কী লেখা ছিলো সেখানে?

কাগজের ঠোঙার গায়ে অস্পষ্ট ছাপ লেগে আছে।

রবারে ঘসে ঘসে কেউ মুছে ফেলেছে-

বহুদিন অন্বেষিত কোন উত্তর লেখা ছিলো সেখানে।

 

কৌতূহলী শিশুটি থমকে দাঁড়িয়েছে।

অর্ধভূক্ত কমলালেবু একহাতে আর অন্যহাতে ঠোঙাটাকে ধ’রে।

সমস্ত মনোযোগ তার কেন্দ্রীভূত হয়েছে-

কী লেখা আছে এখানে?

 

হঠাৎ ঘড়ির কাটা অকল্পনীয় দ্রুততায় ঘুরতে শুরু করে।

তীব্র আলোক রেখার মত নক্ষত্রের কক্ষপথ অনন্তে গতি পায়।

এভাবে কয়েক’টি মুহূর্ত কেটে যায়। অথবা কয়েকটি বছর। হয়তো কয়েক শতাব্দী।

 

শান্ত আলোতে এবার দেখা গেলো-

ছাত অবধি বইয়ে ঠাসা ঘরের মেঝেতে একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে।

চোখে তার স্পষ্ট জ্ঞানের প্রখরতা।

লোকটি কমলালেবুর খোসাগুলো পুরে

ঠোঙাটাকে ছুঁড়ে ফেলে আবর্জনার ঝুড়িতে।

এবং চিরকাল অজানা থেকে গেলো- যা লেখা ছিলো সেখানে।

 

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, সাহিত্য-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

8 Responses to কী লেখা ছিলো সেখানে?

  1. হৃদয় বলেছেনঃ

    আগেই পড়েছিলাম 🙂
    আপনিতো বরাবরই আলহামদুলিল্লাহ্‌ কবিতা ভালো লিখেন; এটাও বেশ ভালো লেগেছে 🙂

  2. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    ভালো লাগলো লেখাটি,
    অনেকদিন পর লেখা পেলাম আপনার।

  3. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    ইয়ে মানে, আমি না কেন জানি মূলভাবটা ধরতে পারলাম না। তবে এমনিতে সুপাঠ্য লেগেছে।

  4. শারমিন বলেছেনঃ

    আমিও না মূলভাবটা ধরতে পারলাম না :thinking:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।