[আন্তর্জালে খুঁজে পাওয়া কিছু কথার ভাবান্তর। খুব ভালো লেগেছিল, তাই একটু অবিচার করলাম।]
আমার কী মনে হয় জানো? কেউ এসে তোমার গোটা জীবনটাকে এলোমেলো করে দিলো – এমনটা যে কারো জীবনে কেবল একবারই ঘটতে পারে বড়জোর। সেই মানুষটার কাছে তুমি নিজের এমন সব গোপন কথা বলে ফেলো, যা তার আগে কোনদিন কাউকে বলো নি। আর তোমার সেসব কথা মন দিয়ে শুনতে শুনতে সে ক্লান্ত তো হয়-ই না, বরং আরো বেশি করে শুনতে চায়। আগামী দিনগুলো নিয়ে যত ভাবনা, তোমার আকাশ কুসুম যত স্বপ্ন, না পাওয়া যত চাওয়া আর জীবনের ছুঁড়ে দেয়া হতাশার যত তীর – সবই সেই মানুষের কাছে বলতে পারা যায়। তোমার সাথে চমৎকার কিছু ঘটলে তাকে না বলা পর্যন্ত স্বস্তি পাও না তুমি, কারণ তোমার উচ্ছ্বাসে তার মত করে ভাগ বসাতে আর কেউ যে পারে না! তোমার কষ্টের সময়গুলোতে একসাথে কাঁদতে আর বোকাটে সব কাজে একসাথে হেসে উঠতে ভুল হয় না কখনো তার। তোমার মনে কখনো ব্যথা দেয় না সে, অযোগ্যতার কথা মনে করিয়ে তো দেয়-ই না বরং সে-ই তোমাকে গড়ে তোলে – তোমার যা কিছু বিশেষ আর সুন্দর তার সাথে তোমাকেই পরিচয় করিয়ে দেয় সে। তোমার জীবনে তার উপস্থিতি কখনো কোন চাপ, ঈর্ষা বা প্রতিযোগিতার প্রশ্ন তো তোলেই না বরং সে কাছে থাকার মানে তোমার সবটা জুড়ে তখন কেবল শান্তি আর শান্তি। এই মানুষটার পাশে তুমি একদম নিজের মত করে থাকতে পারো, সে কী ভাবলো তা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাতে হয় না তোমাকে। কারণ সে তো তোমাকে তুমি বলেই ভালোবাসে!
“ভালোবাসা এ কি রঙ বদলের খেলা
শ্রাবণ শরৎ ফাগুনের মেলা
পাহাড়ি নদীর তুমুল স্রোতটানে
বয়ে চলা সাম্পান…”
তার স্মৃতিমাখা যে কোন কিছুই, হোক সেটা কোন চিরকুট, গানের লাইন কিংবা একসাথে হাঁটতে যাওয়া – তা অন্যের চোখে যত তুচ্ছই হোক – তোমার হৃদয়ে অনন্তকাল ঠিক কোন অমূল্য ধনের মতই বাঁধা পড়ে থাকে। সে আছে বলেই তোমার শৈশবের স্মৃতিগুলো বার বার ফিরে আসে এমন স্বচ্ছ আর প্রাণবন্তভাবে, যে মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি বুঝি সেই দিনগুলোতেই ফিরে গেছো আবার। সে থাকলে সব রঙ-ই কেমন উজ্জ্বল লাগে আগের চাইতে, রঙগুলোকে আরো বেশি চমৎকার মনে হয়। হাসতে ভুলে যাওয়া তোমার মুখে প্রাণখোলা হাসি তখন প্রতিদিনকার ব্যাপার। দিনের ক্লান্ত কাজের ফাঁকে তার দু’একটা ফোন কলই যথেষ্ট চিলতে হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে তোমার আবার নতুন করে কাজে ফিরে যাবার জন্য। সে পাশে থাকলে কখনো কথা খোঁজার জন্য মন হাতড়ে বেড়াতে হয় না, সে যে আছে তাতেই কেমন অদ্ভুত শান্ত লাগে তোমার নিজেকে। আগে কখনো আগ্রহ জাগে নি, এমন সব বিষয়ও খুব প্রিয় হয়ে ওঠে তোমার কাছে কেবল সে এগুলো ভালোবাসে বলে। প্রতিটা উপলক্ষ্যে তার কথা মনে পড়ে তোমার, প্রতিটা কাজে। আবছা নীল আকাশ, নরম বাতাস কিংবা আকাশের কোনে ভেসে আসা টুকরো কালো মেঘও তার কথা ফিসফিসিয়ে বলে যায় তোমার কানে। ভেঙে যাবার ভয় আছে জেনেও হৃদয়টাকে উজাড় করে দাও তুমি তার কাছে, আর সে হৃদয়ে তখন স্বপ্নেরও অতীত সব অনুভূতি – সব প্রেম আর সব সুখ এসে উঁকি দিয়ে যায়। তুমি তখন ঠিক ঠিক বুঝতে পারো, ভয়ানক সত্য এই সুখকে পেতে হলে নিজেকে রক্ষার জন্য তিলে তিলে গড়ে তোলা এই দেয়ালকে ভেঙে ফেলা ছাড়া অন্য উপায় নেই। তুমি একজন সত্যিকারের বন্ধু পেয়েছো, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিশ্বস্ত থাকবে হয়তো বা এমন একজন জীবনসাথীকেও পেয়েছো – এই বিশ্বাস তোমাকে প্রতিনিয়ত চলার শক্তি যোগায়। সে পাশে আছে বলে জীবন পুরোই অন্যরকম, অনেক প্রাণবন্ত, আর বেঁচে থাকার তখন নতুন সব মানে। তোমার একমাত্র আশা আর ভরসার জায়গা তখন সে – তোমার জীবনে তার অস্তিত্ব।
অনেক বেশি রোমান্টিক লিখা আমার মত আনরোমান্টিক মানুষ ও দেখি রোমান্টিক হয়ে গেল লিখা পড়ে 😛
বলে কী! 😛
অদ্ভত সুন্দর। অবিবাহিত পিচ্চিগুলা ত কান্না কাটি করবে! পুরোটাই কোট করতে ইচ্ছে করছে।
🙂
সত্যিকার ভালোবাসার অনুভূতি ঠিক এরকমই হয়। :clappinghands:
😀
আপু, আমি তো আমার মন্তব্য লেখার হাত খুইয়ে ফেলেছি! অনেকক্ষণ ভেবেও কি লিখবো তা বুঝতে পারছি না। 🙁 যাহোক, নিচের লিঙ্কটায় সময় পেলে একটু ঢুঁ মেরে আসবেন। নোটে লেখক কবিতাকারে লিখেছেন। আপনি, সেই কবি ভাই, বব মার্লে তিনজনই অসধারণ 😀
https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9/%E0%A6%AC%E0%A6%AC-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%87/10151895572577456
লিঙ্কের অনুবাদটা দারুণ! পড়ে মনে হচ্ছে আমি কী ছাইপাঁশা লিখলাম। 🙁 বেশি সুন্দর কিছু পড়লে অনুবাদ করতে ইচ্ছে করে কিন্তু অনুবাদের পরে মনে হয় কেমন অবিচার করলাম!
ওহ্ আরেকটা জিনিস। আমি এখানে বব মারলে-র নাম নেই নি কারণ এই কথাগুলি আসলেই ওর কিনা সেটা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে দেখলাম।