“ঝরে পড়া মহুয়া ফুল”

একলা ভীষণ কল্পনাতে ধুসর সময় দুমড়ে কাঁদে
রাত পোহালে মরা নদীর খেয়া পাড়ে
ছায়া-ভীরু সূর্যটিকে কেন যে আজ আবছা লাগে ,
ধুসর সময় অন্ধকারে দুমড়ে কাঁদে আগের মতই ।

শুধু আমার চোখেই রাত্রি নামায় 
তোমার অবুঝ উর্বশী চোখ,
শুধু আমার মনেই বিষণ্ণতা-নির্জনতা
হায় তোমার ওই খুনি হৃদয়
এক পলকেই নিঃস্ব করে
এক পলকেই হারায় ভিড়ে ।
সাক্ষী আমার স্তিমিত চোখ
তোমার ওঠর রক্তে রাঙ্গা ।
প্রেম বুঝনা, কষ্ট বুঝ ?
তীক্ষ্ণ চোখে-শুভ্র বুকে
বিষাক্ত এক সপ্ন বেধে
নিরব চোখেই রাত্রি জাগা। 

শেষ হয়েও শেষ হলনা
রক্ত মাখা গোধূলিতে, পদব্রজে ঘুরিফিরি;
একলা পথিক,
একলা মনের বিষণ্ণতায় লোনা জলে ছবি আকা ।

শুধু আমার চোখেই রাত্রি নামায় 
কোন নির্জনতাদীর্ঘশ্বাসে 
ঝরে পড়া মহুয়া ফুল;
শুধু আমার মাঝেই রাত্রি নামায় 
বিষণ্ণতা-নির্জনতা,
আর আকুল হৃদয় সপ্ন হারায় ।

 

ইকু সম্পর্কে

নিজের সম্পর্কে নিজের আসলে তেমন একটা কিছু বলার থাকেনা। মানুষ কে বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। আদতে স্বপ্ন দেখা একজন মানুষ আমি, হাজার অযুত স্বপ্ন নিয়ে আমার পথ চলা। অনেক গুলো প্রিয় মানুষ নিয়ে আমি পথ চলি, খুব সহজে কাউকে আপন করে নিতে পারি। তারপরেও মাঝে মাঝে হেলাল হাফিজের মত বলতে ইচ্ছে হয়, "কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকেনা কেউ জানেনা।" আমার নিজস্ব একটা ভাবনার জগত আছে, যেই জগতে কি হচ্ছে সেটা আমি ছাড়া আর কেউ জানেনা। জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে প্রায় ই একা বসে বসে ভাবি। জীবন আমার কাছে অনেকটা রহস্যের মত, যে রহস্যের সমাধান আমি আজো করতে পারিনি। তবে মৃত্যু মনে হয় একটা অসুখ, যার ওষুধ আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। আমি জ্যোৎস্না ভালোবাসি আর ভালোবাসি ভর দুপুরের সোনালী রোদ। ভালোবাসি রঙধনু আর ভালোবাসি তুমি-আমি নিয়ে লিখা সব কবিতা । ভালোবাসি কোন মেঠো পথের ধারে সবুজ মাঠে একা বসে থাকা, ভালোবাসি নীলাম্বরী শাড়ি পরা কোন এক কিশোরী আকাশ, ভালোবাসি নদীর পাড়ে বসে মাছরাঙ্গা দের উৎসব দেখা । ভালোবাসি সমুদ্র বালিয়াড়িতে উপলব্ধি করতে নিজের ক্ষুদ্রতা। ভালোবাসি অরণ্য, ভালোবাসি পাখি। ভালোবাসি রাত, ভালোবাসি রৌদ্র। ভালোবাসি দেশ, ভালোবাসি আমায়। https://www.facebook.com/iqusan
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, সাহিত্য-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

2 Responses to “ঝরে পড়া মহুয়া ফুল”

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    ভাল্লাগছে
    (btw গদ্য বেশিরভাগ মানুষ বোঝে।)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।