ভাষা কাকে বলে? এর সংজ্ঞা কি?
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটা ব্যাপার। তাই সব সময়েই আমরা সংজ্ঞা মুখস্থ করি। তরঙ্গের দশার সংজ্ঞা আমরা লিখি, তরংগ সঞ্চারণকারী কোন কনার যে কোন মুহূর্তের গতির সম্যক অবস্থানকে তার দশা বলে। গতি শব্দটা প্রি-টেস্টের সময় লিখতে মিসিং হওয়াতে সেখানে আর নম্বর পাওয়া হয়ে উঠেনি।
লেখার ধরন এরকম হওয়ার কারন- আমি কিছু জিনিশপত্রের সংজ্ঞা খুঁজছি। সরব নামের নতুন ব্লগের যাত্রা আরম্ভ করল। তাদের এ যাত্রায় আমন্ত্রিত হয়ে শুরুতেই হালকা লেখা না লিখে ভারী লেখার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি “ব্লগ” শব্দটার সংজ্ঞা দিতে। কিন্তু সমস্যা হল সংজ্ঞা এমন একটা ব্যাপার যেটা কখনো নিজ থেকে লিখিনি। সব সময়েই মুখস্থ করতে হয়েছে। সংবিধান শব্দটির সংজ্ঞা কি হতে পারে? সম+বিধান = সংবিধান? সম মানে সকলের । বিধান মানে নীতি। তাহলে রাষ্ট্রের যে নীতি দিয়ে সমঅধিকার প্রকাশ পায় তাকেই কি সংবিধান বলে? যেহেতু মুখস্থ করিনি তাই বুঝাই যাচ্ছে এটা সঠিক নয়।
ভাব প্রকাশ করাকেই বলে ভাষা। বইয়ে অনেক কঠিন কঠিন সংজ্ঞা থাকতে পারে তবে থ্রী-ইডিয়টসের আমির খান স্টাইলে বলতে হয় ভাব প্রকাশ করাই হল ভাষা। আকার ইঙ্গিত দ্বারা ভাবের আদান প্রদানই হল ভাষা। কোন মেয়েকে একটা ফুল দেওয়াটাও একটা ভাষা। কাউকে জুতা দেখানোও একটা ভাষা। ভাষা শব্দটা নিয়ে কপচানোর কারন হল ব্লগও একটা ভাষা। একটা সত্যিকারের ভাষা যেখানে ভাব প্রকাশের দুয়ার উন্মোচন করা। আমরা সাধারন মানুষ। প্রকাশকেরা আমাদের বই ছাপাবেনা। পেপারেও হয়ত আমাদের লেখা হয়ে উঠবেনা। কিন্তু আমরা লিখতে চাই। মাঝে মাঝেই আমরা আমাদের ভাব প্রকাশ করতে চাই। সেই ভাব প্রকাশের বাহন হল ব্লগ।ব্লগ লিখে হয়ত কেউ নোবেল পুরস্কার পাবেনা। কেউ টাকা পয়সা দিবেনা। কোন পুরস্কারই পাওয়া যাবেনা। কিন্তু মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হওয়া যায়। মানুষের খুব কাছে থাকা যায়। আমরা যারা নিয়মিত ব্লগ লিখি আমরা ব্যাপারটা জানি।
তবে বাংলা ব্লগের আজকের অবস্থানে একজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলেই না। সেটা হল অভ্রের আবিষ্কারক মেহদি। তার এই চমৎকার আবিষ্কার না থাকলে বাংলা ব্লগ কখনোই আজকের অবস্থানে আসতে পারতনা। অন্তত আমার কথা জানি। আমার কখনোই ব্লগ লেখা হতনা।
ব্লগ কমিনিটি দুনিয়ায় নতুন সংযোজন সরবকে অভিনন্দন। কয়েকদিন আগে ‘নিরব’ হোটেলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানতে পারি সরবের কথা। তাদের আগমনে একটি মানপত্র রচনা করা উচিত ছিল তবে সময় স্বল্পতার কারনে তা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে সম্ভাষন গুলি দেওয়া যায়।
হে সুধী
হে ব্লগ জগতে আগমনকারী
হে অতিরিক্ত ইমো প্রদানকারী
ইমোগুলা ভালা হইচে।
ধন্যবাদ! :yahooo: :guiter: এই দুইটা বড়ই ফেভারিট!
কয়েকদিন আগে ‘নিরব’ হোটেলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জানতে পারি সরবের কথা।
=))
স্বাগতম সরব-এ জিকো ভাই
কোন মেয়েকে একটা ফুল দেওয়াটাও একটা ভাষা। কাউকে জুতা দেখানোও একটা ভাষা।
ফুল দিয়ে ভাব প্রকাশ করতে মুঞ্চায় 😀
আলহামদুলিল্লাহ
জিকো ভাইয়াকে স্বাগতম ব্লগে 🙂 । আমি এখনো চিন্তা করছি কি লেখা যায়! মানে কি নিয়ে লেখা যায় 😛
যা মন চায়।
স্বাগতম ভাইয়া…. :yahooo: :welcome:
লেখার মধ্যে সংজ্ঞা আর বিশ্লেষণ সত্যি ভালো লাগছে। কিন্তু নিরব হোটেলের পাশে সরবের গল্প- দারুন তো!
অভ্রের আবিষ্কার যার হাত ধরে- তাকে নিয়ে সরব একটা লেখা লিখবে- প্রত্যাশায় থাকলাম।
স্বাগতম জিকো ভাইয়া। :welcome:
সংগা কিভাবে দেই?
‘সু+আগতম’ ভাইয়া। 🙂
সরবে একেবারে নীরব থাকবেন না আশা করি। 😉
স্বাগতম ভাইয়া 😀
:welcome: জিকো ভাইয়া!
‘স্বাগতমের’ অভিধানিক সংজ্ঞা তো জানা নেই! তাই, ডিজিটাল ইঙ্গিত তথা ইমো দিয়েই মনের ভাষা প্রকাশ করতে চেষ্টা করলাম! 😀 😀
😀
‘অতিরিক্ত ইমো প্রদানকারী’ =)) :yahooo:
:welcome: জিকো ভাই- অনেক পড়েছি আপনার লেখা :huzur:
আমার ভাষা’র চেয়ে ইমো দিয়েই মনে ভাষা প্রকাশ করতে মুঞ্চায় :penguindance: :yahooo:
এই জন্যই সরব ফেভারিট :love: