{ গল্পের আগেই বিঃদ্রঃ বাঁকা কথাগুলো মনের ভিতর আঁকুপাঁকু করা কথা। মুখ দিয়ে বের করার মতো সাহস এখনো পুলাপানের হয় নাই।}
-এই ছেলে, দাঁড়াও।
-স্যার আমাকে বলছেন?[খাইসে আমারে।]
-হ্যাঁ, তোমাকেই বলছি। দাঁড়াও।
-(দাঁড়িয়ে) জ্বি, স্যার।[আল্লাহ বাঁচাও]
-ঘুমাচ্ছিলে কেন?
-(তীব্রভাবে মাথা দু’দিকে নেড়ে)না তো, স্যার ঘুমাচ্ছিলাম না।
[দেখলো ক্যামনে!!!]
-আমি দেখেছি তুমি ঘুমাচ্ছিলে। এখন আবার মিথ্যা কথা বল! কি করেছ সারা রাত?
-স্যার, ঘুমিয়েছি। [ফেসবুকাইছি, কার্ড খেলছি, মোবাইলে গ্যাজাইসি।]
-সত্যি কথা বল।
-স্যার, সত্যি ঘুমিয়েছি। [আমারে কি পাগলে কামড়াইসে যে সত্যি কথা কমু?!!]
-পড়া পড়েছ গত দিনেরটা?
-না,স্যার। [আল্লাহ বাঁচাও]
-সিজিপিএ কত?
-স্যার, থ্রি পয়েন্ট থ্রি।[পয়েন্ট টু বাড়ায়া কইসি, তাও যদি মান-সম্মান কিছু বাঁচে।]
-এইটা একটা রেজাল্ট হলো!!! কি কর সারাদিন? টিউশনি? কয়টা টিউশনি কর?
-স্যার, একটা টিউশনি করি। [তিনটা না করলে চলে নাকি!!!]
-একটা টিউশনি করলে বাকি সময় কি কর? মোবাইলে কথা? মাসে মোবাইলে কত টাকা খরচ কর?
-না, স্যার!!! মোবাইলে তো মাসে একশ টাকা খরচ করি। [এইতো হয় আরকি, হাজার দুয়েক]
-ক্লাস টেস্টে কত পেয়েছ?
–[হইসে কাম] স্যার, দশ।
-কয়দিন পড়ে পরীক্ষা দিয়েছ?
-স্যার, দুইদিন। [২ ঘন্টার বেশি পড়ার সময় হয় নাই]
-এইটা একটা নাম্বার হলো!!!
–[জ্বি, এইটা একটা নাম্বার। এ-কে-শূ-ন্য দশ। ]
-কথা বল না কেন? পড়ালেখা না করে কি করবা জীবনে?
–[মন্ত্রী হব। পড়ালেখা না করলেও চলবে।]
-তোমাদের দিয়ে যে কি হবে! আমরা কত রাত জেগে পড়তাম পরীক্ষার জন্য। এক সপ্তাহ আগে থেকে না পড়লে কি পড়া হয় নাকি? তোমরা পড় দুই দিন!!! বড় ভাইদের পিছনে পিছনে চোথার জন্য কত দৌড়ে চোথা জোগাড় করতাম। নতুন নতুন বই পেলেই তো কত আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। হাতে লিখে লিখে একেকটা লেখা কপি করতে হতো। আর তোমরা তো পাইসো এক পলাশী, খালি ফটোকপি করতে দৌড়। লজ্জা করে না এতো খারাপ রেজাল্ট করতে?
ছাত্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে।
-বসো।
-জ্বি, স্যার। [কি আঁতেল ছিলো রে বাবা! আমার ঘুমটাই পালায়া গেসে এলাকা ছাইড়া আঁতলামির কাহিনী শুইনা। ]
[ ইহা একখানা কাল্পনিক সাধারণ কথোপকথন। কারো সাথে মিলে গেলে একমাত্র সে দায়ী ]
বুকে হাত দিয়ে কে বলবে এমন উত্তর দেয় নাই স্যারের প্রশ্নের জবাবে! 😛
হে হে 😛
😛 :happy:
😛 :happy:
:happy:
হাহা!! ব্যাপক মজা পাইছি! 😀 =))
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…… :happy:
:love:
স্যারকে ভালোবাইসা একটা ফুল দিয়া দিলে কি এতু কথা শুনা লাগে ????
পুষ্ট মজারু হইচে 😀 যোগ চিহ্ন !!! (+) 8)
মজারু হইছে শুইনা আলন্দিত 😛
:happy: 😛
নীল কালি ইউজাইলেন ক্যাম্নে? :thinking:
:happy: 😛
show/hide kitchen sink অপশনে গেলে নতুন একটা ট্যাব আসে। সেখানে ফন্ট কালার পাবেন………লেখার কালার সিলেক্ট করে দিলে edit এর সময় কালার দেখা যায় না, কিন্তু preview/মূল লেখায় কালার আসে। 🙂
হাহা :happy:
কিন্তু ক্লাস টেস্টে ১০ তো অনেক ভাল নাম্বার লাগলো আমার!
:happy:
ক্লাস টেস্টে দশ তো আমার জন্যও অনেক ভালো, টিচারের জন্য খারাপ…… 😛
এইটা একটা কথা হলো। সবাই তো আর টিচার হতে ভার্সিটি তে ঢোকে নি। কাউকে না কাউকে তো স্টিভ জবস হতে হবে। :balancin:
হা হা…… 😛
8) 😛 :happy:
8) :happy:
আমাদের মেডিকেলে এক ম্যাম আছেন, নামটা বললাম না।
১ম বর্ষে ফিজিওলজি পড়াতেন।
ম্যামের অতি পছন্দের ডায়লগ হল, “বেয়াদব”।
আমি নিশ্চিত, এই কথোপকথন ম্যামের সাথে হলে তিনি অন্তত শ’খানেক বার “বেয়াদব” বলতেন।
“বেয়াদব” এর আবার ভ্যারিয়েশন আছে, “অসম্ভব বেয়াদব”, “চূড়ান্ত বেয়াদব”, “স্পেশাল বেয়াদব”, “অতি বেয়াদব” , “অস্বাভাবিক বেয়াদব” … ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনার এই কথোপকথনে আমার ম্যামের সাথে এক কথোপকথন মনে পড়ে গেল।
আমি আখ্যায়িত হয়েছিলাম, “মোস্ট ওয়ান্টেড বেয়াদব” হিসেবে।
😛 :happy:
মোস্ট ওয়ান্টেড বেয়াদপ!!! 🙄
“বেয়াদব” এর আবার ভ্যারিয়েশন আছে, “অসম্ভব বেয়াদব”, “চূড়ান্ত বেয়াদব”, “স্পেশাল বেয়াদব”, “অতি বেয়াদব” , “অস্বাভাবিক বেয়াদব” … ইত্যাদি ইত্যাদি। 😛
বেয়াদবের ভ্যারিয়েশন! 🙄
আমি চিন্তা করতেসি, আপনি যদি টিচার হন, তখনও আপনি ছাত্রদের কইবেন, “তোমাদের দিয়ে যে কি হবে! আমরা কত রাত জেগে পড়তাম পরীক্ষার জন্য। এক সপ্তাহ আগে থেকে না পড়লে কি পড়া হয় নাকি? তোমরা পড় দুই দিন!!! বড় ভাইদের পিছনে পিছনে চোথার জন্য কত দৌড়ে চোথা জোগাড় করতাম। নতুন নতুন বই পেলেই তো কত আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। হাতে লিখে লিখে একেকটা লেখা কপি করতে হতো। আর তোমরা তো পাইসো এক পলাশী, খালি ফটোকপি করতে দৌড়। লজ্জা করে না এতো খারাপ রেজাল্ট করতে?” 8)
এইজন্যই তো আমার টিচার হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই :happy:
সার্কিট ল্যাবের প্রফেসর আমাকে টার্ম ফাইনালে “দেখে নেয়ার” হুমকি দিয়েছেন। 🙁 :brokenheart:
আমি ল্যাবের কম্পিউটারে গেম খেলার পারমিশন চাইসিলাম। :angel_not: :penguindance: :penguindance:
কয় কি পুলাডা!!! কম্পিউটার ল্যাবে গেম খেলতে চাইসিলা?!!! 😯
ভাগ্য ভালো কয় নাই, তোমার ভার্সিটি লাইফ দেইখা লমু :dhisya:
আমি প্রায় regularly খেলি 😛 আমরা নিজেরা even কিছু গেইম ইন্সটলও করে নিসি!! 🙄 :yahooo:
ইহা আপনি কী করিলেন? এই রচনাখানা যদি কোন মাস্টার মশাইয়ের দৃষ্টিগোচর হয় তবে আমাদের মত ঘুমকাতুরে শিক্ষার্থীরা কী জবাব দিবে?????? 🙁
আর আমার টিচাররা দেখলে?!!! 😛 :crying: :haturi:
😀 😀 😀
মজারু! হাসতে হাসতে শেষ………
😀 :happy:
🙄
দোস্ত তুই কী লিখলি রে!! :happy:
আমার কাছে তো দশ সর্বোচ্চ! দশের ভিতরে দশের বেশি তো আর পাওয়া যায় না! 😛
ইয়াহু……পরীক্ষায় ফার্স্ট না হইলে কি হইসে, এইখানে দশে দশ পাইসি :happy: 😛
[ ইহা একখানা কাল্পনিক সাধারণ কথোপকথন। কারো সাথে মিলে গেলে একমাত্র সে দায়ী ]
ভাইজান আফনে কল্পনাতেও এমন চীজ! খাইসে রে! :thinking:
🙄 – আমার অবস্থা পুরাই এই ইমোটার মতো! ইমো যে মনের কথাআআআ বলে…।। :happy:
না, মানে, ইয়ে আরকি………… কাছাকাছি ঘটনা তো নিয়মিতই সবার ক্লাসে ঘটে। 😛
=)) 🙄
:happy: