‘বিয়ে’ কি ঠাট্টার বস্তু ? – ডক্টর কেলি ফ্লানাগান (অনুবাদ)

[ ব্লগপোস্টটি ডক্টর কেলি ফ্লানাগানের ব্লগ থেকে ভাবার্থে অনূদিত। কেলি একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট। কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের অ্যালায়েন্স ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েটস নামক প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও তিনি একজন লেখক,  ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি করেন। লেখাগুলো মূলত মানুষের ব্যক্তিগত জীবন, পারস্পরিক সম্পর্ক ও পারিপার্শ্বিকতা সংক্রান্ত। ব্যক্তিগত জীবনে কেলি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।]

একজন মানুষের সাথে একই ছাদের নিচে পুরোটা জীবন? তাও আবার পূর্ণ বিশ্বস্ততা আর প্রতিজ্ঞার সাথে? অনেকের কাছেই অসম্ভব কঠিন কাজ মনে হবে হয়তো, কেউ হয়তো ‘ফাজলেমি নাকি’ বলে উড়িয়েও দেবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন কী জানেন? তাঁরা বলছেন বিয়ে আসলে একপ্রকার ফাজলামোই! বিয়ে হল তামাশা, হাসি আর আনন্দের বস্তু!

আমার মধুচন্দ্রিমাটা একেবারে মনে রাখার মত হয়েছিল, বলা চলে কুরুক্ষেত্র অবস্থা। সময়টা ছিল অক্টোবরের শেষদিকে। আমার স্ত্রী তখন আমারই মত এক দরিদ্র গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট। তাই মধুচন্দ্রিমার জন্য আমরা জ্যামাইকার একটি সস্তা রিসোর্ট পছন্দ করেছিলাম। সস্তা হলেও সুযোগ সুবিধার দিকে রিসোর্টটা আমাদের প্রত্যাশাকে মোটামুটি ছাড়িয়েই গিয়েছিল।

আসলে সস্তা হবার পেছনে একটা কারণ ছিল। অক্টোবরের শেষদিকটা হল জ্যামাইকাতে হারিক্যান হবার মৌসুম, এ সময় কোনরকম বার্তা ছাড়াই যে কোন মুহূর্তে হারি্ক্যান হানা দিতে পারে। আর হলও তাই, আমরা যখন সেই রিসোর্টে ছিলাম, শুরু হল মহা এক হারিক্যান। মনে আছে খুব, সেই সপ্তাহটায় সূর্যের মুখ দেখি নি। বাতাসের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যেন সৃষ্টিকর্তার খসখসে চামড়াওয়ালা চাবুক বালির বুকে আছড়ে পড়ছে, আর অবিরাম বারি বর্ষণের কথা তো বলাই বাহুল্য। এই ঝড়-বাদলের মাঝেও একটা সফল মধুচন্দ্রিমা হওয়া সম্ভব ছিল, যদি বুঝেশুনে ঠিক কাজগুলো ঠিকভাবে করা যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার প্রথম কাজটাই ভুল হল আর তাতেই হল সারা।

বিবাহিত দম্পতি হিসেবে আমাদের প্রথম ডিনারে গিয়েই অঘটনটা ঘটালাম। আমার দাঁতের ফাঁকে খাবারের টুকরা আটকে গেল। অস্বস্তি বোধ করায় খাওয়ার মাঝেই আমি আমাদের রুমে গেলাম ওটা পরিষ্কার করার জন্য। আটকে যাওয়া বিরক্তিকর বস্তুটি বের করার পর ভাবলাম ‘এই জিনিস আটকে ছিল এতক্ষণ?’ বিয়ের পরে অনুভূতিগুলো যেমন হয়, ভাবলাম ‘এই জিনিস আমার স্ত্রীকে না দেখালেই নয়।‘ তাই সিংকের পাশে ওটা ফেলে রেখে আমি আবার ডিনারে চলে গেলাম।

দুর্ভাগ্যবশত আমার জানা ছিল না, অক্টোবরের শেষে জ্যামাইকার পিঁপড়া প্রজাতি উত্তর আমেরিকায় থাকা তাদের জাতভাইদের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা আর ক্ষুধার্ত থাকে।

 ছয় দশক ধরে চলে আসা হাসি-আনন্দ:

আসলে মানুষ কেন বিবাহিত থাকে বছরের পর বছর ?

একটা মানুষের সাথে থাকতে থাকতে তার সবটা জানা হয়ে যায়। তার সাথে প্রতিটা দিন কাটানো হয়। তার বিরক্তিকর অদ্ভূতুড়ে আচরণগুলো দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া হয়। পৃথিবীর অন্য কেউ আশেপাশে না থাকলে সে কেমন তা জেনে ফেলা হয়। এভাবে তার শত ভুলভ্রান্তি, বিরক্তিকর কাজগুলোর মাঝে আমরা নিজেদের একটা জগত তৈরি করি। সব দোষত্রুটি জেনে, কখনওবা বিরক্ত হয়ে তবে কেন এই জীবনভর সঙ্গী থাকা?

আমার স্ত্রীর দাদা-দাদী তেষট্টি বছর যাবৎ একসাথে আছেন। গত বছরের সামারে আমরা উনাদের বাসায় গিয়েছিলাম। খাবার টেবিলে আমরা দুইজন উনাদের বললাম, “ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে এভাবে একসাথে থাকার রহস্য কী?” ষাটোর্ধ্ব সেই বৃদ্ধা বধূ খানিকক্ষণ চুপ করে কী যেন ভাবলেন। ছোট্ট এই বিরতির পর তিনি শিশুদের মত পবিত্র এক হাসি দিয়ে বললেন, “আচ্ছা আমাদের দু’জনকে দেখ তো! আমরা দু’জন ছাড়া দু’জনার আর কেউ থাকবে কেন?” আরও একগাল হেসে বললেন, “আমাদের তো একটাই গাড়ি, আমরা কী করে ডিভোর্স নেব বল তো?”

উনার তেষ্টট্টি বছর ধরে থাকা বৃদ্ধ জীবনসঙ্গী চুপ করে কথাগুলো শুনছিলেন। আমরা তাঁর চোখেমুখে একমাত্র স্থায়ী জীবনসঙ্গীর প্রতি ভালো লাগার আভা খুঁজে পাচ্ছিলাম। উনি বললেন, “আমাদের রহস্য হল আমরা শিখেছি কী করে একে অপরের সাথে কথা না বলে থাকতে হয়।” এরপরে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম সবাই। যদিও উনি কথাগুলো কৌতুকের ছলেই বলেছিলেন, কিন্তু যে অভিব্যক্তি দিয়ে উনি কথাগুলো বলছিলেন তা একেবারেই ঠাট্টার ছিল না।

খেয়াল করলাম, তাঁরা জীবন নিয়ে কথা বলতে বলতে হাসছিলেন। তাঁরা একে অপরের কাছ থেকে আনন্দ খুঁজে নিচ্ছিলেন। তাঁরা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ষষ্ঠ দশক অতিক্রান্ত এই বিবাহের রহস্য: যে মানুষটিকে আমরা সঙ্গী হিসেবে শপথ করে বেছে নিয়েছি, তার মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেয়া, জীবনের সকল রং-রূপ-রস তার সাথেই উপভোগ করা, তা সে ভালোর জন্যই হোক কী মন্দের জন্য।

কেন বিজ্ঞানীরা বলছেন সফল দম্পতিরা এক আজব কৌতুক:

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ডক্টর জন গটম্যান মোটামুটি তাঁর পুরোটা জীবনেই ‘বিয়ে’ নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন। তাঁর গবেষণার কাজে তিনি অনেক দম্পতির সাক্ষাতকার নিয়েছেন, তাদের সম্পর্ক নিয়ে জেনেছেন। তাঁর মতে, একটি দম্পতির বিয়ে টিকবে কিনা তা জানার একটা লিটমাস টেস্ট আছে। খেয়াল করতে হবে তারা প্রথম প্রশ্নের জবাব কীভাবে দিচ্ছে। এখানে খেয়াল করার বিষয় হল তারা কী উত্তর দিচ্ছে তার চেয়ে জরুরি হল কীভাবে উত্তর দিচ্ছে।

যে সকল দম্পতি তাদের সম্পর্কের শুরুর সময়ের সুখ-দুঃখগুলো মুখে হাসি রেখে এবং নম্রতার সাথে বর্ণনা করে তাদের ক্ষেত্রে বিয়ে স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ‘বিয়ে’ নামের এই সম্পর্কটা কঠিন সন্দেহ নেই, কিন্তু একটা বিয়ে সফল হবার পেছনে এই কাঠিন্যতার সম্পর্ক নেই। মজার ব্যাপার হল এই কঠিন বিষয়টাকে কতটা সহজ করে হেসে উড়িয়ে দিতে পারি তার উপর নির্ভর করে।

ভালোবাসায় পাগল হয়ে প্রথম যে গোলাপরঙা চশমা দিয়ে আমরা আমাদের সঙ্গীটিকে চেয়ে দেখি, তা কিন্তু বাস্তবতার স্খলন নয়; তা অন্যরকম একটা সত্যের সন্ধান দেয়, যা পরিপূর্ণ এক সত্য। এটা সৌহার্দ্যের এমন এক জানালা যা দিয়ে আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষটিকে  দেখতে পাই, সেই জানালায় তার দোষত্রুটি ছাপিয়ে কেবল ছোট ছোট আনন্দগুলো রয়ে যায়।

প্রায় সময়েই মনে হতে পারে, আমার সঙ্গীটা হয়তো বদলে গেছে। আসলে ব্যাপারটা উলটো, আমিই হয়তো বদলে গেছি। সঙ্গীর ভুলগুলো আমি হয়তো আগের চেয়ে বেশি খেয়াল করতে শুরু করেছি, চাওয়াগুলো হয়তো একটু বেশিই বেড়ে গেছে। কাছের মানুষটা আসলে কেমন তা আমি ভুলে গেছি, বরং আমি তাকে ঠিক কীভাবে দেখতে চাই তা-ই মুখ্য হয়ে উঠেছে। এই মানুষটা বিয়ের মাধ্যমে আমাকে চিরজীবনের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেছিল কারণ তাকে আমি হাসি-আনন্দে ভরিয়ে রাখতাম, কিন্তু এখন হয়তো আমার মাঝে তার মুখে হাসি ফোটানোর সেই আর্তিটুকু আর নেই। আমরা যদি এভাবে ভেবে দেখতাম তাহলে বুঝতাম আসলে আমরা বিয়ের সময়ে নেয়া সেই শপথ, সেই চুক্তিটাকে কতটা বদলে দিয়েছি।

আমাদের সেই গোলাপরঙা চশমাটা আরেকবার পরে দেখতে হবে বৈকি। অনেক অনেকদিন ধরে বন্ধ করে রাখা এ যেন এক মায়াভরা বাতায়ন। এই বাতায়নে চোখ রাখলেই দেখা যাবে প্রিয় মানুষটার অসাধারণ সব গুণগুলো, প্রথম ভালোলাগা আর ভালোবাসার সেই মুহূর্তগুলো অথবা তার সেই অদ্ভূত কাজগুলো যা এখন দেখলে দিশেহারা লাগে অথচ একটা সময় হাসতে হাসতে দু’চোখ ঝাপসা হয়ে যেত।

শেষ হাসি:

সেই মধুচন্দ্রিমার পর আজ প্রায় বারো বছর পেরিয়ে গেল। খাবার টেবিলে আমার স্ত্রী বন্ধুদের সাথে গল্প করছে। কী করে এক ঐতিহাসিক মধুচন্দ্রিমায় সিংকের পাশে ফেলে রাখা আমার সেই অর্ধচর্বিত খাদ্যবস্তুর উপর সারি সারি পিঁপড়া এসে হামলে পড়েছিল সেই কাহিনী বলতে বলতে তার চোখেমুখে হাসি ঠিকরে পড়ছে। সে যখন এই গল্পটা করে আমার কিন্তু একটুও মজা লাগে না। সে মনে করে আমাদের মধুচন্দ্রিমা একটি হাসিতামাশারই বিষয়। আমার স্ত্রী এই গল্প করতে গিয়ে যখন সশব্দে হাসতে থাকে, তখন আমি অন্য একটা সত্য খুঁজে পাই, খুঁজে পাই একটি বিবাহিত সম্পর্কের মূলভিত্তি।

যদি আমরা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে একে অন্যের দিকে সৌহার্দ্য ও মায়ার চোখে তাকাই, যদি আমরা টুকরো টুকরো পাগলামি আর অদ্ভূতুড়ে ব্যাপারগুলোকে কৌতুকাচ্ছলে উপভোগ করি; কিছু বুঝে ওঠার আগেই ষাট বছর পেরিয়ে যেতে বাধ্য। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় দেখতে পাবেন আপনার পাশে একজন মানুষ আর আপনাদের দু’জনের একটাই গাড়ি। মানুষটি হল আপনার প্রথম এবং একমাত্র বিবাহের মাধ্যমে বেছে নেয়া সঙ্গীটি, যার সাথে আপনি খুঁজে পেয়েছেন ‘এক জীবন ভরা আনন্দ’।

যদি এমনটাই হয়ে থাকে তবে ‘বিয়ে’ কিন্তু আসলেই এক কৌতুক ! এ হল এমন এক কৌতুক যার মাঝে দু’জন মানুষ দু’জনকে ভালোবেসেই শেষ হাসিটা হাসে, ঠিক একসাথেই।

মূল লেখা ((http://drkellyflanagan.com/2013/11/13/marriage-is-a-joke/))

 

মাধবীলতা সম্পর্কে

"অনিমেষ অবাক হয়ে দেখল মাধবীলতাকে । মাধবীলতা কোন রাজনীতি করেনি কখনও, শুধু তাকে ভালবেসে আলোকস্তম্ভের মত একা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে । খরতপ্ত মধ্যাহ্নে যে এক গ্লাস শীতল জলের চেয়ে বেশি কিছু হতে চায় না । বাংলাদেশের এই মেয়ে যে কিনা শুধু ধূপের মত নিজেকে পোড়ায় আগামীকালকে সুন্দর করতে । দেশ গড়ার জন্যে বিপ্লবের নিষ্ফল হতাশায় ডুবে যেতে যেতে অনিমেষ আবিষ্কার করেছিল বিপ্লবের আরেক নাম মাধবীলতা ।" - সমরেশ মজুমদারের "কালবেলা" উপন্যাসের মুখবন্ধের অংশবিশেষ থেকে উদ্ধৃত এই কথাগুলো আমার খুব বেশি আপন । কোন এক অনিমেষের মাধবীলতা হতে পারাটা আসলেই বড় বেশি সৌভাগ্যের।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, অনুবাদ, ইতিবাচক, চিন্তাভাবনা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

15 Responses to ‘বিয়ে’ কি ঠাট্টার বস্তু ? – ডক্টর কেলি ফ্লানাগান (অনুবাদ)

  1. ইকু বলেছেনঃ

    ভালো অনুবাদ … বিষয় বস্তু টা মজার 🙂

  2. ফিনিক্স বলেছেনঃ

    বিয়ে, সম্পর্ক, বন্ধন আর ভালোবাসারা সারাজীবন হাসিমুখে বেঁচে থাকুক দুটো মানুষের হৃদয়ে। :love:

    বেশ ঝরঝরে অনুবাদ হয়েছে আপু। :beshikhushi:

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    খাইসে। ভালো হইছে। চালায়া যান। ইতিবাচক ইম্প্যাক্ট রাখবে বলে আশাবাদী।

  4. সামিরা বলেছেনঃ

    মূল লেখাটা পড়েছিলাম। এই মানুষটাকে খুব ভালো লাগে আমার, বিয়ে নিয়ে তার চিন্তাধারার জন্যই মূলত। তার একটা বই অনুবাদে হাত দিয়েছি বেশ আগে, আলসেমির জন্য কাজ আগাচ্ছে শ্লথ গতিতে। 🙁

    • মাধবীলতা বলেছেনঃ

      আসলেই উনার কথাগুলো এত অসাধারণ যে যা-ই পড়ি মনে হয় শেয়ার দিই বা অনুবাদ করি, লোকজনকে ধরে ধরে পড়াতে পারলে ভালো হত !

      ম্যারেজ নিয়ে বইটা অনুবাদ করতেছ ?

  5. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    সারারাত রামায়ণ পড়ে সকালে জানতে চাইলাম, ডক্টর কেলি ফ্লানাগান পুরুষ না মহিলা?
    বিবাহ বিষয়ক কাউন্সেলিং ব্যাপারটা বরাবর আদিখ্যেতা মনে হতো এক সময়। মানে, যখন ব্যাপারটা নিয়ে কিছুই জানতাম না, তখন।

    এখন সামাজিক সম্পর্কের যে টানাপোড়েন দিনে দিনে বেড়ে চলেছে, তখন আসলে একজন পুরুষ কিংবা নারী, কোন রাশিবলে কিংবা রশিবলে একে অপরের সাথে থাকবে, তা বোঝা আসলেই বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

    জৈবিক কিংবা সামাজিক বিবর্তন হাজার বছর ধরে এধরনের ব্যবস্থা যে সব কারণে তৈরী করেছে, তার পূর্ণবোধ না পেলে কেন জানি, ব্যক্তিকেন্দ্রীকতার দিকেই মনের ঝোঁক বেড়ে যেতে দেখি। আমি পাশ্চাত্যের কথা বলছি। এবং, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের উচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত মধ্যবিত্তের কথা বলছি। পরিবার বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনার জন্য এ ধরনের লেখা কেবল অনুবাদ নয়, মৌলিকভাবে শিক্ষিত সমাজের কাছে তুলে ধরা দরকার, আরও বেশি করে।

  6. স্রোতস্বিনী বলেছেনঃ

    সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে কিংবা মন ভা চাইলে ভাঙতে হবে- এই ধরনের আশঙ্কাও বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ায়, তার চেয়ে ভালো লাগাটাকে খুঁজে বেড়ানোটাই শ্রেয়!!

    “যদি আমরা দৃঢ় সংকল্প নিয়ে একে অন্যের দিকে সৌহার্দ্য ও মায়ার চোখে তাকাই, যদি আমরা টুকরো টুকরো পাগলামি আর অদ্ভূতুড়ে ব্যাপারগুলোকে কৌতুকাচ্ছলে উপভোগ করি; কিছু বুঝে ওঠার আগেই ষাট বছর পেরিয়ে যেতে বাধ্য।”

    অনুবাদ দুর্দান্ত… :dhisya:

  7. আমার কাছে অসাধারণ লাগলো।
    অনুবাদ দারুণ হয়েছে, আপু 🙂

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।