আজকের আকাশটা এত লাল কেন? সূর্যটা কি বেশি কাছে চলে এসেছে? আচ্ছা ঐ পাশের মানুষগুলো এত হাসাহাসি করছে কেন? আরেহ আরেহ! মা টা কি বোকা নাকি? বাচ্চাটার হাত ছেড়ে দিল? এমন একটা ব্যস্ত প্ল্যাটফর্মে কেউ এভাবে বচ্চাটার হাত ছেড়ে দেয়? নাকি ছেলেটা হাত ছেড়ে দেওয়ার মত বড় হয়ে গেছে? আর কতক্ষণ বসে থাকতে হবে? আজকে কি বাসটা আসবে নাকি আসবে না? আশ্চর্য তো! এত লেট তো এই লাইনের বাস করে না? আজকে কি ধর্মঘট? নাহ! আজকের দিনটাই যেন কেমন? সকাল সকাল উঠে খবরের কাগজ পড়েছি, যা আমি প্রায় ছয় বছর ধরে করি না। সকালে খুব ভালো করে শাওয়ার নিয়ে পরিপাটি হয়ে বেড়িয়েছি। মাথার এলোমেলো চুলগুলোকে অনেকদিন পর গুছিয়েছি। আজকে আমাকে আগের ‘আমি’র মত মনে হচ্ছে কেন?
“ভাই, চা দিমু?”
“হুম, কী? কী বললা?”
“ভাই চা খাবেন? দিমু নাকি এক কাপ চা।”, ঘোরটা কাটে অভিকের চা ওয়ালা পিচ্চিটার ডাকে।
“চা দিবি? দে।”
পিচ্চিটা চা ঢালছে তার ফ্লাক্স থেকে।
“তোর নাম কি রে?”
“হাসান”
“তা হাসান আজকে কি কোন ধর্মঘট নাকি অন্য কিছু? তোর বাস কই?”
“বাস নাইক্কা আজকে, জানেন না?”
“বাস নেই? কেন?”
“এই রোডে কালকে অ্যাকসিডেন্ট হইছে তাই পাবলিক বাস ভাঙ্গছে কতগুলা। এই লাইগ্যা আজকে আর বাস চলবো না।”
“বলিস কি? তা আমি যাবো কিভাবে?”
“হেইডা আপনে জানেন, ন্যান চা খান।”
হাসানের চা ঢালা শেষ। অভিকের চায়ের কাপে চুমুক দেয়। আজ আর অফিসে যাবে না সে। মোক্ষম একটা সুযোগ। বাস ছিল না। অফিসে বললে হয়তো বস একটা ছোটখাটো ঝাড়ি দেবে কিন্তু এরপর আর কি? তার কাছে তো অফিস না করার একটা খুব ভালো কারণ আছে। অভিক ভাবলা আজকে এখানেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেবে। এরপর একটু টিএসসির দিকে যাবে। অনেক দিন যাওয়া হয় না ওখানে। বিশ্ববিদ্যালয় গন্ডি পার করার পর সময় আর মাঝে মাঝে ইচ্ছার কারণে যাওয়া হয়ে ওঠে নি।
“অভিক না?”
“কে??”, কন্ঠটা চিনতে পারে অভিক। ছয় বছর হয়ে গেলেও কন্ঠ বদলায়নি। তাও শিওর হওয়ার জন্য পেছনে তাকায় অভিক।
হ্যাঁ যা ভেবেছিল। নীরাই তো।
“নীরা !” কয়েক মুহূর্তের জন্য অভিক থেমে যায়। আশপাশের সব কিছু যেন থেমে গেছে। অভিক এই চেহারাটা আশা করে নি। “এত বছর পর এইভাবে এখানে অভিকের সাথে নীরার দেখা হবে ভাবতেই পারে না অভিক। স্বপ্ন দেখছি না তো! নাহ আজ দিনটাই যেন কেমন। স্বপ্ন হলেও হতে পারে।”, অভিক ভাবে।
“কি চিনতে পারছ না?” নীরার কন্ঠে আবার ঘোর ভাঙ্গে অভিকের।
“নীরা?”
“হুম, ডাক নাম তো নীরাই জানতাম।” হা হা করে হেসে ওঠে নীরা।
হাসিটা আজও ঐ একই রকম, তাচ্ছিল্যমাখা, একটু যেন খোঁচা দেওয়া।
“নীরা, তুমি এখানে?”
“উত্তরা যাবো ভেবেছিলাম, এসে দেখি বাস নেই। ভাবলাম বাসায় ফিরে যাই, তখন দেখলাম তোমার মত কে যেন বসে আছে তাই ডাক দিলাম, তুমি তুমিই তো?”
এইবার অভিক হেসে ফেলে। “বাহ তুমি দেখি জোক করতে শিখে গেছ। হ্যাঁ আমিই।”
“তা তুমি কি করো এই ভর দুপুরে এখানে?”
“অফিসে যাচ্ছিলাম, সেই একই কাহিনী বাস নেই।”
“ও! তা কি করবে এখন?”
“একটু টিএসসির দিকে যাবো ভাবছিলাম।”
“চল যাই, আমিও যাই না ঐদিকটায় অনেক দিন।” অভিক এবার বড় রকমের ধাক্কা খায়। একে তো অনেক দিন পর দেখা, তার উপর এ যে কেউ না, নীরা। হ্যাঁ অভিক স্বপ্ন দেখছে না, নীরাই ওর সাথে যেতে চাইছে। অভিক অবাক হয়, ও নীরার সাথে কথা বলছে, কিভাবে বলছে? শব্দ বের হচ্ছে ওর গলা দিয়ে?
“এই যে!”
“হুম!”
“কি যাবেন না?”
“ও ! হ্যাঁ যাবো। চলো উঠি।”
“ভাই, চায়ের বিলটা।” অভিক পকেট থেকে একটা একশ টাকার নোট বের করে দেয় হাসানকে।
“ভাংতি নাই। ভাংতি দ্যান।”
“রেখে দে।”
“ক্যান? আমি আপনার টাকা রাখুম ক্যান? দয়া চাইলে তো ভিক্ষা করতাম।”
নীরা এবার ওর ব্যাগ থেকে একটা দশ টাকার নোট বের করে দেয়। হাসান ওটা নিয়ে হাসি মুখে চলে যায়। অভিকের পকেটে ভাঙ্গতি টাকা ছিল। সে আসলে হাসানকে এমনিতেই একশ টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নীরা টাকাটা বের করলো বলে আর না করতে পারলো না।
“এই খালি যাবা?” নীরা রিক্সা ঠিক করলো। অভিকের মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কি হচ্ছে? কেন হচ্ছে? নীরা কেন এখানে? নীরার কি এখানে থাকার কথা?
“তা কি করা হচ্ছে এখন?”
“হুম?”
“কি সাহেব? কই আপনি? আমার সাথেই আছেন তো?”
অভিকের বলতে ইচ্ছা হয়, “আমি সবসময়ই তো তোমার সাথেই ছিলাম, এ আর নতুন কি?”
“নাহ মানে কি যেন ভাবছিলাম। তা কি জিজ্ঞাস করলা যেন?”
“বললাম আপনি করেন কি এখন? অফিসে যখন যাচ্ছিলেন তার মানে তো কিছু একটা করেন। সেই জিনিসটা কি সেটাই জানতে চেয়েছিলাম।”
“ও! এইতো একটা ছোট খাটো কোম্পানীতে জব করি।”
“তা এই ছোট খাটো কোম্পানিটার আয়তন কতটুকু?”
“মানে?”
“মানে কিছু না গাধা। কোম্পানিটা কি সব ডিটেইলস বল”
“বলার মত কিছু না। এই …”
“আচ্ছা বাদ দাও।”
“হুম বাদ দেওয়াটাই ভালো। সবসময় তো বাদ দিয়েই গেলাম”
নীরা চুপ হয়ে গেল। অভিকের সেই পুরাতন কথা।
রিক্সা চলছে। প্রায় মিনিট পাঁচেক দুই জনের একজনও কথা বলেনি। কোন এক কারণে দুইজনই চুপ। নিরবতা ভাঙ্গল অভিক এবার।
“তুমি শাড়ি পরেছ? খেয়াল করি নি”
“হুম, আমিও না।”
এইবার দুইজনই একটু হেসে দিল। নীরার সেন্স অফ হিউমার ভালো। সবসময়ই ভালো। এই একটা ব্যাপার অভিক খুব হিংসা করতো, মেয়েটা যে কোন কিছুতেই হাসাতে পারে।
“অভিক, তোমার সাথে দেখা হলো কতদিন পর বলতে পারো?”
“কত দিন? বছর হবে না?”
“ঐ তো।”
“ছয় বছর হয়তো।”
“নাহ পাঁচ বছর সাত মাস… উমম হ্যাঁ তিন দিন। পাঁচ বছর সাত মাস তিন দিন।”
“তোমার এত কিছু মনে আছে?”
“কতবার বলতে হবে তোমাকে যে আমার মেমরী তোমার মত ডাল না।”
“তা ঠিক। তুমি তো আবার টেরা বাইট মেমরী নিয়ে চল।”
“সেটা যতই হোক তোমার চেয়ে বেশি।”
“ও আচ্ছা তাই?”
“অবশ্যই তাই। সন্দেহ আছে নাকি?”
“নাহ কোন সন্দেহ নাই। তোমাকে সন্দেহ করবো? আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা ম্যাডাম?”
আবার নীরবতা। আচ্ছা অভিকের এমন লাগছে কেন? অভিক এটা কি করছে? নীরার সাথে টিএসসি যাচ্ছে? কথা বলছে? তার কাছে মনে হচ্ছে এটা যেন ছয় বছর আগের সেই দিনটা। অন্যরকম লাগছে না নীরাকে একটুও। মনেই হচ্ছে না এতটা সময় পেরিয়ে গেছে। আচ্ছা নীরার কি তাই মনে হচ্ছে? হওয়ার কথা না, অভিক নাহয় প্রতিটা দিনই একবার নীরার কথা ভাবে কিন্তু নীরা কি তাই করে? মনে তো হয় না। তাহলে ও এত সহজে কথা বলছে কিভাবে? “নাহ চিন্তা থামা অভিক, তোর এই পজিটিভ চিন্তা সব নষ্ট করেছে আগে, থাম”, নিজেকেই বলে অভিক।
রিক্সা থেকে নেমেছে ওরা। অনেক বছর পর সেই চিরচেনা টিএসসিতে অভিক। সব আগেরর মতই আছে। তার মত ছেলেপেলেরা এখনও সামনের চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা দিচ্ছে, ঐ তো শামসুন্নাহার হলের সামনে যুগল আজও দেখা যায়। একটা দল গিটার নিয়ে গান তুলছে কাছেই। সাথে চা তো আছেই। নাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে মিস করতে থাকে অভিক। সেদিনের সেই বিকাল পর্যন্ত ক্লাসগুলোকে আজকের তুলনায় অনেক ভালো মুনে হয়। কতই না গালি দিয়েছে নিজেকে আর এই পড়াশোনা কে। জীবন নাকি ধ্বংস করে দিয়ছে এটা কিন্তু আজ সেই পড়াশোনাই মিস করছে। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের আড্ডা আর নীরা! “নীরা ! আরেহ নীরা তো আমার সাথেই এখন। আমি কিভাবছি এসব? আমি নীরাকে মিস করছি? কই নীরা তো দেখি সাথেই, নীরাকে মিস করবো কেন? নাকি এই বাতাসেই নীরাকে মিস করার অভ্যাসটা মিশে আছে? কি ভাবছি আমি? নীরা কই?”
নীরা চায়ের দোকানটার পাশে গিয়ে বসেছে। দুই কাপ রং চায়ের কথা বলা হয়েছে।
“তা নীরা তোমার কি অবস্থা?”
“কি অবস্থার কথা জিজ্ঞাস করছ অভিক? কঠিন না তরল?”
“আজব ! সব কথাতেই কি তোমার ফান করতী হবে?”
“হুম সমস্যা আছে নাকি?”
“নাহ তা নেই। তা কঠিন অবস্থা কেমন?”
“এই তো দি দুনিয়ার সাথে আন্তঃআনবিক শক্তি প্রকট, তাই বেঁচে আছি। আশে পাশে অসংখ্যা মানুষ তাই গতি শক্তি অনেক কম।” বলেই হাসতে থাকে নীরা।
নীরা অনেক কথা বলা শিখে গেছে। হাসতেও শিখেছে ভালো। হাসিটা এখনও খুব সুন্দর। নীরাকে হাসানোর জন্য কত চেষ্টা থাকত তরুণ অভিকের আর আজ এই যুবক অভিক নীরা হাসি দেখে বিস্মিত হচ্ছে। “নীরাও হাসতে জানে?”
গল্প করতে করতে বিকেলটা কাটিয়ে দেয় দুজন। অনেক কথা, নীরার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ দিনগুলোর কথা, তার সেই পাগল বন্ধুটার কথা, নীরা হাসতে হাসতে বলতে থাকে অভিককে। আর অভিক মনোযোগ দিয়ে শুনে যায়। আগে এমনও দিন গিয়েছে যখন অভিক বলতো আর নীরা শুনত। বিরক্ত হতো না একটুও। হলেও কপট রাগ দেখাতো একটু এরপর সব আগের মত।
“আচ্ছা অভিক, বিয়ে করেছ?”
“কী?”
“বিয়ে করেছ?”
“আগে তোমার খবর বলো।”
“আমি প্রশ্নটা করেছি বোধহয়।”
অভিক কি বলবে নীরা কে? এক মুহূর্ত ভাবে অভিক।
“হ্যাঁ করেছি।”
এবার নীরা একটু থমকে যায়। অভিক নীরার চোখে থমকে যাওয়াটা দেখে। যেন নীরার চারপাশে কিছু নেই, দু চোখে কেমন যেন এক প্রশ্ন হাহাকার।
“তাই নাকি? কবে বিয়ে করলা?” নীরা সামলে নেয় নিজেকে।
“এইতো গত বছর জুনে। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ। বাসা থেকে বললো, এখন একটা গতি হওয়া দরকার তাই বিয়ে করেই ফেললাম। হা হা”
নীরাও হাসে তবে একটু শুকনো এই হাসিটা।
“তোমার জামাই কি করে?”
“বিয়ে করেছি কি না জানতে না চেয়ে সরাসর জামাই?” নীরার চোখে একটু কৌতুহল।
“মানে বিয়ে করার কথা না তোমার, তাও আর কি?”
“কথা না মানে?”
“মানে আমাকে বলেছিলা যে …”
“বিয়ের দুই বছর হয়ে গেছে। ও আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র ছিল। প্রেম করেছি এক বছর। এরপরই বাসায় প্রস্তাব পাঠালো আর আমিও গাটছাড়া বাধলাম।”
অভিক চুপ হয়ে যায়। “নীরা বিয়ে করেছে? তাও দুই বছর? সেটাও মানলাম কিন্তু প্রেম করেছে?” অভিক ভাবে মানুষ কত বদলে যায়। এই নীরার জন্য একসময় পাগল ছিল। নীরা কোনদিন ভালোবাসবে না বলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ভেবেছিল বোধহয় ওর ভাগ্যই খারাপ। এমন একটা মেয়েকে ভালোবাসে যে ভালোবাসাই বোঝে না। কিন্তু আজ ওর ভুল ভাঙল। আসলে নীরাও ভালোবাসতে জানত শুধু ঐ ভালোবাসাটা অভিকের জন্য ছিল না। হয়তো বন্ধুত্বের ঐ সীমাটাই অভিকের জন্য শেষ সীমা ছিল। মনে আছে অভিকের শেষ যেদিন দেখা হয় ঐ দিনও নীরাকে বলেছিল অভিক, “অপেক্ষা করবো যতদিন তুমি থাকবে।” আজ বোধহয় অপেক্ষার দিন শেষ।
“অভিক উঠি তাহলে, দেরী হয়ে যাচ্ছে।“
“আরও কিছুক্ষণ বসা যায় না কি?” অভিক বলতে গিয়ে থেমে যায়। “নাহ চলে যাক। ও একা কিছুক্ষণ থাকবে।”
“হুম, ওঠা উচিৎ।”
“আচ্ছা আমি যাই তাহলে।”
“আচ্ছা নীরা, তোমার হাজবেন্ডের নাম যেন কি বললে?”
“নাম তো বলি নি। হা হা”
“মানে নাম কি জানতে চাচ্ছিলাম।”
“শোভন ভাইকে চিনতে না?”
“কোন শোভন ভাই?”
“আরেহ আমার সিনিয়র ব্যাচের। ঐ যে।”
“ও আচ্ছা, ঐ যে সুমির বড় ভাই সে তাই তো।”
“হুম।”
“বাহ, তার মানে আমি ঠিকই ধরতে পেরেছিলাম। তুমি একটু উইক ছিলে উনার উপর।”
“হুম, তুমি প্রায়ই বলতে, আমি বুঝি নাই প্রথমে। পরে ভাবলাম নাহ সেই আসল।”
“হা হা, হুম আসল শোভন।” দুইজনেরই একই জোক মনে পরে যায়। দুই জনই শেষ বারের মত একসাথে হেসে নেয়।
নীরা চলে যাচ্ছে। দূরে এখনও নীরার হাল্কা নীল রঙের শাড়ি দেখা যাচ্ছে। অভিক খুব বড় একটা মিথ্যা বলেছে নীরাকে। অভিকের বিয়ে হয়নি। কিন্তু মিথ্যাটা বলার সময় খুব সাবধানে বলেচ্ছে যেন নীরা বুঝতে না পারে। নিজেকে বাহবা দেয় অভিক, সে নীরার মত হয়ে গেছে। কথা লুকাতে জানে, মনের কথা প্রকাশ করতে দেয় না। কত বিশাল একটা মিথ্যা বলে ফেলল নীরা একবারের জন্যও ধরতে পারলো না। তার মানে আসলেই নীরা ওকে ভালোবাসে না। আগে অভিকের ছোট ছোট মিথ্যা গুলোও নীরা শুধু মাত্র ওর গলা শুনে, চোখ দেখে ধরে ফেলতে পারতো তাই হয়তো অভিক ভাবতো নীরাই সেইজন যাকে সে ভালোবাসে, যে তাকে ভালোবাসে। কিন্তু আজ অভিক নিশ্চিত নীরা তাকে ভালোবাসে নি।
“দাঁড়া ! দাঁড়া! অভিক ভুল হয়ে যাচ্ছে না একটু? ওয়েইট অভিক। আচ্ছা নীরা কার কথা বললো? শোভন ভাই? সেই শোভন ভাই?” অভিকের মাথা কাজ করছে না, যেই শোভন ভাইয়ের কথা নীরা বলল মাত্র দুই মাস আগে উনার বিয়ে হয়েছে তাও স্বর্ণার সাথে, ওরই ব্যাচমেট, সে ঐ বিয়েতে গিয়েছিলও। তার মানে নীরা??? নীরা?? নাহ আসলেই তার মেমরীটা অনেক খারাপ।
নীরার নীল শাড়িটা দেখা যাচ্ছে। অভিক কি দৌড় দিবে? ছয় বছর পর কি আবার নীরাকে হারিয়ে ফেলবে সে? যেতে দিবে ওকে? অভিক পারবে? অভিক উঠে দাঁড়ায়…
অক্ষর – নামের মতই! 🙂 😛 :happy:
নীলাম্বরী নিরার নীল ছাতার নিচে অভিকের স্থান হোক বা না হোক, তাদের মাঝে একটা অখণ্ড চক্র থেকে যাক…
অক্ষর নামের মতই কি রে? 😛
আমার গল্পের চেয়ে তোর কমেন্ট বেশি জোস 😀 😀
অক্ষর নামের মতই অক্ষরগুলো… :cuthair:
সবই চক্র, বৃত্তাকার কিংবা সরলরৈখিক… 😛 😛 😛
[বিতলামি করলাম আরকি একটু! 😛 ]
বি বি বিটলামি কইর না :crying:
😀 প্রথমে ভেবেছিলাম সেই মন খারাপ করা গল্প হবে 😛
পড়ে দেখলুম যে না 😛 😀
ভালো লেগেছে রে 😀
আর মন খারাপ করা গল্প হলে মাইর দিতাম 😛
:happy:
ব্রেস ইওরসেলফ, মন খারাপ করা গল্প ইজ কামিং। 😉
:haturi: :haturi:
😡
:angel_not: :guiter: :yahooo:
চমৎকার লেখাটি,
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। 😀
ভালো লেখকের একটা বড় গুণ- পাঠকের ব্যাস্ততাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লেখার শেষ লাইন পর্যন্ত ধরে রাখার অসাধারণ ক্ষমতা।
অক্ষর, পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা আছে তোর!
গড ব্লেস ইউ বালক! :love: