সন্ধ্যার একটু পর পর। আজকে তার জন্মদিন, বাসায় কেক আনা হয়েছে, সেই সাথে পাশের অতি বিখ্যাত রেঁস্তরা থেকে “চাইনিজ” খাবার আনা হয়েছে।
কেক কাটাকুটি,হাততালি, খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষে এখন চলছে “চাইনিজ” সেবন পর্ব।
সুপের বাটিটায় সুপ নিয়ে গপাগপ খাচ্ছেন তিনি। গোলটেবিল বৈঠকে আমি, মা আর সে।
হঠাৎ পাপা কি দেখে যেন ডাক দিল আমাকে।
পাপাঃ ……………… গাদ্দাফি মারা গেছে।
আমি উত্তেজিত। বিশাল খবর।
আমিঃ তাই নাকি?
সেঃ গাদ্দাফিটা কে?
আমিঃ বলতো দেখি। পারিস কিনা একটু দেখা যাক।
সেঃ ও এটাতো জানিই। ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট।
আমিঃহাহাহা।
সেঃ স্যরি, ভুল হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।
আমিঃহাহাহা।
সেঃতাহলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
আমিঃহাহাহা।
(এবার মাও যোগ দেয়।”হাহাহা”। )
সেঃতাহলে নিশ্চয়ই ইরানের।
মাঃ বলতে থাক।
সেঃ ইরাক।
আমিঃ বাবু, বলতে থাক। দেখি, তুমি কতগুলা দেশের নাম জান।
সেঃ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট?
আমিঃ (অতিষ্ঠ হয়ে) আচ্ছা, একটা ক্লু দিচ্ছি, দেশের নাম ‘ল’ দিয়ে।
সেঃ ও……… লিবিয়া! এটাতো আমি পারতাম। একটু মনে আসতে সমস্যা হচ্চিল আর কি!
আমিঃ হাহাহাহা…
সেঃ আচ্ছা, তাহলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কে? পারভেজ মোশাররফ না?
আমিঃ বাবু, চল এক কাজ করি। একটা টাইম মেশিন বানাই। তারপর চার পাঁচ বছর আগে ব্যাক করি।
সেঃ ধুর, তুমি খালি ফাজলামি করো। বল না কে?
আমিঃ পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এক খুব বিখ্যাত মহিলা রাজনীতিবিদের হাজবেন্ড।
সেঃ কে?
আমিঃ আচ্ছা বলে দেই। বেনজির ভুট্টো।
সেঃ ওই যে খুব সুন্দরী মহিলা?
আমিঃ হাহাহাহা, যাক তবুও তো চিনতে পারলি।
সেঃ ও……… তাহলে প্রেসিডেন্টের একটা খুব সুন্দর ছেলে আছে না?
আমিঃ হাহাহাহা… হুম।
কথা চলছে। নানা রকম উত্তর পাওয়া যাচ্ছে। আমি হতভম্ব।
সেঃ তাহলে এক চোখ অন্ধ মহিলা আছে। উনি কোন দেশের প্রেসিডেন্ট?
আমিঃ হাহাহা… চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা। শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর মাও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বন্দরনায়েক।
সেঃ ও…… আমি তো ভাবলাম জারদারির বউয়ের নাম বন্দরনায়েক।
আমিঃ হাহাহাহা…
(এমনিতে আমি যে চেয়ারটাতে বসা ছিলাম তার একটা পা ‘ডিফেক্টিভ’ ছিল। হাসতে হাসতে পড়ে গিয়ে সবগুলা পায়েরই ডিফেক্ট বানায় ফেলব মনে হল… )
আমিঃ আচ্ছা বলতো, USA এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে?
সেঃ কার বউ না?
আমিঃ হু। নাম বল…
সেঃ (অনেক কষ্টের পর)…… ক্লিনটনের বউ, তাই না… হিলারি…
আমিঃ গুড। কিছুতো পারলি।
মাঃ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম বল।
সেঃ দিপুমনি(হস্তীদাঁত সহ তার দাঁত কেলানো হাসি দেখার মত ছিল)।
(আমি জানতাম ও এটা পারবে। হলিক্রসে পড়ার সময় দিপুমনিকে সংবর্ধনা দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে কিনা… )
মাঃ যোগাযোগমন্ত্রীর নাম বল।
সেঃ পারিনা।
মাঃ ছি ছি। এটা পারিস না।
সেঃ সারাদিন একে পঁচাই। কিন্তু নামই জানি নাই কখনো।
আমিঃহাহাহাহা…
আমিঃ অর্থমন্ত্রীর নাম বলতো?
সেঃ (মুখ কাঁচুমাচু করে) নামটা পারতাম… নামে একই শব্দ দুইবার করে আছে।
আমিঃ হাহাহাহা…
সেঃ কি যেন… ( চিন্তাভাবনা)… ধুর মনে আসে না…
আমিঃ আবুল মাল আব্দুল মুহিত… (হাহাহাহা…… to be continued…. )
ভালো লাগ্লো কথোপকথন পড়তে……..
কথোপকথন চলতে থাকুক………. 🙂
আরে! এই লেখাটা আগে দেখিনাই কেন? :thinking :
কারণ এটা আগে “ব্যক্তিগত” দেয়া ছিল, আজকে ওপেন করলাম…
=))
চলুক কথোপকথন………
“সে” অতি ভালো মানুষ।
রাজনীতির মারপ্যাচ কম বোঝে :p
বাহ বেশ মজার তো! 😛