বাঙালি বড় রসিক জাতি, তারা কাজকে ‘কাম’ বলে। কাম তো একপ্রকার কাজ আর কাজ কে তো কাম বলাই যায় তাই না! তো জনাব আপনি খান কি ? তেড়েফুঁড়ে না উঠে যা জিজ্ঞেস করেছি সেইটার উত্তর দিতে পারেন কিনা দেখেন।
আরে দেশটা পুরা শ্যাষ আর আপ্নে আছেন এই সমস্ত রসিকতা নিয়া, এইডা কিছু হইল? মানুষ পুড়ে মরতেছে আর আপ্নে মিয়া মজা লন।
জী জনাব-আমি মজা লই। কোন সমস্যা? এম্নিতেই আমি মেঙ্গু পিপুল, পুড়ি, বাঁচি কোন কিছুতেই আমার কোন সমস্যা থাকার কথা না।
হেই মিয়া কি কইবার চান কইয়া ফালান!
কি মনে করছেন? ফেসবুকে ম্যা ম্যা করবেন, শহীদ মিনারে গিয়া ত্যানা পেচাইবেন আর দেশে মানুষ পোড়ানো বন্ধ হবে? মোটেই না। আগে আসেন, গোড়ায় হাত দেন।
ছি! এইসব কি বলেন? ছি ছি? মানুষের ভাষা বলে কিছু একটা তো থাকে, আপনার তো এইটাও নাই!
বাবা সুশীল অথবা ভানধারী সুশীল! ভালো হইয়া যান, পয়সা লাগে না। মাথা গরম আছে, মানুষ আগুনে পুড়ে আর উনি আছেন ভাষা নিয়া! অহন মুখে যা আছে হেইডাই কমু, পারলে ঠ্যাকা!
শোনেন মশাই- যেখানে আছি এখানে থাকার আগে জেনে নিন আমাদের একটি সংহিতা আছে, এর নাম সংবিধান। রাষ্ট্রের আসল ও আদি কাঠামো। আপ্নারে ক্যান কইলাম গোড়ায় হাত দেন। মানে আমি বলতে চাইছি এই রাষ্ট্রের সংবিধান টুকু একবার ঘুরে আসেন, দিল সাফ হইয়া যাইবার পারে।
মানুষ পোড়ানোর সাথে সংবিধানের সম্পর্ক কি?
খুব সোজা, আপনি এইটা ঠিক করেন; মানুষ পুড়বো না। ভেজাল রাখেন- কুনু সমস্যা নাই, নিজেই ঘিয়ে ভাজা হইয়া যাবেন।
সংবিধানে একটা জিনিস ছিল, এর নাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কারা করছিল? দুই বড় দল অন্য দলগুলোরে সাথে নিয়া, সেই ৯১ সালে নির্বাচন হইছিল আর ক্ষমতায় আসছিল খালেদা জিয়া- মনে পড়ে?
হ পড়ে, তো?
আইয়া কি করছিল- এই তত্ত্বাবধায়ক রে নদীতে ভাসায়া দিছিল, তার নিজের অধীনে নির্বাচন আর পরেরবার মেওয়া খাবার জন্য। সফলও হইছিল কিন্তুক থাকবার পারি নাই।
হেই গল্প তো জানি, ১৭৩ দিনের হরতাল আর অসহযোগের আন্দোলনের কথা কইবেন। আবজাব তেনা তেনাইবেন, কইবেন আমিলিগ জামাতি লীগ এক হইছিল।
জে না-! কমু- আবার তত্ত্বাবধায়ক আইছিল, আবার হাসিনা ক্ষমতায়।
তারপর আবার তত্ত্বাবধায়ক, আবার বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়ক- আবার আওয়ামী লীগ! ঘটনা চক্রে একই তো নিয়ম মাফিক মনে হয়।
কিন্তু শেষ যে তত্ত্বাবধায়ক এসে জাতির ঘাড়ে দু’বছর চেপে ছিল, আবার এসে যদি ঐ রকম করে? একটা অনির্বাচিত ব্যবস্থা এই ভাবে একটা গনতান্ত্রিক দেশে চলে কিভাবে?
