বইয়ের ভুবন ও লেখককুঞ্জ(৩): সৌমিত্র চক্রবর্তী

বই পড়তে ভালোবাসেন এমন কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, একটি উৎসবের নাম বলুন, যেটা গোটা বাঙ্গালী জাতিকে এক সুতোয় গাঁথে? এক শব্দের যে উত্তরটি শোনা যাবে নিঃসন্দেহে সেটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু নয়। বাঙ্গালীর প্রাণের মেলা, নিজের ভেতরকার ‘আমি’ কে খুঁজে পাওয়ার মেলা,  বাঙ্গালিয়ানার মেলা- অমর একুশে বইমেলা।
বইমেলার চিন্তাটি প্রথম যার মাথায় আসে তিনি হলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদদীন। ষাটের দশকে তিনি যখন বাংলা একাডেমিতে পরিচালক পদে ছিলেন, তখন বাংলা একাডেমি প্রচুর  বিদেশি বই সংগ্রহ করত। তিনি ‘Wonderful World of Books’ পড়তে গিয়ে ‘Book’ এবং ‘Fair’ শব্দ দুটি দেখে বেশ পুলকিত বোধ করেন। বইয়েরও যে মেলা হতে পারে, সেই চিন্তার শুরু সেখান থেকেই। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর নিচতলায় শিশু গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। ধারণা করা হয়ে থাকে, এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম বই মেলা। তারপর ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে সরদার জয়েনউদদীন বাংলা একডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করেন। তারপর থেকেই বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে বই মেলার যাত্রা শুরু। (তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ৩১শে জানুয়ারি, ২০১৪)

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলা এ উৎসবে  লেখক- পাঠক- সমালোচক সবাই মিলে-মিশে একাকার হয়ে যান। পৃথিবীতে আর কোনো বইমেলাই এত দিন ধরে চলে না। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এটি পৃথিবীর দীর্ঘদিনব্যাপী আয়োজিত একটি বইমেলা। তবে এবারই প্রথম বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ছাড়াও সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হচ্ছে বই মেলা। প্রতিবছর বইমেলায় লেখক পরিচিতিতে পুরাতন লেখকদের পাশাপাশি দেখা যায় অনেক নতুন ও তরুণ মুখকে। লেখালেখি জীবনে ব্লগ থেকে বইতে পা রেখেছেন যারা, তাদের ভাবনার জগত পাঠকদের সামনে উপস্থাপনের প্রয়াসে গত বছরের মত এবছরও সরব ব্লগে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, ‘বইয়ের ভুবন ও লেখককুঞ্জ’।

অপেক্ষায় থাকুন নতুন বইয়ের, অপেক্ষায় থাকুন নতুন সাহিত্যিকের…

বইমেলা হোক সরব, প্রাণের উৎসবে!


১) নিজের সম্পর্কে কিছু বলবেন?

যা মনে আসে, প্রকাশ করে ফেলি। মনে এক আর মুখে আর এক – এই ধরণের সৌজন্যবোধ আমার মধ্যে নেই। এই তো! নিজের সম্পর্কে আলাদা করে বলার আর কিছু নাই।

২) লেখালেখির সাথে সম্পর্কের শুরু হলো কী করে?

ছোটবেলা থেকে কিছু কিছু creative writing এর অভ্যাস ছিল। বাবা-মা-শিক্ষকের উৎসাহ পেয়েছি। বন্ধুরাও উৎসাহ যুগিয়েছে। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় সক্রিয়ভাবে কলেজ ম্যাগাজিন ও দেয়ালিকায় কাজ করতে গিয়ে লেখালেখি ব্যাপারটা seriously নেওয়া শুরু করি। পরে মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় এই অভ্যাস অব্যাহত থাকে। অবশ্য ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময়ই আমার লেখা প্রথম বই (প্রাণের মাঝে গণিত বাজে : জ্যামিতির জন্য ভালোবাসা) এর কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। ইন্টারনেট-দূর্লভ সেই দিনগুলোতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অত্যন্ত সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটি ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। পরে কলেজ-জীবনের বন্ধু শাহরিয়ার, প্রতীক এবং গণিত-অলিম্পিয়াডের চমক, সুব্রত ভাই প্রমুখের সহায়তায় বইটি প্রকাশিত হয়। তখন আমি মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষে। গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান লিখে দিলেন বইটির ভূমিকা। তারপর থেকে প্রথম আলোর বিজ্ঞান প্রজন্ম ও গণিত ইশকুল পাতায় (পাতাদুটি বর্তমানে লুপ্ত) নিয়মিত লেখালেখি শুরু। এভাবেই জাতীয় অঙ্গনে আমার লেখালেখির সূত্রপাত।

