‘মানুষ আমি আমার কেন পাখির মতো মন…’, সকাল থেকেই কানে এয়ারফোন গুঁজে গানটা শুনছিল আবীর। ওর মন খারাপ। মুখচোরা স্বভাবের আবীর নিজের কথাগুলো কাউকে শেয়ার করতে পারে না। নিজের মধ্যেই চেপে রাখে, কষ্ট পায়। ও মনে করে- কষ্ট ছড়িয়ে দিতে হয় না, ছড়িয়ে দিতে হয় আনন্দ: সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে, এতে আনন্দটা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে তা ও ভুলতে পারছে না, হয়তো ভোলার চেষ্টাও করেছে না, কিন্তু কষ্ট পাচ্ছে। কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। ছেলে তো, তাই চিৎকার করে কাঁদতেও পারছে না- একটা বয়স পার হওয়ার পর ছেলেদের কান্নাকে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। যদিও আবীরের বয়স একুশ হয়েছে কিন্তু আবীর সেটা পারে না। সে ভীষণ আবেগপ্রবণ ধরণের ছেলে, ওর চোখ অল্পতেই ভিজে ওঠে।
দরজায় কড়া নড়তেই আবির চশমা খুলে চোখের কোণায় জমে থাকা পানিটুকু মুছে নেয়। দাদু ঘরে ঢুকতেই হাসার চেষ্টা করে, দাদু আবীরের ভীষণ পছন্দের মানুষ।
-আবীর চল, একটু বেড়িয়ে আসি; চল পার্কে যাই।
-যেতে ইচ্ছে করছে না যে দাদু; তুমি রোহানকে নিয়ে যাও।
চোখ শুকনো থাকলেও আবীরের গলার স্বর শুনে দাদু বুঝে যান, আবীরের কিছু একটা হয়েছে। আবীরের পাশে বসে আবীরের কাঁধে হাত রাখলেন- ‘তোর মন খারাপ বুঝতে পারছি। কেন মন খারাপ আমায় বলবি না?’
– আমার মন খারাপ না দাদু, আমি ঠিক আছি। তুমি রেহানকে নিয়ে যাও…দাদুর হাতের স্পর্শ এত কোমল, আবীর বুঝতে পারছিল দাদুর সামনে আর নিজেকে সে লুকাতে পারবে না, চোখ আবার ভিঝে ওঠার আগ মুহূর্তে ও অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
কিন্তু দাদুর চোখ ফাঁকি দিতে পারে না, দাদু বুঝতে পারে আবীর ভেতরে-ভেতরে খুব কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু কারণটা তিনি ধরতে পারছেন না…দাদু এবার তার হাত আবীরের মাথায় রাখলেন, ‘দাদুভাই, কি হয়েছে?’
এবার আবীর সত্যিই কেঁদে ফেলে, নিঃশব্দে দাদুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে ও।
এভাবে কেটে যায় কিছুটা সময়। আবীর কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠে; দাদুর চোখে চোখ রেখে বলে, ‘খুব পছন্দের একজন মানুষকে হারিয়েছি তো, তাই মন খারাপ।’
– খুব কাছের?
-আমার জন্য খুব কাছের, তবে তার জন্য না- আমাকে সে চেনেই না…
-বুঝলাম না ঠিক। তোর জন্য খুব কাছের, আবার বলছিস তোকে সে চেনেই না! বুঝিয়ে বল?
-বুঝাতে ইচ্ছে করছে না দাদু, তুমি এখন যাও।
-ইচ্ছে না করলেও বল। মন হালকা হবে, ভালো লাগবে।
-ভারী মন নিয়েই আমি ভালো থাকি; পরশু পরীক্ষা আছে, তুমি এখন যাও।
-ঠিক আছে, চলে যাচ্ছি। বলতে ইচ্ছে করলে, আমার রুমে চলে আসবি, আমি শুনবো। বলে তিনি উঠতে থাকেন।
দরজার কাছে পৌছতেই, আবীর বলে- ‘বলতে ইচ্ছে করছে, বস।’
দাদু মুচকি হেসে আবীরের পাশে এসে বসে। ‘এখন বল?’