আসলেই চলে না, কিন্তু ঐ খানেই তো সংবিধান।
তত্ত্বাবধায়ক এর মেয়াদ ছিল ৯০ দিন, কেউ সংবিধান এর বাইরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় জোর করে থাকলে কি আর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে জেল খাটবে না, ফাঁসিতে ঝুলবে না! দুই জন উদ্দিন সে সময় কতদিন সংবিধান কে ধর্ষণ করেছেন-মনে করতে পারেন?
কিন্তু সেই পরিস্থিতি তো ছিল অনিবার্য। একদিকে ভুয়া ভোটার, অনুগত নির্বাচন কমিশন আর প্র-বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা; একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কি করে? মানুষের জন্য সংবিধান, নাকি সংবিধানের জন্য মানুষ।
কে দায়ী ছিল সেই পরিস্থিতির জন্য? আমি বলবো অবশ্যই সংবিধান। কেন জানেন? আপনার সংবিধানে এমন কোন ব্যবস্থা ছিলনা এবং আজো নেই যাতে একজন ব্যক্তি ইচ্ছেমত রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যবহার করলে তাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মুখোমুখি হতে হবে, শাস্তি পেতে হবে। জী, খুব সম্ভবত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির মত অসহায় কেউ নেই। প্রধানমন্ত্রীর সাথে মতবিরোধ হলে তার চাকরি খতম।
আর প্রধানমন্ত্রীর কোন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে? জী আপ্নের এম্পিগির শ্যাষ। সংবিধানের ৭০ ধারা- আপ্নি দলের কোন সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারবেন না। গেলেই আউট।
রাষ্ট্রপতি- সংসদ- সংসদ সদস্য- সব এক লাইনে! আইবি না? একজনের তুড়িতে সব লে হালুয়া খা!
একজন রাষ্ট্রপতির ( নামকরা চিকিৎসক) চাকুরি খেলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে একজন সিনিয়র মন্ত্রী বলেছিলেন- আমাদের খাসি, আমরা ঘাস খাওয়াবো না কোরবানি দিবো এইটা আমাদের ব্যপার!
মামা- রাষ্ট্রপতি কিন্তু রাষ্ট্রের অভিভাবক!
আরি সালা!
Power tends to corrupt and absolute power corrupt absolutely. Great men are almost always bad men, even when they exercise influence and not authority-
Despotic power is always accompanied by corruption of morality-
মানে কি? ডিস্কোনারি বাইর কর! পইড়া উদ্ধার কর!
এইজন্য বলে চেক এন্ড ব্যালান্স! কারো হাতেই সব দিতে নাইরে গোলাম হোসেন! তাইলে পলাশী না ভারতবর্ষও হারাইয়া যায়!
পরের কিস্তি দিমু, – যদি এডমিন ব্যান না করে।
#কেউ ব্যক্তিগত অনুভুতিতে আঘাত পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই।
ভাইজান ভাল হইস। তবে, পড়তে পড়তে খেই হারিয়ে ফেলেছি কে কোনটা বলছে, একটু সহজ করে দেবেন।
সংবিধানের আলোচনাটা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একেবারে গোড়ায় নিয়ে ফেলেছেন ঠিক। তবে, গোড়ায় কি পানি দেবেন, না কুড়াল দেবেন সেটা শিউর করতে পারি নাই।মানে, শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে তো আবার বিপদ। দেশের বিচারব্যবস্থা যে পরিমাণ স্বাধীন, আগের জনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে জেলে ঢুকাতে পারলেই কেল্লা ফতেহ। হয় জেলখাটো, নয় বিদেশে ভাগো।
শাস্তি দিয়ে কি সব হয়?
হ্যা। তবে, এক তরফা প্রধানমন্ত্রীকে সার্বভৌমত্ব প্রদান করা একটা বাজে নিয়মই বটে। কিন্তু, সেটা পরিবর্তন করতে হলে তো আপনাকে আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে। হাসিনা খালেদার তো পাকঘরে আগুন লাগে নাই, যে সে জন্য দৌড়াবে।
এখনও এডমিন রিঅ্যাক্ট করে নাই, তাই ফাপরে আছি!
পরের কিস্তি রেডি আছে-
সময়মতই পাওয়া যাবে-
ভালো বলেছেন, হক কথা…
অনেকদিন তো হয়ে গেল, অ্যাডমিনও কিছু বলেন নাই।
পরের কিস্তি ছেড়ে দেন, তারপর কমেন্ট হবে। :happy: