তবুও প্রাচীন চাঁদ

I talk to the moon in silence or out loud. To send words an thoughts into the cosmos.

তবুও প্রাচীন সুকুমারী চাঁদ
আলো ঢেলেছিলো – কোনো গাঙে,
বুনোঝোপে, মেঠোপথে ,
ডাহুকের ডেরায় রাতভর!

বহুদিন আগেকার কোনো রাত্তির প্রথম প্রহরে –
হাট হতে সওদা নিয়ে আমার তরুণ পিতামহ;
দু’পাতা আলতা আর হাতে,
এমনি কোন শরতের রাতে, নিবিড় জোছনাতে
হেঁটেছিলো- অন্ধকারে পথ খুঁজে খুঁজে।

পথচেয়ে নির্ঘুম কিশোরী বধূটি তখনো।
ঝিরিঝিরি বাঁশপাতা ঘরের শিয়রে,
নিকানো উঠোন- ঘরের রোয়াক,
প্রগাঢ় আলোয় ধোয়া চোখের কাজল,
সমস্ত মহিমা নিয়ে অপরূপ অপেক্ষার প্রহরে,
আলো তবে নিলো তাদেরে আঁধার গভীরে,
নিবিড় জোছনায় পথ চিনে চিনে?

আমার পিতামহ- পিতামহী;
সাদামাটা সুখে -দুঃখে,
বহমান জীবনস্রোতে
ঝাপসা হতে হতে মিশে যায় তারা,
আবার চন্দ্রালোকে।

এসব কেবলি কল্পনা (বিভ্রম)!
সময় খোলে না দ্বার রুদ্ধ করেছে একবার
কপাট যাহার।

তবুও প্রাচীন সুকুমারী চাঁদ-
(নাগরিক পলেস্তেরার পটভূমি)
শুধিয়েছি তাকে রাত্তির দ্বিতীয় প্রহরে,
‘কতটা আঁধার বুকে নিয়ে বেঁচে আছো তুমি?’

সে তখন মৃদু হেসে বলে,
‘এ কথা কতজনা শুধিয়েছে হেঁটে যেতে যেতে
উত্তরের অপেক্ষায় থাকে নি তো তারা!
চলে গেছে সীমাহীন (জোছনায়) পথ চিনে চিনে।’

আবারও খানিক থেমে,
(বলেছে কি জানি সে কারে)
‘পৃথিবীর সব গল্প ফুরোবে না কোনোদিনও
তবুও একদিন পৃথিবী ফুরিয়ে যাবে,
ফুরোবো আমিও!’

– ৩ অক্টোবর, ২০১৪
শাহজাহানপুর, ঢাকা।

এই লেখাটি পোস্ট করা হয়েছে কবিতা, সাহিত্য-এ। স্থায়ী লিংক বুকমার্ক করুন।

3 Responses to তবুও প্রাচীন চাঁদ

  1. অক্ষর বলেছেনঃ

    আপনারা এত ভালো কবিতা লিখেন কিভাবে? 😯

  2. তুসিন বলেছেনঃ

    উত্তরের অপেক্ষায় থাকে নি তো তারা!
    চলে গেছে সীমাহীন (জোছনায়) পথ চিনে চিনে।’

    লাইন দুইটি বেশ ভালো লাগলো।
    :love:

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।