প্রশ্নপত্র ফাঁস ও আমার কিছু কথা

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড – আমার কথা না, মনীষীদের কথা। কথাটা কতখানি সত্য সেটা নিয়ে আসলে নতুন করে বলার কিছু নেই। উন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যেকার আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখলেই এর সত্যতা টের পাওয়া যায়। জীবনে এটার উপর কতবার ভাব সম্প্রসারণ লিখতে হয়েছে তার হিসাব করলেও এর গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়। আর এই সত্যতা/গুরুত্ব উপলব্ধি করেই সমগ্র বিশ্ব আজ জ্ঞানচর্চায় নিমগ্ন, নতুন জ্ঞান আবিষ্কারে ব্যতিব্যস্ত। সেখানে আমাদের দেশে কি হচ্ছে?

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, পরীক্ষার মান, এইসব নিয়ে কথা নাই বলি। এগুলা যে কতটা দুর্বল তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পরিসংখ্যান দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। গত কয়েকবছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নাম্বার পেতে অসমর্থ হয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তবে এর থেকেও চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে এদের বেশিরভাগই এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত, অনেকের আবার গোল্ডেন জিপিএ ৫ (তথাকথিত এলিট শিক্ষার্থী)! ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলাম, পরীক্ষা পদ্ধতি কতটা প্রহসনমূলক সেটা বোঝানোর জন্য।

এখন আসি মূল কথায়। ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় এই পরীক্ষা কোন একজন শিক্ষার্থীর জীবনের ৪র্থ পাবলিক পরীক্ষা। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি এবং তারপর এইচএসসি। কিছুদিন আগেও আসলে এতোগুলা পাবলিক পরীক্ষা ছিল না। শিক্ষার মানের দিকে দৃষ্টিপাত না করে পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ঘটনাটা দেখলেই বোঝা যায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক। আর সার্টিফিকেট অর্জনটাই যখন মূল উদ্দেশ্য তখন সেখানে জ্ঞানের কোন স্থান থাকবে না, নৈতিকতার কোন স্থান থাকবে না – এটাই স্বাভাবিক।

কিছুদিন আগে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটা উঠে এসেছে। একসময় পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে যাওয়াটা যতটা নিয়মিত ঘটনা ছিল, ইদানীং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটাও ততটাই নিয়মিত হয়ে গেছে। অবস্থা এতোটাই করুণ যে হয়তো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেখা যাবে পরীক্ষার আগ দিয়ে কেজি দরে প্রশ্ন বিক্রি হচ্ছে! অবাক হবার কিছু নেই, হতেই পারে, কেননা এই সমস্যা দূরীকরণে সরকারের কোন আন্তরিকতা নেই। আজকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অকাট্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সরকার না দেখার ভান করছে, ভুয়া প্রচারণা বলে পুরো ব্যাপারটিকেই উড়িয়ে দিচ্ছে। দায়িত্বে থাকা মানুষেরা যদি এমন আচরণ করে তাহলে সমস্যা দূর হবে কিভাবে? আর সরকার এটা করবে নাই বা কেন? ভুল স্বীকার করার সংস্কৃতিটাই তো উঠে গেছে। ইমেজ বলে একটা কথা আছে না? ভুল স্বীকার করলে সেই ইমেজের কি হবে? আর তাছাড়া যেখানে সরকারের লক্ষ্যই হল পাশের হার বাড়ানো, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস তো নিন্দনীয় না, এতে করে যে পাশের হার বাড়বে!

প্রশ্ন হল, এই সংস্কৃতি থেকে কি আমরা বের হতে পারবো? কতদিন চলবে এভাবে? এর উত্তর কেবল আমাদের নেতৃস্থানীয় লোকেরাই দিতে পারবেন। উনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেই বলছি, একবার চিন্তা করে দেখেন, এমন ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে যে সারাদিন রিকশা চালিয়ে অনেক কষ্ট করে পড়ালেখার টাকা জোগাড় করে পড়ছে এবং পরীক্ষা দিচ্ছে। এরকম হাজার হাজার অসহায় পরীক্ষার্থী আছে, তাদের সাথে কি প্রতারণা করা হচ্ছে না? তারা কি অন্যায়ের শিকার হচ্ছে না? আপনারাও জানেন যে হচ্ছে। নিজের বিবেকবোধ থেকে দয়া করে এই সমস্যাটা দূর করেন। দেশের উঠতি বয়সী নতুন প্রজন্ম, যারা একদিন দেশের হাল ধরবে, তাদের সাথে প্রহসন না করলেই কি হয় না? তাদেরকে জ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করার উৎসাহ দেন। দেশটা তো অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এইসব প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে সোনা পাওয়া গোমূর্খ সন্তানেরা যদি একদিন দেশের পরিচালকের আসনে বসে তাহলে সেটার পরিণতি কতটা ভয়ংকর হবে তা চিন্তা করলেই গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যায়! এই একটা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রভাব যে কতটা সুদূরপ্রসারী তা আশা করি বোঝা যাচ্ছে।

অন্যায়ের শিকার শিক্ষার্থীদের বলছি, প্রকৃত মেধাকে কোনকিছু থামিয়ে রাখতে পারে না। এটা তোমাদের জানারই কথা। সমগ্র বিশ্বে এর হাজারও উদাহরণ আছে। আর এগুলা শুনেও তোমরা অভ্যস্ত। তাই এইসব গতানুগতিক কথা আর না বলি। কেবল অনুরোধ, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সমাজ, সরকার, জাতি, বিশ্ব – কেউ তোমার বাধা হয়ে দাড়াতে পারবে না। তুমি জ্ঞানের চর্চা চালিয়ে যাও। জ্ঞান আহরণে এগিয়ে যাও। তোমার অবস্থান তুমি নিজেই তৈরি করে নিবে।

বিঃদ্রঃ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের দেওয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ।

অনিন্দ্য সম্পর্কে

কাজে একজন প্রোগ্রামার। মানুষ হিসেবে যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, প্রগতিশীল, প্রযুক্তিপ্রেমী। পড়াশোনা (অধ্যয়নরত) - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। facebook.com/aspaul.93
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিবাচক, চিন্তাভাবনা, সচেতনতা-এ এবং ট্যাগ হয়েছে , , , , , স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

9 Responses to প্রশ্নপত্র ফাঁস ও আমার কিছু কথা

  1. জ্ঞানচোর বলেছেনঃ

    পাবলিক পরীক্ষা বাড়ায় সার্টিফিকেট নির্ভরতা বাড়ার যুক্তিটা ভালই। তবে, প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রে সেটার সম্পর্ক বেশী কি না, তা নিশ্চিত নই।

    আমাদের সরকারযন্ত্র তো মরুভূমির উটপাখির মত বালিতে মুখ গুঁজে থাকতে পছন্দ করেন। সে তো সমস্যা হবার পর। সমস্যা শুরুর আগেই কিন্তু অনেক কিছু আঁচ করা যেতে পারতো।

    যতদূর জানি, এবারই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবং পরিচিত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মনস্তত্ব বিশ্লেষণ করে যেটুকু মনে হলো, মাঝারী থেকে শুরু করে নিম্নমানের হয়ে বড় হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য এই সৃজনশীলতা একপ্রকার গলার ফাঁস। দোষটা তাদের নয়। দোষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যারা এই পদ্ধতিটার উপর চলমান ভিতি দূর করতে পারে নি। :nono:

    ফলশ্রুতিতে পুরনো সার্টিফিকেট নির্ভরতা আরও বেশী করে প্রশ্ন পাওয়ার দিকে ঝুঁকিয়েছে সবাইকে। (আগেকার দিনে প্রশ্ন ছিল একই রকম, এক লাইনের। এখন বেশ বড়সড় প্রশ্ন হয়। আবার নৈবত্তিক প্রশ্নও আছে। সব মিলিয়ে একটা জানি না জানি না কি প্রশ্ন হবে মতন অবস্থা।)

    লেখক যে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার লজ্জাস্কর ফলাফল। সেটা বোধহয় সামনে আরও বাড়বে। এবং, আরও বাড়বে বিজ্ঞানের প্রতি অনীহা।

    “এইসব প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়ে সোনা পাওয়া গোমূর্খ সন্তানেরা যদি একদিন দেশের পরিচালকের আসনে বসে তাহলে সেটার পরিণতি কতটা ভয়ংকর হবে তা চিন্তা করলেই গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যায়!”

    রোম তো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দাঁড়ানোর দরকার নেই। প্রশ্ন নিয়ে যে বাণিজ্য হচ্ছে, তা কিন্তু, খেটে খাওয়া ওই রিক্সাচালকের সন্তান করছে না। করছেন
    দেশের পরিচালকের আসনে বসে থাকা সুশীল মুখোশের মানুষের সন্তানেরা। :wallbash:

    তাই আমার মনে হয়, সত্যিকার পরীক্ষার্থী, যারা এসবের ধারে কাছে নেই, তাদেরকে পুরস্কৃত (অন্তত মনস্তাত্বিকভাবে) করার সমূহ ব্যবস্থা থাকা উচিত।
    সেটা কিভাবে হবে, সেটাই ভাবছি। :thinking:

    তথাপি দুঃখের মাঝেও :welcome:

    • অনিন্দ্য বলেছেনঃ

      জ্ঞানচোর, সময় নিয়ে লেখাটি পড়া এবং যৌক্তিক পর্যালোচনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!

      “পাবলিক পরীক্ষা বাড়ায় সার্টিফিকেট নির্ভরতা বাড়ার যুক্তিটা ভালই। তবে, প্রশ্ন ফাঁসের ক্ষেত্রে সেটার সম্পর্ক বেশী কি না, তা নিশ্চিত নই।”

      আমার যুক্তিতে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার সম্পর্কটা একটু ব্যাখ্যা করি। বর্তমান কালে আমাদের দেশের অনেক মানুষই কেবল সার্টিফিকেট চায়। লক্ষ্য যদি জ্ঞান অর্জন হত তাহলে তারা পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করত না। কারণ পরীক্ষা কেবল অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়নের একটি পদ্ধতি। যেহেতু জ্ঞান অর্জন না, বরং সার্টিফিকেট পাওয়াটাই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই যেকোন উপায়ে পরীক্ষার খাতায় লিখে বেশি নাম্বার পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আর সেটার জন্য মানুষ নকল, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করছে।

      সরকারযন্ত্রের সাথে মরুভূমির উটপাখির তুলনাটা একদম যথার্থ বলেছেন। সমস্যার কথা স্বীকার না করলে সমস্যা দূর করা সম্ভব না।

      মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়েছে যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১২ সালে। আমি নিজেই সেই ব্যাচের একজন পরীক্ষার্থী। তবে সবগুলো বিষয়ে তখন সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয় নি। উচ্চমাধ্যমিকে আমরা শুধু বাংলায় সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়েছি। সম্ভবত এবার সবগুলো বিষয় সৃজনশীল করা হয়েছে।

      হ্যাঁ, নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে কি পরিমাণ ভিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিজের চোখে দেখেছি যেহেতু আমরা এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়া প্রথম ব্যাচ। কিন্তু এর জন্য ঢালাওভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দোষ দেওয়া উচিত না। দোষ মূলত আমাদের সমাজের চিন্তাভাবনা এবং প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার। একটু ব্যাখ্যা করি।

      আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় মানুষের মূল লক্ষ্য চাকরি, অর্থ উপার্জন। জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সামাজিক পর্যায়ের মানোন্নয়ন নিয়ে কেউ চিন্তা করে না বললেই চলে। অথচ জ্ঞানচর্চা হওয়া উচিত উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে। সমাজে চিন্তাভাবনা সার্টিফিকেট অর্জন নিয়ে। পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা না করে চিন্তা করা উচিত জ্ঞান অর্জন নিয়ে। আর শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি তো অনেক! নতুন নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়, সেগুলো বাস্তবায়নের যথাযথ জনশক্তি আছে কিনা সেই ব্যাপারে কোন চিন্তা করা হয় না। ঢাকার একটা নামকরা স্কুলের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদেরকে যেভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, তেমনটি একটি গ্রামের স্কুলের শিক্ষক পারেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটাই বাস্তবতা।

      তাছাড়া মুখস্ত নির্ভর পড়ালেখা, নতুন চিন্তাভাবনার সুযোগ না থাকা – এসব তো আছেই। পরীক্ষা হওয়া উচিত উন্মুক্ত বই এর মাধ্যমে। পরিক্ষার্থীর সামনে বই খোলা থাকবে, চিন্তাশীল প্রশ্ন করা হবে। বই থাকা তাত্ত্বিক তথ্যগুলোকে কাজে লাগিয়ে পরিক্ষার্থী সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিবে, সমস্যার সমাধান করবে। শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীকে দিয়ে চিন্তা করানো। সমাজ এবং সভ্যতার অগ্রগতি হবে চিন্তাশীল মানুষের চিন্তাভাবনা এবং নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তেমনটি নয়। পরিকল্পনা করলেও অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বাস্তবায়ন করাটাও সম্ভব নয়।

      সারকথা হল, সমাজ এবং মানুষের চিন্তাভাবনা এবং লক্ষ্য যদি সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক না হয়ে জ্ঞান অর্জন কেন্দ্রিক হয় তাহলেই অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। সেই সাথে শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি সংশোধনের ব্যাপারটা তো আছেই। তবে এগুলো আমরা কেবল বলেই যাই। শোনার লোক খুব বেশি নেই। তারপরও আশায় বুক বাধতে তো দোষ নেই!

  2. অক্ষর বলেছেনঃ

    একটাই আক্ষেপ তোর বা আমার মত করে কেউ ভাবে না। এদেশের নীতি নির্ধারকেরা অনেক সময় দেখেও চোখ বন্ধ করে থাকে। একটা সুন্দর কথা উঠে আসছে তোর কথায়, একজন রিক্সাওয়ালা যে এত কষ্ট করে পড়াশোনা করছে তার জন্য কি এটা ঠিক হচ্ছে? তার ভাগ্য তো আমরাই নষ্ট করে দিচ্ছি। মানুষ এখন উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে, নতুন করে স্বপ্নই দেখবে না। পড়াশোনা টাকায় কেন বস্তু হয়ে যাবে কিন্তু উনারা ভ্রূক্ষেপ করবেন না। উনাদের তাতে কিছু আসে যায় না। উনারা যদি মনে প্রাণে চাইতেন দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার এই হাল হত না। তাও মন্দের ভালো যে তোর মত উঠতি তরুনরা এটা নিয়ে ভাবে আর তাই আশাবাদী হই এই মেরুদন্ডহীনেরা যখন থাকবে তোর মত মানুষরা এই দেশের হাল ধরবে। লিখতে থাক, একসময় তাদের ছোট কানে কথা পৌছতেও পারে।

    :welcome:

  3. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    এই রকম করে ভাৰলে চেইঞ্জ নিশ্চিত আসবে

    :welcome:

  4. সাফল্য লাভের তাড়ায় মানুষ ন্যায়-অন্যায় ভুলতে বসেছে…
    সময়োপযোগী লেখা 🙂

  5. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    “যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ”- এই কথাটা আমি যথেষ্ট ঘৃণা করি। কিন্তু, আসেপাশের অবস্থা দেখে এই ব্যাপারটাই দিনে কয়েকবার মনে পড়ে যায়।

    তবুও- সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতন, বিবেকবান মানুষেরা যদি…অন্তত নিজেদের পরিবার- বন্ধুবান্ধবের সার্কেলের মধ্যে নৈতিকতা, মূল্যবোধের চর্চা ছড়িয়ে দিতে পারেন। অবস্থা কিছুটা হলেও আলোর দেখা পেতে পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।