Grave of the Fireflies (1988) – এই মুভি দেখে কাঁদে নাই এমন মানুষ নাকি খুব বিরল। শুনে ভেবেছিলাম এমন আর কি মুভি হবে, ‘আবেগে কাইন্দালছি’ টাইপ মুভি তো আর কম দেখা হয় নাই! বুঝিও নাই কি অপেক্ষা করছে….
ছোটোবোনকে নিয়ে বসেছিলাম মুভিটা দেখতে, চোখের কোণে বেশ কয়েকবার জল জমে গেলেও বোনকে সেটা বুঝতে দেই নাই, কারণ ও নিজেই তখন কাঁদছে।
একটা মুভি মনকে কিভাবে নাড়া দিয়ে যেতে পারে সেটা জানতে হলে এই মুভিটা দেখা আবশ্যক। যুদ্ধে সবাইকে হারিয়ে ফেলা একটা ছেলের তার ছোট্ট বোনকে নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা দেখে দর্শকের চোখে জল আসবেই। যাদের বোন নেই তারা কাঁদবেন অদ্ভুত একটা শুন্যতার বোধ নিয়ে, আর যাদের বোন আছে তারা কাঁদবেন বোনকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট এবং ভয়টা একসাথে অনুভব করে। এই লেখাটা লিখতে বসেও চোখের কোণে জল এসে যাচ্ছে।
যুদ্ধের ভয়াবহতা এরচাইতে নির্মমভাবে তুলে ধরা সম্ভব কিনা আমার জানা নাই। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সীমিত অ্যানিমেশনে বানানো এই 2-D মুভিটা সত্যিকার অর্থে একটা মাস্টারপিস।
মুভিটা দেখার পরে ছোট্ট মেয়ে সেটসুকোর প্রশ্নটাই মাথায় ঘুরতে থাকে শেষ পর্যন্ত –
“Why do the fireflies die so soon?”…………
অমিত কুমার নাথ
ছোট্ট করে লিখেও অনেক সুন্দর করে মেসেজটা দিয়েছেন ভাইয়া 🙂