আত্মদহন

একটা অস্থির চিন্তা মগজের ভেতর স্থির হয়ে ঘুরতে থাকে,
এই ঢেউ তুলে, এই ডুব দেয়,
কখনো জলতরঙ্গের শব্দে বাজতে থাকে
কিছুতেই ভুলে থাকা যায় না
একটা অস্থির চিন্তা…

বিষাক্ত একটা পোকা যেন সমস্ত শরীর
ছিঁড়ে-খুঁড়ে-ফেড়ে সাঁতার কেটে বেড়াতে থাকে
বিন্দু বিন্দু করে ঘনিয়ে আসে মৃত্যুর মতো অনিশ্চয়তা
কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না।

মগজ না আকাশ ঠাহর করা যায় না
বিদ্যুৎ চমকে বিকট শব্দে বাজ পড়ে
আলোকিত যন্ত্রণায় থেমে যায় সবকিছু
অথবা নিয়মিত গতিতে দুলতে থাকে
তারপর ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতন প্রশান্তি,
করোটি জুড়ে থকথকে নোংরা কাদা।
ঘুম ঘুম ঘোরে বৃষ্টির পর্যাবৃত্ত শব্দ
আবেশ তৈরি করে ভাসিয়ে নিতে চায়
দুঃস্বপ্নময় দুশ্চিন্তাগুলো।

একটা চিন্তা তবু শ্যাওলার মতো আঁকড়ে থাকে মগজের গ্রন্থি,
প্রতিটা নিউরোনে নিউরোনে ছড়িয়ে দেয় তরল আগুন
সোনালি-রুপালি শিখায় জ্বলতে থাকে
এমনকি নিভে গেলেও রেশ থেকে যায়
ভায়োলিনের সকরুণ সুরের মতো
স্মৃতির কবর খুঁড়ে দিকভ্রান্ত বর্তমান নিয়ে
আত্মদহন ঘটায়।

ফারাহ্‌ মাহমুদ সম্পর্কে

অবিদিত, জানো কি? বুকের মধ্যে জল তরঙ্গ নিয়ে মানুষ হয়ে জন্ম নেয়া পাপ! অবিদিত, জানো কি? অনুরাগ এক প্রকার সুখকর বিভ্রান্তি..
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, সাহিত্য-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

10 Responses to আত্মদহন

  1. বোহেমিয়ান বলেছেনঃ

    ভাল্লাগছে

    বানানগুলা ঠিক করা যায়?

  2. শারমিন বলেছেনঃ

    ভালো লেগেছে 🙂

  3. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    ভালো লাগলো,
    চলুক…

  4. রাহনুমা বলেছেনঃ

    হু, কিছু জিনিস ভুলে থাকতে চাইলেই বেশী করে মনে পড়ে… 🙁

    কবিতা সুন্দর!

  5. হৃদয় বলেছেনঃ

    আমি কবি ফারাহ্‌ মাহমুদ এর একজন ভক্ত! :happy:

    কারণ হিসেবে কি বলা যায়? তাঁর কবিতার উপমাগুলোর মর্মার্থ উদ্ধার করার চেষ্টায় আমার মস্তিষ্কের নিউরন-নিউরন ইন্টেরাকশান অনেক বেশি বেড়ে যায়! :beerdrink:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।