হাসতে দেখো, গাইতে দেখো
অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো!
দেখো না কেউ
হাসি শেষে
নীরবতা!
মারাত্মক চাপ ছিল গত দু’দিন। কোয়ান্টাম মেকানিক্স পরীক্ষা, সিগন্যালের কনভোল্যুশন পরীক্ষা—দুটাই বুঝতে দারুণ, লিখতে খিটখিটে। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলাম এজন্য, আজ পরীক্ষা শেষে দুপুরেই ছুটলাম কাজে।
দিনটা একটু কেমন যেন! দু’দিনের রাতজাগা ক্লান্তি এখনও ভর করে আছে, অফিসে কাজ শেষও হল মাগরিবের আগে। রিকশা নিতে মন সায় দিল না। ধানমন্ডি লেকের ধারে অতি ধীরে হেঁটে ফিরলাম। মানুষ সাফল্যের কথা মুখ বড় করে বলে, চেপে যায় ব্যর্থতাগুলো! মনে হল ধীরে হাঁটলে বুঝি সেই ব্যর্থতাগুলো মেনে নেয়া সহজ হবে।
ধানমন্ডি পনের নম্বর। কাকলি স্কুল আর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঝে আমার সবচেয়ে প্রিয় উদাসস্পট— স্টিলের ওভারব্রিজটা। বসন্তের দারুণ বাতাস, সূর্য ডুবছে প্রায়, আকাশ গোলাপি লাল, দাঁড়ানোটা তো আসে। ব্যস্ত শহর, ঠাস বুনোটের ভীড়, এর মাঝেই স্বপ্ন খুঁজে ফিরছে কত শত মানুষ।
ওভারব্রিজে ইউ.আই.ইউ’র ক’জন শিক্ষার্থী গান গাইছিল গলা ছেড়ে, মাঝের ছেলেটা গিটার বাজায় বেশ। গানের কথাগুলো খুব চেনা, খুব আপন, আমিও গলা মেলালাম,
বুকের ভেতর নোনা ব্যাথা
চোখে আমার ঝরে কথা
এপার ওপার তোলপাড় একা
যাও পাখি বল তারে
সে যেন ভোলে না মোরে
সুখে থেকো ভালো থেকো
মনে রেখ এই আমারে!
মাঝে এরকম উদাসভাবে হাটে ভাল লাগে। লেখাটি পড়ে ভাল লাগল
ধন্যবাদ তুসিন ভাই!
খোলামেলা কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হতাশা ভুলে থাকার জন্য উত্তম ঔষধ! ঢাকায় যেহেতু ওরকম কোন জায়গা নেই, রাস্তায় বা লেকের আশেপাশে একা একা কিছুক্ষণ হেঁটে আসলেও বেশ ভাল লাগে
🙂আর পড়াশুনা, পরীক্ষা- এগুলো তো জীবনে থাকবেই। আপনার পোস্ট দেখে মনে হল, আপনি বেশ ভাল ও সিরিয়াস স্টুডেন্ট। এক্ষেত্রে একটা কাজ করতে পারেন- আপনার চেয়েও যাদের মার্কসের অবস্থা খারাপ, তাদের নিয়ে চিন্তা করবেন; দেখবেন হতাশা কেটে গেছে🙂আসলে আপু পরীক্ষা ভালো দিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, মন খারাপের কারণটা ভিন্ন ছিল। মানুষের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে না পারলে খারাপ লাগে খুব। আর সেই ব্যর্থতাগুলো দেখা যায় নিজের মাঝেই পুষে রাখছি, একটা সময় সেগুলো জমতে জমতে দম বন্ধ হয়ে আসে, তখন আমার আশ্রয়স্থল হয় সেই ওভারব্রিজটা! এই পোস্টটাও আসলে হালকা হবার জন্যই লিখা।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
খুব সুন্দর হয়েছে রাইয়্যান। একটু ছোট হয়ে গেছে যদিও।
ব্যস্ত থাকাটা অনেক সময়েই একটা ব্লেসিং!
আমার ব্লগরব্লগর লিস্টি দেখে নিজেই কিঞ্চিত বিব্রত, বেশিরভাগ পোস্টই যেন ‘দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলা’ টাইপ :/
এই পোস্টটা সেই দিক থেকে আলাদা– একেবারেই নিজের জন্য লিখা, জমে থাকা কথাগুলো বাতাসে ভাসিয়ে দিয়ে হালকা হবার চেষ্টা!
এরকম লেখা লিখতে অনেক শান্তি! আমি অনেক লিখি। 😀
সরবকে ব্যক্তিগত ডায়েরি বানিয়ে ফেললে যদি মনের উপর চাপ কমে, ক্ষতি কী? 😀
“সরবকে ব্যক্তিগত ডায়েরি বানিয়ে ফেললে যদি মনের উপর চাপ কমে, ক্ষতি কী? “- ভালা বুদ্ধি, ভালা বুদ্ধি… 😀
‘ব্লগরব্লগর’ টার্মটা কোন জিনিয়াসের উদ্ভাবন? :clappinghands:
ছোট গল্পের মত,
শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ!
হাহা!
ভাইয়া, এইরকম উদাসভাবে হাঁটলে কী সত্যিই কোন ‘ভাল’ হয়?
‘ভাল’ হয় কিনা কে জানে, ‘গঠনমূলক’ কিছু তো অবশ্যই হয় না, আবার একটু হাল্কাও যে লাগে না তা নয় . . .
কী জানি!
আমার তো আরও বেশী ভারী লাগে, মনে হয় পথের সাথে সাথে চলতে চলতে পথের কিছুটা ভারও আমার কাঁধে চড়ে বসে। কিন্তু সেই চরে বসাটাই কেমন যেন মনে হয় মন খারাপ ভাবটাকে দূরে সরিয়ে দেয়!
কেমন জানো উদাস করা লিখা
ভালোই লেগেছে 🙂
🙂