Grave of the Fireflies’: জোনাকিদের সমাধি[সরব “মুভি থেকে নেয়া” -৯]

অ্যানিমেটেড মুভির প্রতি আমার বরাবরই তেমন কোন ঝোঁক ছিল নাএক সময় এ ধরণের মুভিগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার আমার কাছে কিছুটা কৃত্তিম মনে হত। মনে হত, এ ধরণের মুভিতে আবেগের স্থান হয়তো একেবারেই নেই। আরো মনে হত, একটা মুভিকেই নিছক কার্টুনের আকারে দেখানো অনর্থক ব্যাপার। কিন্তু আমার ভুল ভাঙল যখন ফ্রেন্ডদের চাপে ভাল ভাল কিছু অ্যানিমেটেড মুভি সংগ্রহ করে দেখতে শুরু করি। ‘Grave of the Fireflies’ তেমনি একটি মুভি যেটি দেখার পর নিজের আবেগকে সামলে উঠতে আমার বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল। মুভিটির গল্প, চরিত্র বিন্যাস, সংলাপ সহজেই যে কারো মনের ভেতর করাঘাত করতে প্রস্তুত। অবশ্য এ মুভিটি দেখার আগে আমার ফ্রেন্ডরা বারবার আমাকে বলেছিল, ‘এই মুভিটা দেখলে তোর খুব ভাল লাগবে সেই গ্যারান্টি দিতে পারি। কিন্তু তোর খুব মন খারাপ লাগবে। এখন ভেবে দেখ দেখবি কিনা।’ আমি পড়লাম মহা মুশকিলে। একে তো ক্লাস, ল্যাব, পরীক্ষার প্রেশারে জীবনটাই ট্র্যাজেডি ফিল্ম হয়ে গেছে। তার উপর আবার মুভি দেখে শোক পালন করলে তো আরেক সমস্যা। তারপর আবার মনে হল কি আর হবে? একটা মুভিই তো! তার উপর অ্যানিমেটেড ফিল্মের গল্পে কতটুকুই বা ট্র্যাজেডির আস্বাদ পাওয়া যাবে?! তবে মুভিটি দেখার পর আমার ফ্রেন্ডদের কথাই অবশেষে সত্যি হল!
 
‘Grave of the Fireflies’ ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জাপানিজ অ্যানিমেটেড মুভি। এটি মূলত জাপানিজ ভাষায় প্রথমে নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করা হয়। ছবিটি মুক্তির পর খুব একটা ব্যবসা সফল হতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে এর কাহিনী ও হৃদয়গ্রাহী সংলাপের জন্য এটি বহুল আলোচিত একটি মুভি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। IMDb তে অর্জন করে নিয়েছে ৮.৫/১০ রেটিং। তাই শিকাগো সান টাইমস এটিকে গ্রেট মুভি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে বলেছে, ‘এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা যা নতুন করে অ্যানিমেশন নিয়ে ভাবতে শেখায়।’ এছাড়া টাইম আউট ম্যাগাজিন এটিকে সেরা ৫০ অ্যানিমেটেড মুভির তালিকায় ১২ নম্বরে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত সেরা ৫০ মুভির তালিকায় ১০ নম্বরে স্থান দিয়েছে। 
 
মুভিটির পটভূমি ও সময়কাল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ লগ্নে জাপানের কোবে (Kobe) শহর। মুভিটির মূল গল্প দুই ভাইবোন সিতা (Seita) ও সেতসুকোকে (Setsuko) কেন্দ্র করে। ১৪ বছর বয়সি সিতা ও তার বোন ৪ বছর বয়সি সেতসুকো তাদের মায়ের সাথে থাকে। তাদের বাবা জাপানিজ নেভি তে একটি যুদ্ধজাহাজের ক্যাপ্টেন। যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষ যখন কোবে শহরের উপর আঘাত হানত তখন এয়ার রেইড জারি করা হত। আর ঐ সময়টাতে সিতা ও সেতসুকোকে নিয়ে তাদের মা চলে যেতেন ফায়ার হাউস শেলটারে। তেমনি এক এয়ার রেইডের সময় তারা যখন শেল্টারের দিকে ছুটছিল তখন তারা তাদের মাকে ভিড়ের মাঝে হারিয়ে ফেলে। সে সময় তাদের মা বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয়। এদিকে মাকে খুঁজতে গিয়ে তারা নিকটবর্তী এলিমেণ্টারি স্কুলে আসে যেখানে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়। তাদের মাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মায়ের মৃত্যুর খবর সিতা তার ছোট বোনকে আর জানায় না। এভাবে সিতা তার বোনকে নিয়ে অবতীর্ণ হয় এক কঠিন জীবন যুদ্ধে। আশ্রয়ের আশায় তারা চলে যায় নিশিমনিয়াতে এক দূর সম্পর্কের আন্টির বাসায়। সিতা ও সেতসুকো যুদ্ধকালীন খাদ্যের অভাব ও সঙ্কটে পরিশ্রান্ত ঐ পরিবারের জন্য নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। সিতা তার মায়ের রেখে যাওয়া কিমোনো (kimono- জাপানিজ মহিলাদের পোশাক) বিক্রি করে ঐ আন্টিকে আর্থিক সাহায্য দেয়। তারপরও বিভিন্ন কারণে তারা আন্টির কাছ থেকে বঞ্চনার শিকার হত। একদিন সিতাকে তার আন্টি বলেই বসে,
Seita, you’re old enough to know that everyone has to cooperate. You keep saying you want rice but do you earn it? No, you absolutely do not.
আন্টির এ কথা সিতা ও সেতসুকোর আত্মসম্মানবোধকে প্রবল ভাবে আঘাত করে। তারা তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা নিজেরাই নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে। তাই পরদিনই তারা টোকিও ব্যাংক থেকে মায়ের রেখে যাওয়া অর্থ থেকে ৭০০০ ইয়েন তুলে নিয়ে একটি স্টোভ, একটি ছেঁড়া ছাতা ও একটি চিরুনি কিনল। বৃষ্টির মাঝে তারা সেই ছেঁড়া ছাতা নিয়ে মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরল-
It’s raining, it’s raining,
Big brother’s coming home
With an umbrella just for me…
Drip-drop, plip-plop,
Down the rain comes.’
এভাবে আন্টির বাসাতেই তারা আলাদাভাবে নিজেদের সংসার শুরু করল। তারা নিজেরা নিজেদের রান্না করত, নিজেদের ইচ্ছামত সময় কাটাত। যখন সেতসুকো প্রচণ্ড ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদতে শুরু করত, তখন সিতা ওর মুখে ফ্রুট ড্রপ (এক ধরণের ক্যান্ডি) পুরে দিত। আবার যখন সেতসুকো ওর মায়ের জন্য মন খারাপ করত, তখন সিতা ওকে নিয়ে যেত বাসার কাছেই সমুদ্রের তীরে। সেতসুকোর কাছে বিশাল সমুদ্রকে মনে হত একটা ‘big bathtub’। সেতসুকো যেমন কাঁকড়ার পেছনে দৌড়ে মজা পায়, তেমনি সিতাও হঠাৎ করে সেতসুকোর পেছন দৌড়াতে দৌড়াতে মজা করে বলে, ‘Grrr, I’m a bear. I’m gonna eat you. এমনিভাবে এক রাতে সিতা সেতসুকোকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হয়। তখন সেতসুকোর বিস্মিত চোখে ধরা পড়ে অজস্র জোনাকির মিছিল। সিতা সেতসুকোকে কয়েকটা জোনাকি হাতের মুঠোয় দেয়। জোনাকির আলোয় সেতসুকোর অপার বিস্ময় দর্শকের মনকেও একইভাবে ছুঁয়ে যাবে। এভাবে দুই ভাইবোনের বেশ নির্ঝঞ্ঝাটে দিন কেটে যেতে থাকে।
 
এক সকালে সিতা ও সেতসুকো বাইরে ঘুরতে বের হয়ে একটি পরিত্যক্ত বোম্ব শেল্টারের খোঁজ পায়। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা অন্যের করুণায় আর বোঝা হয়ে থাকবে না। তারাও এবার স্বাবলম্বী হবে। যেই ভাবা সেই কাজ। এভাবেই তারা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে নতুন বাসায় উঠে। তবে এটিকে বাসা বললে ভুল হবে। কারণ এটি মোটামুটি গুহার সমতুল্য। তারা নিজেরা রান্না করে খেত, ইচ্ছে হলেই যখন তখন খেলত, আবার ক্লান্ত হয়ে গেলে পুকুরের ধারে বসে থাকত। রাতের বেলায় ওরা জোনাকি পোকা নিয়ে এসে ওদের ঘরে ছেড়ে দিত। ওদের ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘর জোনাকির আলোয় উদ্ভাসিত হত। কিন্তু রাত পেরোলেই সেতসুকোর মন খারাপ হয়ে যেত। কারণ জোনাকি পোকাগুলোর জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। তাই সেতসুকো জোনাকি পোকাগুলোকে খুব যত্নে-আদরে মাটিচাপা দিত। ঠিক এই সময়টাতেই সিতা বুঝতে পারে সেতসুকো আগেই জেনে ফেলেছে তাদের মায়ের মৃত্যুর খবর। এটি বুঝার পর সিতা অঝোরে কাঁদতে থাকে। কারণ সে চেয়েছিল তার বোনের মনে সে এতটুকু দুঃখের আঁচরও লাগতে দিবে না। কিন্তু সিতাকে অবাক করে দিয়ে সেতসুকো একটুও না কেঁদে কেবল বলে, ‘Why do fireflies have to die so soon? জোনাকি পোকার ক্ষণস্থায়ী জীবনের মতই ওদের সুখও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ যুদ্ধকালীন খাদ্য সঙ্কট আরো প্রকট আকার ধারণ করে। একদিকে খাদ্যের অভাব, অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে সেতসুকো অসুস্থ হয়ে পড়ে। অপুষ্টি, ডায়রিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে সেতসুকো দিনদিন দুর্বল হয়ে পড়ে। খাবারের সন্ধানে তাই নিরুপায় সিতা এয়ার রেইডের সময় অন্য বাসা থেকে চুরি করে বোনের জন্য খাবার নিয়ে আসত। আবার কখনও অন্য কৃষকদের ক্ষেত থেকে আখ, টমেটো চুরি করে নিয়ে আসত। এরই মাঝে এক রাতে সিতা ধরা পড়ে যায়। পরিণামে সহ্য করতে হয় নিদারুণ অত্যাচার। সেতসুকো ক্ষতবিক্ষত সিতাকে দেখে বলে, ‘Where does it hurt, Seita? Should I get a doctor?সেতসুকোর এ কথা শুনে অসহায় সিতা ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে কারণ এ মুহূর্তে সেতসুকোকেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু সেটাও সে করতে পারছে না।
 
পরদিন সকালে সিতা সেতসুকোর জন্য খাবার কিনে নিয়ে এসে দেখে সেতসুকো মাটিতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। সাথে সাথে সে সেতসুকোকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার সিতাকে বলে সেতসুকোকে এখন কেবলই ভাল ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো দরকার। কিন্তু চারদিকে তখন খাবারের হাহাকার। সিতার মন ভেঙ্গে পড়ে। তারপরও ছোট বোনের মনে সাহস যোগানোর জন্য আশ্বাস দিতে থাকে। সিতা সেতসুকোকে জিজ্ঞেস করে, ‘What do you want to eat? সেতসুকো বলে, ‘Tempura, sashimi, jelly…ice-cream and also fruit drops.’ সিতাও তখন মুখে এক টুকরো হাসি নিয়ে বলে, ‘Drops? Okay. I’ll withdraw money and buy you all the food you need.’ কিন্তু অর্ধচেতন সেতসুকো উত্তর দেয়, ‘Don’t go. Stay with me. Don’t leave me alone.’ তাই সিতাও সেতসুকোর অসহায়ত্ব বুঝতে পেরে বলে, ‘Don’t worry Setsuko. I’ll buy you some good, nourishing food. And I’ll never leave you again. Never ever again. I promise.’
 
ছোট বোনের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা অনুধাবন করতে পেরে সিতার মন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তারপরও এই বোনটার মুখে আবারো হাসি ফিরিয়ে আনতে সে চেষ্টা চালাতে থাকে। এরই মধ্যে একদিন ব্যাংক থেকে অবশিষ্ট ইয়েন তুলতে যেয়ে শুনতে পায় যে, জাপান যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করেছে। সে আরও শুনে যে, জাপানের সব নৌজাহাজ শত্রু পক্ষের সাথে যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে। এভাবে সিতা বাবার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হয়ে বুঝতে পারে যে, তার জীবনে এখন সেতসুকো ছাড়া আর কেউ নেই। তাই নিজের মনকে শান্ত করে সেতসুকোর জন্য তরমুজ কিনে বাসায় ফিরে আসে। বাসায় আসার পর সিতা সেতসুকোর আচরণ দেখে চমকে উঠে। সেতসুকো যেমন প্রতিদিন সিতার জন্য রান্না করে অপেক্ষা করত, তেমনি আজও তাকে দেখে খাবার এগিয়ে দিল। কিন্তু সিতা দেখল সেতসুকো অর্ধচেতন অবস্থায় মাটিতে শুয়ে তার দিকে কয়েকটা পাথর এগিয়ে দিয়ে বলছে, ‘Have one rice ball. I made them for you. Here have one. You don’t want them…। সেতসুকোর বিলাপ শুনে সিতার চোখে পানি চলে আসল। সেও কয়েক টুকরো তরমুজ কেটে সেতসুকোকে খেতে দিল। সেতসুকো মুখে ছোট্ট হা করে তরমুজ খেতে খেতে বলল, ‘It’s good. Seita, thank you.’ এভাবেই সেতসুকো মারা গেল। সেতসুকোর মৃত্যুর পর সিতা আর ঐ বাসাতে থাকেনি। বোনের মৃত্যুতে শোকে ভারাক্রান্ত সিতা রাস্তায়, স্টেশনে নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করত। এরপর একদিন সেও ক্ষুধার কষ্টে জর্জরিত হয়ে মারা যায়। মৃত্যুর পর সিতা ও সেতসুকোর মাঝে আবারও দেখা হয়। মুভিটির একেবারে শেষ প্রান্তে সেতসুকো ও সিতার পুনর্মিলন এবং হাজারো জোনাকির মিছিলে আধুনিক কোবে শহরে তাদের সতেজ, ক্লান্তিহীন, হাস্যজ্বল মুখাবয়ব দর্শক হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়।
 
অ্যানিমেশন মুভিতে সচরাচর যেরকম শুভ সমাপ্তি হয়, সেদিক থেকে ‘Grave of the Fireflies’ এর সমাপ্তিতে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও সেতসুকোর মৃত্যুর পর সেতসুকোর স্মৃতি সিতাকে যেভাবে তাড়া করে বেড়ায়, সেই দৃশ্যগুলো দেখতে গিয়ে দর্শকের চোখের পানি আটকানো সম্ভব নয় বলেই আমার বিশ্বাস। সিতার দুঃখ যেন দর্শকের মনকেও একইভাবে ব্যথিত করে। এদিক দিয়ে আমি বলব পরিচালক যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কারণ মুভির চরিত্রগুলো যখন তাদের চরিত্রের গণ্ডি পেরিয়ে দর্শকের মনে বসতি গড়ে নিতে পারে তখনি ঐ মুভি ও মুভির পরিচালকের সার্থকতা প্রমাণিত হয়। সিতা ও সেতসুকোর কষ্ট, জীবন সংগ্রাম ও মৃত্যু যেন কেবল মুভির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এটি দর্শকদের নতুন করে ভাবতে শেখায় যে, যুদ্ধ হয়তো ক্ষমতাসীন পরাশক্তিকেই আরও বেশি শক্তিশালী করে, কিন্তু তাদের আগ্রাসনের বলি হতে হয় সিতা-সেতসুকোর মত অসংখ্য নিষ্পাপ, অসহায়, মা-বাবাহারা শিশুদের। এভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত হলেও এই ২০১৪ সালে এসেও মুভিটি বর্তমান বিশ্বের কাছে যুদ্ধবিরোধী সতর্কবাণী পৌঁছে দিতে সক্ষম। আর তাতেই মুভিটি সময়-স্থান-পাত্রভেদে হয়ে উঠেছে কালজয়ী একটি অসাধারণ সৃষ্টি।
 
—-রাইসা   
এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে চলচ্চিত্র-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।