বুক থেকে নিঃশ্বাসটা ছেড়ে দিয়ে জানালার সামনে যায় আবীর… ‘ওর সাথে আমার পরিচয় প্রায় এক বছর হবে। পরিচয় ফেইসবুকে। সামনা-সামনি কখনো কথা হয় নি। কোন ছবিও দেখি নি। কথাও খুব বেশি হয় নি। ওর নাম নীলিমা- নীল যোগ ইমন মানে হলো নীলিমা! দাদু, আমার নাম ইমন কেন হলো না?…রঙেরও কিন্তু ঠাণ্ডা-গরম আছে, জানো দাদু? লাল হলো উষ্ণ রঙ আর নীল হলো ঠাণ্ডা রঙ- নীলিমা নীলরঙের মতোই ঠাণ্ডা ধরণের মেয়ে। লেখালেখি করে ও; ওর লেখা পড়েছি। গত বছরের ২৯শে জুন রাতে ওর সাথে প্রথম কথা হয়। সেই থেকে ভালো লাগার শুরু…আমি জানি না দাদু, ওর মধ্যে কিছু একটা আছে… আমি ঠিক বোঝাতে পারবো না- এত্ত বেশি ভালো ও। শিশুদের মত নিষ্পাপ কথাবার্তা। ভাগ্যে নেই…’ একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
-ভাগ্যে নেই কি করে বুঝলি?
– একটা ভুল করেছি। অনেকদিন ধরেই, ওকে কথাগুলো বলব ভাবছিলাম। কিন্তু সাহস পেতাম না। আমার ওর প্রতি দুর্বলতা আছে, ওর তো নেই। ভালোবাসি বললে, ও রাগ করবে-বিরক্ত হবে তাই বলতাম না। শেষ পাঁচ মাস ওর সাথে তেমন কথা হয় নি। ভয় লাগতো- কি বলতে কি বলে ফেলি, ও যদি বিব্রত হয়, রাগ করে। গত পরশু সকালে ওকে ম্যাসেজে সব বললাম। কিন্তু উত্তরে কিছু বলেনি। আমি জানি ও কিছু বলবে না। ওর কাছে নিশ্চয়ই অবিশ্বাসের মত লেগেছে- খুব কষ্ট পেয়েছে বোধয়। ও বোধয় আমাকে ভাইয়ের মত দেখত…
-একটা অচেনা ছেলেকে একটা মেয়েতো ভাইয়ের মতোই দেখবে, সেটাই তো স্বাভাবিক!
-সেটাই স্বাভাবিক দাদু…সেটাই স্বাভাবিক, জানালার ফাঁক গলে ডিভাইডারগুলোতে দাঁড়ানো ঘাড়উঁচিয়ে জ্বলতে থাকা সোডিয়াম ল্যাম্পগুলোর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আবীর।
বিছানা থেকে দাঁড়িয়ে আবীরের সামনে এসে দাঁড়ায় দাদু। হাসতে-হাসতে বলে, ‘তুইতো দেখছি, প্রেমে ছ্যাঁক খেয়েই পুরোপুরি দেবদাস হয়ে বসে আছিস!’
দাদুর সাথে এমনিতে আবীরের বন্ধুসুলভ সম্পর্ক হওয়ায়, বেশিরভাগ কথাতেই খুব হাসি-ঠাট্টা হয়। দাদুকে চমকে দিয়ে আবীর তার দিকে তাকিয়ে চোখ পাকিয়ে বলে, ‘নীলিমা রুটি সেঁকার গরম তাওয়া না যে আমাকে ছেঁকা দেবে!’
দাদু মুখের হাসি আরো প্রশস্ত করে বলে, ‘এইতো, স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করছিস। যা হওয়ার তাই হবে, এতো চিন্তা করে কোন ফায়দা নেই। আর সবসময় মনে রাখবি, যা হয়- ভালোর জন্যই হয়। এখন তৈরি হয়ে নে, ঘুরে আসি।’
-দাদু, তোমার এই কথাটা ঠিক না। যা হয় তা সবার জন্য সবসময় ভালো হয় না। তবে নীলিমাকে কথাগুলো বলে একদিক থেকে ভালো হয়েছে। যদিও আমরা ফেইসবুকে বন্ধু ঠিক-ই থাকবো। কথা হয়তো হবে না, কথা বলার মত তো আর অবস্থা নেই। কথা যেহেতু হবে না, তাই ওকে ডিস্টার্ব অথবা বিব্রত করাও হবে না। এরকম কিছু না হলে, আমি মাঝে-মাঝেই হয়তো ডিস্টার্ব করতাম। ওর জন্যতো ভালোই হয়েছে; আর ও ভালো থাকলে আমিও ভালো…দাদুর দিকে তাকিয়ে হাসতে চেষ্টা করে আবীর।
রুফের দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবতে থাকে দাদু। কিছুক্ষণ পর গম্ভীর গলায় আবীরকে জিজ্ঞেস করে, ‘কালকে যে তোর বাবা মারা যাওয়ার আট-বছর হবে সেটা মনে আছে আবীর?’
বাবার কথা শুনে, আবীরের বুকটা হঠাৎ যেন কেমন করে উঠে। আবীরকে অনেক ভালোবাসতেন। ক্লাস ফাইভে থাকতে আবীরের একবার ভীষণ জ্বর হয়, কোনভাবেই জ্বর কমছিল না। আবীর বাবার কোলে শুয়ে ছিল। জ্বর চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আবীরকে কোল থেকে নামান নি- তিনদিন পর আবীরের জ্বর কমেছিল। বাবাকে নিয়ে ছোটবেলার কোন স্মৃতিই আবীরের তেমন মনে নেই, মা বলেন মাঝেমাঝে। মা নিশ্চয়ই বানিয়ে-বানিয়ে বলেন না…আট বছর আগে কার অ্যাকসিডেন্টে বাবা মারা যায়; কাল তার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। আবীর কি করে তা ভুলে গেল! অনুশুচনায় আবীরের মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিল…
আবীরের দিকে তাকিয়ে দাদু বলেন- দেখ আবীর, মন যেহেতু আছে, মন খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। দাদুভাই, তোর বয়স তখন তের-চৌদ্দ হবে হয়তো। সেদিন সবাই খুব কেঁদেছিল, তুই কাঁদিস নি। আমি যখন তোকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘দাদু, তোর বাবা মারা গেছে, তুই কাঁদিস না কেন?’ তুই শান্ত গলায় শুধু বলেছিলি, ‘আমি বাবার খাটিয়া কাঁধে তুলব।’
তোর অতোটুকুন কাঁধে, পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী জিনিস তুলেছিলি। আবার তোর দাদী যখন মারা গেল, তুইতো তার পাশেই ছিলি। তখনও তুই কাঁদিস নি। তুই ছোটবেলা থেকেই খুব শক্ত ধরণের ছেলে। দ্যাখ আবীর, আমি বলছি না- যে কারণে তোর মন খারাপ সেটা খুব তুচ্ছ কোন কারণ। কিন্তু মন খারাপ হওয়ার অনেক বড় ব্যাপার তোর জীবনে আছে। মানুষের মনটা খুব অদ্ভুত জানিস, বড় কারণগুলো সেটাকে স্পর্শ করে না, সহজে ভুলে যায়; তুচ্ছ কারণগুলোই বেশি কষ্ট দেয়…
তারপর দু’জনই অনেকক্ষণ চুপ ছিল। নৈঃশব্দ্য ভেঙে আবীর বলে, ‘দাদু, কবিতা পড়বে?’
-তোর লেখা? পড়ব।
চশমা চোখে নিস্পলকে কাগজের দিকে চেয়ে থাকে—
ভালোবাসার বহুমাত্রিকতা
———————————–
মাকে দেখতে খোকা গিয়েছিল হাসপাতালে
ব্রেইনস্ট্রোকে পক্ষাঘাতগ্রস্থ মা,
মায়ের পাশে বসে উলটাচ্ছিল প্রেশক্রিপশান
আর টেস্টের রিপোর্টগুলো।
হঠাৎই চোখজোড়া স্থির হয়ে যায়, কাঁধে স্টেথোস্কোপ ঝোলানো
ভারী চশমার তরুণীতে!
সম্পর্কে দূরসম্পর্কের আত্মীয়া হয়—
মেডিকেল কলেজে পড়ে।
আপাত মনোযোগ ঘনীভূত হয় সেই সপ্তশি তরুণীতে।
মায়ের ক্ষীণ স্বর তখন কানে পৌছায় না
হঠাৎ করে মাতৃস্নেহ যেন বিলীয়মান হয়
নিদারুণ পৌরুষ্যের কাছে,
মায়ের কপালে আলতো স্পর্শ করে,
তরুণীকে নিয়ে বারান্দায় চলে আসে।
মনিটরের পার্লসরেটের বেঁকে যাওয়া লাইনগুলো
দেখে একঘেঁয়ে-ক্লান্ত সে,
তাই আকাশ দেখে মনটা সতেজ করার অভিপ্রায় জাগে…
তরুণ-তরুণী একসাথে আকাশ দেখে
চোখে-চোখে ঘটে যায় হাজারো কথোপকথন,
ঝড়ে কথার সিম্ফোনী।
হঠাৎই তরুণীর চোখে আকাশ দেখার বড্ড
ইচ্ছে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে,
ঐদিকে মায়ের পার্লস লাইন ত্রমশ বক্র থেকে
সরল হতে থাকে।
এভাবেই কেটে গিয়েছিল কয়েক মুহূর্ত…
হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়ে তরুণের
দৌড়ে ছুটে আসে কামরায়,
কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ…
তরুণীর বুকে মাথা চেপে খুব কাঁধতে বড় ইচ্ছে করে তরুণের।
পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াময় স্থানটিতে মাথা গুঁজে
সিক্ত হওয়ার সুযোগ পায় তরুণ।
অল্পক্ষণের পরিচয়, সময়ের সমর্থন ভিন্ন দ্বি-আত্মাকে পরস্পরের
সম্পূরক করে তোলে। মৃত্যু কেবল ঘটায় ভালোবাসার স্থানান্তর।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে, দাদু হাসি মুখে বলে- তুই বদলাস নি আবীর! কবিতাটা কবে লিখেছিলি- রেণুর স্ট্রোকের পর?
আবীর মাথা নাড়ে। আগ্রহ ভরা কণ্ঠে বলে, ‘চল দাদু, ঘুরে আসি।’
-চল।
রিকশায় পাশাপাশি বসে আবীর আর তার দাদু এগিয়ে চলে। আপাতত গন্তব্যহীন তাদের যাত্রা। মাঝে-মাঝে দাদুকে নিয়ে রিক্সায় চড়ে আবীর। দাদু অবাক চোখে চারপাশটা দেখন। সত্তুরার্ধো এই বৃদ্ধকে তখন খুব অচেনা মনে হয়।
-আবীর?
-বল দাদু?
-তুই তখন আমাকে ঐ কবিতাটা কেন পড়তে দিয়েছিল? কারণটা আন্দাজ করা যায় কিন্তু আমি তোর মুখে শুনতে চাচ্ছি…
-আমি জানি না দাদু। আমার কাছে মাঝে-মাঝে সবকিছুই কেমন অসংজ্ঞায়িত মনে হয়, তখন কিছু শব্দ দিয়ে অনুভূতিগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না…
-আবীর, তুই আমার একটা কথা রাখবি?
-আমি তোমার সব কথাই রাখি দাদু।
– কেউ রেণুর হাত ধরে থাকলে ওর খুব ভালো লাগে। তোর বাবা প্রায়ই এটা করত। আমাকে দেখলে, দু’জনই লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলত। কাল সারাদিন তুই রেণুর হাত ধরে তার পাশে বসে থাকবি। কথা বলতে না পারলেও, ভালোবাসা বোঝার ক্ষমতা নিশ্চয়ই ওর আছে- মা তার ছেলের ভালোবাসা বুঝবে না?
-সারাদিন মার হাত ধরে বসে থাকবো দাদু। এখন আমি-কি তোমার হাতটা কিছুক্ষণের জন্য ধরতে পারি? বলতেই চোখে পানি আসে আবীরের।
-তুই বোকা মানুষ। বোকা মানুষের চোখেই ঘন-ঘন পানি আসে, বলেই চশমার ফাঁক দিয়ে নিজের চোখ মোছেন দাদু।
রিক্সা এগিয়ে চলে। দাদু-নাতীর সরল কথোপকথোন বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালার মন বিক্ষিপ্ত করে না। বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালার কাছে ব্যাপারটা অসংজ্ঞায়িত থেকে যায়। কিছু অনুভূতি অসংজ্ঞায়িত থাকাই ভালো।
মনকে কখনো সংজ্ঞায়িত করা যায় না, তেমনই করা যায় না এর অনুভূতিকেও।
গল্পটার মাধ্যমে যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে পৌঁছেছে। এটুকুই যথার্থ মনে করি।
ভালো থাকুন ছোট্ট ভাইয়া।
আপু, আপনি অল্প কথায় বেশ গুছিয়ে মন্তব্য করতে পারেন! চমৎকার! 😀
আমার কাছে মনে হয়- সব অনুভূতিগুলোকে সংজ্ঞার ছাঁচে ফেলা সম্ভব না ঠিক কিন্তু কিছু অনুভূতি থাকে যেগুলো সংজ্ঞায়নের অতীত নয়: সেগুলোর সংজ্ঞায়ন সম্ভব, করা যায়। বড় লেখকরা কিন্তু সেটা পারেন- মানব মনের অন্তঃদ্বন্দ্ব গুলো ক্যানভাসের তুলিতে আঁকেন!
কবিতা বা গল্পের নামকরণ বরাবরই খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার মনে হয়। আমি নামটা একটু পরিবর্তন করে দিয়েছি।
ধন্যবাদ জানুন আপু 😀
🙂
অনুভূতিকে সংজ্ঞায়িত করার দরকার কি? অনুভব করতে পারলেই তো হইলো।
তবে তোমার লেখাটি পড়ার পর মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত না হোক, ভাষায়িত করতে পারলে বিশাল একটা কমেন্ট দিতে পারতাম।
সেটা যেহেতু পারছিনা, তাই এবারো এই মাইক্রোকমেন্ট দিয়েই ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
সংজ্ঞায়িত করা কঠিন কিন্তু একটু পরিশ্রমলব্ধ চিন্তা করলেই ভাষায়িত করা যায়! 😛
শুধু কোডিং করলেই মস্তিষ্ক ধারালো হয় তা না, ম্যাক্রো-মন্তব্যেও কিছুটা হয় বৈ-কি! 😛