মুভি দেখতে সবসময় ভালোবাসি, যদিও কাজের ফাঁকে আজকাল অনেক কমে গেছে আমার মুভি দেখা। প্রবাসে দুখী দুখী ঈদ পালনের পরে একটু মুভি দেখার মুড আসল। আর সে সময়েই দরিদ্র.কম এ পেয়ে গেলাম “টেলিভিশন” মুভিটা। বলতে দ্বিধা নেই মোস্তফা সারোয়ার ফারুকীর কাজগুলো আমার আসলে তেমন ভালো লাগে না। কিন্তু এই মুভিটা দেখার জন্য একটু আকর্ষণ ছিল, মূলত আন্তর্জাতিকভাবে বেশ ভালো স্বীকৃতি পাওয়ায়।
প্রথমেই যেটা বলা দরকার, “টেলিভিশন” ফারুকীর টিপিক্যাল ধাঁচের মুভি থেকে একটু আলাদা। একটু অন্যরকম হওয়াই ভালো লাগার কারণ। আমি অভিজ্ঞ মুভি রিভিউয়ার নই, সাধারণ দর্শক হিসেবে সাদামাটা মন্তব্য লিখছি। ছবিটির প্লট আবর্তিত হয়েছে ধার্মিকতা ও সমসাময়িকতার বিরোধ/ভারসাম্য নিয়ে। পাত্রপাত্রীর ভাষা শুনে মনে হয়েছে নোয়াখালি অঞ্চলের বাসিন্দা।
কাহিনী মোটামুটি এরকম, বাংলাদেশের নোয়াখালি অঞ্চলের কোন এক গ্রামে এক বয়োজ্যেষ্ঠ চেয়ারম্যান প্রচণ্ড মাত্রায় খোদাভীরু একজন মুসলিম। তিনি নিজের ধর্ম ও ঈমান বাঁচাতে টেলিভিশন নামক শয়তানের বাক্সকে গ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও ক্যামেরা ব্যবহার ও ছবি তোলাকেও তিনি পাপ জেনে এইসব থেকে নিজে ও গ্রামবাসীকে দূরে রাখেন। সারা গ্রামে একমাত্র তার নিজের কাছে একটি মোবাইল ফোন রেখেছেন ব্যবসায়িক কাজে যোগাযোগের জন্য। তবে জরুরি কাজে টেলিফোন ব্যবহারের জন্য গ্রামের লোকেদের নদী পার হয়ে গঞ্জে যাওয়ার অনুমতি তিনি দিয়েছেন। একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের একটি গ্রামের লোকজন জীবনে চোখে টেলিভিশন দেখে নি, আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পায় নি অনেক ক্ষেত্রেই; এই খবর কভার করার জন্য একটি টিভি চ্যানেল থেকে একজন মহিলা সাংবাদিক আসেন এই গ্রাম পরিদর্শনে। চেয়ারম্যান যেহেতু ক্যামেরার সামনে যান না, তাই পর্দার আড়ালে থেকে উনি একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকার দিতে রাজি হন। বলা বাহুল্য, সাংবাদিকের যৌক্তিক নানা প্রশ্নে কোণঠাসা ও বিরক্ত হয়ে উনাকে বিদায় করে দেন। তবে সাংবাদিকও নাছোড়বান্দা, গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে যান তাদের মনোভাব জানতে। গিয়ে কিছুটা অবাক হন কারণ যদিও টিভি দেখার সাধ আছে সবার, কিন্তু সবাই খুশিমনে টেলিভশনের উপর নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছে কারণ চেয়ারম্যানের প্রতি তাদের অত্যন্ত ভক্তিশ্রদ্ধা ও আস্থা। এখানে একটা বিষয় ইতিবাচক যা আমাদের সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোতে দেখা ভার। সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।
মুভির শেষ অর্ধেকে পবিত্র হাজ্জ্বব্রত পালনের সংকল্প করেন চেয়ারম্যান মশাই। এরপরেই শুরু হয় নতুন বিপত্তি। কারণ হাজ্জ্বে যাওয়ার জন্য তাকে পাসপোর্ট করতে হবে, আর তার জন্য অবশ্যই ছবি তুলতে হবে ক্যামেরার সামনে গিয়ে যা কোনভাবেই করতে রাজি নন তিনি। বিশ্বাস রক্ষার এই মানসিক টানাপোড়েনে তিনি এখন কী করবেন ? ছবি না তোলাই বেছে নেবেন নাকি হাজ্জ্ব না করা? জানতে হলে দেখতে হবে।
ছবিটিতে একজন সৎ খোদাভীরু মুসলিম হিসেবে চেয়ারম্যানের চরিত্রটি অত্যন্ত সফল। অন্য ধর্মবিশ্বাসের প্রতি ইসলামের অহিংস মনোভাবও সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু চরিত্রে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরি, তিশা ও মোশাররফ করিম। কমেডি, রোমান্স, আঞ্চলিকতার মিশেলে চরম বিনোদন দিয়েছেন তারা কোন সন্দেহ নেই। সব মিলিয়ে পরিবারকে সাথে নিয়ে দেখার মত একটি ইতিবাচক চিন্তাধারার মুভি। আমার কাছে মনে হয়েছে রেটিং ৫ এ ৪ দেয়া যায়।
‘সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।’…খুবই ইম্পরট্যান্ট একটা পয়েন্ট!
‘বিশ্বাস রক্ষার এই মানসিক টানাপোড়েনে তিনি এখন কী করবেন ? ছবি না তোলাই বেছে নেবেন নাকি হাজ্জ্ব না করা? জানতে হলে দেখতে হবে।’…আহা! থামলেন যে, ভালই তো চলছিলো 😳
রিভিউও ভালা পাইসি :love: … দেখব ইনশাল্লাহ 🙂
স্পয়েলার দিলে তো আবার মন খারাপ করতা, এইজন্য দিলাম না… :happy:
মুভিটা বেশ আগের না? হঠাৎ করেই ইদানিং দেখি সবাই দেখছে এটা।
রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছা জাগলো। যোগাড় করে দেখে ফেলবো শিগ্গির দেখি। 😀
ধন্যবাদ আপু রিভিউয়ের জন্য।
হ্যাঁ খুব সাম্প্রতিক না। তবে এটা ইন্টারনেটে আগে রিলিজ হয় নি। বাংলাদেশের হলগুলোতে ওভাবে দেখানো হয়েছে কিনা সিউর না।
ওহ্ আচ্ছা এই কারণেই তাহলে আপু? তাড়াতাড়ি ডাউনলোড করতে যাই তাহলে। 😀
রিভিউ পড়ে যেটুকু বুঝলাম, বাইরের মানুষদের জন্য এই ছবিতে যতটা না চিন্তার খোরাক আছে, তার চেয়ে বেশী চিন্তার খোরাক আছে এদেশের সাধারণ মানুষের। আপনার কথামত, প্লটটা এরকম সাধারণ আর সাদামাটা হলে, এ ধরনের ছবি বোঝা খুব কঠিন হবে না।
শুধু ধর্ম নয়, অনেক সামাজিক মূল্যবোধ, রাজনৈতিক সমর্থন আর জাতীয় চেতনার ব্যাপারেই একেকজন একেক কঠোর অবস্থান নিতে পছন্দ করেন। ছবির মোরাল যদি মানুষের মাথায় ঢোকার মত চিত্তাকর্ষক হয়, তাহলে বলবো, এ ধরনের ছবির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
রিভিউটা ভালো লেগেছে আপুনি :love: :love:
মুভিটা দেখা হয় নাই
দেখব দেখি 🙂
ধইন্যা ! :love:
স্পয়লার না দেবার জন্য ধইন্যাপাতা।
গান, আর অন্যান্য চরিত্র নিয়ে কমেন্ট করা উচিৎ ছিলো!
দেখতে হবে।
এই মুভি নিয়ে একটা ইন্টারভিউ হয়েছিল সেখানে বিপুল আলোচনাও হয়েছিল যতদূর মনে পড়ে।
নাচগান তেমন নাই, একটা গানই বারবার রিপিট করছে। আর অন্যান্য প্রধান চরিত্রের যেটুকু বলেছি এর বাইরে ব্যাখ্যা আসলে তেমন কিছু করার নাই। ঐটা দেখার ব্যাপার। এখানে মোটামুটি প্লট আলোচনা করা হয়েছে।
আপনাকেও ধইন্যা, পরিবার নিয়া দেইখা ফেলেন 😀
চমৎকার ‘ইতিবাচক’ একটা রিভিউ! আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ। :happy:
মুভি জিনিসটার প্রতি আবার আমার আকর্ষণ একটু বেশিই কম! কেউ কোন মুভির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে দেখার জন্য রেফার করলে তবেই দেখা হয়। কিন্তু ঈদের পরে টেলিভিশনে এই ‘টেলিভিশন’ মুভিটা হঠাতই দেখা হয়ে গেল।
ইয়ে… ভুল বুঝবেন না প্লিজ। আমি মোটেও মুভি-বোদ্ধা নই, মানে মুভির ক্রিটিক্যাল বিশ্লেষণে যাবার ‘যোগ্যতা’ই আসলে আমার নেই। তাই মুভিটার নেতিবাচক দিকগুলোই কেন যেন আমার দৃষ্টি বেশি আকর্ষণ করেছে! আমার মনে হয়েছে, প্রশাসক যদি ধার্মিক (মোর স্পেসিফিক্যালি ইসলামিক) হয়, তাহলে একটা গ্রামের ‘টিপিক্যাল’ চেহারাটা এমন হয় – এখান থেকে এমন একটা ‘ভুল’ মেসেজ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষত যখন মুভিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তখন বাইরের লোকজনের মধ্যে কিন্তু এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হতেও পারে। আপনার কী মনে হয়?
আপনি সুন্দর একটি কথা বলেছেন, “গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন” – সেক্ষেত্রে এই মুভির নির্মাতা চেয়ারম্যানের কিঞ্চিৎ গোঁড়া স্বভাবকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের উপর চাপাতে চেয়েছেন, এমনটা বলার ‘ধৃষ্টতা’ আমি দেখাবো না। কিন্তু কেন যেন মনে হয়, নির্মাতার অজান্তেই এমন একটি ধারণা অনেকে পেতে পারে।
আমার বোঝায় ভুল থাকতে পারে, তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনি রিভিউতে যেভাবে সুন্দর করে ইতিবাচক পয়েন্টগুলো খুঁজে খুঁজে তুলে এনেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। আবারও ধন্যবাদ তার জন্য। আশা করি, সবাই এভাবে ইতিবাচক দিকগুলোই গ্রহণ করতে পারবে। :happy:
আপনার কথাগুলো পুরোপুরি ভুল না। তবে আমার কাছে ইদানিংকালের বাংলা সিনেমাগুলোর তুলনায় ইসলামিক রিপ্রেজেন্টেশন অনেক পজিটিভ মনে হয়েছে। কিছু গোঁড়া ইসলামপন্থী মনোভাব মূলত ফোকাস করেছে, মাদ্রাসাকেও পজিটিভলি দেখানো হয়েছে যেখানে আজকাল মাদ্রাসা মানেই জঙ্গি প্রচার করা হয়। আবার এমন কিছু ইসলামিস্টদের তথা দা’ঈদের কথা উঠে এসেছে যারা ইসলাম যে একটি ডাইনামিক জীবনব্যবস্থা তার প্রচারক।
আমার কাছে কেন যেন পজিটিভই লেগেছে সব। শাসক পর্যায়ে একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম আসতেই পারে, এটা নেগেটিভ করে রিপ্রেজেন্ট করা হয়েছে বলে মনে হয় নি। আসলে যেখানে কিছু মুভিতে বিরক্তিভরে বোরকা খুলে ফেলতে দেখা যায় কিংবা দাড়ি টুপিওয়ালা লোক মাত্রই ক্যারেক্টার ঢিলা দেখানো হয় সেই রেস্পেক্টে ফার বেটার।
আর আমরা সরবে ইতিবাচকতাকেই প্রমোট করছি, so let us be optimist and spread positivism.
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। 🙂
ফারুকীর কিছু নাটক ও একটা চলচ্চিত্র দেখেছি আমি। সত্যি কথা বলতে ভালো লাগে নাই।
‘টেলিভিশন’ দেখি নাই এখনো আপু। সুন্দর রিভিউটা পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে।
আপনার এই কথাটা ভালো লাগছে আপু- সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।
@শাহরিয়ার ভাই, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতারা এত বোকা নন যে তারা মনের অজান্তে এই কাজটি করবেন। 🙂
দেখে ফেলো। দেখে তুমিও একটা রিভিউ লিখে ফেলো। 😀
মুভিটা দেখা হয়নি। দেখব দেখব করেও দেখা হয়নি, রিভিউ পড়ে ইচ্ছেটা আরো বেড়ে গেল।
রিভিউ-এর জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও পড়ার জন্য। 🙂
ফারুকির সব ছবি কিংবা নাটক দেখা না হলেও, বেশ কিছু দেখেছি যার মধ্যে ‘৪২০’ নাটক আর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ভালো লেগেছে। আর এই ছবিটাও ঈদেই দেখা, তার উপর আগের দিন সাক্ষাৎকারে কিছু কথা শোনার পর দেখার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। আমার কথা পরে বলি, সবচেয়ে বড় বিষয় আম্মুর ছবিটা খুবই ভালো লেগেছে, প্রথমত অ্যাড কম থাকার কথা ফারুকি নিজে নিশ্চয়তা দেবার কারণে মা দেখতে বসেছে এবং এই প্রথম কোন মুভি পুরোটা দেখেছে!! দ্বিতীয়ত রোমান্সের জায়গাগুলোতে বাড়াবাড়ি হয়নি, যাতে লজ্জায় আব্বু-আম্মুর সামনে থেকে উঠে যেতে হইছে। আর শেষ দৃশ্যটা আসলেই অসাধারণ হয়েছে, আমাদের মতো ধর্মভীরু প্রতিটা পরিবারেই এমন কিছু আবেগ লুকিয়ে থাকা অসম্ভব কিছু নয়।
সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।
ফারুকির সব ছবি কিংবা নাটক দেখা না হলেও, বেশ কিছু দেখেছি যার মধ্যে ‘৪২০’ নাটক আর ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ভালো লেগেছে। আর এই ছবিটাও ঈদেই দেখা, তার উপর আগের দিন সাক্ষাৎকারে কিছু কথা শোনার পর দেখার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। আমার কথা পরে বলি, সবচেয়ে বড় বিষয় আম্মুর ছবিটা খুবই ভালো লেগেছে, প্রথমত অ্যাড কম থাকার কথা ফারুকি নিজে নিশ্চয়তা দেবার কারণে মা দেখতে বসেছে এবং এই প্রথম কোন মুভি পুরোটা দেখেছে!! 😯
দ্বিতীয়ত রোমান্সের জায়গাগুলোতে বাড়াবাড়ি হয়নি, যাতে লজ্জায় আব্বু-আম্মুর সামনে থেকে উঠে যেতে হইছে। আর শেষ দৃশ্যটা আসলেই অসাধারণ হয়েছে, আমাদের মতো ধর্মভীরু প্রতিটা পরিবারেই এমন কিছু আবেগ লুকিয়ে থাকা অসম্ভব কিছু নয়।
“সিনেমা-নাটকে এখন প্রায়ই ইসলামিক বেশভূষা ও ইসলাম প্র্যাকটিস করা মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে যা কোন সুস্থ বিনোদনের বৈশিষ্ট্য নয়। গুটিকয়েক মানুষের দোষ একটি আদর্শ তথা বিশ্বাসের ওপর চাপানোর আগে নির্মাতারা আশা করি ভেবে দেখবেন।”
আর আপনার লেখার এই কথাটা আসলেই দারুণ হয়েছে, ছবি শেষে এই বিষয়টা নিয়েই পরিতৃপ্ত ছিলাম।কারণ, ভাবনা ছিল টিভি নিয়ে হয়তো নেগেটিভ কিছুর দিকেই চলে না যায়। 🙁 🙂
ধন্যবাদ তোমাকে আপি। ওয়াও আন্টিও দেখছে ! :happy: