প্রশ্নোত্তর

এই যে তুমি-
হাঁটছো একা আপন মনে 
তখন থেকেই ভাবছো কেবল-
জগতটাকে কেমন করে বদলানো যায়?
কেমন করে শুভ্রতারা মুছে ফেলবে রুক্ষতাকে?
কেমন করে পঙ্কিলতা ধুয়ে যাবে পবিত্রতায়?
কেমন করে ঘৃণাগুলো বন্দী হবে ভালোবাসায়?

গগন-ভূতল, যত্র-তত্র, অত-শত, ভেবে বল লাভ কি আছে?  
উত্তরগুলো আছে তোমার নিজের কাছে!
ভেবে দেখ…আরো ভাবো, নিজেই তুমি খুঁজে পাবে।

আচ্ছা, উত্তরগুলো আমি তোমায় দেই না কেন?
তোমার-আমার মাঝে কোন তফাৎ তো নেই!  
তোমার হাজার ‘তুমির’ মাঝে ঘুমিয়ে থাকা আমি একজন   
সব মানুষের মাঝেই এমন একটা সত্তা থাকে
যে ঘুমিয়ে থাকে, ঘুমিয়ে থাকে যুগ-যুগ ধরে
খুব অল্প ক’জন সেই ঘুমকে ভাঙাতে পারে।
তুমি পেরেছ!
তাইতো তোমায় উত্তর দিয়ে আবার আমি ঘুমিয়ে পরব,  
মন থেকে খুব করে চাইলে পরে, আবার না’হয় ফিরে আসব।

এখন শোন-
জগতটাকে বদলাতে চাও?
-তা বেশ, খুব ভালো কথা।
আচ্ছা, তুমি আমায় আগে বল—
তোমার মাঝে, যে জগত আছে- জানো সেটা?
সে জগতের খোঁজ রাখো তুমি?
নাকি তুমিও চলছ- বাকি সবার মত
আদিকালের সেই রেখাটি ধরে?
খাওয়া-পরা,
আটটা-পাঁচটা অফিস করা 
এইতো জীবন— তাদের কাছে।

আরেকটা দল, খ্যাতির পিছন
হন্যে হয়ে ছুটছে কেবল।

তুমি তো নও তাদের মতন
মানুষ নিয়ে, গোটা জগত নিয়ে 
ভাবতে পারে,
এমন আছে ক’জন?

তোমার মাঝের যেই তুমিটা
ঐ-যে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজে,   
তাকে ঘিরে ছোট্ট একটা জগত গড়
সেই জগতকে তুমি মুক্ত রাখো—
রুক্ষতা আর ঘৃণা থেকে
ভালোবাসার আচ্ছাদনে মোড়াও সেটা
,  
পঙ্কিলতায় ভয় গো তোমার?
পঙ্কিলতার সাধ্য কি-বা
পবিত্র সেই দেয়াল ডিঙ্গায়…

এমনি করে ধীরে-ধিরে, সেই জগতটা বড় হবে  
যেমন করে চারাগাছটা পরিণত হয় মহীরুহে।
অবাক হয়ে দেখবে সেদিন
পৃথিবীটা বদলে গেছে!
ভাবছো, তা হয় আবার কেমন করে?

তোমার স্পর্শে আসবে যেই মানুষগুলো  
তাদের মনও ছুঁয়ে যাবে সেই আভাতে,   
তারাও তখন, নিজের মাঝে রোপণ করবে সেই চারাটা
 
ভালোবাসা তো জলের মতন
প্রবাহিত হয় মানব থেকে মানব-মনে।

যেদিন সব চারাগুলো বড় হবে 
ডাল-পালাতে স্পর্শ করবে পরস্পরকে,
দেখবে সেদিন, পৃথিবীটা বদলে গেছে
যেমন তুমি চেয়েছিলে, ঠিক তেমন করেই বদলেছে।

শেষ কথাটা বলেই আমি বিদায় নেব—
ঘুম পেয়েছে ভীষণ।
গোটা জগতটাকে, পাল্টানোর আগে
চেষ্টা কোরো, নিজেকে পাল্টাতে… 

আমার একটা নাম আছে-
শুনবে?
‘বিবেক’ নামে আমায় সবাই ডাকে।

অনিমেষ ধ্রুব সম্পর্কে

"You've gotta dance like there's nobody watching, Love like you'll never be hurt, Sing like there's nobody listening, And live like it's heaven on.'' অসম্ভব পছন্দ উইলিয়াম পার্কারের এই কথাগুলো! নিজের মত করেই নিজের পৃথিবীটা কল্পনা করে নিতে ভাল লাগে। ঔদাসিন্য,অলসতা শব্দ দুটি আমার সাথে বনে যায়। গভীর মনোযোগ কিংবা অসম্ভব সিরিয়াস মুড আমার কখনোই আসে না। একা অচেনা রাস্তায় অকারণে হাঁটতে ভালো লাগে, মানুষ দেখতে ভালো লাগে, ভাল লাগে কবিতা লিখতে...তবে স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি আমার চারপাশে থাকা মানুষগুলোর জন্য কিছু একটা করার, দেশকে কিছু একটা দেয়ার। পারব কি-না জানি না, তবুও স্বপ্ন বুনে চলেছি নিরন্তর... http://www.facebook.com/kamrul.h.hridoy.3
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

9 Responses to প্রশ্নোত্তর

  1. অক্ষর বলেছেনঃ

    এই প্রথম আমি কবিতা বুঝতে পারলাম ! 😀 😀

    :happy:

    আসলেই আমার একটা নাম আছে-
    শুনবে?
    ‘বিবেক’ নামে আমায় সবাই ডাকে।

    • হৃদয় বলেছেনঃ

      ”এই প্রথম আমি কবিতা বুঝতে পারলাম !”

      তাহলে তো আমাকে তোর সারাজীবনই মনে থাকবে আশা রাখছি! 😛

      যাক বাবা, অবচেতন মনের একটা কাজ দিয়ে হলেও এক জনের মস্তিষ্কের ROM এ স্তো থায়ী হতে পারলাম!! :happy: :happy:

  2. মাধবীলতা বলেছেনঃ

    বদলে যাও, বদলে দাও… অবশ্যই ইতিবাচক বদলানো। দরকারি কবিতা, নিজের জন্যও রিমাইন্ডার নিলাম। 🙂

    • হৃদয় বলেছেনঃ

      কবিতা নিয়ে কিছু না বলে, অন্য কিছু বলি।

      ভালো-মন্দ কিছু লিখলেই মোটামুটি নিশ্চিত থাকি মাধবী আপুর মন্তব্য ফ্রি পাবো! 😛
      আচ্ছা আপু, ‘মাধবীলতা’ তো বোধয় আপনার ছদ্মনাম, তাই না?

      • মাধবীলতা বলেছেনঃ

        হুম এটা ব্লগ নিক।

        ব্লগ মানেই মন্তব্য দিয়ে ভরা থাকবে প্রতিটা লেখা। সচল, সামু, চতুর্মাত্রিক সবগুলো ব্লগ কত সরব। সরবের আয়রনি এইখানে সরব হতেই সবার আলস্য এবং যেটার কারণে আমি লেখা দেয়ার উৎসাহ পাই না তেমন। আমি একটু ফ্রি থাকলে চেষ্টা করি মন্তব্য করতে সব লেখায়। কিন্তু মাইনষের ভালা করতে নাই, ভালা করলেও পচানি !! :slap: 🙁

        • হৃদয় বলেছেনঃ

          আপু, মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারছি- আপনি আমার কথা সিরিয়াসলি নিসেন; আমি সফল…সফল! 8)
          সিরিয়াসলি নেয়ার মানে দাঁড়ায় আপনি আমাকে পছন্দ করেন মানে আমার লেখা পছন্দ করেন :happy: 😛

          কিন্তু তাই বলে এমন চপেটাঘাত!!
          🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁
          🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁 🙁

          আপু, খেয়াল করসেন- অনেকগুলা ‘স্যাড-স্মাইলি’ একসাথে লিখলে, দেখতে কিন্তু বেশ লাগে! মানে দুই হাত গালে নেয়ার হারমনিটা চরম না? 😛

          পচানি দেই আর যা-ই দেই না কেন, এইভাবে আমার ভালো করছেন, সামনেও করবেন, তা আমি জানি! 😀 :love:

          • মাধবীলতা বলেছেনঃ

            পুলাপাইন সব বদ হইয়া গেছে !! নিজের গালে নিজের থাবড়া দেয়ার হারমনিটা দেইখা খুব মজা পাইলাম। 😀 :love:

  3. তরঙ্গ বলেছেনঃ

    পড়বো পড়বো করে অনেকদিন কবিতাটা পড়া হয়নি। আমি যেহেতু কবিতা কম বুঝি তাই কবিতা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই। কবিতার কথাগুলো বেশ ভালো লাগছে কিন্তু পড়তে কেন যেন কবিতার মতো লাগেনি। কথাগুলো বেশ ইন্সপায়ারিং 🙂

    • হৃদয় বলেছেনঃ

      ধন্যবাদ তরঙ্গ 😀

      কবিতা বুঝাতে না পারলেও, কথাগুলোর মাধ্যমে ইন্সপায়ারর্ড হইসেন; এখন ট্রিট চাইলে দেবেন?! 😛 😛

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।