-এই যে,শুনছ??
-জী?কে ডাকছে?
-আমি,আমি রাজকন্যা, স্বপ্নের দেশে ঘর,চিনতে পারছনা??
-তুমি কি নীল আকাশের পরী?
-হ্যাঁ গো,আমি তাই
-আমার এখানে কেন এসেছ?আমি তো কেও নই।আমি তো সাধারনের চেয়েও সাধারন,ক্ষুদ্র এক মানুষরূপী অমানুষ।
-তোমার এখানে আমার আসা কী বারন?কোনোদিনো কী ভাবনি আকাশ থেকে অপূর্ব কোনো পরী তোমার সাথে গল্প করতে আসবে? কল্পনায় কী কোনো রাজকন্যার ছবি আঁকনি?
-না তো,তা তো কখনো করিনি।
-মিথ্যে বলছ কেন? তাও আবার হয় নাকি!ধুর।
-হয় কিনা তা তো জানিনা, জানার দরকারো পরেনি। ওই যে বললাম আমি মানুষরূপী অমানুষ, তাই মানুষ এর সাথে সবকিছু নাও মিলতে পারে।
-কী এমন একজন তুমি,যে আলাদা?
-আমি?আমি তো আলাদা কেও ও নই ।
-তাহলে যে বলছ তুমি মানুষরূপী অমানুষ?
-তুমি কি জানো,আজ ওই যে রাস্তার পাশের বৃদ্ধ লোকটা,তার না খাওয়ার কিছু নেই কয়েকদিন ধরে, আজ একটা রিকশায় চরে আসলাম, রিকশাচালক চাচা উনার মেয়ের ফর্ম পূরণ করবেন,টাকা নেই।অন্ধ একটা মেয়েকে দেখলাম রাস্তার পাশে বসে রাস্তায় হাত বুলোচ্ছে,কিছু পেলে মুখে দিয়ে দেখছে,আরো কত কি!!!!!এদের জন্যে তো আমি কিছু করত্তে পারলাম না।তাহলে আমি কিসের মানুষ বলতে পার?
-থাক ওসব কথা। তোমার গল্পটা আমায় বলবে???
-গল্প?গল্প তো নেই।তবে বলার মত কিছু আছে।
-তাই বল না,শুনি?
-আমার সত্যিকারের রাজকন্যা যে কল্পনার চেয়েও সুন্দর,অপূর্ব,অনন্যা।
-পরীর চেয়েও সুন্দর!!
-হ্যাঁ,অনেক বেশি।
-সে কোথায়??
-এই যে আমার মনের মাঝে,বলেছিলাম না,কখনো দরকার পরেনি কোনো কাল্পনিক রাজকন্যার ছবি আঁকবার।
-তোমার বেজায় কষ্ট,তাই না?
-না তো।কষ্ট তো ওই মানুষগুলোর,যাদের কথা বললাম।
-সত্যি বলছ??
-কাওকে ভালোবাসার মানেই কী তাকে নিজের করে পাওয়া??কাওকে ভালোবাসতে দোষ কোথায়?
-তোমার কোনো কষ্ট নেই তাই বলছ??
-কেন থাকবে তা বলতে পারো??আমার মাথার ওপর বিশাল এক আকাশ আছে,পায়ের নিচে শক্ত মাটি আছে।
ওই যে ওই মানুষটা,কাল যে গলায় ফাঁস দিল,ও কিন্তু ঝুলে পরার সাথে সাথে পায়ের নিচে মাটি খুঁজেছিল,পায় নি। তারপর ওই যে সেদিন মেয়েটা ছাদ থেকে ঝাপিয়ে পরল,ও কিন্তু পরার সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে একবার চেয়েছিল আকাশটা ছুঁতে,ধরে পতন ঠেকাতে,পেরেছে কী??
একজন মাটি পায় নি,আরেকজন আকাশ………আমার তো দুটোই আছে
আমি তো বৃদ্ধ লোকটার মত না খেয়ে নেই,আমাকে তো ফরম পূরণ করা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয়না,আমি এই সুন্দর পৃথিবীটাকে দেখতে পারি, প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে পারি……
আমি এখনও বেঁচে আছি।সুস্থ ভাবে,এই কী বেশির চেয়েও বেশি পাওয়া নয়??
লেখাটায় কোন কঠিন শব্দ ছিলনা, ছিলনা তেমন কোন ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ কোন বিষয় কিন্তু অতি সাধারণ ভাষায় অনেক বিশাল কিছু বলা হয়ে গেছে যা সত্যিই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমি এর আগেও ভেবেছি কিন্তু কখনোই এগুলো বিষয় পাত্তা দেয়নি। আছি তো শুধু নিজের মতো কিন্তু পারিপার্শ্বিকতাকে এড়িয়ে। ভাবতে বড় কষ্ট হয় তাই। তবে আবার এটা পড়ে কষ্টটাকে আঁকড়ে ধরলাম কিছুক্ষণের জন্য। কষ্টটা হল আমি বুঝতে পারিনা আমি কতটা ভালো আছি। আবার ভুলে যাব, ভাবব শুধু নিজে কি পেলাম কি হারালাম সেটা নিয়ে। তখন হয়ত আবার নিজেকে বুঝানোর জন্য যে আমি ভালো আছি যা আছে তা নিয়ে এই লেখাটি পরব। হয়ত বারবার কথাগুলো কানে ভাসবে এই আশায় থাকলাম। ধন্যবাদ এরকম সুন্দর লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ
সত্যি, এখনো বেঁচে আছি!
এরচেয়ে জরুরী খবর আর কীই বা হতে পারে!
খুব সাধারোণ ভাষায় অনেক বড় কিছু বলে ফেলা হল হয়ত!
:clappinghands:
সুন্দর লেখা।
স্পেসিং আর বানানগুলো একটু দেখবেন! 🙂
শেষ লাইনের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ 🙂
খেয়াল রাখব
বেঁচে আছি সুস্থভাবে এইটাই অনেক বড় পাওয়া
প্রত্যেকটা দিন আসলে একটা উপহার
সুন্দর লিখা 😀
:welcome:
🙂
ধন্যবাদ ছাড়া আর কিছু দেয়ার নাই কেন!!!!
যার আকাশ আর মাটি আছে তার আর কী লাগে ?!!
ধন্যবাদ দারুণ লেখাটির জন্য…
🙂
জীবন এমনই, যত অল্পতে নিজের চাহিদাকে বেধে ফেলা যায়। সে-ই সুখী।
সত্যিই তাই
ভালো লেগেছে। সরবে আপনাকে স্বাগতম। 🙂
ধন্যবাদ 🙂