প্রকৃতির কঠিন আবরণে আবৃত আমি।
এক টুকরো কঠিনের মাঝে বদ্ধ,
আটকে থাকা নরমের চেয়েও নরম আমি।
খোলসের ভেতরেই আমার বসবাস।
মাঝেসাঁঝে মাথাটা বের করে
উল্টো হয়ে খোলসটি দেখার চেষ্টা করি!
দেখি, আর হাসি!
যতটা শক্ত বহিরাবরণ,
ঠিক ততটাই কোমল অন্তগাত্র!
দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইলে,
সত্যি করে খানিকের জন্য হলেও
নিঃশ্বাস নিই চুপটি করে!
আমার নাম দিয়েছে মানুষ ‘শামুক’।
ভেজা বালি আর পানিতে থাকা আমাকে
তারা এখন রৌদ্রতপ্ত বালিতে ছেড়ে দিয়েছে!
কি যে কষ্ট আমার হয়! বোঝাতে পারি না!
একবার একটি কথা শুনেছিলাম
‘মানুষ’ নামক প্রাণীর মুখে।
বালুতে নাকি আমার মাঝে,
আমার কিছু কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটে।
তার নাম টিউমার, মানুষ বলে!
সেই টিউমারই নাকি তাদের চাই!
যার নাম দিয়েছে তারা ‘মুক্তো’।
সেই মুক্তোর জন্মতেই আমার মৃত্যু!
আর,
মুক্তোর তুলনায় নাকি আমার জীবন তুচ্ছ!
আমার মৃত্যুতেই তাদের শান্তি!!
ফ্যাক্ট! দ্যা হার্ডনেস ক্রুয়ে লিটি অব দ্যা রিয়েলিটি! 🙁
বরাবরের মতই, কবিতা ভালো লেগেছে 🙂
চেষ্টা করেছি 🙂
🙁
বাপরে কি কঠিন চিন্তা!! 🙁
🙁
এই মহীয়সী লেখিকাকে সকল সরবগণ ‘কঠিন লেখিকা’ বলিয়া স্বীকৃতি দান অব্যাহত রাখিয়াছেন… খালি আমিই এখনো সেই স্বীকৃতি দান করবার মত ধী অর্জন করতে পারলাম না… 🙁 :crying:
:love: 😛 😛
আমি কি এতই কঠিনভাবে লিখি??? :'(
আসলেই মুক্তোটাই সবার চাই, শামুকের কথা কারও মনে থাকে না। অনেক ভালো লাগল 🙂
🙂 🙂