আপনি কি বুয়েটে সদ্য চান্স পাওয়া একজন মেয়ে? বুয়েটে মেয়েদের জন্য একটি মাত্র হল আছে। নাম গোত্রহীন এই হলটির নাম ‘ছাত্রী হল’(!)। আপনি কি এখনও এই হলের ‘সংযুক্ত বনাম আবাসিক’ বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন? যদি আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ এবং দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে জেনে রাখুন, এই লেখাটি আপনাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা।
আপনি সদ্য বুয়েটে চান্স পেয়েছেন। ভাবছেন, “আহ! ভার্সিটি লাইফ, কী সুন্দর! হলে উঠবো। ক্লাসে, হলে অনেক ফ্রেন্ড থাকবে। পড়াশোনা, আড্ডাবাজি, সবই চলবে পুরোদমে…” আমি বলবো, “আপা, থামেন!” ভার্সিটি লাইফ রঙ্গিন হলেও, ‘ছাত্রী হল’ লাইফ সত্তরের দশকের সাদাকালো ছায়াছবি!
আপনার কাছে আমার প্রথম প্রশ্নঃ আপনার কলেজ কিংবা ভর্তিকালীন বর্তমান ঠিকানা কি ঢাকায়? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে জেনে রাখুন, স্বাভাবিক নিয়মে আপনি হলে সিট পাবেননা। কারন, হলে সিটের সংকট আছে। এই সংকটের জন্য অনেকাংশেই হলের বেশ কিছু মেয়ে দায়ী, যাদের ঢাকায় বসবাস করার মতো উপযুক্ত বাসস্থান আছে, অথচ তারা শুধুমাত্র দৈনিক কয়েক ঘণ্টা রেস্ট নেয়ার জন্য নানা অজুহাতে হলে সিট নেয়, তারপর মাসের পর মাস অযথা পড়ে থেকে তাদের টেবিল-বিছানায় ধূলার আস্তর জমে। কখনও কখনও সেইসব টেবিল-বিছানা হয়ে উঠে বাকি রুমমেটদের জিনিসপত্র ফেলে রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান। রুমমেটরাও হাত পা ছড়িয়ে থাকতে পেরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ জানতেও পারেনা এসব সিট এর কথা।
ঢাকায় বাসা থাকলে যে সিট নেয়া যাবেনা এমন নয়। তবে শুধুমাত্র ঘণ্টাখানেক রেস্ট নেয়ার জন্য সিট নিয়ে দিনের পর দিন অযথা ফেলে রাখাই যদি আপনার মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে বলবো, “Go home Lady!” কিছু মেয়ে অযথা সিট নেয়, আর তাদের কারনে হল কর্তৃপক্ষ তাদের সিট দিতে চায়না যাদের সিট না হলেই নয়। এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের হলে একটা সিট থাকা আসলেই অনেক দরকার। শুধুমাত্র রেস্ট নেয়ার উদ্দেশ্যে সিট দখল করে রেখে দয়া করে অন্যের থাকার জায়গা মারবেন না। দোহাই লাগে! রেস্ট নেয়ার জন্য বুয়েটের প্রায় প্রতি বিল্ডিং এই গার্লস রেস্টরুম/ কমন রুম আছে। ওখানে রেস্ট নিন। ওখানে মনের মতো জায়গা না পেলে লাইব্রেরিতে চলে যান। শীতকালে উষ্ণ আর গ্রীষ্মকালে শীতল হাওয়ায় ঘুমানোর এমন সুযোগ বারবার নাও পেতে পারেন!
এবার দ্বিতীয় প্রশ্নঃ ঢাকায় কলেজ কিংবা বর্তমান ঠিকানা থাকা সত্ত্বেও আপনার কি আসলেই হলে সিট না হলেই নয়? যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয় তাহলে বলবো, “কানে বর্ম পড়ে মাঠে নামুন।” কারন, সংযুক্ত ছাত্রীদের জন্য হলের সিট অ্যালোকেশনের ইন্টারভিউ এর সময় হল কর্তৃপক্ষ আপনার বাপ মা ছেড়ে কথা বলবেনা। যা মনে আসবে তাই বলবে। আপনাকে শুধু শুনে যেতে হবে। কিছু বলতেও পারবেননা। কারন, সিটটা আপনার ভীষণ দরকার। আর যদি কিছু বলেন ও, তা অত্যন্ত বিনয়ের সাথেই বলবেন। কেননা আদি থেকে বহমান প্রথাগত সমাজ সারা জীবন ধরে আপনাকে শিখিয়েছে, “মেয়েদের গলা উঁচু করে কতা কইতে নেই।” আপনি জানেনই না কিভাবে জোর গলায় কথা বলতে হয়, কিভাবে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
এখানে বলে রাখি, আমার বেলায় দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ ছিল। আমি টানা দুই মাস যাবত প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টের কাছে অনবরত ধর্না দিয়েও তাদের বোঝাতে পারিনি হলে আমার একটা সিট কতখানি প্রয়োজন। শেষে অত্যন্ত বিরক্তির সাথে প্রভোস্ট তার শেষ বক্তব্য রেখেছিলেন, “… তোমাদের হঠাৎ করে এমন বাসস্থানের ক্রাইসিস কিভাবে হয় বুঝিনা! তোমার থাকার জায়গা না থাকলে সেটা আমার কনসার্ন না। সেটা বুয়েট প্রশাসনের মাথা ব্যথা। আমি এ ব্যপারে কিছু করতে পারবোনা।” যাই হোক, সে সব অনেক কাল আগের কথা! এখন আমি ছাত্রী হলের গর্বিত(!) বাসিন্দা।
ধরে নিলাম আপনিও আমার মতো সংকটে পড়েছেন। আমার মতই কানে তুলো গুঁজে পিঠে বস্তা বেঁধে নেমেছেন। সিট উদ্ধার করে তবেই ক্ষান্ত হবেন। খুব ভাল কথা। যত প্রকারে সম্ভব চেষ্টা করে যান। এক সময় না এক সময় সিট পাবেনই।
সিট যদি যেকোনো উপায়ে পেয়ে গিয়ে থাকেনও, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতি আমার তৃতীয় প্রশ্নঃ আপনার কি ডেক্সটপ আছে? থাকলে সাবধান করে দেই। ভাল একটা ইউপিএস নিয়ে আসুন। এখানকার কারেন্টের লাইন যে সুবিধার না এটা হল কর্তৃপক্ষও জানে। তাই আগে থেকেই ইস্ত্রি, রাইস কুকার, ওয়াটার হিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত। রুম এ বেড প্রতি প্লাগপয়েন্ট একটা করে। একই পয়েন্ট ব্যবহার করে কয়েকটা যন্ত্রপাতি চালালে কারেন্টের সমস্যার কারনে যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি আমার ডেক্সটপ এই কারনে পুরোপুরিভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যখন ঘটনাটি ঘটে তখন রুমে কেবল ২টা ল্যাপটপ আর একটা ডেক্সটপ চলছিল। তাতেই এই হাল! এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, “কাপড় আয়রন করা লাগলে কি করবো?” ছাত্রী হলে ছেলেদের হলের মতো লণ্ড্রী নেই। তবে একটা রুমে কিছু নষ্টপ্রায় ওয়াশিং মেশিন আছে, আছে দুটি আয়রন টেবিল যেখানে কোন আয়রন নেই! মাঝে মাঝে মনে হয়, আয়রনবিহীন এই টেবিল দুটো প্রতি বছর আনলিমিটেড হারে জন্ম নেয়া বিড়ালের বাচ্চাগুলোর সার্কাস দেখানর জন্যই রাখা হয়েছে। এখন ঢোক গিলে চটপট প্রশ্ন করে ফেলুন, “গরম পানি লাগলে কি করবো?” হল কর্তৃপক্ষ বুক ফুলিয়ে জবাব দিবে, “এতগুলো ফিল্টার আছে। সেগুলো সবই তো কুলার+হিটার। মেয়েদের আলাদা ওয়াটার হিটার লাগবে কেন?” হল কর্তৃপক্ষ প্রায় প্রতিটা ফ্লোর এই ওয়াটার ফিল্টার লাগিয়ে বেশ কৃতিত্ব দেখিয়েছে বটে। তবে দুঃখের বিষয়, সেগুলো মাঝে মাঝেই নষ্ট হয়ে থাকে। তখন ঠাণ্ডা/গরম পানি স্বপ্নেই পাওয়া যাবে, ছাত্রী হলে না।
যাই হোক, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ অনুসরণ করে হলে বসত গেঁড়ে বসার পর আপনার কাছে আমার চতুর্থ প্রশ্নঃ আপনি কি আলালের ঘরের দুলালী? আপনার মুখে কি মাছ রোচে না? আপনি কি রাতে ৯টা/ ৯:৩০টার মধ্যে খেতে অভ্যস্ত নন? তাহলে বলে রাখি, দেশি মুরগির ডিম ই আপনার শেষ ভরসা। সকাল-দুপুর-রাত্রি ২/৩ বেলা ডিম খেয়ে আপনি চোখে মুখে ডিম্ব ফুল দেখবেন!
এবার আরেকটি সতর্কবাণীঃ হলে থাকাকালে ভুলেও রাত ১০টার পর অসুস্থ হবেন না! রাত দশটায় হলের গেইট বন্ধ হয়ে যায়। চাবি রেখে আসা হয় হলের বাইরে, পাশের স্টাফ কলোনিতে বসবাসরত একজন হল স্টাফের বাসায়। পরে ভোরে চাবি এনে গেইট খোলা হয় সকাল ৬টায়। মাঝের এই আট ঘণ্টায় কোন মেয়ে যদি কোন কারনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে চাবি এনে গেইট খুলে ডাক্তার আসা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যপার। তার উপর বুয়েট মেডিকেল সেন্টার এর যে ডাক্তার! একজন রোগী সম্পর্কে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে হয় তা তিনি জানেন বলে মনে হয়না! ২০ থেকে ৩০ মিনিট ধরে রোগীকে পরীক্ষা করার পর অবস্থা আরও শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছালে তারা অ্যাম্বুলেন্স এ করে রোগীকে ডিএমসি নিয়ে যান। মাঝরাতে অসুস্থ হয়ে এ ধরণের হেনস্তার শিকার মেয়ের সংখ্যা নেহাতই কম নয়।
ছাত্রী হলের নিয়ম অনুযায়ী এখানে সংযুক্ত ও আবাসিক ছাত্রী এবং হলের স্টাফ বাদে আর কারও ঢোকা নিষেধ। ইদানীং সংযুক্ত ছাত্রীদেরও হলে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়না। কারন হলের আবাসিক ছাত্রীদের মালামালের নিরাপত্তার দায়ভার অনেকাংশেই কর্তৃপক্ষের উপর বর্তালেও তারা সেই ভার বহনে পুরোপুরিভাবে সমর্থ নন। রাতে খাটের পাশের টেবিলে রাখা ল্যাপটপ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর গায়েব হয়ে যায়। চোরের হদিস তো পাওয়া যায়ই না, ভোগান্তি পোহাতে হয় সংযুক্ত ছাত্রীদের। চুরির পর কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে সহায়তা চাইতে গেলে সমস্যার সমাধান করবার চেয়ে ভুক্তভোগীর উপর গাফিলতির অভিযোগে আঙ্গুল তুলতে তারা অধিক উৎসাহী। তাই ছাত্রী হলে বসবাস করার ইচ্ছা থাকলে জিনিসপত্র দড়ি দিয়ে বেঁধে দড়ির অন্য মাথা গলায় বেঁধে রাখার প্রস্তুতি নিয়ে আসুন। খেতে, গোসল করতে এমনকি প্রাতঃকৃত্য সারতে গেলেও রুমে তালা মেরে যাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। অন্যথা জিনিস চুরি গেলে হল স্টাফদের অবিবেচক ব্যবহারে আপনি চুরির শোক ভুলে যাবেন।
ছাত্রীহলের সব বৃত্তান্ত লিখতে বসলে “ছাত্রী হল নাইটস্” লেখা হয়ে যেতে পারে। তাই আর কথা না বাড়াই। লেখা শেষ করবো চিরন্তন সত্য কিছু ফ্যাক্ট দিয়ে। বুয়েটে নবাগতা ছাত্রী হিসেবে ছাত্রী হলে আসার পর আপনি যখন নিজ চোখে এসব কান্ডকীর্তি দেখে সহপাঠী ছেলেদের বলবেন, হলটা এমন… হলটা তেমন…, তখন তারা বলবে, “তোরা চুপ থাকিস দেখেই এত বাড় বেড়েছে। আমাদের হলে আমাদের সাথে তো এমন আচরণ করতে পারেনা।……” তখন আপনাদের মধ্যে কারও কারও মনে হবে যে হলের অবস্থা আসলেই বদলানো দরকার। সহপাঠী নারীরা একমত পোষণ করবে ঠিকই, তবে কাজের সময় হাতে গোনা ২/১ জনকেই পাশে পাবেন। যারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন চায়, কিন্তু সেজন্য কাজ করতে চায়না, তাদের অবস্থা আপনি আমি মিলে কততুকুই বা বদলাতে পারবো? নাম গোত্রহীন ছাত্রী হল তাই আজীবন ছাত্রী হল ই থাকবে। মুরুব্বীরা যখন জিজ্ঞেস করবে, “কোন হলে থাকো?” তখন আপনি তাদের কোনভাবেই বোঝাতে পারবেন না যে আপনার হলের কোন নাম ই নেই!
বিঃ দ্রঃ আমি মনে প্রানে চাই, এই চিরন্তন সত্য ফ্যাক্টগুলো যেন একদিন মিথ্যা হয়ে যায়।
ভয়াবহ !! এই অবস্থা এখন হলের ? এটাচডরাও ঢুকতে পারে না ? আর এইরকম অহরহ চুরির কথা আমি আমার পাঁচ বছরের বুয়েট লাইফে শুনি নাই। স্টাফরাও এত বাজে বিহেভ করলে মেয়েরা যাবে কই ? আমি হলে কখনও থাকি নি, সবসময় এটাচড ছিলাম, কিন্তু বান্ধবী বা জুনিয়রদের রুমে কত গিয়ে আড্ডা দিছি, গোসল করে আসছি অথবা বিভিন্ন প্রোগ্রামে সবাই একসাথে শাড়ি পরে সাজুগুজু করে ক্যাম্পাসে আসছি। আহা সেই দিনগুলো ! সত্যিই এ আমার চেনা ছাত্রী হল নাহ !
তোমাদের জন্য সমবেদনা আপু। খুব খারাপ লাগল।
আপু, এসব সমস্যা সমাধানে আপনাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ আমাদের জন্য অনেক কাজের হবে।
লেখাটি মুলত হলের উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলোকে ফোকাস করে লেখা। যারা ছাত্রী হলের এই সমস্যাগুলো ফেইস করেছেন, তারা লেখাটি যাচাই করে দেখবেন। কোন অযৌক্তিক কিংবা অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে আমায় জানাবেন, আমি সংশোধন করে নেব।
I enjoyed it much- reminded me of my days in Chattri hall and also the scene when I failed utterly to make people realize why this Hall has no name!! I spent thousands of days swallowing eggs three times a day, and the terrible day of bird flue!!
Once the bulb of my room was cut and the authority told me I wont have light in my room until the week end is over and I had a submission on Saturday… I remember myself screaming in the room of the supervisor for light replacement..
I might stop here, it will obviously be a chattri hall night if I continue writing!
🙁
I think we should write a “Chattri Hall Nights”!!!
What else we can do? People, specially BUETian Girls should be informed, should be more concerned. “Chattri Hall Nights” can be the first step to aware them!!!
পোস্টটা ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ কিংবা ‘বুয়েটিয়ান’ গ্রুপে দেন। ঐখানে অনেক সিনিয়ররা আছেন। প্রবলেম সলভ এ সবাই মিলা ডিসকাস করা যাইবো 🙂
কোন গ্রুপে শেয়ার দেয়ার আগে আমি আসলে এই ব্যপারে নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম যে আমার অভিযোগগুলো নিয়ে কারও কোন দ্বিমত আছে কিনা। দ্বিমত থাকলে যদি আমায় জানায়, আমি তার মতামতের যৌক্তিকতা বিবেচনা করে লেখাটাকে সংশোধন করে নিতাম। আমি চাই সিনিয়রদের সামনে যখন বিষয়গুলো আসবে, তখন তাঁরা যেন বুঝেন যে এটা আমার একার উপলব্ধি নয়, বরং একটি সমষ্টিগত মতামত ।
“Go home Lady!”
ভাল ছিল … 😀 😛
😛
জরুরি পোস্ট।
খুবই ভালো লেগেছে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেকেই চাচ্ছে লেখাটা যেন ‘বুয়েটে আড়িপেতে শোনা’ কিংবা ‘বুয়েটিয়ান’ গ্রুপে শেয়ার দেয়া হয়। কোন গ্রুপে শেয়ার দেয়ার আগে আমি আসলে এই ব্যপারে নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম যে আমার অভিযোগগুলো নিয়ে কারও কোন দ্বিমত আছে কিনা। তবে এখন পর্যন্ত কোন নেগেটিভ রেস্পন্স পাইনি। 😀
lekha ta aripata/butian grp e die dao….. emn obstha mne hoy maximum i jne na.!!! :v
কোন গ্রুপে শেয়ার দেয়ার আগে আমি আসলে এই ব্যপারে নিশ্চিত হতে চাচ্ছিলাম যে আমার অভিযোগগুলো নিয়ে কারও কোন দ্বিমত আছে কিনা। দ্বিমত থাকলে যদি আমায় জানায়, আমি তার মতামতের যৌক্তিকতা বিবেচনা করে লেখাটাকে সংশোধন করে নিতাম। আমি চাই সিনিয়রদের সামনে যখন বিষয়গুলো আসবে, তখন তাঁরা যেন বুঝেন যে এটা আমার একার উপলব্ধি নয়, বরং একটি সমষ্টিগত মতামত। :thinking:
খুবি ভাল লিখেছেন আপু। আরেকটা ব্যাপার, হল এ ডাইনিং সিস্টেম অফ করে ক্যান্টিন সিস্টেম চালু করলে আমার মনে হয় অনেক সমস্যা থেকে বাঁচা যেত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ ঘণ্টা ক্যান্টিন থাকার কোন মানে হয় না। অন্তত ৬/৭ ঘণ্টা খোলা থাকা উচিত। হলে যারা থাকে এরকম খুব কম মেয়েই আছে জাদের ডাইনিং নিয়ে কোন কমপ্লেইন নাই।
হুম, অন্যান্য হলের মতো আমাদের হলেও আলাদা ক্যান্টিন এর ব্যবস্থা থাকা দরকার। বিষয়টা মাথায় ছিলনা। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ 🙂