জাদুর ছোঁয়া!

দৃশ্য ১: সকালে ভোরে ভোরে ঘুম থেকে উঠেই গোসলটা সেরে কোন রকম নাস্তা করে ৭:৪৫ থেকে ৮:০০ টার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। কারণ ৯:৩০ এর মধ্যে অফিসে যেতে হবে। বাসাবো থেকে বনানী ভালোই দূর আছে, ৮ কিলোমিটার। তার উপর সরাসারি কোন বাসও নাই। যাই হোক, কোন রকম বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে বিশাল লাইনের শেষে ২-২জনের আগে কোন রকম জায়গা করে নিলাম। আগের বাসটা গেল অনেক্ষন হয়ে গেলো পরের বাস এখনও আসে না। এদিকে লাইন আস্তে আসতে আরও লম্বা হচ্ছে। এখন ভয় হলো বাস আসলেও উঠতে পারবো না কারণ বাস দেরী হওয়াতে আগের সব স্টপেজেই মানুষ বেশী হবে। এভাবে পরে বাস আসলেও আর উঠতে পারি না। ২টা বাস যাওয়ার পর ৩য় বাসে কোন রকম জায়গা পাই অন্তত দরজায় ঝুলে থাকার জন্য। 😳 পরে ঝুলতে ঝুলতে কিছুদুর আগালে ২-১জন নামার পর বাসের ভিতর ঢুকতে পারি। সিট পাওয়া দূরে থাক, ঠিক মতো দাঁড়াতে পারলেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। তার উপর আমার কাঁধে আবার ল্যাপটপের ব্যাগ যেটার অনেকেরই বিরক্তির কারণ, সাথে থাকে মানুষের উগ্র চাহনী। :haturi:  আমার কাজ হলো এসব চাহনি এভয়েড করে কোন রকমে গন্তব্যে পৌঁছা। পুরো বাস মানুষে গিজ গিজ করছে তার মধ্যে কেউ কেউ ঘেমে একাকার। আবার কেউ কেউ ভিজে যাচ্ছে পাশের জনের ঘামে। এত কিছুর মাঝে আরেক বিরক্তির নাম হলো, প্রগতি সরনী! উফ! সেই মৌচাক থেকে শুরু একেবারে কুড়িল বিশ্ব রোডে গিয়ে শেষ। দৈর্ঘ্যে যত লম্বা প্রস্থে ততই সরু। তার উপর রিক্সা, বাস, ট্রাক, টেম্পু সবই চলে এই রাস্তায়। এদের স্টপেজের কোন অভাব নাই। গাড়ি যতটা চলে তার চেয়ে বেশী সময় দাঁড়িয়েই থাকে। এভাবে চলতে চলতে মালিবাগ রেল গেইট, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর পার হয়ে এক সময় নতুন বাজারে পৌঁছে যাই। এবার বাস থেকে নামার যুদ্ধ। যুদ্ধ করে নিচে নেমে শুরু হয় প্রাইভেট কার/মাইক্রোতে উঠার যুদ্ধ। কারণ আমেরিকান অ্যামবেসী থেকে গুলশান-২ বা বনানী পর্যন্ত কোন বাস বা টেম্পু সার্ভিস নাই। আর এত লম্বা রাস্তা হেঁটে যাওয়ার মতো শক্তি থাকলেও সময় হাতে নেই। বিভিন্ন প্রাইভেট কার বা মাইক্রোর ড্রাইভারেরাই তখন আশির্বাদ হয়ে আমাদেরকে ১০টাকার বিনিময়ে গুলশান-২ বা বনানীতে নামিয়ে দেয়। আর এভাবেই প্রতিদিন যুদ্ধ করে কোন রকমে ৯:৩০ এর মধ্যে অফিসে পৌঁছি। কখনও কপাল খারাপ হলে এত কিছু করেও অফিসে গিয়ে লেট হওয়ার জন্য কথা শুনতে হয়। :crying: আর যখন দিনের শুরুটাই এরকম হয় তখন অফিসের পার্ফরম্যান্স আর কতটুকু ভালো হবে?

দৃশ্য ২: অফিস টাইম শেষ। কিন্তু অফিস থেকে বের হতে মন চাচ্ছে না। কারণ, অফিস থেকে বের হলেই গাড়ি খোঁজার ঝামেলা। তবুও বাসায়তো ফিরতেই হবে। এবারও কিন্তু এক গাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। তার উপর বনানী থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত হেঁটে যেতে হয়। আবার সেই লম্বা লাইন। বন্ধু পরিবহন গাড়িটা আকারে ছোট কিন্তু অনেক দ্রুত চলে। এজন্য বাসায় ফেরার পথে এটাই আমার পছন্দ। এজন্য সন্ধ্যার সময় লাইনটাও অনেক বেশী লম্বা হয়।

একটা গাড়ি আসলেই সবাই হুড়মুড় করে বাসে উঠে পরে, মুহুর্তেই বাস ভর্তি। লাইন কিছুটা ছোট হয়ে আসে কিন্তু বাসে উঠা সম্ভব হয় না। এভাবে ২য় বা ৩য় বাসে গিয়ে জায়গা হয়। আর তথক্ষনে আধাঘন্টার উপরে চলে যায়। তারপর শুরু হয় আমার যাত্রা। গুলশান থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত দ্রুত চলে আসলেও প্রগতি সরনিতে উঠেই সবকিছু যেন হঠাত করে থমকে যায়। তারপর আবার সেই শামুক দৌড়। বাসে বসে বসে ধ্যানের জগতে ডুব দেই আর অপেক্ষা করতে থাকি কখন রাস্তা ফুরাবে। দেখতে দেখতে এক সময় মালিবাগ রেল গেইট চলে আসে। আমিও বাস থেকে দ্রুত নেমে যাই। তারপর আবার দাঁড়িয়ে থাকা একটা তুরাগ / অনাবিল / সালসাবীল বাসের জন্য। তারপর বাস পেলে একেবারে খিলগাঁও ফ্লাইওভার পার হয়ে বাসাবো নেমে যাওয়া যায়। তারপর বাসা পর্যন্ত হেঁটেই যাওয়া যায়।

উপরের দৃশ্যগুলো কি আপনার কাছে কোন কাল্পনিক দৃশ্য মনে হচ্ছে? আপনি ঢাকা শহরে যাতায়াত করলে এগুলো কাল্পনিক মনে হওয়ার কোন কারণ নেই। এগুলো আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করলাম। আমি জানি আমার মতো আপনরাও অনেকে এ ধরণের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার। কারও অভিজ্ঞতার তিক্ততা আমার চেয়ে কম বেশী হতে পারে। কিন্তু ঢাকা শহরে চলাফেরা করলে এটাই নিয়মিত দৃশ্য।

এভাবে আর কতদিন? এভাবে যদি দিনের শুরু আর শেষ হয়, তাহলে এর প্রভাব দিনের অন্য সময়ের উপর পড়তে বাধ্য। সাভাবিক ভাবেই আমাদের প্রডাক্টিভিটি লোপ পাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু “সময়”গুলো জীবন থেকে চলে যাচ্ছে।

এখান থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? কিভাবে ট্রাফিক সিস্টেম উন্নত করা যায়? কিভাবে যাতায়াতের সময় কমানো যায়?  সিএনজিতে করে আসা যাওয়া করবেন? সিএনজি গুলোর যা অবস্থা ডাক দিলে না শোনার ভান করে চলে যায়। আর যারা শোনে তাদের ভাড়ার কথা শুনলে চোখ কপালে উঠে। আপনার গাড়ি কেনার সামর্থ আছে গাড়িই কিনে ফেললেন। সমস্যা কমার বদলে আরও বেড়ে গেল। আপনি ভাবছেন আপানার আর বাসে উঠার কষ্ট করতে হলো না। কিন্তু রাস্তায় এত জ্যাম হওয়ার কারণ আপনিই। কারণ এত ব্যাস্ত রাস্তায় একটা মানুষের জন্য একটা গাড়ির সমান জায়গা দখল করা শুধু বিলাসিতাই না, সাধারণ মানুষের অধিকার হরণ। অফিস টাইমে যত্তগুলো প্রাইভেট কার রাস্তায় নামে সবাই যদি বাসে আসতো তাহলে রাস্তা অনেক ফাঁকা থাকতো। মানুষের ভোগান্তিও অনেক কমে যেতো। এখন আপনি বলবেন সবাই যে বাসে আসবে যে পরিমান পর্যাপ্ত বাস তো রাস্তায় নাই। কথা কিন্তু মিথ্যা না। কি করবেন? বিকল্প হিসেবে মোটর সাইকেল নিবেন? ভালো অপশন! কিন্তু কয়েকদিন চালানোর পরই বুঝতে পারবেন কি ভুল করেছেন। ট্রাফিক সিগন্যাল আর চেকপোস্টে পুলিশের চোখ আপনার উপর থেকে কিছুতেই সরে না। খালি থামায় দিবে। আর একবার থামালে কোন রকম বকশিশ! না দেয়া পর্যন্ত আপনার কাগজপত্রে অথবা চালানোতে কোন না কোন সমস্যা থেকেই যাবে।  :wallbash: বকশিশ আর তেল খরচ মিলিয়ে মাসের ইনকামের অনেকটাই হাওয়া।

সবখানেই সমস্যা! যাবেন কই? একটা জাদুর ছোঁয়া দরকার যেটা আপনার এত সব দৈনন্দিন সমস্যা দূর করে আপনার পেরেশানি আর সময় বাচিয়ে দেবে। আমার মতে সেই জাদুর পরশ হচ্ছে একটা ২ চাকার সাইকেল। হ্যাঁ, একটা সাইকেলই পারে আপনাকে আপনার যাবতীয় যাতায়াত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে। সকালে গাড়ি খোঁজার জন্য হেঁটে বা রিক্সায় করে বাস-স্ট্যান্ড-এ যেতে হবে না। বাসার মধ্যেই আপনার নিজস্ব বাহন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। শুধু আপনার ইচ্ছার অপেক্ষা। আর ট্রাফিক জ্যাম? আপনাকে পায় কোথায়? জ্যামে পড়লেই জাস্ট এক হাতে সাইকেলটা একটু উঁচু করে রাস্তার এক পাশে এসে সাইড ঘেঁষে এগিয়ে যান। দেখবেন সবাইকে জ্যামে রেখে আপনি আপনার গন্তব্যের দিকে সাঁই সাঁই করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

এক সময় দেখবেন আপনার গন্তব্য এসে হাজির আর যারা আপনার সাথে একই জায়গা থেকে রওয়ানা দিয়েছিলো তারা এখনও অনেক পিছনে পড়ে আছে। মনে মনে বলবেন এত কষ্ট করে সাইকেল চালানোর কি মানে? একজন মানুষের সুস্থতার জন্য নিয়মিত শারিররিক ব্যায়ামের প্রয়োজন। সাইক্লিং করার কারনে আপনি একেতো আগের চেয়ে কম সময়ে যাতায়াত করছেন তার উপর বাড়তি উপকারিতা হিসেবে আপনার যাত্রাপথে শারীরিক ব্যায়ামটাও হয়ে গেলো। অনেকে আবার বেশী ঘামান, তারা হয়তো ভাবছেন ঘেমে গেলে ক্লাস/অফিস কিভাবে করবো? এটার জন্য একটা ব্যাগ ক্যারী করতে পারেন যেখানে আপনি আরেক সেট জামা রাখবেন। গন্তব্যে পৌঁছে পাল্টে নিলেন। আর খরচের ব্যাপারে কি বললো, একটা সাইকেলে সাভাবিক ভাবে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে তবুও মেইন্টেনেন্স বাবদ মাসে ২-৩শ টাকার মতো খরচ হতে পারে, যেটা আপনার আগের বাসের খরচের অর্ধেকের চেয়েও কম। সিএনজি আর গাড়ির কথা তো বলাই বাহুল্য। মূলত, আপনি সাইকেল চালিয়ে আপনার অর্থেরও সাশ্রয় করছেন। আপনি আপনার অজান্তেই আরও কিছু ভালো কাজ করছেন। সেগুলো হলো, একটা পরিবেশ বান্ধব বাহন ব্যাবহার করছেন, আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাচ্ছেন, সড়কে নিজের জন্য খুব অল্প জায়গা বরাদ্দ করছেন আর অন্যের জন্য কখনোই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন না। আর হ্যাঁ, প্রত্যেক বাহনেরই কিছু নিরাপত্তা রুলস আছে। সাইকেলের জন্য হলো হেলমেট আর গ্লাভ্স। সাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই নিজের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখবেন আর পারত পক্ষে হেলমেট আর গ্লাভস পরতে ভুলবেন না।  :nono:

যানজটের ঝামেলা খেকে রেহায় পেতে আর সময় বাঁচানোর তাগিদে আমি সাইক্লিং শুরু করি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এখন আমার বাসা অফিসের দূরত্ব আরো বেড়েছে কিন্তু সময় আর পরিশ্রম আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আমি উত্তরা থেকে কাওরান বাজার (১৭ কিমি) নিয়মিত সাইকেলেই যাতায়াত করি। এই দূরত্ব পার করতে অফিস টাইমে প্রায় ২ঘন্টা সময় লাগে। আর সাইকেলে যেতে সময় লাগে গড়ে ৪৫ মিনিট। তাহলে বাসে যেতে হলে আমাকে অন্তত আরও ১:১৫ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হয়ে বাস কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানো লাগতো। সাইকেলে যাতায়াত করার কারণে যাওয়া আসার পথে প্রতিদিন অন্তত ২ঘন্টা সময় কম লাগে। যেটা আমি আমার পরিবারকে অথবা নিজের অন্য প্রয়োজনে ব্যয় করতে পারি। এভাবে মাসে যদি ২০দিন অফিস করি তাহলে প্রতি মাসে সময় বাঁচে ২০ x ২ = ৪০ ঘন্টা। আর বছরে ৪০ x ১২ = ৪৮০ ঘন্টা। অর্থাৎ ৬০ কর্ম দিবস অথবা ৩ কর্ম মাস (১ কর্ম দিবস = ৮ ঘন্টা)। আর মাসে কত টাকা বাঁচে সেটা আপনারাই হিসাব করে দেখেন। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে মেদহীন স্বাস্থ্য তো আছেই।  :happy:

তো, আপনি কবে শুরু করবেন সাইক্লিং? আপনি কি এখনো ভাবছেন? নাকি আপনার হাতে অনেক অনেক সময় যেটা আপনি ট্রাফিক জ্যামে পরে কষ্ট পেয়ে নষ্ট করতে চান?

আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা পেলে পরবর্তীতে সাইকেলের প্রাপ্তিস্থান/দর-দাম/ মেইনটেনেন্স নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছা আছে।

সরবে এটাই আমার প্রথম পোষ্ট। না চাওয়া সত্ত্বেও পোস্টটা অনেক বড় হয়ে গেলো বলে দুঃখিত। কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

______________________

ছবির উৎস: আমার তোলা।

তরঙ্গ সম্পর্কে

ক্ষুদ্র পৃথিবীর একজন ক্ষনিকের পথচারী...
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে অনুপ্রেরণা, ইতিবাচক, বিবিধ, সচেতনতা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

11 Responses to জাদুর ছোঁয়া!

  1. ক্ষণভাবনা বলেছেনঃ

    সময়োপযোগী লিখা । :clappinghands:
    তরঙ্গ , ভাই ভাল সাইকেল কোথায় পাওয়া যায় ,দামের পরিসর ,কোথায় ও কিভাবে সাইক্লিং শিখা যায় ইত্যাদি বিষয়ে একটা লিখা দিলে ভাল হয়।
    বাসে ঝোলা জনতার একটু উপকার হবে ।:crying:

    • তরঙ্গ বলেছেনঃ

      ধন্যবাদ আপনাকে।
      সাইক্লিং-এ আগ্রহ প্রকাশ করার জন্য খুশি হলাম। সাইক্লিং নিয়ে পরবর্তী পোষ্ট শীঘ্রই লিখে ফেলবো ইনশাআল্লাহ। আর বাসে ঝোলা যাত্রীদের কষ্ট আমার চেয়ে কে ভালো বোঝে?

  2. শারমিন বলেছেনঃ

    :welcome:
    সময়োপযোগী এবং ভালো লিখা 😀
    পরবর্তী পোস্ট লিখে ফেলুন 😀

  3. অক্ষর বলেছেনঃ

    :welcome:

    আমারও একখানা জাদুর ছোঁয়া আছে। 8)
    হ্যাপি সাইক্লিং

    • তরঙ্গ বলেছেনঃ

      ওয়াও! গ্রেট। :beerdrink:
      ভাইয়া কি ঢাকায় থাকেন? তাহলে চলার পথে যে কোন সময় দেখা হয়ে যেতে পারে। হ্যাপি সাইক্লিং। :penguindance:

  4. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    দ্বিচক্রযান দীর্ঘজীবী হোক !! ভাইয়া পরের পর্ব অবশ্যই লাগবে। মেয়েদের জন্য সাইক্লিং এর কেমন অপশন যদি কিছু জানাতেন তো আরও ভালো হয়। আর ছেলেরাও যারা এখনও বাদুড়ঝোলা হয়ে চলাফেরা করে, তাদেরকে প্রতিদিন একবার করে মনে করিয়ে দিতে ভুলবেন না। 😛

  5. মুনীরা মারদিয়া বলেছেনঃ

    ঢাকা শহরের বর্তমানে অন্যতম রিলিফ মনে হয় সাইকেল ।আমাদের হলের প্রায় ৩০% মেয়েদেরই মনে হয় সাইকেল আছে দেখলাম । হ্যাপি সাইক্লিং ।
    :welcome:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।