প্রত্যেক মানুষের ভেতরে একটা নিরীহ আর সৎ সত্ত্বা থাকে যাকে বিবেক বলা হয়ে থাকে। এই সত্ত্বাটি শিশুর মতই নিষ্পাপ। আমাদের ভেতরে বসত করা এই শিশুকে আমরা কি কখনও বুঝতে চেষ্টা করি ? এই শিশুটির আছে অদ্ভূত যাদুকরী কিছু ক্ষমতা। এর ক্রমাগত আর্তচিৎকার হয়তো ধামাচাপা দেয়া যায়, কিন্তু পুরোপুরি নিঃশেষ করে দেয়া যায় না। যে মানুষ তার ভেতরকার এই শিশুর মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিতে পারে, সে-ই পারে ছেলেবেলার মত নিষ্পাপ আনন্দ আর উদ্যমে জীবনটাকে চেয়ে দেখতে। আসলে এভাবে বাঁচতে পারতে শেখাটাই জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।
“আত্মহত্যা” শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আত্মহত্যা করার অনেক উপায় আছে বৈকি। সব রকম আত্মহত্যার মাধ্যমেই স্রষ্টার সৃষ্টিকে অবমাননা করা হয়। যারা নিজের জীবন্ত শরীরটাকে মেরে ফেলে তারাও যেমন এই অপরাধে অপরাধী তেমনি যারা নিজের আত্মাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করল তারাও। যদিও দ্বিতীয় প্রকারের আত্মহত্যা সচরাচর আত্মহত্যা বলে স্বীকৃত নয়।
একটু সদিচ্ছা দিয়ে অন্তরের শিশুসত্ত্বাটিকে আমাদের অস্তিত্বে একটুখানি প্রভাব খাটানোর অনুমতি দিলে কিন্তু ভালো বৈ খারাপ হবে না। এই কাজটা করে প্রতিটি দিনকে নতুন করে দেখার ক্ষমতা পেয়ে যাব আমরা অনায়াসেই।
এই নিষ্কলুষ সত্ত্বাটিকে আমাদের ভালোবাসতে হবে, আনন্দে ভরে দিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে একটু গতানুগতিকতার বাইরেই নাহয় গেলাম, নাহয় লোকের চোখে বুদ্ধু বোকার মত কাজই করলাম, তবু আনন্দ তো হল।
একটা মজার কথা হল, মানবজাতির যাবতীয় জ্ঞানবুদ্ধি অসীম ক্ষমতার স্রষ্টার সামনে পাগলামির মত। আমাদের আত্মায় আছে এক শিশু যাকে তিনি আমাদের সঙ্গী করে দিয়েছেন। জীবনটা যেন হয় ওর চোখে চিকচিক করা আনন্দটাকে ছুঁয়ে দেখা। জীবনটা যেন ঠিক ওর সাথে একাত্ম হয়ে থাকার আকুলতা।
অনুপ্রেরণায়: পাওলো কোয়েলহো
সুন্দর কিছু কথা, সুন্দর অনুবাদ
ধন্যবাদ 🙂
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য। 🙂
“সব রকম আত্মহত্যার মাধ্যমেই স্রষ্টার সৃষ্টিকে অবমাননা করা হয়। যারা নিজের জীবন্ত শরীরটাকে মেরে ফেলে তারাও যেমন এই অপরাধে অপরাধী তেমনি যারা নিজের আত্মাকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করল তারাও।” – কথা সত্য!
ভালো লাগলো আপু। শেষ প্যারাটা দারুণ – কথাগুলি, অনুবাদটাও। 🙂
ইয়ে আপামণি, আমার অনুবাদে বিশেষ আগ্রহ আছে। আপনার কাছে দীক্ষা নিতে চাই। একটু সমালোচনা করবেন এখন থেকে। 😀
সামিরা আপু,চলেন একটা ক্লাস করায় ফেলেন এইটার উপর….. 🙂
আমি রাজি :happy:
অনুবাদ দেখে পড়তে আসলাম আর পড়তে পড়তেই দেখি শেষ হয়ে গেলো!! 🙁
আরো চাই এমন, আরো…
“মানবজাতির যাবতীয় জ্ঞানবুদ্ধি অসীম ক্ষমতার স্রষ্টার সামনে পাগলামির মত। আমাদের আত্মায় আছে এক শিশু যাকে তিনি আমাদের সঙ্গী করে দিয়েছেন। জীবনটা যেন হয় ওর চোখে চিকচিক করা আনন্দটাকে ছুঁয়ে দেখা। জীবনটা যেন ঠিক ওর সাথে একাত্ম হয়ে থাকার আকুলতা।” :love:
মূল লেখাটা এতটুকুই ছিল যে…
ধইন্যাপাতা :love:
ছোট সুন্দর লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ
:clappinghands:
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য 🙂
আত্মহত্যার ইচ্ছা মনে হয় সবারই কখনো না কখনো জাগে মনে………
মাধবীলতা, নামটা দেখলেই সমরেশে ডুবে থাকা দিন গুলোর কথা মনে পড়ে……..
হুম মনে হয় জাগে, তবে কার্যকর করার চেষ্টা সবাই করে বলে মনে হয় না।
ভাইয়া, সমরেশ পড়া শুরু করেন আবার কী আছে জীবনে… :happy: