[ I am breaking the Rule 1 & 2 of Fight Club ]
Insomnia তে আক্রান্ত নামহীন একজন প্রটাগনিস্টের কিছু জটিল অভিজ্ঞতা এবং রেডিক্যাল সাইকোথেরাপী নিয়ে তাঁর বিশাল এক গ্রুপ তৈরি করা নিয়ে ১৯৯৬ সালে Chuck Palahniuk জন্ম দেন চমকপ্রদ এক উপন্যাসের, নাম Fight Club । তখনকার সময়ে এরকম একটা বিষয় নিয়ে লেখা এই উপন্যাসটি প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা পায় । বইটির ব্যাপক শিল্পমান আর তৎকালীন পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতার কথা চিন্তা করে অনেকেই চিন্তা করেন একে মুভি তে রূপ দেওয়ার । এ ব্যাপারে একটা জরিপও চালানো হয় , কিন্তু কারো কাছ থেকেই তেমন সাড়া আসেনি তখন । সাধারন পাঠকেরা না বুঝলে কি হবে, এরকম একটা গল্প কে মুভিতে নিয়ে আসার মর্ম ঠিকই বুঝেছিল জনপ্রিয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 20th Century Fox । ১৯৯৭ সালের দিকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারা মাত্র ১০০০০$ এ উপন্যাসের সত্ব কিনে নেয় এবং 20th Century Fox এর ব্যানারেই ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় এই মুভিটা !
মুলত দুইজন প্রযোজক Ross Bell এবং Art Linson এর একাগ্রতা আর এর অসাধারণ চিত্রনাট্য যা শেষপর্যন্ত একে এনে দেয় মুভিরূপ ! সবচেয়ে বড় চমক ছিল এর কাস্টিং এ ! টেইলর ডারডেন চরিত্রের জন্যে প্রযোজজক্র প্রথমে রাসেল ক্রো, আর পরে ব্রাড পিট কে অফার করেন। পরবর্তীতে Art Linson এর পরামর্শক্রমেই ১৭.৫ মিলিয়ন ডলারে ( তৎকালীন রেকর্ড ) সাইন করেন ব্রাড পিট !
অপর চরিত্র যাকে পুরো মুভিতে কোন টাইটেল দেওয়া হয়নি , শুধু বলা হয়েছে ‘ He is everyman ‘ ( যদিও স্ক্রিপ্টে তাঁর নাম ছিল জ্যাক ) সেই চরিত্রের জন্যে পরিচালক কে বলা হয় “Sexier Marquee’’ টাইপের কোন অ্যাক্টর খুজতে । মুভির বানিজিক দিকের কথা ভেবে প্রথমেMatt Damon , তারপরে Sean Penn কে নির্বাচিত করা হয় । কিন্তু The People vs. Larry Flynt মুভিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের সুবাদে সবাইকে ছাপিয়ে পরিচালক ২.৫ মিলিয়ন ডলারে কাস্ট করান উঠতি অভিনেতা Edward Norton কেই । Norton তখন Paramount Pictures এর সাথে আরও একটি ছবির জন্যে চুক্তিবধ্য ছিলেন , Paramount Pictures তাকে এই শর্তে Fight club মুভিতে অভিনয় করতে সম্মতি দেয় যে ভবিষ্যতে অল্প পেমেন্টে Norton তাদের স্টুডিও এর একটি মুভিতে অভিনয় করবেন । এই কারনেই ২০০৩ সালে The Italian Job মুভিতে Norton কে দেখা যায় সল্পব্যাপী এক ভিলেনের চরিত্রে !
প্রযোজকদ্বয় চারজন পরিচালকের মধ্য থেকে বেছে নেন David Fincher কে । ১৩৮ দিন ধরে ২০০ লোকেশনে চলে শুটিং, ১৫০০ ফিল্ম রোল করা হয় । মুভি তৈরির পর স্টুডিওর অনেকেই পছন্দ করেনি একে । এমনকি মুক্তির পরে আহামরি কোন সাফল্যও দেখেনি মুভিটা । তবে সমালোচকদের দৃষ্টি ঠিকি কেড়ে নিয়ে ছিল , যে কারনে ডিভিডি রিলিজ হওয়ার পরেই এই মুভির নাম ছড়িয়ে পরে সব যায়গায়।
মুভির অসাধারণ Cinematography , Visual effects , Musical score সব কিছুই ছিল হাতে কলমে করা, কোনরকম উচ্চতর প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই ! Visual effects আর Musical score এর জন্যে ২০০০ আলে অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিল এই মুভিটা !
দর্শকদের ভোটে এটি IMDB সেরা মুভির রেটিং এ ৮.৯ রেটিং নিয়ে ১০ম অবস্থানে আছে … Stanley Kubrick এর A Clockwork Orange এর পর তখন পর্যন্ত Hollywood এ Violence scene এর উপর নির্মিত মেইনস্ট্রীম মুভিগুলার মধ্যে এ মুভিকেই এগিয়ে রাখা হয় !!
:: Story Synopsis ::
জীবনের প্রতি হতাশা , আর মানসিক অস্থিরতায় Insomina তে ভুগা একজন সাধারন চাকুরীজীবি Edward Norton (ন্যারেটর)। এক দিন প্লেনে পরিচয় হয় Soap Dealer টেইলর ডারডেন (Brad Pitt) এর সাথে । বাসায় ফিরে সে দেখে তার ফ্ল্যাট কেউ বোম দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে । অসহায়ের মত সে তখন ফোন করে টেইলর ডারডেনকে । তাঁর জীবনের মোড় পালটে যায় এরপরি । কিছু দুঃসাহসিক কাজের সঙ্গী হয়ে যায় দুজন । গড়ে তোলে ফাইট ক্লাব , শর্ত একটাই যাদের জীবন সম্পর্কে হতাশা আর ক্ষোভ রয়েছে তারাই শুধু ক্লাবের সদস্য হতে পারবে । কিছু দিন পর লক্ষ্য করে ডারডেন তাকে না জানিয়ে গড়ে তুলেছে বিশাল এক বাহিনী , যাদের উদ্দেশ্য নাশকতা সৃষ্টি । ডারডেন এর নাম দেয় Project Mayhem ! তাকে একা রেখে একদিন ডারডেন নিরুদ্দেশ হয়ে যায় । কিন্তু Project Mayhem এর সদস্যরা তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যায় , বরং তাকেই তাদের বস হিসেবে মানতে শুরু করে । তবে তাঁর আদেশেও সদস্যরা থামেনা, তাদের থামাতে পারে শুধু মাত্র একজন , টেইলর ডারডেন । শুরু হয় ডারডেনকে খোঁজা ।
মুভিটার প্রথম দিকে কাহিনী তেমন ক্লিয়ার না বলে হয়তো দেখতে আগ্রহ লাগবে না , কিন্তু শেষে সম্পুর্ন কাহিনী যখন বুঝা যায় তখন চমক লাগবে অবশ্যই। এটা এমন একটা মুভি শেষ দৃশ্য না দেখলে বোঝাই যাবে না মুভিটা কতখানি টুইস্টে ভরপুর !!
http://www.imdb.com/title/tt0137523/
My Rating : 9/10
After watching Fight Club , everything else in your life will get the volume turned down .. Trust Me 🙂
::::::::::::::::::::::::::::::: Some Spiler ::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
শেষ দৃশ্যে গান শটের ওই দৃশ্যটার কথা বলি, আমার কাছে (একান্তই আমার কাছে) মনে হইছে গান শটের পর যা কিছু দেখায় সব কিছুইNorton এর কল্পনা, ওইভাবে গুলি করার পর কারো বেচে থাকার কথা না ! টেইলর কে মেরে ফেলার জন্যে সে নিজেকেই মেরে ফেলার সিধান্ত নেয় , যদিও মুল উপন্যাসে লেখা ছিল, মারামারি করতে গিয়ে এক পর্যাতে ন্যারেটরের মাথায় এক ছিদ্র হয়ে যায়, গুলিটা সেই পথেই বের হয়ে গেসিল,মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসায় যে আঘাত সে পাইছিল তা থেকেই তাঁর ব্রেইন টেইলর ডারডেন কে মুছে ফেলে । মুভি দেখে আমার এমন মনে হয়নি ।
:: কিছু Spoiler যা হয়তো মুভি দেখার সময় অনেকেই খেয়াল করেননি ::
# বিমানে প্রথম কথা বলার আগে মুভিতে টেইলর ডারডেনকে আরও ৫বার দেখানো হয়, খুব অল্প সময়ের জন্য ( ১/২ সেকেন্ড )
* At the photocopier at work;
* In the doctor’s office, when the Narrator is learning about the testicular cancer support group;
* At that group’s meeting;
* As the Narrator sees Marla leaving a meeting but doesn’t follow her.
* Tyler shows up as a waiter in the presentation video of a hotel the narrator stays at.
# বিমানে যখন ন্যারেটর বলে “Could you wake up as a different person? “ তখনই ক্যামেরা টেইলরের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় !
# যখন নরটন তাঁর বসের সামনে নিজেকে নিজে মারে, সে বলছিল যে আমার কাছে মনে হচ্ছে টেইলরের সাথে যেন প্রথম দিনের মত মারামারি করছি
# গাড়ী accident এর সময় টেইলর ছিল ড্রাইভিং সীটে কিন্তু পরে দেখা যায় যে নরটন নিজেই ড্রাইভিং সীট থেকে বের হয়ে আসছে
# টেইলর যখন বিদায় বলে চলে যায় তখন নরটনের কপালে একটা কাটা দাগ ছিল , কিন্তু পরের সিনে সেটা আর দেখা জায়নাই , এর থেকে বুঝা যায় এর মাঝে অঙ্ক সময় পার হয়ে যায় যখন নরটন Fight club বিল্ড আপ নিয়ে বিজি ছিল …
# মারলা এবং টেইলরের ঘরকাপানো লাভমেকিং এর শব্দ হঠাত করেই অফ হয়ে যায় যখন ন্যারেটর ডিটেকটিভ এর ফোন রিসিভ করে
# ফোনবুথে যখন টেইলর নরটনকে ফোন ব্যাক করে , তখন ঝাপসা লেখা দেখায় পে ফোনে “No Incoming Calls Allowed’’
# যখন ন্যারেটর টেইলরের সাথে বাসে উঠে, সে কিন্তু একজনের ভাড়াই দেয় !
# বিমানে দুইজনের একই রকমের ব্রিফকেইজ থাকে, টেইলর তাঁর নিজেরটা খুলেও দেখায়, কিন্তু ন্যারেটরের ব্রিফকেইজ কখনই খুলে দেখানো হয়নাই !
[ Net Based and verified by me ]
-তামিম তাহসান