবে!
খুশিতে ফটেংয়ের চোখে পানি আসার উপক্রম হল। না, পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদ সে হবে, সে জন্য নয়। ভালো করে পড়াশুনা করে, ভালো বেতনের একটা চাকরি পেলেই সে অনেক খুশি। বাবা-মা’র কষ্ট মাখা মুখ দেখতে আর ভালো লাগে না তার। ভাবতেই চোখ দু’টো হেসে উঠে ফটেংয়ের। কিছুক্ষণ পর, আচ্ছা, আপনি কিন্তু এখনও আমাকে বলেন নাই, আমাকে কেন এখানে এনেছেন।
–আমরা তোমাকে দিয়ে তোমাদের পৃথিবীর মানুষদের আমাদের কাছে ঋণী করে রাখতে চাই।
—কিন্তু আমার যতোটুক মনে হয়, পৃথিবীতে যাওয়ার পর আমার কিছুই মনে থাকবে না মানে আপনারা আমার এই স্মৃতিগুলো মুছে পৃথিবীতে পাঠাবেন, তাই না?
–হুম, ঠিক তাই। আমারা তোমার মস্তিষ্কে পয়েন্টফাইভ অ্যাটোমিটারের একটা চিপ ঢুকিয়ে দিয়েছি। যার মধ্যে আমাদের সাথে পৃথিবীর মানুষের যোগাযোগ করার কোড দেয়া আছে। অ্যাটোমিটার যে কতোটা ছোট সেটা আন্দাজ করতে পারো?
—হ্যাঁ, পারি। এক মিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগ আরও সহজভাবে বলা যায় এক পিকোমিটারের মিলয়ন ভাগের এক ভাগ!
-ঠিক বলেছ! অ্যাটোমিটার লেভেলের পার্টিকাল ডিটেক্ট করার মত প্রযুক্তি এখনও পৃথিবীর মানুষ আবিষ্কার করতে পারে নি। তবে একটা কথা আছে…
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ফটেং জিজ্ঞেস করে, ‘কী কথা?
-গণিতে তোমার অবদান এতোই অসামান্য হবে যে তোমার মৃত্যুর পর অন্যান্য বিজ্ঞানীরা তোমার সমস্ত মস্তিষ্ক কেটেকুটে পরীক্ষা করবে- তোমার সুপারন্যাচারাল ক্ষমতার উৎস জানতে। হয়তো, তারা তোমার মস্তিষ্কে লুকানো চিপটা খুঁজেও পেতে পারো। যদি তোমরা চিপটা খুঁজে পাও, আমরা অবশ্যই তোমাদের যোগাযোগে সাড়া দেব।
—কিন্তু, আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। তোমরা নিজ থেকেই পৃথিবীর মানুষদের সাথে যোগাযোগ করছ না কেন?
-আমারা যোগাযোগ করছি না কারণ, সেক্ষেত্রে তোমাদের পৃথিবীর মানুষের নজর এসে পড়বে আমাদের উপগ্রহে। তোমরা সেই আদিকাল থেকেই ‘লোভ’ নামক রিপু ধারণ করে আসছ। লোভের তাড়নায় তোমরা স্ব-প্রজাতিকেও হত্যা কর অকপটে! যুদ্ধ, হানা-হানি লেগেই আছে। আমরা যাবতীয় লোভ থেকে মুক্ত। আমরা আলাদা কোন সত্ত্বা না। আমরা সবাই এক। আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলোও সামগ্রিক। যদিও ইন্টারগ্যালাকটিক ওয়ারে আমাদের হারানো তোমাদের পক্ষে অসম্ভব! আমদের শুধু আমাদের স্বয়ংক্রিয় লেজার অস্ত্রগুলো দিয়ে পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে পারি কিন্তু আমরা তা কখনোই করব না। এক্সট্রিম কণ্ডিশান না হলে আমরা কখনোই ইন্টারগ্যালাকটিক ওয়ার চাই না।
—তোমরা যাবতীয় লোভ থেকে মুক্ত? তাহলে পৃথিবীর মানুষকে তোমাদের কাছে ঋণী করে রাখতে চাইছ কেন? তীক্ষ্ণ স্বরে প্রশ্ন করে ফটেং
-তোমাদের দয়া করছি, বলতে পারো।
কিছু না বলে হাসল ফটেং।
-হাসছো কেন?
—আমার কী মনে হয় জানো- তোমরা আসলে নিজেদের স্বার্থেই আমাকে নিয়ে এসেছ।
-তার মানে? তীক্ষ্ণ স্বরে ইয়াতিফুস জিজ্ঞেস করে
—আমার মনে হয়- তোমরা আসলে এই নিল কুয়াশা ছাড়া আর কিছুই না! তোমাদের এই ধোঁয়াটে শরীরই হয়তো এর কারণ। তোমাদের হয়তো ইভল্যুশন সম্ভব নয়তো, তোমরা শুরু থেকেই এমন! এখন, তোমরা যা চাইছ তা হচ্ছে- মানব দেহের মত একটা অবয়ব! মানব দেহ তৈরি করার মত প্রযুক্তি তোমাদের নেই, অবশ্য আমরা মানুষেরাই কী তা পারি! মোদ্দাকথা, তোমরা এই মুহূর্তে পৃথিবী আক্রমণ করার মত সামর্থ্য অর্জন করে উঠতে পারো নি।
-তাহলে, তোমাকে পৃথিবী পাঠিয়ে আমাদের লাভটা কী?
—তোমরা আমাকে পৃথিবী পাঠাবে কে বলল? আর তোমরা আসলে আমার মস্তিষ্ক পরিষ্কার কর নি, মাথা পরিষ্কারের একটা অনুভূতি দিয়েছ মাত্র! তোমরা কিছুক্ষণ পর আমাকে মেরে ফেলবে। মেরে আমার প্রতিটা কোষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। কিন্তু লাভ নেই, তোমারা যখন পৃথিবীকে আক্রমণ করার ক্ষমতা অর্জন করবে। তখন আমরাও নিশ্চয়ই অনেক এগিয়ে যাবো। হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছিলে- আমারা আদি থেকেই ‘লোভ’ নামক একটা রিপু ধারণ করছি কিন্তু আমাদের সেই সাথে আছে একটা অনুসন্ধিৎসু মন, যা আমরা গভীর মমতায় লালন করি। অজানাকে জানার এই আগ্রহই আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছে। আমরা এখন মঙ্গলগ্রহে বাস করা যায় কি-না সেটা নিয়ে গবেষণা করছি। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা সিইটিআই দিয়ে তোমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবো।
তারপর বেশ কিছুক্ষণ পিনপতন নীরবতা। হঠাৎ, ভেসে আসে-
ফটেং, তুমি সবটা ঠিক বল নি। এটা সত্যি যে, আমাদের আর বিবর্তন ঘটবে না, সে কারণে আমাদের প্রযুক্তিগত অগ্রসরতাও খুব মন্থর! কিন্তু তোমার উপর গবেষণা করে আমারা যদি, নিজেদের পুরোপুরি না হলেও অনেকটা মানুষের অবয়বের ডিজাইন তৈরি করতে পারি তাহলে পৃথিবীকে আমারা খুব সহজেই ধ্বংস করতে পারবো। আমরা প্রথম থেকেই তোমার সাথে বাংলায় কথা বলছি, শুধু বাংলা না পৃথিবীর আদি থেকে বর্তমান সব ভাষায়ই আমরা বুঝবো, টেকনিক্যালি আমরা উইক এমনটা ভাবার কিন্তু কোন কারণ নেই!
আমদের আসলে তোমাকে এতোটা সময় দেয়া ঠিক হয় নি। তোমাকে কৃত্তিম অনুভূতির আওতায় আনাটাই ভুল ছিল! মূলত, তোমার সাথে কথা বলার ফাঁকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
যাহোক আমরা ডিসিশান নিয়েছি, তোমাকে পৃথিবী পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমরা এতক্ষণ তোমার পুরো দেহেরই আলট্রা স্ক্যানিং করে নিয়েছি। আমরা নিজেরাই তা গবেষণা করে দেখবো। আমরা থেমে থাকবো না। তোমার বুদ্ধি আমাদের বিস্মিত করেছে, তাই তোমাকে হত্যা করা হচ্ছে না। তুমি তোমার গ্রহকে বাঁচিয়ে দিলে ফটেং! বিদায়…
‘ঐ ফটেং, তাড়াতাড়ি ঘুম থেইকা ওঠ, আইজ না তোর স্কুলে ভর্তি হওনের কথা? তোর বাজান তোরে নিয়া যাইব। ওঠ বাজান?’, ফটেংকে ডেকে দেয় ওর মা।
-শোন বাজান, আমি হেডমাস্টার স্যারের লগে কথা কইসি, তোরে সাইন্স নিবার দিব! মন লাগায় পড়তে পারবি না বাপ? বলতেই আনন্দে ঝলমল করতে থাকে ফটেংয়ের বাবার দুটি চোখ।
-পারমু বাজান।
বাপ ছেলে মিলে, স্কুলের পথে হাঁটতে থাকে।
দারুণ দারুণ! :love:
অনেকদিন পর সাইফাই পড়ে বেশ লাগলো! বেশ কিছু মেসেজও উঠে এসেছে! এই ব্যাপারটা আরো ভালো লাগার! 😀
দুই-একটা টাইপো আছে।
ঠিক করে নিস। 🙂
🙂 * :love: = ছন্দা’দি
দুইটা টাইপো চোখে পড়েছে, আর-তো চোখে পড়ছে না। দেখত, এখন ঠিক আছে কি-না?
আচ্ছা, আঞ্চলিকতার টান ঠিক রাখতে গিয়ে লেখা এই বানানগুল-‘দ্যাশে’, ‘ক্যাডায়’, ‘ক্যান’, ‘থেইক্যা’, ঠিক আছে তো?
দারুণ 😀
:love: 😀
সাইফাই ভালা পাই… :love:
এই প্রথম সাই-ফাই লেখার ট্রাই করলাম, কতটুকু পেরেছি জানি না… 🙂
আফা, আপনের মন্তব্য গুলান ও ভালা পাই :love:
তবে লেখা নিয়ে সমালোচনা করলে আরেকটু বেশি ভালা পাইতাম! 😛
প্রথম হিসাবে অনেক ভালো, মেসেজগুলো ঢুকিয়ে দেয়াতে আরও ভালো হয়েছে। সমালোচনা পরেরবার করব। 😀
জানিত! :happy: 😛
ট্যাগলাইনের শব্দগুলো দেখে ভয়ই পেয়েছিলাম,
পরে ঢুকে দেখি সাই-ফাই।
অনেক ভালো লাগলো। আপনি তো গল্প এমনিতেই ভালো লিখেন, সাই-ফাই চালিয়ে যান।
‘ট্যাগলাইনের শব্দগুলো দেখে ভয়ই পেয়েছিলাম,
পরে ঢুকে দেখি সাই-ফাই।’ … 😛
ইনশাল্লাহ চালিয়ে যাবার চেষ্টা থাকবে, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
খটোমটো শব্দ ব্যবহার করে যেসব সাইফাই লেখা হয় সেগুলি আমাকে তেমন টানে না। এই গল্পে তেমন শব্দে খুব বেশি নেই দেখে ভালো লাগলো। প্লটটাও ভালো লাগলো। আমার মনে হয় পৃথিবীর চমৎকারতম সাইফাইগুলি চমৎকার হয় দাঁতভাঙা শব্দের জন্য না বরং গভীরতার জন্য। 🙂
সত্যি বলতে কি ভা’পু, খটমট শব্দ আমি এমিনিতে জানিও খুব কম।
সুপারক্ল্যাথরেট, নিহিলক্সিফোর্ডিয়াম এই শব্দগুলা নিছক কল্পনা! 8) যদিও নিহিলক্সাইড গ্যাসের কথা অনেক সায়েন্সফিকশানেই দেখা যায়! 😛
এপার-ওপার বাংলার বিভিন্ন লেখকদের লেখা বেশ কিছু সাইফাই একত্রে একটা বই, ‘শতাব্দীর সেরা সায়েন্সফিকশন’ নামে একটা বই পড়েছিলাম, যার মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের ‘নিউটনের ভুল সূত্র’, জাফর ইকবাল স্যারের ‘প্রোগ্রামার’ এর মত সাই-ফাইও ছিল 🙂
মূলত ঐ বইটা পড়ে, সায়েন্সফিকশানের মত খটমটে ( বইটা পড়ার আগে এমনটাই জানতাম 😛 ) ব্যাপারও যে বাস্তবতার নিরিখে লেখা যায়/ সম্ভব তা বুঝতে পারি 🙂
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভা’পু কে একশ গুলাবময় টিঙ্কু! 😛 … :love:
দারুন তো… :happy:
:guiter: … 😀
বেশ ভাল লাগলো … লিখার মধ্যে একটা সাবলিল ভাব আসে , এক নিঃশ্বাসে পড়া শেষ করে ফেললাম :guiter:
এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করা + মন্তব্য, উভয়ের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানুন ভাইয়া 🙂
কি বলবো বুঝতে পারতেছি না, বেশ হয়েছে লেখাটা, এক নিঃশ্বাসে পড়তে চাইছিলাম কিন্তু এইদি কি বাপ- “নিহিলক্সিফোর্ডিয়াম” “ওয়াইটারবিয়াম” “গ্যাডোলিনিয়াম” !!!! 😀
আবার এইগুলো না থাকলেও ঠিক সাই-ফাই ভাবটা আসে না। 😛
চালিয়ে যাও…
“ওয়াইটারবিয়াম”, “গ্যাডোলিনিয়াম”, এদের পর্যায় সারণীতে অবস্থান যথাক্রমে ৭০ আর ৬৪।
আর নিহিলক্সিফোর্ডিয়াম কল্পনা!…(নিহিলক্সাইড + রাদারফোর্ডিয়াম) নিহিলক্সিফোর্ডিয়াম 😛
থেঙ্কু-মেঙ্কু! 🙂