জানো তো আজকের আকাশ আমি কখনো ভুলবো না…
আমি বিকেলে পশ্চিম আকাশে তাকিয়ে চমকে উঠি। কিছুক্ষণ আগেও অল্প কয়েকটা মেঘ ছিলো। সাদা ছোট ছোট পেজা শিমুল তুলোর মত। এখন প্রায় গোটা আকাশ ঢেকেছে। ছেড়া ছেড়া মেঘ কিন্তু জালের মত ছড়ানো। এমন মেঘকে নিয়ে আমার একটা পুরোনো গল্প আছে। সেই গল্প আমি মনে করতে চাইনা। তবুও এমন তুষার মেঘলা দিনে আমার কানে শ্যামলা একটা ছেলের কন্ঠ বাজে,
জানো তো, আজকের আকাশ আমি কখনো ভুলবোনা…জানো তো, আজকের আকাশ আমি কখনো ভুলবোনা…
আমি কান চেপে ধরি। চোখ বন্ধ করে ফেলি। বন্ধ চোখের পাতায় বিকেলের রোদ এসে পড়ে। চোখের কালোয় আসতে আসতে একটা বিকেল ফুটে ওঠে। একটা সবুজ ছাদ, এক কোণায় সিমেন্টের বেদী, একটা লাল শার্ট পড়া ছেলে, একটা কালো শাড়ী পড়া মেয়ে, তাদের অকারণ গল্প, অকারণ অভিমান, অকারণ মুগ্ধতা, অকারণ আকাশ দেখা… পেঁজা তুলোর মত মেঘে ঢেকে যাওয়া আকাশ দেখা…রাস্তার ধারে হোটেলের বিলবোর্ডে শাহরুখ খান পেপসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সেদিন ক্লাস শেষ করে ফেরার পথে আমি দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এখন বোধহয় মুগ্ধ হয়ে বিলবোর্ড দেখার বয়স নেই। একটা শ্যামলা ছেলের কথা মনে পড়ে। তখন বিকেলে কোচিং করে বাড়ি ফিরতাম। শাহরুখ খান কে দেখিয়ে ঠুস করে সালাম ঠুকে দিয়েছিলো। মুখ গম্ভীর করে বলেছিলো, আমার বস বুঝলা? মেয়েটা সেদিন মুখ বাঁকিয়েছিলো। বিলবোর্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে আচমকা হেসে উঠি। পাগল একটা ছেলে ছিলো। এখন কোথায় আছে? কেমন আছে? জানিনা। বহুদিন খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার ছিলো। তাও হয়নি। সব কাজ বোধহয় এক জীবনে হয়ে ওঠেনা।
জানো তো, আজকের আকাশ আমি কখনো ভুলবোনা…জানো তো, আজকের আকাশ আমি কখনো ভুলবোনা…
আমি কান চেপে ধরি। চোখ বন্ধ করে ফেলি। বন্ধ চোখের পাতায় বিকেলের রোদ এসে পড়ে। চোখের কালোয় আসতে আসতে একটা বিকেল ফুটে ওঠে। একটা সবুজ ছাদ, এক কোণায় সিমেন্টের বেদী, একটা লাল শার্ট পড়া ছেলে, একটা কালো শাড়ী পড়া মেয়ে, তাদের অকারণ গল্প, অকারণ অভিমান, অকারণ মুগ্ধতা, অকারণ আকাশ দেখা… পেঁজা তুলোর মত মেঘে ঢেকে যাওয়া আকাশ দেখা…রাস্তার ধারে হোটেলের বিলবোর্ডে শাহরুখ খান পেপসি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সেদিন ক্লাস শেষ করে ফেরার পথে আমি দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। এখন বোধহয় মুগ্ধ হয়ে বিলবোর্ড দেখার বয়স নেই। একটা শ্যামলা ছেলের কথা মনে পড়ে। তখন বিকেলে কোচিং করে বাড়ি ফিরতাম। শাহরুখ খান কে দেখিয়ে ঠুস করে সালাম ঠুকে দিয়েছিলো। মুখ গম্ভীর করে বলেছিলো, আমার বস বুঝলা? মেয়েটা সেদিন মুখ বাঁকিয়েছিলো। বিলবোর্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে আচমকা হেসে উঠি। পাগল একটা ছেলে ছিলো। এখন কোথায় আছে? কেমন আছে? জানিনা। বহুদিন খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার ছিলো। তাও হয়নি। সব কাজ বোধহয় এক জীবনে হয়ে ওঠেনা।
[ চলবে…]
পুনশ্চঃ আমার ভাবতে ভালো লাগে। এরকম সেরকম। ভাবনা গুলোকে কাগজে বন্দী করা একটা দুঃসাহসী ব্যাপার। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ও সাহসের সীমা তার সীমানা অতিক্রম করে ফেলে। আমি কোন লেখক নই, গল্প লিখবো, কাহিনি সাজাবো এরকমটা আমি ভাবতেও পারিনা। কয়েকদিন আগে নতুন একটা শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি। অগল্প। সরবের ক্যাটাগরীতে এরকম একটা থাকলে ভালো হতো। খেয়ালী ভাবনা গুলোকে ওই আওতায় ফেলে দিতাম। গতকাল মেঘ দেখতে দেখতে এই কিছু বাক্য মাথায় ভোঁ কাট্টা ঘুড়ির মত শোর তুলেছিল। এই অগল্পের শেষ আছে কিনা জানিনা। তবুও ‘চলবে’ এর আওতাভুক্ত করে দিলাম। কখনো হয়তো শেষ হবে। আবার নাও হতে পারে। যা গল্পই নয় তার আবার শেষ কি…
খুব সুন্দর শুরু হইছে তো।
এইটাকে অপগল্প বলে ভাব নিলি নাকি?!
“সব কাজ বোধহয় এক জীবনে হয়ে ওঠে না”
দারুণ লাইন। ফিলসফার ফিলসফার ভাব দেখি
আরে না ভাইয়া কই আর ভাব নিলাম! মন্তব্য পেয়ে খুশিইইইইইই খুশিইইই!!! 😀
সুন্দর তো 🙂
আরও চাই 🙂
:love:
পুনশ্চঃ বেশি ভালো লেগেছে। অগল্প। 🙂
ধন্যবাদ 😀
শিরোনামটা একটা ভালোলাগা গানের, কিছুটা ভালোলাগা তাই লেখাটাতেও এসে পড়েছে।
একটা লাল শার্ট পড়া ছেলে, একটা কালো শাড়ী পড়া, তাদের অকারণ গল্প
পড়া শব্দটার পরে সম্ভবত কিছু রয়েছে।
এডিট করে দিলাম। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! 🙂
এডিট করে দিলাম ভাইয়া। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
আসলেই অগল্প! (অ তে অসাধারণ!)
সাথে আছি… :love:
:love: :love: :love:
অগল্প হলেও দারুণ! 😛
থেঙ্কু থেঙ্কু 😀 :love: