তুই বললে আমি
মুহুর্তে হতে পারি,
অবাধ্যতার মানবব রূপ,
হতে পারি শান্ত শিশুটিও!
তোর চুলের স্পর্শে,
শিহরিত না হয়ে,
বিলি কেটে
তোকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারি!
তোর দেবদাসের মত
খোঁচা দাড়িকে,
উন্মাদনার প্রতীক করে তুলতে পারি!
কপালের কাটা দাগটিকে,
অবহেলা না করে,
নিখাঁদ ভালোবাসায় ভালোবেসে চুমু খেতে পারি!
ভ্রুযুগল আঙুল দিয়ে,
আঁচড়ে দিতে পারি!
তোর শান্ত শীতল চোখে,
বিস্ময়ের ফোয়ারা বইয়ে দিতে পারি!
নাকের বিন্দু ঘামকে
আঁচলে মুছে,
সেই আঁচল গায়ে জড়াতে পারি!
গলায় হাত বুলিয়ে
টনসিলের অনুপস্থিতি বলে দিতে পারি!
‘তুই শুকিয়ে গেছিস’
-এই অজুহাতে,
গলার শেষে বেরিয়ে থাকা
হাঁড় দুটোতে স্পর্শ দিতে পারি!
তোর গায়ের মিষ্টি গন্ধ,
ফুসফুসে আঁকড়ে ধরে,
নিঃশ্বাস গুঁজে বসে থাকতে পারি!
বসন্তের মাতাল সমীরণে,
তোর বুকে মুখ লুকাতে পারি!
হাত দুটোকে তোর পিঠে,
শক্ত করে ভাঁজ করতে পারি!
বলবি তুই একটিবার?
বলেই দ্যাখ্! আমি পারবো সত্যি।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হয়ে যাই, কোনভাবেই বুঝতে পারি না বাস্তবতা আর কল্পলোকের মাঝের দূরত্বটা ঠিক কতটুকু।
জানালার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া বাতাসে পর্দার আড়াল হয়ে যাওয়া রঙ, কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে ওঠা আলোকের কণা বা মুঠোফোনের ওপাশ থেকে তরঙ্গের পালকীতে চড়ে বয়ে আসা শব্দমালার উৎপত্তি যে ঠিক কোথায়, তা আমার মোটা মাথায় ঠিক ঢোকে না।
তবে বাস্তবতার অজৈব রাসায়নিক অনুরণনের ছন্দে লেখা গদ্যকবিতার শেষ লাইনটা পড়বার আগেই বুঝতে পারি, পৃথিবীটা গোলাকার আর এই গোল পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে মিষ্টি ডানার হাতে একটি লাল পালক!
সে বলবে, বলবে…
আমার সকল কিছুই তোমার এই ক’টি লাইনের কাছে মূল্যহীন ঠেঁকছে!! কিভাবে পারো??!