৩) কেন লিখেন? লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

আমি যেটা জানি, অন্যকে শুধু সেটা জানানোই যথেষ্ট নয়; বরং যেভাবে জিনিসটা আমি জেনেছি আর সেটা আমার মনে কতটা দাগ কেটেছে এবং কেন – তা যতটা সম্ভব বিশ্বস্ততার সাথে পাঠকের কাছে তুলে ধরার তাগিদ থেকে লিখি। জানার এই প্রক্রিয়ায় যদি কখনো ভুল করে ফেলি, সেটাও পাঠককে জানানো নিজের কর্তব্য মনে করি। নিজে জানার জন্য লিখি। একটা quote পড়েছিলাম, কার সেটা মনে নেই, “কোনো কিছু সম্পর্কে জানতে হলে সেটা নিয়ে একটা বই লিখে ফেলুন”। এই কথাটা মনে হয় যথার্থ। ভবিষ্যতে বেশ কিছু ব্যাপারে বই লেখার পরিকল্পনা আছে। গণিত ও  জীববিজ্ঞানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলা ভাষায় সহজপাঠ্য জনপ্রিয় বই কিংবা ভালো মানের পাঠ্যবই – কোনোটাই এখনো নেই। এরকম কিছু বিষয়ে বই লেখার ইচ্ছা আছে। আরো ইচ্ছা আছে চিকিৎসাবিজ্ঞানে গণিতের প্রয়োগ সংক্রান্ত বই লেখার, তবে সেটা ঠিক জনপ্রিয় বিজ্ঞান বই হবে না, বরং বিশেষায়িত প্রামাণ্য পাঠ্যবই হবে।

৪) লেখালেখির ক্ষেত্রে কোনও অনুপ্রেরণা আছে কি? কাউকে কি অনুসরণ করেন?

অনুপ্রেরণা হিসেবে তো অনেকের নামই করা যায়, তবে সচেতনভাবে কাউকে অনুসরণ করিনা। বিশেষ করে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, নীহারকুমার সরকার, সুকুমার রায়, সৈয়দ মুজতবা আলী, আব্দুল্লাহ আল মুতী, দ্বিজেন শর্মা, রাহুল সাংকৃত্যায়ন, ইয়াকভ পেরেলমান, বরিস সের্গেইয়েভ, ন. লুচনিক, আইজাক আজিমভ, স্টিফেন জে গুল্ড, রিচার্ড ডকিন্স, কার্ল সেগান প্রমুখের কথা বলা যায়। তবু অনেকের নাম বাদ পড়ে গেল। অজান্তে হয়তো কাউকে না কাউকে অনুসরণ করে ফেলি, কে জানে!

৫) অনেকের ধারণা এখন অধিকাংশ লেখকের লেখা একই প্যাটার্নের হয়ে থাকে, নতুনত্ব খুব কম পাওয়া যায় – আপনি কি এর সাথে একমত?

আমি fiction লেখা খুব কমই পড়ি। Non-fiction-ই বেশি পড়া হয়। তাই শুধু এই ধরণের লেখার ব্যাপারেই আমি দু’একটা কথা বলতে পারবো। অবশ্য একই প্যাটার্ন বলতে এখানে কী বোঝানো হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। এক অর্থে বললে, একটা নির্দিষ্ট দেশকালের প্রেক্ষিতে সেই সময়কার সমসাময়িকতার প্রভাব সেই দেশকালের সব লেখকের লেখাতেই মিলবে। তাহলে কি তাদের সবার লেখার প্যাটার্ন একইরকম বলবো? আবার অন্য আরেকটি অর্থে, প্রত্যেকের লেখার কিছুটা হলেও নিজস্বতা আছে, তাই একজনের লেখা কখনো পুরোপুরিভাবে আরেকজনের মতো হবে না। এই অর্থে প্যাটার্ন মেলার প্রশ্নই আসে না। তাহলে প্যাটার্ন বলতে আমরা কী বুঝবো? ব্যাপারটা এমন ভাবা যায়, লেখকের নাম উল্লেখ না থাকলেও লেখা পড়ে বোঝা যাচ্ছে লেখক কে হতে পারেন। তো, নতুন লেখক, সে যেই হোন, লেখক হিসেবে তিনি যেহেতু ‘নতুন’ তাই তার ওইরকম brand গড়ে ওঠেনি এখনো, এটাই তো স্বাভাবিক। যদি তা গড়ে উঠতো তবে তাঁকে নতুন বলা সঙ্গত কি?

৬) নতুন লেখকদের বিষয়ে পাঠকদের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

একটাই কথা বলবো – Please don’t judge the book by the cover alone.

৭) আপনি পেশায় একজন ডাক্তার। তার পাশাপাশি আপনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে কাজ করছেন। আপনার পূর্বপ্রকাশিত বইগুলোর প্রায় সবগুলোই গণিত সম্পর্কিত। গণিত নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি অথবা আলাদা কোন পরিকল্পনা আছে কি?

গণিতের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে বাংলা ভাষায় এদেশের পাঠকদের উপযোগী ধাঁচে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে যা করার দরকার করবো। স্রেফ অনুবাদ করাটা যথেষ্ট নয়। কেননা বিদেশী লেখকেরা তাঁদের পাঠকের মনন অনুসারে লেখেন। সেখানে তাঁদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এমন অনেক প্রভাব কাজ করে, যার সাথে আমাদের দেশের অধিকাংশ পাঠক একধরণের মানসিক দূরত্ব অনুভব করবেন – এটাই স্বাভাবিক। সেসব লেখাকে এদেশের পাঠকের উপযোগী করে পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সময় নতুন করে লেখার মতো ব্যাপার হয়। আর, ডাক্তারি এবং গণিতচর্চা – এদুটোকে কীভাবে সমন্বয় করি, প্রায়ই এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ডাক্তারি পেশাটা অবশ্য আমি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করিনি। এটা আমার পারিবারিক সিদ্ধান্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত আমি চিকিৎসাবিজ্ঞানের এমন দিক বেছে নিয়েছি, যা দিয়ে একই সাথে রোগীর সেবা করা যায় এবং মৌলিক গবেষণার সুযোগও রয়েছে। আর যেখানেই মৌলিক গবেষণা, সেখানেই গণিতের দরজা খোলা।

৮) লেখার মাধ্যমে নিজের চিন্তাগুলোকে আপনি পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই ব্যাপারটাকে আপনি ঠিক কীভাবে দেখেন?

একটি বই শুধু একতাড়া ছাপানো কাগজ নয়, এটা রীতিমতো একটা software, যেটা কার্যত পাঠকের মস্তিষ্কে install হয়ে যেতে পারে। পাল্টে দিতে পারে তার মানসিকতা, আচরণ এবং স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে মস্তিষ্কের তড়িৎ-রাসায়নিক সংযোগ। তাই লেখকের একটা বড় দায়িত্ববোধের জায়গা রয়েছে। আমি সবসময় চেষ্টা করি, পাঠক যেন আমার লেখার মাধ্যমে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা ‘ভুল’ message না পান। অনেক সময় পাঠক নিজের অজ্ঞাতসারে এমন কিছু একটা ধরে নেন, যেটা লেখক বলতে চাননি, কিন্তু সেটা আবার উল্লেখও করেননি। বিজ্ঞান ও গণিত সংক্রান্ত বিষয়ে এরকম হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি, আমি অন্তত তাই মনে করি। Fiction-এর লেখক, পাঠকের কল্পনা উপর অনেক কিছু ছেড়ে দিতে পারেন। মূলত সেখানেই fiction-এর সার্থকতা। Non-fiction-এর বেলায় সেটা খানিকটা দরকার হলেও লাগামছাড়াভাবে এমনটা করার বিপদ আছে কিন্তু। কেননা এতে করে বিভিন্ন ধরণের বিপজ্জনক বিভ্রান্তি সমাজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উদাহরণ হিসেবে, দার্শনিক Herbert Spencer এর সেই বিখ্যাত (এবং আমার মতে irresponsible) উক্তি “Survival of the fittest”-এর কথা উল্লেখ করা যায়, যেটা মোটেই বিবর্তনতত্ত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় অথচ ডারউইনের নামে সেটা চালু হয়ে গেছে। ফলে মানুষ এখন ভাবে, ডারউইন বুঝি তাঁর বিবর্তনতত্ত্বে এটাই বুঝিয়েছেন যে, সমাজে জোর যার মুল্লুক তার! অথচ ডারউইন এবং তাঁর উত্তরসুরী জীববিজ্ঞানীরা সবাই খুব সচেতনভাবে সামাজিক অবিচার ও প্রাকৃতিক নির্বাচনকে গুলিয়ে ফেলা থেকে বিরত থেকেছেন।

৯) আপনার লেখা ষষ্ঠ বই এটি। প্রথম বইগুলো প্রকাশের পর পাঠকদের কেমন সাড়া পেয়েছিলেন?

আমার প্রথম বই “প্রাণের মাঝে গণিত বাজে : জ্যামিতির জন্য ভালোবাসা”। সুব্রত ভাইয়ের অনুরোধে অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলন নাথ বইটি প্রকাশ করতে রাজি হন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। একে নতুন লেখক, তার উপর কোনো গল্প-উপন্যাস নয়, প্রায় hardcore গণিতের বই, সেই বই আবার এতো মোটা যে তার দাম অনেক টেনেটুনেও খুব একটা কম রাখা যায়নি; স্বাভাবিকভাবেই প্রকাশক খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না। কিন্তু ২০০৮ এর একুশে বইমেলায় প্রথম সংস্করণ প্রায় নিঃশেষিত হওয়ায় প্রকাশক এবং আমি একই সাথে বিস্মিত হই। পাঠকদের চাহিদা মেটাতে বইটি শিগগিরই পুনর্মুদ্রণ করতে হয়। বর্তমানে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের দ্বিতীয় পুনর্মুদ্রণ চলছে। পাঠকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত (২০১৩) বইমেলায় এর দ্বিতীয় খণ্ড (প্রাণের মাঝে গণিত বাজে : বীজগণিতের গান) বেরিয়েছে।

১০) আপনার নতুন প্রকাশিত বই সম্পর্কে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?

আমার নতুন প্রকাশিত বই “জীবনের গল্প”। প্রকাশ করেছে ছায়াবীথি প্রকাশনী। জীববিজ্ঞান বিষয়ক সেইসব বিষয় নিয়ে লেখা একটি বই যেগুলো ছাড়া জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানই নয় অথচ আমাদের পাঠ্যক্রমে এসব বিষয় উল্লেখ আছে অতি সামান্যই। প্রথমে ইচ্ছে ছিল অখণ্ড হিসেবে বইটি বের করার। বর্তমান বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর পরামর্শে পরে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডে ভাগ করে বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিই। দুটি খণ্ডই বইমেলায়, বাজারে এবং অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। দুটি খণ্ডে প্রকাশ করার কারণ হলো, মূল সূর একই হলেও খণ্ডদুটি পরস্পর-স্বাধীনভাবে পড়া যেতে পারে। অবশ্য কোনো এক খণ্ডের কোথাও কোথাও অপর খণ্ডের link/reference উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো অগ্রাহ্য করেও বইটার মূল বক্তব্য অনুধাবন করা সম্ভব। যাঁরা জীববিজ্ঞানের ছাত্র তাঁদের জন্য তো বটেই, বরং যাঁরা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জীববিজ্ঞান পড়েননি, বইটি তাঁদের জন্যেও।

বই: জীবনের গল্প (প্রথম খণ্ড)
লেখক: সৌমত্র চক্রবর্তী
প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০১৪
প্রকাশনী: ছায়াবীথি
প্রকাশনী স্টল: ১০৪ (সোহরাওয়ার্দী)
মূল্য: ২০০ টাকা।

বই: জীবনের গল্প (দ্বিতীয় খণ্ড)
লেখক: সৌমিত্র চক্রবর্তী
প্রথম প্রকাশ: একুশে বইমেলা ২০১৪
প্রকাশনী: ছায়াবীথি
প্রকাশনী স্টল: ১০৪ (সোহরাওয়ার্দী)
মূল্য-২০০টাকা।

সাহিত্যস্বর সম্পর্কে

সরব বাংলাদেশে বই জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে কাজ করতে চায়। এই লক্ষ্যে আমরা নানান ধরনের কাজ করতে চাচ্ছি। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একুশে বইমেলা ২০১২তে বিভিন্ন ব্লগারদের বই আমরা প্রোমোট করতে চাইছি। প্রতিদিন একজন করে ব্লগার/লেখক এর ইন্টারভিউ আমরা ছাপানোর পরিকল্পনা নিয়েছি।
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে বইপড়ুয়া, সাহিত্য-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

3 Responses to বইয়ের ভুবন ও লেখককুঞ্জ(৩): সৌমিত্র চক্রবর্তী

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    দাদার বইটা কিনব। জীববিজ্ঞান এর মতো জরুরি বিষয়ে আমাদের যে অনীহা এইটা আশা করি এই বই এর কারণে কিছুটা হলেও কমবে।

    আমারও নন ফিকশন বেশি পড়া হয়!

  2. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    আমার খুব প্রিয় একজন লেখক এবং অনুপ্রেরনার মানুষ সৌমিত্র চক্রবর্তী,
    সরবের মাধ্যমে ওনার নিজের কিছু কথা জানতে পেরে ভালো লাগছে।

  3. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    শুভকামনা থাকল। বইমেলাটা মিস করলাম আর কী। 🙁

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।