অজগর সাপ শিয়াল খেয়ে ফেলসে

রোজার মধ্যে পড়াশোনা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়। আলসেমি না করলে হয়তো একটা বই ও লিখে ফেলতে পারবো।

বিশেষ করে যোহরের পর বিশাল একটা সময়  পাওয়া যায় । রোজার সময় তাড়াতাড়ি গোসলের কারণে, আর দুপুরের খাবারের জন্য না উঠার জন্য এত সময় বেঁচে যায়।

********

আজকে পেপারে পড়লাম একটা অজগর সাপ নাকি একটা শিয়াল খেয়ে ফেলসে। পুরো ৬ মাসের আহার। শিয়ালের হাড্ডি গুলো কই যাবে! অই গুলা হজম করবে কীভাবে! লোম-চামড়া এ গুলো?

অজগর বেচারা আর কী করবে? তাকে তো কেউ পিস পিস করে মাংস কেটে দিবে না।

পাগলের চিকিৎসার জন্য নাকি শিয়ালের মাংস খাওয়ায়? পাগল হলে যে বুদ্ধি কমে যায়, শিয়ালের মাংস খেলে সেটা পূরণ হয়?

*********

ইফতারির বিভিন্ন আইটেম ভাজার সময় তেলের সাথে নাকি মবিল মেশায় যেন মচমচে হয়। ভেজাল বিরোধী অভিযানের সময় এ গুলো নষ্ট করে ফেলে। নষ্ট না করে যারা বিক্রি করে তাদের খাওয়ানো যায় না?

কয়েকদিন আগে চকবাজারের ইফতারের ঘটনা পড়ছিলাম। “চক বাজারের ইফতার” শুনেই মনে হয় অনেকে আঁতকে উঠবেন!

ব্যাপার হচ্ছে যাদের কারণে এটা ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের সিংহভাগই এখন আর নেই। আছে অসৎ কিছু লোক। যারা হাবিজাবি জিনিস বানিয়ে সেটা ঐতিহ্য বলে চালিয়ে দেয়। আর সাংবাদিক গুলো এর থেকে ওর থেকে কপি-পেস্ট করে একটা প্রতিবেদেন বানায় ছাপিয়ে দেয়।

মানুষজন সেটা পড়ে খামু খামু করে দৌড় লাগায়। আর কাবাব এর নামে এক গাদা বাসি মাংসের দলা কিনে নিয়ে আসে।

*********

ভ্রমণ কাহিনীর প্রতি লোভ লালসা দিন দিন বাড়ছে। বইয়ের চেয়ে ব্লগে পড়তেই বেশি ভালো লাগে। লেখকরা অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করেন। সেই জিনিস ভিজুয়ালাইজ করতে গিয়ে একটু পরিশ্রম হয়। ব্লগের গুলো অনেক হালকা পাতলা। পড়লাম, মজা পেলাম শেষ। দিন শেষে একটা লাইন ও মনে থাকে না।

সৈয়দ মুজতবা আলী পড়লে চোখের সামনে ভাসতে থাকে। আরেক যন্ত্রণা।

ইয়াদ সম্পর্কে

সারাদিন আগডুম বাগডুম ভাবি! মন খারাপ থাকলে নিজেই নিজেকে কাতুকাতু দেই! মন ভালো থাকলে উলিয়া উলিয়া করি!
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে ইতিহাস, চিন্তাভাবনা, বইপড়ুয়া, ভ্রমণ, সচেতনতা, হাবিজাবি-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

3 Responses to অজগর সাপ শিয়াল খেয়ে ফেলসে

  1. শারমিন বলেছেনঃ

    এইসব ভেজাল যে কবে বন্ধ হবে কে জানে 🙁

    ”নষ্ট না করে যারা বিক্রি করে তাদের খাওয়ানো যায় না?”
    আসলেই এদেরই খাওয়ানো উচিৎ 😡

  2. রুহশান আহমেদ বলেছেনঃ

    “সৈয়দ মুজতবা আলী পড়লে চোখের সামনে ভাসতে থাকে। আরেক যন্ত্রণা।”
    চরম লাগলো লাইনটা!

  3. almahmud বলেছেনঃ

    ভাইয়া, আর লেখেন না কেন? ?
    miss u

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।